ইনসাইড থট

সাম্প্রদায়িক দানবের বিরুদ্ধে সংগ্রামের তরে, ঐক্যবদ্ধ হয়ে দাড়াও, প্রস্তুত হও ঘরে ঘরে


প্রকাশ: 28/10/2021


Thumbnail

শেখ হাসিনাকে আল্লাহ বাঁচাইয়া রাখুক, দেশটা রক্ষা পাউক। দেশের মানুষ ঘুমাইয়া আছে, কিচ্ছু টের পাইতাছে না। আল্লাহ না করুক, শেখ হাসিনা একটু স্লিপ কাইট্যা পরলে দেগবা গণ্ডগোল কারে কয়। আবার দেশে আগুন জ্বলবো। মারামারি হইবো, গেঞ্জাম হইবো। অনেক শান্তিতে আছি। আল্লাহ হাসিনারে বাঁচাইয়া রাখুক, এই দোয়াই করি‘। পিতৃমাতৃহীন শেখ হাসিনার জন্য এভাবেই দোয়া করলেন, একজন ৮০ উর্ধ বয়স্ক মা। শেখ হাসিনার অধীনে দেশের সার্বিক পরিস্থিতি সম্পর্কে মনের অভিব্যক্তি প্রকাশ করলেন তিনি।

ফজরের নামাজের পর নিয়মিত তসবিহ পাঠ শেষে এশরাকের নামাজ আদায় করে সকালে চা খেতে বসেছেন। ডাইনিং টেবিলে রাখা ছিল জার্মান প্রবাসী সরাফ আহমেদ রচিত ‘১৫ আগস্ট হত্যাকাণ্ড: প্রবাসে বঙ্গবন্ধুর দুই কন্যার দুঃসহ দিন‘ বইটি। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ভূগোলে অনার্স ও মাস্টার্স শেষ করে জার্মানির হ্যানোভার বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সমাজকল্যাণে মাস্টার্স শেষে জার্মানির লোয়ারসাক্সেন প্রদেশে শিক্ষা বিভাগে চাকুরীর পাশাপাশি বাংলাদেশের একটি পত্রিকার জার্মান প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করেন। দীর্ঘ ৩০ বছর যাবত ইউরোপ সম্পর্কে লিখছেন। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট কালো রাতে কতিপয় বিপথগামী তরুণ সেনা কর্মকর্তাদের হাতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সপরিবারে নিহত হন। বঙ্গবন্ধুর দুই কন্যা শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা বেলজিয়ামের রাজধানী ব্রাসেলসে ছিলেন। শেখ হাসিনা ১৫ আগস্টের ভয়াবহ কালরাতের মাত্র কয়েকদিন পূর্বেই (৩০ জুলাই) জার্মানিতে স্বামীগৃহে চলে গিয়েছিলেন, সাথে বোন শেখ রেহানাও। শেখ হাসিনার স্বামী বিখ্যাত পরমাণু বিজ্ঞানী ডঃ এম এ ওয়াজেদ মিয়া, ১৯৭৫ সালের ১৩ মার্চ জার্মানির কার্লসরুয়ে শহরে পারমাণবিক গবেষণা কেন্দ্রে গবেষণা করার জন্য এসেছিলেন। শেখ হাসিনা দুই সন্তান জয় ও পুতুল এবং ছোটবোন মুন্নাকে (মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ছোট বোন রেহানাকে আদর করে মুন্না বলে ডাকেন) নিয়ে জার্মানিতে এসেছেন ছেলেমেয়েকে নিয়ে স্বামীর সঙ্গে কিছুদিন থাকবেন এবং ছোটবোনকে সাথে নিয়ে ইউরোপের কয়েকটি দেশে বেড়াবেন। সেই পরিকল্পনায়ই শেখ হাসিনা সকলকে নিয়ে ১২ আগস্ট বন থেকে বেলজিয়ামের রাজধানী ব্রাসেলসে রাষ্ট্রদূত সানাউল হকের সরকারী বাসভবনে অবস্থান করছিলেন। বিদেশে থাকার কারণে প্রানে বেঁচেছিলেন দুই বোন। ব্রাসেলসে তিন রাত কাটিয়ে ১৮ আগস্ট ফিরে আসেন জার্মানির কার্লসরুয়ে শহরে। তবে সেখানে বেশিদিন থাকতে পারেননি, ব্রাসেলস ও কার্লসরুয়ে মোট ১০ দিন আতঙ্ক ও নিরাপত্তাহীনতায় কাটিয়ে ২৫ আগস্ট ভারতে রাজনৈতিক আশ্রয় গ্রহণ করেন। ১৯৭৫ সাল থেকে ১৯৮১ সাল পর্যন্ত প্রায় ছয় বছর নির্বাসিত জীবনে ভারতে, লন্ডনে, জার্মানিতে ও বেলজিয়ামে তাঁরা কোথায় কিভাবে ছিলেন, কারা কারা সেই দুঃসময়ে তাদের বিপদের সঙ্গী হয়েছিলেন, সহানুভূতি জানিয়েছিলেন, সহযোগিতা করেছিলেন, জার্মানির তৎকালীন রাজনৈতিক এবং জার্মানরা কিভাবে দেখেছিলেন, বিভিন্ন ব্যক্তি ও সংবাদপত্রের ভূমিকা ইত্যাদি নিয়ে সরাফ আহমেদ রচিত এই বইটি। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তৎকালীন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডঃ কামাল হোসেন তখন জার্মানিতে সরকারী সফরে ছিলেন, সেসময় প্রবাসে তাঁর বিতর্কিত ভূমিকার কথাও এই বইতে স্থান পেয়েছে। সেই দুঃসময়ে শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানার লেখা চিঠি ও চিরকুটও বাদ যায়নি। ‘১৫ আগস্ট হত্যাকাণ্ড: প্রবাসে বঙ্গবন্ধুর দুই কন্যার দুঃসহ দিন‘ বইটির লেখক চ্যানেল আই অনলাইনে শেখ হাসিনার একটি প্রকাশনা থেকে উদ্ধৃত করে লিখেছেন (পৃঃ ১২৯), ১৯৮০ সালের ৪ এপ্রিল দিল্লী থেকে লন্ডন গিয়েছিলেন শেখ হাসিনা। সেখানে ছোট বোন রেহানার সাথে বেশ কিছুদিন একসাথে ছিলেন। তাঁরা লন্ডনে যে পাড়ায় থাকতেন, সেই পাড়ার ৮-১০ জন ছেলেমেয়েকে স্কুলে নিয়ে যেতেন। ছুটি হলে আবার ঘরে পৌঁছে দিতেন। তাঁরা বাচ্চাপ্রতি ১ পাউন্ড করে মজুরি পেতেন। ওই অর্থেই নিজেদের প্রয়োজনগুলো মেটাতেন উল্লেখ করে শেখ হাসিনা চ্যানেল আই অনলাইনে লিখেছেন:

‘ছেলেমেয়েদের স্কুলে আনা-নেওয়ার কাজ করে মজুরী পেতাম। ওই টাকা থেকে সর্বপ্রথম যে খরচটা আমি প্রতিদিন করতাম, তা হলো কর্নার শপ থেকে একটি পত্রিকা কেনা। বাচ্চাদের  পৌঁছে দিয়ে ঘরে ফেরার সময় পত্রিকা, রুটি ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় জিনিস কিনে বাসা ফিরতাম। তখন একটা পত্রিকা হাতে না নিলে মনে হতো সমস্ত দিনটাই যেন পানসে হয়ে গেছে‘।

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এই লেখাটির প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে উপরোক্ত মন্তব্য করেছিলেন আশি বছরোর্ধ বয়স্ক ‘মা‘।

১৯৮১ সালে দেশে ফিরে আসার পর শেখ হাসিনার জীবনে আসে ভিন্ন ধরনের দুঃসময়। ১৯৮১ থেকে ১৯৯৫ পর্যন্ত ভাত ও ভোটের অধিকার আদায়ের আন্দোলন, ২০০১ সাল থেকে ২০০৮ পর্যন্ত স্বাধীনতাবিরোধী ও ১৯৭৫ সালের হত্যাকাণ্ডের বেনিফিশিয়ারি বিএনপি-জামায়াত এর নিপীড়ন ও নির্যাতন এবং মৌলবাদী শক্তি ও স্বাধীনতা বিরোধীদের সম্পৃক্ত করে বিএনপি জামাতের ষড়যন্ত্র ও সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাস।

১৯৯৬ সালে দেশসেবার সুযোগ পেয়ে সফলতার সাথে দেশ পরিচালনা করলেও ২০০১ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সূক্ষ্ম কারচুপির কারণে ক্ষমতা হারিয়েও হাল ছাড়েননি শেখ হাসিনা। ভাত ও ভোটের অধিকার আদায়ের সংগ্রামে সারাদেশে জনগণকে সংগঠিত করার লক্ষ্যে আওয়ামী লীগের  নেতাকর্মীদের সাথে নিয়ে ঘুরে বেড়িয়েছেন গ্রামগ্রামান্তরে, উপজেলা থেকে জেলা, সারাদেশে।

আমার স্পষ্ট মনে আছে, একবার জেলা সফরে সকাল ৭টায় সুধাসদন থেকে রওয়ানা হয়ে যশোর হয়ে খুলনা পর্যন্ত ৩৯টি পথসভায় বক্তৃতা করেছেন শেখ হাসিনা। বাইরে প্রচণ্ড গরম, গাড়ীর ভিতরে ঠাণ্ডা। ঠাণ্ডা-গরমে গলার স্বর বসে যেতে পারে, আতংকে ছিলাম। পথসভা চলাকালে স্থানীয় বাজার থেকে কমলা বা কমলা জাতীয় ফল কিনে নিতাম মাননীয় নেত্রীর জন্য। সার্কিট হাউসে পৌঁছে সফরসঙ্গীদের আহার-বিশ্রাম নিশ্চিত করে সব কাজ শেষ হতে সময় রাত ১০ টা প্রায়, নেত্রীর নিকট রিপোর্ট করতে গেলে, মাননীয় নেত্রী ক্লান্ত শরীরে সোফায় হেলান দিয়ে টিভির সংবাদ দেখতে দেখতে আমাকে উদ্দেশ্য করে বলেছিলেন, ‘সারাদিন এত পরিশ্রম, ক্লান্ত হস না‘? আমার উত্তর শুনে, আমার দিকে ফিরে সন্তুষ্টির হাসি হেসেছিলেন। আমি বলেছিলাম, ‘ খাটো মানুষ পরিশ্রমী হয়। আমি খাটো তো‘।

 

একবার হোটেল সোনারগাঁওয়ে এক সাংবাদিক সম্মেলনে তৎকালীন মানবজমিন পত্রিকার সম্পাদক মতিউর রহমান সাহেব তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেতা বর্তমান মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে প্রশ্ন করেছিলেন, ‘মাননীয় নেত্রী, আপনি যে আন্দোলনের ডাক দিয়েছেন, আপনার সাথেতো কেউ নেই। আপনি কিভাবে আন্দোলন করবেন‘? প্রশ্নোত্তরে শেখ হাসিনা (কবিতার সুরে) বলেছিলেন, ‘যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে, তবে একলা চলোরে‘। তবে শেখ হাসিনার একা থাকতে হয়নি। স্বাধীনতাকামী সকল জনগন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ হয়েছিল, স্বাধীনতার স্বপক্ষের সকল সংগঠন জোট বেঁধেছিল। সেদিনের আন্দোলন সফল হয়েছে। দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে স্থিতিশীল পরিবেশ বিরাজ করছে। উন্নয়নের মহাসড়কে বাংলাদেশ। এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। স্বাধীনতাবিরোধী শক্তিও থেমে নেই। মহান আল্লাহ এই সুন্দর পৃথিবীতে আশরাফুল মাখলুকাত, সৃষ্টির সেরা জীব ‘মানুষ‘ পাঠিয়েছেন। মানুষের কল্যাণে আরও অসংখ্য পশুপাখি, গাছপালা, লতাপাতা, প্রাণীকুল সৃষ্টি করেছেন, ঠিক পাশাপাশি মানুষের অনিষ্ট করার জন্য ‘শয়তান‘কেও পাঠিয়েছেন। শয়তান মানুষকুলের মাঝে বিভিন্ন বেশে বিরাজ করছে, মানুষকে বিপথগামী করছে। ঠিক তেমনি, আমাদের এই সুন্দর বাংলাদেশ,  শেখ হাসিনার নেতৃত্বে  বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদাভুক্ত হয়েছে। দেশে নাই কোন রাজনৈতিক অস্থিরতা, নাই খাদ্যাভাব, নাই কোন হরতাল, জ্বালাওপোড়াও, ভাংচুর, নাই কোন অশান্তি। ঠিক এমনি সময় মানুষরূপী কতিপয় ‘শয়তান‘ দেশের বাইরে বসে অশান্তি সৃষ্টি করতে চেষ্টা করছে, অপপ্রচার চালাচ্ছে, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাস সৃষ্টির চেষ্টা করছে, অশান্তি সৃষ্টি করার পায়তারা করছে।

গত ২৪ অক্টোবর ২০২১, বর্তমানে গুরুতর অসুস্থ বিশিষ্ট সাংবাদিক আবদুল গাফ্ফার চৌধুরী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায়ও দেশের বর্তমান বিরাজমান পরিস্থিতিতে তাঁর উদ্বেগের কথা, শয্যার পাশে থাকা একজন চিকিৎসকের মোবাইল ফোনে টাইপ করে, ঢাকার একটি অনলাইন পোর্টালে পাঠকদের জন্য পাঠিয়েছেন।

তিনি লিখেছেন, গত কয়েক দিনে বাংলাদেশে যা ঘটেছে, তা আকস্মিক নয়। .... বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িক শক্তি প্রতিরোধ না করা গেলে বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক ভবিষ্যৎ রক্ষা করা যাবে না।...

হিন্দুদের পূজা অনুষ্ঠান কেন্দ্র করে হাজীগঞ্জ, নোয়াখালী, পীরগঞ্জে যে রক্তপাত ঘটেছে, তা দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব ধ্বংস করার চেষ্টা ছাড়া আর কিছু নয়। বারবারই এই ধর্মান্ধ শক্তি কখনো জামায়াতের বেশে, কখনো হেফাজতের বেশে মাথা তুলেছে এবং দেশের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়গুলোকে নির্মমভাবে অত্যাচার করছে।...

রোগশয্যায় শুয়ে আব্দুল গাফফার চৌধুরী দেশের তরুণ সমাজের কাছে আহ্বান জানিয়েছেন, (ধর্মান্ধ) দানবের বিরুদ্ধে আবার ঐক্যবদ্ধ হয়ে দাঁড়ানোর জন্য। তিনি বলেছেন, ‘বিদায়ের আগে ডাক দিয়ে যাই, দানবের সঙ্গে সংগ্রামের তরে প্রস্তুত হও ঘরে ঘরে‘।

হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায়ও দেশের বর্তমান বিরাজমান পরিস্থিতিতে তাঁর উদ্বেগের কথা, শয্যার পাশে থাকা একজন চিকিৎসকের মোবাইল ফোনে টাইপ করে, ঢাকার একটি অনলাইন পোর্টালে পাঠকদের জন্য পাঠিয়েছেন।

তিনি লিখেছেন, গত কয়েক দিনে বাংলাদেশে যা ঘটেছে, তা আকস্মিক নয়। .... বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িক শক্তি প্রতিরোধ না করা গেলে বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক ভবিষ্যৎ রক্ষা করা যাবে না।...

হিন্দুদের পূজা অনুষ্ঠান কেন্দ্র করে হাজীগঞ্জ, নোয়াখালী, পীরগঞ্জে যে রক্তপাত ঘটেছে, তা দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব ধ্বংস করার চেষ্টা ছাড়া আর কিছু নয়। বারবারই এই ধর্মান্ধ শক্তি কখনো জামায়াতের বেশে, কখনো হেফাজতের বেশে মাথা তুলেছে এবং দেশের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়গুলোকে নির্মমভাবে অত্যাচার করছে।...

রোগশয্যায় শুয়ে আব্দুল গাফফার চৌধুরী দেশের তরুণ সমাজের কাছে আহ্বান জানিয়েছেন, (ধর্মান্ধ) দানবের বিরুদ্ধে আবার ঐক্যবদ্ধ হয়ে দাঁড়ানোর জন্য। তিনি বলেছেন, ‘বিদায়ের আগে ডাক দিয়ে যাই, দানবের সঙ্গে সংগ্রামের তরে প্রস্তুত হও ঘরে ঘরে‘।



প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭