কালার ইনসাইড

পলিটিকাল থ্রিলার, চরকি এবং ২১ আগস্ট প্রসঙ্গ


প্রকাশ: 07/11/2021


Thumbnail

২১ আগস্ট ২০০৪!!!
রাজধানী ঢাকার বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে তৎকালীন সময়ের সরকার কর্তৃক দেশব্যাপী সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ ও দুর্নীতি বিরোধী একটি বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করে তৎকালীন বিরোধী দল। ওদিকে আগে থেকেই কিছু একটা ঘটিয়ে ফেলার উদ্দেশ্য নিয়ে মাস্টারমাইন্ডের সকল পরিকল্পনা অনুসারে আশেপাশের বিল্ডিংয়ের ছাদ সহ সভাস্থলে অবস্থান নেয় মূল ঘটনার বাস্তবায়নের দায়িত্বে থাকা আততায়ীরা। ধীরে ধীরে দুপুর গড়িয়ে বিকাল নামতে শুরু করলো। অনুষ্ঠানসূচীতে সমাবেশ শেষে মিছিলের পরিকল্পনা থাকায় স্থায়ী মঞ্চের পরিবর্তে ট্রাকের উপরে স্থাপিত মঞ্চের আশেপাশে ভিড় জমাতে শুরু করেন দলটির নেতাকর্মীরা। দলের প্রায় প্রতিটি নেতাকর্মী আজ বেশ উচ্ছ্বসিত, কারণ দলের সভানেত্রী থাকছেন প্রধান অতিথি হিসাবে থাকছেন। 

পশ্চিমের আকাশে হেলে পড়েছে রোদ। ঘড়িতে বিকাল ৫ টা ২ মিনিট। 
অন্যান্য নেতাকর্মীদের বক্তব্য শেষে মঞ্চে মাইকের সামনে আসলেন প্রধান অতিথি। ২০ মিনিটের বক্তব্য শেষ করে তিনি ঘুরলেন। ঘড়িতে ৫ টা ২২ মিনিট! শ্লোগান লেখা একটি কাগজ ভাঁজ করতে করতে মাইক ছেড়ে পিছিয়ে যাচ্ছিলেন। ঠিক সেই সময় একজন সাংবাদিক তাকে ছবির জন্য একটি পোজ দিতে অনুরোধ করেন। ঘুরে দাঁড়ালেন প্রধান অতিথি। আর ঠিক সেই মুহূর্তেই দক্ষিণ দিক থেকে তাকে লক্ষ্য করে একটি গ্রেনেড ছুড়ে মারা হয়। মুহূর্তেই গ্রেনেড আর প্রধান অতিথিকে হত্যার উদ্দেশ্যে বিরামহীন গুলিতে কেপে উঠলো সভাস্থল, একসাথে ১৩টি গ্রেনেডের আঘাতের সাথে চলতে থাকলো গুলি। ঘটে গেলো বাংলাদেশের রাজনীতিতে একটি ঘৃণ্য ও ন্যক্কারজনক ঘটনা।

বর্তমান যুগকে বলা হয় ওটিটি প্ল্যাটফর্মের যুগ। বৈশ্বিক ওটিটি প্ল্যাটফর্ম নেটফ্লিক্স থেকে শুরু করে অ্যামাজন প্রাইম, হটস্টার, অ্যাপল টিভি, ডিজনি প্লাস, জি ফাইভসহ পাশের দেশ ভারতের হৈচৈ সহ নতুন নতুন ওটিটি প্ল্যাটফর্ম তৈরি হচ্ছে এবং একের পর এক মানসম্পন্ন কন্টেন্ট দিয়ে দর্শকের ভরসার জায়গাতে পৌঁছে গিয়েছে। পিছিয়ে নেই বাংলাদেশও, দেশীয় টেলকোর সহায়তায় বায়স্কোপ, বাংলাফ্লিক্স, টফি সহ বেশ কয়েকটি ওটিটি প্ল্যাটফর্ম। পাশাপাশি বঙ্গবিডি, বিঞ্জ, আই থিয়েটার, সিনেস্পট সহ বেশ কয়েকটি ওটিটি প্ল্যাটফর্মের সাথে সম্প্রতি প্রতিযোগিতায় সামনে আসে চরকি নামের একটি ওটিটি প্ল্যাটফর্ম। 

ওটিটি প্ল্যাটফর্ম চরকির শুরু থেকেই বেশ প্রত্যাশা ছিলো দর্শকদের। শুরুর দিকের কন্টেন্টেই তারা মরীচিকার মতো কন্টেন্ট নিয়ে কাজ শুরু করেছিলো। আরফান নিশো, সিয়াম, জোভান ও মাহিয়া মাহীর মতো স্টারদের এক করে শুরুতেই ধামাকা দেখায় চরকি। এক্ষেত্রে তারা বেছে নিয়েছিলো আলোচিত মডেল তিন্নির বিচারাধীন একটি হত্যা মামলার ঘটনাকে। যেহেতু মামলাটি বিচার প্রক্রিয়াধীন এবং এই মাসের ১৫ তারিখে মামলাটির বিচারের তারিখ নির্ধারিত তাই চরকির প্রথম কন্টেন্ট মরীচিকা নিয়ে অনেকের মাঝে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গিয়েছিলো। সুন্দর নির্মাণ, মাল্টিস্টার এবং সুন্দর স্ক্রিনপ্লে থাকায় চরকির কন্টেন্ট মরীচিকা সামনে নিয়ে এসেছিলো মডেল তিন্নির জীবনের নানান দিক। যদিও এক্ষেত্রে মামলাটির বিচারক বা বিচার সংশ্লিষ্ট কেউ চরকির এই অসাধারণ নির্মাণটির নির্মাণ ও গল্পে প্রভাবিত হবার সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যায় না। এক্ষেত্রে অবশ্যই কন্টেন্ট নির্মাণের জায়গা থেকে চরকি হাতে তালি পাবার যোগ্য। কারণ অস্ত্র হিসাবে সিনেমা আর নাটকের ব্যবহার পশ্চিমা বিশ্ব থেকে শুরু করে পাশের দেশ ভারতেও ব্যবহৃত হয়ে আসছে অনেক কাল ধরেই। সে হিসাবে কন্টেন্টকে অস্ত্র হিসাবে ব্যবহার করে দর্শকের মনে নাড়া দিয়ে ফল পাল্টে দেবার পথিকৃৎ হিসাবে চরকির এই যাত্রাকে দর্শক কিভাবে মাপবেন সেটি সময়ই বলে দেবে। 

এবার মূল প্রসঙ্গে আসা যাক। লেখার একদম শুরুতে যে গল্পটি বলছিলাম সেটি নিতান্তই একটি পলিটিকাল থ্রিলার গল্পের প্লট। একটি পরিচ্ছন্ন বাংলা থ্রিলার হিসাবে আপাতদৃষ্টিতে গল্পটি ঠিকঠাকই বলা যায়। কিন্তু সমস্যা অন্য যায়গাতে! ধরুন এই গল্পটিকেই উদ্দেশ্যমূলকভাবে পালটে দিয়ে চরকির বৈশিষ্ট্য অনুসারে মাল্টিস্টার কাস্টের মাধ্যমে দর্শকের সামনে উপস্থাপন করলেই হয়ে গেলো পর্দা কাঁপানো একটি ওটিটি কন্টেন্ট। জয় জয় রব উঠলো চরকির, শেয়ারে শেয়ারে পৌঁছে গেলো সাধারণ মানুষের কাছে। মানুষের সামনে সুন্দর নির্মাণে উপস্থাপিত এই কন্টেন্টটি প্রভাব ফেললো। তখন কিন্তু ঘটনাটি বা কন্টেন্টটি আর নিরীহদর্শন থাকছে না। সমস্যাটি এই জায়গাটিতেই। সম্প্রতি বাংলাদেশের আশা জাগানিয়া ওটিটি প্ল্যাটফর্ম চরকিতে মুক্তি পেয়েছে শক্তিমান অভিনেতা ফজলুর রহমান বাবু অভিনীত সিনেমা “খাঁচার ভেতর অচিন পাখি”। যার পরিচালনায় ছিলেন সাম্প্রতিক সময়ের আলোচিত ও পরীক্ষিত পরিচালক রায়হান রাফি। ওই কন্টেন্টটি নিয়েই আজকের এই মাথাব্যথা!

চলুন স্ক্রিনপ্লের গতি পাল্টে আবার একটু অন্য প্রসঙ্গে যাওয়া যাক।
আচ্ছা বলুনতো আমাদের দেশের কোন জিনসটির প্রতি মানুষের মাঝে অনীহা আর ঘৃণা খুব বেশি কাজ করে? অবাক হচ্ছেন! ভাবছেন এটা আবার তেমন কঠিন কি প্রশ্ন! রিকশাওয়ালা থেকে শুরু করে গুলশান, বনানীতে বাস করা মানুষেরা চোখ বন্ধ করে একটাই উত্তর দিবেন যে এটি হচ্ছে আমাদের দেশের রাজনীতি। রাজনীতিকে মানুষের কাছে ঘৃণিত আর নোংরা বিষয় হিসাবে উপস্থাপন করার প্রয়াস হুট করেই শুরু হয়নি। একটি স্লো প্রসেসের মাধ্যমে এদেশের ছাত্র, যুবক, বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষের কাছে রাজনীতিকে তুলে ধরা হয়েছে একটি নোংরা বস্তু হিসাবে। তরুণ প্রজন্মের প্রতিনিধিদের সোশ্যাল মিডিয়া প্রফাইলে শোভা পায় ”আই হেইট পলিটিক্স”। একটি বিশেষগোষ্ঠী অনেক আগে থেকেই এ ধরনের প্রক্রিয়াকে এগিয়ে নিয়ে গিয়েছে সুকৌশলে এবং খুবই ধীর প্রক্রিয়া অনুসরণের মাধ্যমে বহু বছর ধরেই এই বিরাজনীতিকরনের প্রক্রিয়াকে রেখেছে চলমান।  

ওহহ!! পাঠক চলুন আবার প্রসঙ্গে ফেরা যাক। এবার আর ফ্ল্যাশব্যাক বা ভিন্ন ঘটনা না টেনে ওটিটি প্ল্যাটফর্ম  চরকির কন্টেন্টের শেষভাগের ঝলকের মতো একদমে শেষ করবো আজকের এই লেখার বিষয়বস্তু। শুধু চাইবো মিলিয়ে নিন নিজেদের জায়গা থেকে নিজেদের মতো করে। তো ঘটনাটি ঘটেছে চরকির নতুন কন্টেন্ট ”খাচার ভেতর অচিন পাখি” নিয়ে। গল্প, স্ক্রিনপ্লে ও পরিচালনায় রায়হান রাফির নাম দেওয়া এই সিনেমাটি নির্মাণে যে গল্পের আশ্রয় নেওয়া হয়েছে সেটি আমার আপনার খুবই পরিচিত একটি ঘটনা। এ দেশের সরকারী বা বিরোধী দল থেকে শুরু করে এক রুমের অফিস ভাড়া নিয়ে দল পরিচালনা করা যে কোনো ছোট রাজনৈতিক দলের ওয়ার্ড পর্যায়ের কর্মীও সম্ভবত এই ঘটনাটি সম্পর্কে জানেন। বাংলাদেশের রাজনীতির মেরুকরণের ঘটনাও বলা যেতে পারে এটিকে। ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট তৎকালীন বিরোধীদল আওয়ামীলীগের সমাবেশে গ্রেনেড হামলার ঘটনা ঘটানো হয়েছিলো। ঘটানো হয়েছিলো বলছি এই কারণে যে তৎকালীন ক্ষমতাসীন সরকারের অনেকের সম্মতিতেই ঘটেছিলো এই ঘটনাটি এবং ওই ঘটনার পেছনে ছিলেন একজন মাস্টারমাইন্ড, যার সরাসরি তত্ত্বাবধানে এবং পরিকল্পনাতেই পরিচালিত হয়েছিলো গ্রেনেড হামলার ঘটনাটি। বিচারাধীন মামলাটির বিভিন্ন সময়ের তথ্য উপাত্ত থেকে এমনটাই ধারনা করা যায়। যদিওবা এই ঘটনা ধামাচাপা দিতে সাজানো হয়েছিলো জজমিয়া নাটক, ফাঁসানোর চেষ্টা করা হয়েছিলো নিরপরাধ অনেককেই। তবে আইন তার নিজের গতিতে চলতে চলতে সত্যকে সামনে নিয়ে আসবেই। তাই ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলাটিও তার নিজের গতিতে সত্যানুসন্ধানের মাধ্যমে এগিয়ে যাচ্ছে এবং মামলাটির রায় হয়তো অচিরেই দেখতে পাবে দেশের জনগণ। কিন্তু চরকিতে মুক্তিপ্রাপ্ত কন্টেন্টটিতে দেখানো হয়েছে ভিন্ন চিত্র। এখানে শক্তিমান অভিনেতা ফজলুর রহমান বাবুকে দেখানো হলো মানিকগঞ্জের একজন সাংসদ হিসাবে, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর চরিত্রে দেখানো হলো ফখরুল বাশার মাসুমকে, যিনি ঘটনাটি জানেন এবং তার সহকারী ইন্তেখাব দিনারের পরামর্শেই চলেন। ইন্তেখাব দিনার যা বলেন তাই করেন এই মন্ত্রী, কারণ গল্পের পেছনের মানুষদের মতে বাংলাদেশ নামক দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হয়তো নিজের বুদ্ধিতে চলেন না, অথবা তিনি চান বিরোধীদলের নেতাকে খুন করে সারাজীবন ক্ষমতায় থাকতে। অথচ গল্পের পেছনের মানুষদের হয়তো এটা জানা ছিলোই না যে বাংলাদেশ নামক একটি দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী চাইলেই এ ধরনের সিদ্ধান্ত নিতে পারেন না। আবার কন্টন্টে দেখা গেলো দেশে সরকারীদল আর বিরোধীদলের মধ্যে কি অসাধারণ  সম্পর্ক, যে সম্পর্ক দেখার জন্য বছরের পর বছর ধরে দেশের মানুষের এতো অপেক্ষা, এতো আক্ষেপ। সেই মধুর সম্পর্ককেই যেন পর্দায় এনেছে চরকি। কিন্তু এই সম্পর্ক এতোই ভয়াবহতা ছড়িয়েছে যেখানে বিরোধীদলের বা সরকারীদলের নেতা ফজলুর রহমান বাবু বা সুমন আনোয়ারের বিন্দুমাত্র মায়াবোধ কাজ করলো না কর্মীদের প্রতি। এই কন্টেন্টে নেই কোনো আইন, কোনো পুলিশ নেই, এমনকি নেই কোনো গোয়েন্দা সংস্থার লোকজনের উপস্থিতি। কেউ চাইলো আর গুম করে রাখা গেলো একজন সরকার দলীয় ক্ষমতাধর এমপিকে। স্বীকারোক্তি আদায়ের ঘটনাও কি বৈচিত্রতাপূর্ণ। তমা নির্জাকে একবার দেখা গেলো সাংবাদিকের ভূমিকাতে, আবার দেখা গেলো একটি রাজনৈতিক দলের নেতা সুমন আনোয়ারের দাবার চাল হিসাবে ব্যবহৃত আন্ডারকভার এজেন্ট হিসাবে। কন্টেন্ট দেখতে গিয়ে তাই মাঝে মাঝেই ক্রিস্টোফার নোলানকে মনে পড়বে বাধ্য হবেন দর্শকেরা। 

তবে গল্পে গল্পে সময় কেটে গিয়ে সমাপ্তিতে আসলেও চরকির উদ্দেশ্য নিয়ে সংশয় থেকেই যায়। কারণ মডেল তিন্নির বিচারাধীন মামলার পরে ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলার মতো আরো একটি বিচারাধীন মামলা নিয়ে আবারো চরকির কন্টেন্ট নির্মাণ এবং রাজনৈতিক দল ও রাজনীতিবিদদের চরিত্রহরনের চেষ্টার সাথে সাথে কি বিরাজনীতিকরণের স্লো পয়জন ছড়ানো হলো চরকির এই কন্টেন্টটিতে। কিংবা দেখানো হলো কি এমন এক ঘৃণার রাজনীতির উপাখ্যান যেখানে সরকারীদলের নেতা কর্মী বা বিরোধীদলের নেতাকর্মীরা রাজনীতির নামে একে অন্যকে খুন আর হত্যার মধ্যদিকে ক্ষমতার লালসায় আশ্রয় নেবে রাজনীতির। কারণ ওয়ান ইলেভেন সময়কালীন ঘটনার দিকে ফ্ল্যাশব্যাকে গেলে চরকির স্রষ্টা প্রথম আলো বা ডেইলি স্টারের বিরাজনীতিকরনের ঘৃণ্য চেষ্টার ঘটনা কি সহজেই ভুলে যাবে এদেশের জনগণ।

ওটিটি কন্টেন্ট আমাদের জন্য নিয়ে এসেছে আশার আলো। ওটিটি প্ল্যাটফর্মগুলোর প্রচুর বাজেট আর সুন্দর নির্মানের হাত ধরেই হয়তো সামনের দিনগুলোতে আমরা পাবো বলতে না পারা গল্প নির্ভর কন্টেন্ট। হয়তো অচিরেই এদেশের ওটিটি প্ল্যাটফর্মগুলোর হাত ধরেই নির্মিত হবে অপারেশন সূর্যদীঘলবাড়ি, হলি আর্টিজান বা পিলখানার গল্পের উপর ভিত্তি করে শক্তিশালী কন্টেন্ট। তবে কন্টেন্ট নির্মানের এই স্বাধীন প্ল্যাটফর্মের আশ্র‍য় নিয়ে ইতিহাস পাল্টে দেবার এই প্রয়াস বন্ধ না হলে কে জানে হয়তো এই ওটিটি প্ল্যাটফর্মগুলোর হাতেই খুন হবে ইতিহাস। গুটিকয়েক গোষ্ঠির স্বার্থ উদ্ধারের হাতিয়ার হিসাবে ব্যবহৃত হবে বিনোদনের নতুন জনপ্রিয় এই মাধ্যম।



প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭