ইনসাইড বাংলাদেশ

বাংলাদেশের সাম্প্রদায়িক উস্কানিতে পাকিস্তানের ইন্ধন?

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: 18/10/2021


Thumbnail

বাংলাদেশের সাম্প্রতিক সময়ে যে সাম্প্রদায়িক উস্কানির ঘটনাগুলো ঘটছে সেখানে পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থা ‘আইএসআইয়ের’ হাত আছে বলে ভারতীয় একটি গোয়েন্দা সংস্থা দাবি করেছে। বাংলাদেশের সার্বজনীন শারদীয়া দুর্গা উৎসবের সময় কুমিল্লা একটি ঘটনা ঘটে। এই ঘটনার পর বিভিন্ন স্থানে পরিকল্পিতভাবে দাঙ্গা-হাঙ্গামা এবং সন্ত্রাস সৃষ্টির চেষ্টা করছে যার সর্বশেষ ঘটনা ঘটেছে রংপুরের পীরগঞ্জে। এখানে গুজব ছড়িয়ে হিন্দু এলাকায় ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। এই ঘটনাগুলোকে এখন আইন প্রয়োগকারী সংস্থা বিচ্ছিন্ন ঘটনা মনে করছে না, তারা মনে করছে পরিকল্পিতভাবেই সাম্প্রদায়িক-সম্প্রীতি বিনষ্ট এবং দেশকে অস্থিতিশীল করার জন্য এই ঘটনাগুলো ঘটানো হচ্ছে। এই ঘটনার সঙ্গে বিএনপি-জামাত এবং হেফাজত জড়িত তার প্রাথমিক প্রমাণ পাওয়া গেছে। বিশেষ করে কুমিল্লা,ফেনীর ঘটনায় সরাসরি বিএনপি-জামাত এবং হেফাজতের সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ আইন প্রয়োগকারী সংস্থার হাতে রয়েছে। তবে শুধু যে দেশীয় অপশক্তিগুলো কাজটি করেছে এমনটি নয় বলেই মনে করছে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা। ভারতের একটি গোয়েন্দা সংস্থা এ সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন তৈরি করেছে, সেই প্রতিবেদনে তারা এ ঘটনার পিছনে পাকিস্তানের হাত থাকার কথা উল্লেখ করেছেন। 

উল্লেখ্য যে গত কিছুদিন ধরেই বাংলাদেশে পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থা ‘আইএসআই’ সক্রিয় বলে গণমাধ্যমে খবর বেরিয়েছিল। বাংলাদেশ অবস্থিত পাকিস্তান দূতাবাসের পৃষ্ঠপোষকতায় ‘আইএসের’ তৎপরতা নতুন করে শুরু হয়েছে বলেও গণমাধ্যমের খবরে উল্লেখ করা হয়েছিল। ওই খবরে বলা হয়েছিল যে একটি হোয়াসঅ্যাপ গ্রুপ করে সেই হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপের মাধ্যমে তথ্য আদান প্রদান করা হচ্ছে, মূল লক্ষ্য হলো বাংলাদেশের উগ্র মৌলবাদী গোষ্ঠীকে উস্কানি দেওয়া। এখন বাংলাদেশের গোয়েন্দা সংস্থাগুলো এই প্রাপ্ত তথ্য যাচাই-বাছাই করছেন বলে জানা গেছে। এই ঘটনার সঙ্গে বাইরের কোন দেশের হস্তক্ষেপ বা মদদ আছে কিনা সেটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলেও জানা গেছে। 

এর আগে বাংলাদেশের যত সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টের চেষ্টা করা হয়েছিল ততবারই এর পেছনে পাকিস্তানের ভূমিকা দৃশ্যমান ছিল এবং এ নিয়ে বাংলাদেশ-এর পক্ষ থেকে সরাসরি পাকিস্তানের কাছে অভিযোগও করা হয়েছিল। তবে এখন পর্যন্ত পাকিস্তানের ভূমিকা কতটুকু ও সাম্প্রদায়িক উস্কানিতে তারা কতটুকু ভূমিকা রাখছে সে সম্পর্কে গোয়েন্দা সংস্থাগুলো নিশ্চিত হতে পারেনি। এটিকে অস্বীকার করার উপায় নেই যে বাংলাদেশে উগ্র মৌলবাদী সংগঠনগুলোকে বিভিন্ন সময়ে পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থা ‘আইএসআই’ মদদ দেয়। বিশেষ করে আফগানিস্তানে তালেবানদের উত্থানের পর গোয়েন্দা সংস্থাগুলো সতর্ক ছিলো। সে সময়ে মৌলবাদী এবং উগ্র সাম্প্রদায়িক রাজনৈতিক শক্তিগুলো পিছনে পাকিস্তান দূতাবাসের মদদ আছে বলে অনেকে মনে করছেন। এই প্রেক্ষাপটে এখন নতুন করে প্রশ্ন উঠেছে যে বাংলাদেশে যেসব গুজব ছড়িয়ে সন্ত্রাস এবং সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টের চেষ্টা করছে সেটির পেছনে কারা। শুধুমাত্র বাংলাদেশের উগ্র মৌলবাদী গোষ্ঠী যে কাজটি করছে না এটি মোটামুটি নিশ্চিত। তবে এখানে পাকিস্তানের ভূমিকা কি এবং পাকিস্তান এখানে আদৌ জড়িত কিনা সে ব্যাপারে আরো তদন্ত প্রয়োজন বলে বাংলাদেশের অন্তত দুটি গোয়েন্দা সংস্থার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানিয়েছেন।



প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭