ইনসাইড টক

‘যেই ইউনিট পর্যায়ে সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকের টাকার লোভ-লালসা বেশি তারাই এসব করে’

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: 28/10/2021


Thumbnail

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম বলেন, কেন্দ্র থেকে বিতর্কিতদের মনোনয়ন দেয়া হচ্ছে যে এটা সঠিক কিন্তু এই বিতর্কিতদের দিলো কীভাবে। এই বিতর্কিতদের তালিকা ইউনিয়ন, থানা, জেলা থেকে প্রেরণ করা হয়েছে। তারা যে বিতর্কিতদের নামের তালিকা এবং তথ্য প্রেরণ করেছে তখন এই তথ্যগুলো গোপন করে প্রস্তাব পাঠিয়েছে যে, এরা যোগ্য এবং গ্রহণযোগ্য প্রার্থী। মনোনয়নের জন্য সুপারিশ পাঠিয়েছে। এখন সেই সুপারিশের তালিকার সাথে যদিও আরেকটা গোয়েন্দা সংস্থার রিপোর্ট যাচাই করা হয় তারপরেও এই ধরণের ঘটনা ঘটে গেছে।

ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন, বিভিন্ন জেলা এবং স্থানীয় পর্যায়ের কমিটি সহ সকল পর্যায়ে আওয়ামী লীগে অনুপ্রবেশকারী সহ নানা দিক নিয়ে বাংলা ইনসাইডারের সঙ্গে একান্ত আলাপচারিতায় এসব কথা বলেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম।

মির্জা আজম বলেন, তারপরও একটা বিষয় যে, এই বিতর্কিতরা বিএনপি থেকে আসা অনুপ্রবেশকারি হয়ে থাকে সেই সংখ্যা কত? যত বিতর্কিতদের কথা শোনা যাচ্ছে সব মিলে ৫-১০টা হবে কিন্তু দেওয়া হয়েছে ২০০০ নমিনেশন। ২০০০ নমিনেশনে এমন ৫-১০টা বিতর্কিত নাম ঢুকে গেছে। যখন এই বিতর্ক নিয়ে ঝড় উঠেছে তখন তা আবার পরিবর্তনও করা হয়েছে। ৫ হাজার ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন। এর মধ্যে ৫০টা নিয়ে বিতর্ক তো হতেই পারে।

আওয়ামী লীগ সভাপতি বলার পরও অনুপ্রবেশ বন্ধ হচ্ছে না কেন এমন প্রশ্নের জবাবে মির্জা আজম বলেন, এখন যে বিতর্ক হচ্ছে অনুপ্রবেশকারী নিয়ে, এই বিতর্ক যদি দেখা যায় তাহলে দেখা যাবে যে এতদিনে আমরা যে স্বোচ্ছার হয়েছি যে কোন বিতর্কিত কাউকে আমরা দলে কোন যায়গা দিব না। কিন্তু আমরা যখন ২০০৮-০৯ সালে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় আসলাম, তখন কিন্তু এই সতর্কতা অবলম্বন করা হয়নি। তারা তখন দলে ঢুকে গেছে এবং আজ ১২-১৩ বছর তারা দল করছে। এর আগে যে বিতর্কিত কিছু চেয়ারম্যান আসছে এখন, অথচ দেখা যাচ্ছে এই লোকটা কিন্তু তার আগেরবার নৌকা মার্কায় সে ৫ বছর চেয়ারম্যান ছিল, এখন থানা আওয়ামী লীগের কিংবা জেলা আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল কোন পদে আছেন। এখন বলতেছে সে বিএনপি-জামায়াত থেকে আসছে।

তিনি আরও বলেন, তো এই কারণে প্রথম যখন দল ক্ষমতায় আসছে তখন আমরাও চেয়েছি যে, দল যখন ক্ষমতায় আসছে অতএব আমাদের বিএনপি থেকে যাই আসে, যদিও আমাদের দলে জামায়াতের কাউকে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রশ্রয় দেয়া হয় না কিন্তু অন্য দলের কেউ যদি আসে এবং তার গ্রহণযোগ্যতা থাকে তাহলে আমরা তাকে নিয়েছি।

জেলা এবং স্থানীয় পর্যায়ের কমিটির ক্ষেত্রে অনুপ্রবেশকারীদের বিষয়ে এখন শতভাগ সতর্কতা অবলম্বন করা হচ্ছে কিনা এমন প্রশ্নে মির্জা আজম বলেন, এখন যত যায়গায় সম্মেলন হচ্ছে, কমিটি গঠিত হচ্ছে সব যায়গায় শতভাগ নির্দেশনা মানা হচ্ছে। কোনভাবে যেন বিতর্কিত কেউ কমিটিতে অন্তর্ভূক্ত হতে না পারে। কারণ, এখন আমাদের নতুন লোকের প্রয়োজন নেই।

এমপি কিংবা প্রভাবশালীদের পৃষ্ঠপোষকতা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, শুধু এমপিদের কথা বললে হবে না, বিভিন্ন জেলা-উপজেলা পর্যায়ের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক যারা আছেন, যারা সম্মেলনের মাধ্যমে নির্বাচিত তারাই পূর্ণাংগ কমিটি গঠন করেন। এই সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক যদি সজাগ থাকেন তাহলে তারা কিন্তু ঢুকতে পারেনা। নির্বাচিত সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক হয়ে একজন অনুপ্রবেশকারীকে কমিটিতে অন্তর্ভূক্ত করে তারাই কিন্তু কমিটির অনুমোদন নেন জেলা পর্যায়ের নেতাদের কাছ থেকে। আমাদের সব যায়গায় যে সৎ মানুষ আছে তা কিন্তু না। যেই যায়গায় যেই ইউনিট পর্যায়ের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকের টাকার প্রতি লোভ-লালসা বেশি তারাই কিন্তু এই কাজগুলো করে বসে এবং আমরা তাদের জন্যই কিন্তু সতর্কতার কথাগুলো বলে থাকি।



প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭