ইনসাইড থট

আওয়ামী লীগ এবং ব্যবসায়ী সম্প্রদায়


প্রকাশ: 05/11/2021


Thumbnail

ব্যবসায়ী সম্প্রদায় বলতে এখানে আমি ব্যবসায়ী এবং ইন্ডাস্ট্রিয়ালিস্ট সকলকেই বুঝচ্ছি। রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনা বিভিন্ন দিক থেকে বিবেচনা করলে দেখা যায় যে ব্যবসায়ী সম্প্রদায়কে সকল ধরনের সুযোগ সুবিধা থেকে শুরু করে আইন দিয়ে যেভাবে সহায়তা করে চলেছেন এবং এখনো করছেন কোন সরকারি বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত করে তা করেনি। এখন পর্যন্ত করোনা অতিমারি থেকে শুরু করে বিভিন্ন সময় ব্যবসায়ী সম্প্রদায়কে সহায়তার হাত বাড়িয়ে চলেছেন। আমি বিশ্বাস করি এই সহায়তার হাত বাড়ানোর প্রদান কারণ ছিলো ব্যবসায়ী সম্প্রদায় ধারা দেশের অর্থনীতির উন্নয়ন হবে এবং আমাদের দেশ এগিয়ে যাবে। এই কারণের জন্য ব্যবসায়ী সম্প্রদায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ব্যক্তিগতভাবে অত্যন্ত শ্রদ্ধা করে এবং তারা বিশ্বাস করে তাদের সত্যিকারের যদি কোন নিকটজন থাকেন তবে তিনি হচ্ছেন নেত্রী শেখ হাসিনা। 

তবে একি কথা আওয়ামী লীগের সাথে বলা চলে না। একথা শোনার পর অনেকের কাছে লাইনটি বিরোধপূর্ণ লাগতে পারে কারণ আওয়ামী লীগ প্রধানত শেখ হাসিনা। তাহলে আওয়ামী লীগ আবার আলাদা করা হল কেন। আলাদা করা হল অন্য কারণে আর সেটা হল নেত্রী যে কাজ করছেন তার একটি ফলো আপ করতে হবে, ফলটা পেতে ব্যবসায়ী সম্প্রদায়ের সাথে আওয়ামী লীগের একটি ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে তোলা প্রয়োজন। আর এটা সব সময়ই সাধারণত ব্যক্তি পর্যায়ে হয়ে থাকে। যারা মন্ত্রী পর্যায়ে থাকেন তাদের এটা করা সম্ভব নয় কারণ করতে গেলে ভাববে তারা বোধহয় অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হচ্ছেন আর না করলেও অনেকভাবে বিভিন্ন কথা বার্তা হয়। তবে তাদের সাথে নিশ্চয়ই সব ব্যবসায়ীদেরই ব্যবসার কারণে যোগাযোগ হয় সেটাকে আমি এখানে গুরুত্ব দিচ্ছি না। আমার প্রশ্ন হচ্ছে যারা আওয়ামী লীগের অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ নেতা যারা সরকারের সাথে সংযুক্ত নন তাদের সাথে এই ব্যবসায়ী সম্প্রদায়ের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক থাকা দরকার। তাদের ব্যবসার বাহিরে আরো অনেক বিষয় থাকে যে বিষয়ে তারা রাজনীতিবিদদের কাছেই মুখ খোলেন। অনেক সময় দেখা যায় ইচ্ছাকৃতভাবে অনেক আমলারা এদেশের ব্যবসায়ীদের সাথে এমন ব্যবহার করেন যাতে তারা সরকার বিরোধী একটা মনোভাব মনের ভিতর পোষণ করেন এটা আমি বুঝে এবং জেনেই বলছি। এই ধরণের বেশ কিছু উদাহরণ আছে যেটি পাবলিকলি প্রকাশ করা দেশের এবং দেশের ব্যবসায়ী সম্প্রদায়ের জন্য মঙ্গলজনক হবে না। আমি সেজন্য সেভাবে বলতে চাই না কিন্তু এরকম ঘটনা যে দেশে প্রতিনিয়ত ঘটছে সেটা আমরা সকলেই জানি। আমার প্রশ্ন হচ্ছে যে, একদিকে রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনা অনেক জায়গায় ট্যাক্স কমিয়ে দিয়েছেন এবং মন্ত্রীরা সেটা প্রতিষ্ঠা করার চেষ্টা করে যাচ্ছেন যাতে ব্যবসায়ীদের সাথে সম্পর্ক থাকে। পার্লামেন্টে অনেক হিসাব করে দেখেছেন যে, মোটামুটিভাবে ব্যবসায়ী সম্প্রদায় প্রধান শক্তি এবং নির্বাচনেও তারাই শুধু আমেরিকায় না, এখন বাংলাদেশেও তারা একটা বড় ফ্যাক্টর। কিন্তু এই ফ্যাক্টরটা কে কতটুকু রাখতে পারেন তার উপর নির্ভর করে। আমাদের দেশে রাজনীতি মোটামুটিভাবে দুই ভাগে বিভক্ত। একটি হচ্ছে রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার পক্ষ আর সকলেই হচ্ছে তার বিপক্ষ। যখন প্রয়োজন হয় তাদের মধ্যে যত ডিফারেন্স থাকুক না কেন তারা নেত্রীকে যেকোনোভাবে দাবিয়ে রাখার জন্য তারা এক হয়ে কাজ করবে এবং যে নির্বাচন সামনে আসছে তখনও করবে।

অনেকে হয়তো দু`বছর আগে ভাবছেন যে, আমাদের একজন শেখ হাসিনা। যেরকম ভাবে একটি ডায়নামো দিয়ে আমরা আলো জ্বালাতে পারি কিন্তু ডায়নামোতে ফুয়েল দিতে হয়। তাই এখন নেত্রীকে তার কাজ করার জন্য যে মনের জোর এবং তিনি যাতে উৎফুল্ল ভাবে আরো কাজ করে যেতে পারেন তার জন্য যে ফুয়েল এর প্রয়োজন সেই ফুয়েল তো দিতে হবে আমাদেরকে, জনগণকে এবং আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ ও কর্মীদেরকে। জনগণ তাদের কাজ ঠিকই করে। কিন্তু আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা, এমনকি ছাত্রলীগ থেকে শুরু করে অনেকেই সেই ভাবে করেনা। আমি একটি জায়গায় আমি দায়িত্ব পালন করি, যেখানে প্রাক্তন ছাত্রলীগারদের নিয়ে আমার কাজ করতে হয়। আমার খুব অবাক লাগে যে, এদের অনেকের ভিতরই ন্যূনতম নৈতিক বোধ নাই। তারা একসময় ছাত্রলীগ করেছেন। সুতরাং তাদের জন্য সব প্রাপ্য। আমার কাছে ওই সুবিধা পায় না দেখে যে এসএমএস এবং লিখিত আকারে জানায় সেগুলো আমি ঠিক করেছি যে কমিটির কাছে প্রিন্ট আউট করে তাদেরকে দিয়ে কমিটি করে দেবো যেগুলোকে ঠিক করতে হবে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমাকে মোদাচ্ছের ভাই বলেন এবং তাকে আমি মৃত্যু পর্যন্ত শ্রদ্ধা করব এবং শেষ নিঃশ্বাসও আল্লাহর নামের সাথে বঙ্গবন্ধু এবং তার পরিবারের কথা, বিশেষ করে নেত্রী শেখ হাসিনার নাম বলে যাব। এটার কোন পরিবর্তন হবে না। এর জন্য আমাকে আলাদা কোন মূল্যায়ন করা লাগবে না এবং আল্লাহর মর্জি মূল্যায়ন করা হয়ও না। তাতে আমার কিছু আসে যায় না। কারণ আমরা যখন মুখে বলি শেখ হাসিনা এগিয়ে চলো আমরা আছি তোমার পিছে, তখন আসলে মিন করে যে তুমি এগিয়ে চলো, বিপদ দেখলে আমরা পিছন থেকে চলে যেতে পারবো। আমি সেটা বলিনা। আমি বলি, নেত্রী তুমি এগিয়ে চলো, আমি আছি তোমার সাথে। অর্থাৎ বিপদ আপদে সাথেই থাকব। আমার ৬০ বছরের ইতিহাস প্রমাণ করে আমি তাই করেছি। কিন্তু উনি কি দিয়েছেন না দিয়েছেন সেটা আমি বলছিনা। কারণ একটাই, বঙ্গবন্ধু অত্যন্ত স্নেহ করতেন, যেটা আমার বিরাট সৌভাগ্য। তখন কাউকে পাঠায় নাই আমাকে নিজ খরচে এফআরসিএস করতে বঙ্গবন্ধুই পাঠিয়েছিলেন এবং করে এসেছি। সেটা একটা এক্সেপশন এবং লেখা ছিল, ইহাকে কোন উদাহরণ হিসেবে ব্যবহার করা যাবে না। এ জীবনে আর কি লাগে! বঙ্গবন্ধু আরো অনেক স্নেহ করেছেন সেটা আলাদা ইতিহাস। নেত্রী সবসময় মোদাচ্ছের ভাই বলেন, আলাদাভাবে এর চেয়ে বড় মূল্যায়ন আর কিভাবে করবে সেটা একটা প্রশ্ন?

তবে স্বাভাবিকভাবে একজন মানুষ হিসাবে অনেক কিছুই মানুষের ইচ্ছা থাকে, সবটা যে হয় তা তো না। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে কি পেলাম সেই হিসাব করে যখন মুখের কথা বলি যে, না নেত্রীর ব্যাপারে তো কোন দেনা-পাওনার ব্যাপার নাই। দেনা-পাওনার ব্যাপারই যদি না থাকে তাহলে মূল্যায়ন হলো না ওইটা আশা করলাম তাহলে পরিবর্তন হবে কেন। সেই পরিবর্তন আমার জীবনে হবে না। আমি একটি জিনিস গর্ব করে বলতে পারি, তার পরিবারের বাইরে জীবিত আছে আমি ছাড়া এরকম ভাবে তার সর্ব অবস্থায় সাথে আছি এরকম আরেকটি উদাহরণ সহজেই খুঁজে পাওয়া যাবে বলে আমার কাছে মনে হয়না। অনেকে আছেন তারা অভিমান করেই হোক বা যেকোনো কারণে হোক হয়তো দূরে রয়ে গেছেন। যারা হয়তো আমার চেয়েও অনেক বেশি করেছেন। ব্যবসায়ীরা ব্যবসার খাতিরে যখনই যে সরকার ক্ষমতায় থাকে তাদের সাথেই তারা সুসম্পর্ক রাখার চেষ্টা করে। এই সরকারের আমলেও টেলিভিশন থেকে শুরু করে ব্যবসায়ীরা মোটামুটি একটা আগে ছিল একসময় এনজিওরা। এনজিওরা এখন বুদ্ধিজীবী সেজে তারা এখন ভালো ভালো এনজিও যারা জনগণের জন্য সত্যি সত্যি করে তাদেরকে বাদ দিয়ে বাকি যারা তারা ওই ওয়ান-ইলেভেন যারা করেছে তাদের সাথে যোগ দিয়ে তারা আরেকটি ওয়ান-ইলেভেন অন্যভাবে করবে সেই প্রচেষ্টা তারা কন্টিনিউয়াসলি করে যাচ্ছে। আমি যখন জানি তখন আমাদের সরকার নিশ্চয়ই জানে যে, নেত্রীর বিরোধীরা ভারত থেকে শুরু করে প্রতিটি বিদেশি শক্তির সাথে তাদের খুব ভালো যোগাযোগ সম্প্রতিকালে স্থাপিত হয়েছে। আমি জেনে বলছি। তো আমি যদি জানতে পারি উনারা জানবেন না এটা তো হতে পারেনা, নিশ্চয়ই জানবেন এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সেটা জেনেই করছেন। যেমন- এই মুহূর্তে বাংলাদেশে উনি ফেরার আগ পর্যন্ত কোন আন্দোলন হবেও না, আওয়ামী লীগের কেউ বড় বড় কথাও বলবে না। কেন বলবে না? কারণ, নেত্রীই যদি না শুনলো তাহলে বিরোধী দল ভাবে আন্দোলন করে লাভ হলো কি। তারাও নেত্রীর মুখের দিকে তাকিয়ে থাকে যে নেত্রী আন্দোলন আন্দোলন ভাব করবে, নেত্রী শুনবে, জানবে, তাদের একটু দাম বাড়বে। অন্তত চিকিৎসার একটা খরচ দিবে। সুতরাং যতদিন নেত্রী দেশে না থাকবেন ততদিন আন্দোলনের কোন সম্ভাবনা নেই তবে হ্যাঁ যারা ষড়যন্ত্র করবে তাদের কথা আলাদা। এবার তারা স্তর অনুযায়ী ষড়যন্ত্র করছে, এমনকি তারা ব্যবসায়ীদের সাথে যোগাযোগ করছে এবং তাদেরকে দুই নৌকায় পা দেওয়ার ব্যবস্থা করছে। তবে সবচেয়ে শংকার বিষয় হলো আমলাদের নিয়ে, আমলাদের মাঝেও সিন্ডিকেটের মত হয়ে গেছে। যারা সেই সিন্ডিকেটের সাথে জড়িত নয় তারা কিন্তু উপরে উঠতে পারছে না কারণ মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে তো সবার পৌঁছানো সম্ভব হয় না। তবে আমি বিশ্বাস করি সত্যিকারের, সঠিক অবস্থা জানার যে পরিবেশ তা জানার জন্য হলেও তাকে তার বিশ্বাসী যেকোনো বেশ কয়েকজন আমলার উপর তাকে কিছুটা হলেও ভরসা করতে ইবে, না হলে ইন্টারমেশন আরও গ্যাপ হবে। কিন্তু দুঃখের বিষয় হচ্ছে তারা অনেকেই উনাকে সত্যি কথাও বলছে না এবং উনার পক্ষে কাজ করছে এ রকম বাস্তবভিত্তিক প্রমাণ নেই। উপরে দেখানো যায়, কিন্তু সত্যিকারে যে টুকু কাজ হচ্ছে এটা রাজনীতিবিদদের দ্বারাই হচ্ছে। অনেক আমলারা একদম বিশ্বাসযোগ্য ভাবে ছাত্রলীগ থেকে এসেছে আগের রাজনৈতিক, তারা কিন্তু জান-প্রাণ দিয়ে নেত্রীর জন্য কাজ করছে যেই পজিশনেই থাকুক না কেনো তাদের অনেকেরই সামান্য কোন পরিবর্তন নেই। কিন্তু অল্প কয়েকজন যারা নেত্রীকে নেত্রীর কাছের লোক সেজে কাজ করছে তাদের বিষয়ে আমার গভীর সন্দেহ হয় যে তারাই কি এই যে যারা ব্যবসায়ী কমিউনিটি, সাংবাদিক কমিউনিটি থেকে শুরু করে প্রফেশনাল বিভিন্ন কমিউনিটির সাথে কিন্তু নেত্রীর ধীরে ধীরে গ্যাপ তৈরি হচ্ছে। এইটা বুঝার জন্য কোন পিএইচডি করার দরকার নেই। যেহেতু দুই বছর পরেই নির্বাচন এবং নেত্রীকে যারা কিছুতেই সহ্য করতে  পারে না তারা যেহেতু খুবই সচেতনভাবে সাথে রোড ম্যাপ করে কাজ করছে এই কারণের জন্য যারা নেত্রীর সত্যিকারে মঙ্গল কামনা করেন তাদেরও  রোডঃ ম্যাপ করে এবং বিভিন্ন ভাবে কাজ করতে হবে। একটি গ্রুপের দেখতে হবে যে এই যে প্রফেশনাল বিভিন্ন গ্রুপ। যেমন- ছাত্রলীগের চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে গণ্ডগোল হলো তার জন্য বন্ধ করে দিতে হলো আমাদের সরকার পুলিশ সবকিছু একটি মেডিকেল কলেজ আমরা কন্ট্রোল করতে পারলাম না। লোক তো আর চোখ বন্ধ করে থাকে না। এতে কি  আমাদের পজিশন খারাপ হয় নাই? এটা বুঝতে কি বিরাট বিজ্ঞ হওয়া লাগে? তার মানে হচ্ছে যে ইনহেরেন্ট ওয়েতে আমরা এখানে ফেইল করছি। যেমন এই যে মন্দিরে অ্যাটাক হলো এই সময় এবং তার আগে থেকে বারবার হোম মিনিস্ট্রি থেকে বলা হলো পূজা নির্বিঘ্নে করার জন্য অথচ যেতে যদি ৫ মিনিটও লেইট হয় সেই দুর্বলতা তো আমাদের, সরকারের। এই যে দুর্বলতাটা হলো এবং আমাদের কর্মীরা যে দেরি করলো এই দুর্বলতাটা হতেই পারে। হঠাত করে এস্টিমেট করা যায় না। এটা সবকিছু তো হয়ে যাওয়ার পরে যত বুদ্ধি বাড়ে হওয়ার আগে আমাদের নিজেদের বিষয়েও এত চিন্তা করা যায় না ফ্যাক্ট। কিন্তু ভবিষ্যতে যাতে আর কিছু না হয় তার জন্য আমরা কতটুকু প্রস্তুত হচ্ছি সে বিষয়েও কিন্তু আমাদের সজাগ থাকতে হবে। ব্যবসায়ী কমিউনিটির সাথে যারা রাজনীতিবিদ আছে আওয়ামী লীগের তাদের কি সুবিধা অসুবিধা আছে তাদেরকে কি করে নেত্রীর থেকে দূরে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে সে বিষয়গুলো তাদের দেখার দায়িত্ব। এবং দেখে যেভাবেই হউক যেহেতু নেত্রী এত কিছু করেছেন তার কারণে ফলটা আমাদের ঘরে আসার দরকার।

আমরা এই কমিনিটির সাথে কেনো যেনো ঠিক মত সম্পর্ক ধরে রাখতে পারছি না। দুই বছর আগেও যাদের সাথে আমার দেখা হত তাদের সাথে এখনো যখন দেখা হয় তখন তাদের আচরণে আমি কিছু পরিবর্তন দেখতে পাই। তারা আমার সাথে তেমন কিছু না বললেও তাদের আচরণ দেখে আমি বুঝতে পারি যে তারা আগে যেভাবে আওয়ামী লীগকে শতভাগ সমর্থন করতো কিন্তু এখন তাতে নড়চড় দেখা দিয়েছে এবং এটা আমি যেনে বলছি। এসব কাজগুলো দলীয় লোকদের দেখতে হবে এবং নেত্রীর সাথে আলাপ করে করতে হবে। এখন এসব কাজগুলো করতেছে আমলারা আর আমলারা যা করতেছে তাতে পরবর্তী নির্বাচন কঠিন হবে। যদি প্রেসিডেন্টশীয়াল নির্বাচন হত তবে কেউ ক্যান্ডিডেটই দাড়াতে চাইতো না এটা পার্লামেন্টারি নির্বাচন, এখানে অনেক ফ্যাক্টর যোগ হবে। যারা নেত্রীর বিরুদ্ধে তাদের কিন্তু দেশ-বিদেশ বিভিন্ন জায়গা থেকে কত অর্থ যে জোগাড় হচ্ছে তার কোন হিসাব করা যায় না। তবে যতই বলা হক না কেনো এই বড় বড় কথা, ব্যবসায়ীরা সুযোগ পেয়েছে আরো অনেকে পেয়েছে অনেক রাজনীতিবিদরাও পেয়েছে এটা একটা ফ্যাক্ট কিন্তু বাস্তবতা হল নির্বাচনের সময় এই টাকা নেত্রীর হাতে আসবে না। কিন্তু বিরোধীদের টাকা অর্গানাইজ, এখানে নেত্রীকে প্রতিটা সিদ্ধান্ত একা নিতে হয় অনেক কিছু দেখতে হয় এবং আল্লাহর অশেষ রহমত তিনি নির্ভুলভাবে দেখতে পারছেন। কিন্তু এখন থেকে আমরা যদি তাকে তার কাজটি সহজ করে না দেই তাহলে সোজা কাজটি বিনা কারণে কঠিন করা হবে কারণ এখনো মেজরিটি জনগণ আওয়ামী লীগেরই পক্ষে এমনকি ব্যবসায়ীরাও পক্ষে। কিন্তু কিছু আমলারা ধীরে ধীরে এদেরকে নেত্রীর সমর্থন থেকে দূরে সরিয়ে নেওয়ার প্রচেষ্টা করছেন এবং এই প্রচেষ্টা যদি তারা দুই বছর চালাতে পারে তবে নেত্রীর জন্য নির্বাচন কঠিন হবে। তাই এখন থেকে আওয়ামী লীগকে অবশ্যই সচেষ্ট হতে হবে এবং এই সচেষ্ট হওয়ার জন্য প্রথম কাজটিই হক ব্যবসায়ী সম্প্রদায়ের সাথে সম্পর্ক উন্নয়ন করা দিয়ে। এরপর প্রফেশনাল বডি এবং একের পর এক কাজ করে গেলেই আগামী নির্বাচন খুব সহজ হবে।



প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭