বাংলাদেশের সাথে জাপানের অনুদান চুক্তি স্বাক্ষর

দেশের মানসম্মত প্রাথমিক শিক্ষার প্রসারে বাংলাদেশের সঙ্গে ‘বিনিময়নোট’ ও ‘অনুদানচুক্তি’ স্বাক্ষর করেছে জাপান। ২৫ অক্টোবর ২০২১, ইআরডিতে এ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। চতুর্থ প্রাথমিক শিক্ষা উন্নয়ন কর্মসূচি (পিইডিপি-৪) বাস্তাবায়নের লক্ষ্যে চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন বাংলাদেশে নিয়োজিত জাপানের রাষ্ট্রদূত নাও কিই তো, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব ফাতিমা ইয়াসমিন এবং জাইকা বাংলাদেশের প্রধান প্রতিনিধি ইউ হো হায়া কাওয়া।
অনুদানের পরিমাণ ৫০০ মিলিয়ন জাপানি ইয়েন যা টাকার অংকে ৩৭.৫১ কোটি। পিইডিপি-৪ প্রকল্পের আওতায় জাইকা এর আগে মোট ১ হাজার মিলিয়ন ইয়েনের দুটি চুক্তি স্বাক্ষর করেছে।

মান সম্পন্ন প্রাথমিক শিক্ষার প্রসারকে অগ্রাধিকার দিয়ে আসছে বাংলাদেশ সরকার। বিগত বছরে লক্ষ্য পূরণে নেয়া নানা পদক্ষেপ সফলতা অর্জন করেছে।প্রোগ্রাম ভিত্তিক সহযোগিতার আওতায় ২০১১ সাল থেকে জাপান অন্যান্য উন্নয়ন অংশীদারদের সহযোগিতায় পিইডিপি প্রকল্পে সহায়তা করে আসছে। চতুর্থ প্রাথমিক শিক্ষা উন্নয়ন কর্মসূচি (পিইডিপি-৪) বাংলাদেশের প্রাথমিক শিক্ষার জন্য অনন্য জাতীয় উন্নয়ন কৌশল পরিকল্পনা। পিইডিপি- ৪ হল ২০১৮ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত একটি পাঁচ বছর মেয়াদি কর্মসূচি যার লক্ষ্য, একটি অন্তর্ভুক্তি মূলক ও ন্যায় সঙ্গত শিক্ষা ব্যবস্থার মাধ্যমে প্রাক-প্রাথমিক থেকে ৫ম শ্রেণি পর্যন্ত বাংলাদেশের সব শিশুদের মানসম্মত শিক্ষা প্রদান করা।অর্থ সহায়তার পাশাপাশি তৃতীয় প্রাথমিক শিক্ষা সহায়তা প্রকল্পের (জেএসপি-থ্রি) আওতায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের আধুনিক পদ্ধতিতে গণিত ও বিজ্ঞান বিষয়ে শিক্ষকদের উন্নত প্রশিক্ষণ দিতে জাইকার সহায়তা কর্মসূচিতে প্রযুক্তিগত সহায়তা দিচ্ছে জাপান। সেই সাথে সবার জন্য মানসম্পন্ন প্রাথমিক শিক্ষা নিশ্চিত করতে পাঠ্যপুস্তক ও শিক্ষা উপকরণের উন্নয়ন, স্কুল পরিচালনা এবং শিক্ষকদের উন্নত প্রশিক্ষণেও সহায়তা দিয়ে চলেছে দেশটি। 

জাপানের প্রযুক্তিগত সহযোগিতা প্রকল্পগুলিতে নীতি উপদেষ্টা এবং জাপানি স্বেচ্ছাসেবক ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করছে আর এতে করে পিইডিপি’র সাথে জাপানি আর্থিক সহায়তার কার্যকরী সমন্বয় করা সম্ভব হচ্ছে।