ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

অসত্য ও বিভ্রান্তিকর সংবাদ জানছেন আমেরিকান নেটিজেনরা

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: 17/10/2021


Thumbnail

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ প্রযুক্তিগত বিভিন্ন মাধ্যমগুলোর নীতিনির্ধারকদের অবহেলায় নিয়মিত অসত্য ও বিভ্রান্তিকর সংবাদের মুখোমুখি হচ্ছেন আমেরিকান নাগরিকদের বড় একটি অংশ। আমেরিকার পিউ রিসার্চ সেন্টারের করা জরিপে দেখা গেছে, আমেরিকার প্রাপ্তবয়স্কদের ৪৮ শতাংশ ’নিয়মিত’ অথবা ’কখনও কখনও’ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে সংবাদ পেয়ে থাকেন, যা ২০২০ সালের তুলনায় পাঁচ শতাংশ কমেছে বলেও দাবি করেছে সংস্থাটি।

পিউ রিসার্চ সেন্টার ১০টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম সাইট ব্যবহারকারিদের নিয়ে এ জরিপটি চালায়। তাদের কাছে প্রশ্ন করা হয় যে, তারা নিয়মিত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে সংবাদ পেয়ে থাকেন কি না?

জরিপ অনুসারে, ৩১ শতাংশ আমেরিকান বলেন যে, তারা ফেসবুকে নিয়মিত খবর পায়। অন্যদিকে, ২২ শতাংশ নাগরিকের খবরের উৎস ইউটিউব। এ ছাড়া টুইটারে ১৩ শতাংশ ও ইনস্টাগ্রামে ১১ শতাংশ নাগরিক নিয়মিত সংবাদ পান। অন্যান্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে নিয়মিত পাঠক সংখ্যা কম। এদের সংখ্যা প্রতি দশ জনে এক জন। এদের মধ্যে সাত শতাংশ রেডিত, ছয় শতাংশ টিকটক, লিংডইন-এ চার শতাংশ, স্ন্যাপচ্যাট-এ চার শতাংশ, হোয়াটসঅ্যাপে তিন শতাংশ এবং টুইচ থেকে ১ শতাংশ নাগরিক নিয়মিত খবর জেনে থাকেন। 

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে সংবাদ পেয়ে থাকা ব্যবহারকারীরা ২০২০ সাল থেকেই অপরিবর্তিত অবস্থায় রয়েছেন। এখনো নিয়মিত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকেই সংবাদ জেনে নিচ্ছেন তারা। তবে ফেইসবুকে ২০২০ সালের তুলনায় ২০২১ সালে পাঁচ শতাংশ কমেছে। ২০২০ সালে ৩৬ শতাংশ নাগরিক নিয়মিত ফেইসবুক থেকে সংবাদ জানতেন। ২০২১ এ তা ৩১ শতাংশে দাঁড়ায়।

জরিপে বলা হয়, প্রতিটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারকারিদের অনুপাতের দিকে তাকালে দেখা যায় যে কিছু কিছু সাইটের মোট শ্রোতা সংখ্যা বা পাঠক সংখ্যা কম হলেও তারা শুধু মাত্র খবরের জন্যই ওইসব সাইটে ঢূকেন। তাদেরকে `নিউজি`ও বলে থাকেন অনেকে। যেমন ২৩ শতাংশ আমেরিকান টুইটার ব্যবহার করেন। ব্যবহারকারিদের অর্ধেকেরও বেশি নিয়মিত খবর জেনে থাকেন এই মাধ্যম থেকে। বিপরীতে ইউটিউব ব্যবহারকারি সংখ্যা অনেক হলেও এদের মধ্যে মাত্র ৩০ শতাংশ খবর জানতে সাইটে ঢুকেন। 

সামগ্রিকভাবে, প্রতিটি সাইটের ব্যবহারকারি সংখ্যা ২০২০ সাল থেকে স্থিতিশীল রয়েছে। যদিও এর মধ্যে রাষ্ট্রপতি নির্বাচন ও অতিমারী করোনার সংক্রমণ ও প্রাদুর্ভাব উভয়ই ছিল।

তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে ভিন্নতাও আছে। যেমন, সংবাদের জন্য ফেইসবুক ব্যবহারকারীদের মধ্যে শেতাঙ্গ শতকরা ৬০ জন। পাশাপাশি রেডডিট ব্যবহারকারীদের মধ্যেও শতকরা ৫৪ জন শেতাঙ্গ। অন্যদিকে শুধুমাত্র সংবাদ জানার জন্য ইনস্টাগ্রাম চালানো প্রতি দশজনের চারজনই শেতাঙ্গ। বিপরীতে ২০ শতাংশ কৃষ্ণাঙ্গ এবং ৩৩ শতাংশ হিস্পানিক ইনস্টাগ্রাম খেকে সংবাদ জেনে থাকে। এ ছাড়া পুরুষদের তুলনায় মেয়েরা ফেইসবুক থেকে সংবাদ জেনে থাকে বেশি। এর মধ্যে শতকার ৬৪ জন মেয়ে ও ৩৫ শতাংশ ছেলে বলেও জরিপে দাবি করা হয়। বিপরীতে দুই তৃতীয়াংশ পুরুষ  রেডডিট থেকে নিয়মিত সংবাদ জেনে থাকে। অন্যদিকে লিঙ্কডইন থেকে নিয়মিত সংবাদ জানা লোকদের মধ্যে শতকরা ৫৭ জনই কলেজ অথবা বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া। এ ছাড়া ১৮ থেকে ২৯ বয়সীদের মধ্যে স্ন্যাপচ্যাট এবং টিকটক থেকেও নিয়মিত খবর পাওয়ার সম্ভাবনা বেশি। 
তবে সাইটগুলো থেকে ডেমোক্র্যাট সমর্থক ও এই ঘারাণার বহুল সমর্থক নিয়মিত সংবাদ জেনে থাকেন। কিন্তু সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে সংবাদ জেনে থাকা সমর্থকরা তরুণ বয়সী বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে রিপাবলিকান সমর্থক বা এই ঘারাণার লোকেরা এসব সাইটগুলোতে নিয়মিত সংবাদ পড়ে না বলেও জানায় পিউ রিসার্চ সেন্টার।



প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭