ইনসাইড বাংলাদেশ

কেমন আছেন বিচারপতি কে এম হাসান?

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: 28/10/2021


Thumbnail

বিচারপতি কে এম হাসান। বাংলাদেশের নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রধান হওয়ার কথা ছিল তার ২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবর। কিন্তু তীব্র গণআন্দোলনের মুখে শেষ পর্যন্ত তিনি এই পদ গ্রহণে অসম্মতি জানান এবং ২৮ অক্টোবর এক চিঠি দিয়ে তিনি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান হবেন না মর্মে জাতিকে আশ্বস্ত করেন। এর ফলে একটি আসন্ন গৃহযুদ্ধ হাত থেকে রক্ষা পায় বাংলাদেশ। বিচারপতি কে এম হাসানকে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান করার বিষয়টি মাথায় নিয়েই তাকে প্রধান বিচারপতি করা হয়েছিল। বিচারপতি কে এম হাসান যেন প্রধান বিচারপতি হতে পারেন এ জন্য প্রধান বিচারপতির মেয়াদ বাড়ানো হয়েছিল সংবিধান সংশোধন করে। এতকিছুর পরও ২০০৩ সালের ২৩ জুন প্রধান বিচারপতি হিসেবে শপথ নেন কে এম হাসান এবং ২৬ জানুয়ারি ২০০৪ সালে তার মেয়াদ শেষ হয়। নির্বাচনের আগে তিনি ছিলেন সর্বশেষ অবসরপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি। এ কারণেই তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রধান হিসেবে তারই দায়িত্ব গ্রহণের কথা ছিল। কিন্তু বিচারপতি কে এম হাসান যখনই প্রধান বিচারপতি হন এবং সংবিধান সংশোধন করা হয় তখনই আওয়ামী লীগ এটিকে অসৎ উদ্দেশ্যে করা এবং অগ্রহণযোগ্য বলে দাবি করে এবং কে এম হাসানের অধীনে কোনো নির্বাচনে যাবে না বলে ঘোষণা দেয়।

২৮ অক্টোবর বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার ক্ষমতা হস্তান্তর করে এবং এই ক্ষমতা হস্তান্তরের দিনে আওয়ামী লীগের সঙ্গে এক সহিংসতায় জড়িয়ে পড়ে বিএনপি-জামায়াত। এই সহিংসতা ক্রমশ সারাদেশে ছড়িয়ে পড়ে, ঢাকার অবস্থা হয়ে যায় ভয়াবহ। এরকম পরিস্থিতিতে বিচারপতি কে এম হাসান তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দায়িত্ব গ্রহণের অভিপ্রায় থেকে সরে আসেন। বিচারপতি হাসান এক সময় বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। তিনি বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছিলেন। কিন্তু ২০০৬ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান হতে না পারার পর তিনি নিজেকে সম্পূর্ণ গুটিয়ে নেন। ধানমন্ডির বাড়িতে নীরবে-নিভৃতেই থাকেন ৮২ বছর বয়সী এই প্রবীণ মানুষটি। তাকে এখন কোন সামাজিক অনুষ্ঠানে দেখা যায় না। বিশেষ করে গত দেড় বছর করোনাকালীন সময়ে তিনি ঘর থেকে বের হননি বলেই তাঁর ঘনিষ্ঠরা জানায়। খুব নিকটাত্মীয়, ঘনিষ্ঠ ছাড়া তিনি খুব একটা সাক্ষাৎ করেন না। এমনি বিভিন্ন রকম শারীরিক জটিলতায় রয়েছেন। আর এ কারণে তিনি নিজেকে গুটিয়ে রেখেছেন। অবশ্য ২০০৬ সালের পর থেকেই তাকে কোনো অনুষ্ঠান বা জনসমক্ষে খুব একটা দেখা যেত না। সবসময় তিনি অন্তরালেই থাকতেন এবং তাঁর ঘনিষ্ঠদের সঙ্গে দেখা-সাক্ষাৎ করে এবং পড়াশোনা করেই তিনি সময় কাটাতেন। এখনো তিনি সেভাবেই সময় কাটাচ্ছেন। এখন বিএনপি বা অন্য কারো সঙ্গে তার খুব একটা যোগাযোগও নেই। আর পড়াশোনাও এখন করতে পারেন না নানা রকম শারীরিক জটিলতার কারণে। নিভৃতে-নীরবে প্রহর গুনছেন বিচারপতি কে এম হাসান।



প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭