ইনসাইড পলিটিক্স

সেই প্রতিরোধ কি আর করতে পারবে আওয়ামী লীগ?

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: 28/10/2021


Thumbnail

২০০৬  সালের আজকের দিনে এক অভূতপূর্ব গণপ্রতিরোধ গড়ে তুলেছিল আওয়ামী লীগ। নির্দলীয়, নিরপেক্ষ, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবী এবং অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ নির্বাচনের দাবিতে যখন উত্তাল আন্দোলন তখন আওয়ামী লীগকে নিঃশেষ করার আরেকটি পরিকল্পনা নিয়েছিল বিএনপি-জামায়াত জোট। ২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবর ছিল বিএনপি-জামায়াত জোটের শেষ দিন। এদিন একটি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তরের কথা ছিল বিএনপি-জামায়াত জোটের। আর সেই দিনই নির্দলীয়, নিরপেক্ষ, তত্ত্বাবধায়ক সরকার যেন কোণঠাসা থাকে এবং বিএনপির কথা মতো সব কিছু করে সেই পরিকল্পনার অংশ হিসেবেই বিএনপি-জামায়াত জোট আওয়ামী লীগ অফিস আক্রমণ এবং আগুন লাগিয়ে দেয়ার পরিকল্পনা গ্রহণ করেছিল। আর সেই পরিকল্পনার অংশ হিসেবে পল্টন এলাকায় জামায়াতের সহস্র নেতা কর্মী জমায়েত হয়েছিল। তাদের মূল লক্ষ্য ছিল আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে গিয়ে আওয়ামী লীগ অফিস জালিয়ে দেয়া। 

আওয়ামী লীগ এ দিন প্রতিরোধ গড়েছিল। নিরস্ত্র, সাধারণ জনগণকে সাথে নিয়ে আওয়ামী লীগের নেতা কর্মীরা, বিশেষ করে যুব লীগের নেতা কর্মীরা অসীম সাহসের সঙ্গে বিএনপি-জামায়াত জোটের এই আক্রমণের পাল্টা জবাব দিয়েছিল। সেই প্রতিরোধকে বিএনপি-জামায়াত জোট লঘি বৈঠার সন্ত্রাস বলে অভিহিত করে। বাস্তবে কি লঘি বৈঠা দিয়েই আওয়ামী লীগ প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিল বিএনপি-জামায়াতের সশস্ত্রদের বিরুদ্ধে। এবং সেই প্রতিরোধ যুদ্ধে শেষ পর্যন্ত আওয়ামী লীগ জয় হয়। সেই সময় আওয়ামী লীগের কর্মীদের স্বতঃস্ফূর্ত আন্দোলনের শক্তি পুরো জাতিকে তাক লাগিয়ে দিয়েছিল। আজ ১৫ বছর পর আওয়ামী লীগ যদি ফিরে তাকায় তাহলে আওয়ামী লীগেরই অনেকে প্রশ্ন করেন সেই প্রতিরোধের শক্তি কি আওয়ামী লীগের আর আছে? সামনের দিনগুলোতে কি আওয়ামী লীগ এমন নিবেদিত প্রাণ, ত্যাগী এবং শক্ত যোদ্ধা পাবে যারা দুঃসময়ে অকুতোভয় হয়ে নিজের জীবন বাজি রেখে রুখে দাঁড়াতে পারবে। 

গত ১৩ বছর ধরে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় রয়েছে। এই ক্ষমতায় থাকার কারণে আওয়ামী লীগের সংগঠনের  মধ্যে যেমন বিতর্কিত, অনুপ্রবেশকারী ঢুকেছে অন্যদিকে আওয়ামী লীগের ত্যাগী পরীক্ষিত নেতারা কোণঠাসা হয়েছে। তাছাড়া আওয়ামী লীগের অনেক নেতাই এখন আয়েশি ভাব চলে এসেছে। এ রকম বাস্তবতায় সামনে যখন আওয়ামী লীগ সঙ্কটে পড়বে ২০০৬ এর ২৮ অক্টোবরের মতো তখন প্রতিরোধের শক্তি কি আওয়ামী লীগের আছে। এখন বিরোধী দলের রাজনৈতিক আন্দোলন আওয়ামী লীগকে মোকাবেলা করতে হয় না। পুলিশ, প্রশাসন যেন আওয়ামী লীগের ভূমিকায়  অবতীর্ণ হয়। আর প্রশাসন, পুলিশের উপর নির্ভরশীল হয়ে পড়েছে আওয়ামী লীগ। একটি রাজনৈতিক দলের রাজনৈতিক শক্তি যদি প্রশাসনের উপর নির্ভরশীলতা বাড়ে তাহলে সেই সংগঠন  দুর্বল হতে বাধ্য। আওয়ামী লীগ কি সেভাবে দুর্বল হয়ে যাচ্ছে, এই প্রশ্ন আওয়ামী লীগের অনেকের মাঝে। সে কারণে এখন প্রশ্ন উঠেছে ২০০৬ এর সেই শৌর্যবীর্য এবং সাংগঠনিক শক্তি আওয়ামী লীগের কি এখন আছে? এর উত্তরের আওয়ামী লীগের অনেক নেতারা নেতিবাচক মনোভাব পোষণ করেন।



প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭