ইনসাইড টক

‘ষড়যন্ত্র হচ্ছে সরকার হটানোর ষড়যন্ত্র’

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: 24/10/2021


Thumbnail

বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবদুল মান্নান বলেছেন, নিশ্চয়ই এটার পেছনে কেউ আছে। কারণ, ও একা করছে এটা মনে করার কোন কারণ নাই, ওকে ব্যবহার করেছে। ওর মাও বলেছে ও অপ্রকৃতস্থ। মায়ের কথা বিশ্বাস করতে হয়। আমরা যদি মায়ের কথা বিশ্বাস করি তাহলে ওর পেছনে এ ধরণের কাজ যারা করায় যাকে ইউজ (ব্যবহার) করতে পারে টাকা দিয়ে হোক বা যেভাবে হোক। বলেছে সে নেশাগ্রস্থ মানুষ। সে নেশাও করে এবং যারা নেশা করে ওরা অনেক সময় বাড়ির টিনের চালাও বিক্রি করে দেয়। তো এ ধরণের কাজ ওদেরকে দিয়ে করানো সম্ভব।

সম্প্রতি বাংলাদেশের সাম্প্রদায়িক সহিংসতার বিভিন্ন দিক নিয়ে বাংলা ইনসাইডার এর সঙ্গে একান্ত আলাপচারিতায় এসব কথা বলেছেন অধ্যাপক আবদুল মান্নান। পাঠকদের জন্য অধ্যাপক আবদুল মান্নান এর সাক্ষাৎকার নিয়েছেন বাংলা ইনসাইডার এর নিজস্ব প্রতিবেদক মাহমুদুল হাসান তুহিন।

অধ্যাপক আবদুল মান্নান বলেন, কিন্তু ওরা ছিল সামনে, আসলে পিছনের লোক কে এটা বের করতে হবে। আসলে এ ধরণের ঘটনা এক পক্ষ ঘটায় এবং সে পক্ষের পেছনে একটা বড় পক্ষ থাকে। সেটাকে কেন্দ্র করে অন্যান্য যায়গায় আরও বড় পক্ষরা যেমন হাজীগঞ্জে হয়ছে এবং সেখানে পলিটিক্যাল পার্টি জামায়াত সংযুক্ত হয়েছে। সুতরাং এখন আমাদের সরকারের দায়িত্ব হচ্ছে এর পিছনে আসলে কে ছিল, কারা ছিল সেটা খুঁজে বের করা। শেখ হাসিনাকে সরানো, সেটা বিরোধি দল যারা আছে তাদের পক্ষে সম্ভব হবে না। বর্তমান সময়ে তারা নেতৃত্বশূন্য। কারণ তাদের নেতা একজন জেলে একজন পলাতক। দেশে একটা অশান্তি সৃষ্টি করতে হবে, এটাই হচ্ছে ষড়যন্ত্র। ষড়যন্ত হচ্ছে সরকার হটানোর ষড়যন্ত্র। বাঙ্গালী যখন কোন আন্দোলন করতো তখন পাকিস্তানে একটা স্লোগান ছিল, ইসলাম খাতরে মে হ্যা। ইসলাম এখন খুব কঠিন অবস্থায় আছে। বিপদগ্রস্থ আছে। একই জিনিস এখনও হয়েছে। শেখ হাসিনার আমলে কোরআন অবমাননা হয়েছে। এর লক্ষ্য হচ্ছে সাধারণ মানুষকে উত্তেজিত করা। 

এই সাম্প্রদায়িক সহিংসতার ক্ষেত্রে কি ধরণের দুর্বলতা কাজ করেছে প্রশ্নে তিনি বলেন, দুর্বলতা হয়েছে প্রশাসনে। প্রশাসনে ইদানিংকালে, গত কয়েক বছরে এমনসব লোক প্রবেশ করেছে, যাদের ব্যাকগ্রাউন্ড সঠিক না, অর্থাৎ সরকারের পক্ষে না। ওরা সরকারকে ডিস্টেবলাইজ পরিস্থিতি থেকে উৎরাতে যে ধরণের পদক্ষেপ নিতে হয়, তারা সে ধরণের পদক্ষেপ নিতে ব্যার্থ হয়েছে। এটা স্থানীয় পর্যায়ে সবচেয়ে বেশি ঘটেছে। এটি কুমিল্লাতেও হয়েছে, বেগমগঞ্জেও হয়েছে, এমনকি হাজীগঞ্জে মৃত্যুর ঘটনাও ঘটেছে। স্থানীয় প্রশাসন, স্থানীয় প্রতিনিধি তাৎক্ষণিক কোনো ব্যবস্থা নেয়নি।

তিনি আরও বলেন, পাশাপাশি আওয়ামী লীগ ও তার সহযোগী সংগঠন ছাত্রলীগ, যুবলীগ তাৎক্ষণিকভাবে মাঠে নামেনি। এ দলের তো জনবলের অভাব নেই। তারপরও কেন তারা তাৎক্ষণিক পদক্ষেপ নেয়নি? আমি চট্টগ্রামের ছেলে। যখন বাবরি মসজিদ ভাঙ্গা হয়েছিল তখন আমার বাড়ির ধারে কাছে সব মন্দির বিশেষ করে কৃষ্ণমন্দির, রামকৃষ্ণ মিশন আশ্রম, আমার পাড়ার কালী মন্দির- এসব জায়গায় আমরা রাত জেগে পাহাড়া দিয়েছি। আমরা তো কোনো দল করিনি। কিন্তু যুবকরা, বিশেষ করে ছাত্র ইউনিয়ন, ছাত্রলীগ সবাই ছিল। রাত জেগে সেগুলো পাহারা দেওয়া হয়েছে। এখন তো প্রত্যেকটি দলেই কর্মীর সংখ্যা বেড়েছে তবুও এখন কেন সেটা হয় না?



প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭