ইনসাইড টক

‘ওদের বেখেয়ালির কারণে প্রচুর ছেলেমেয়ের বাড়তি ভোগান্তি হয়’


প্রকাশ: 12/11/2021


Thumbnail

বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবদুল মান্নান বলেছেন, প্রশ্ন ফাঁস স্কুলের হোক, কলেজের হোক, নিয়ো পরীক্ষার হোক, এটা তো নিশ্চয়ই কাম্য নয়। কারণ, এতে অনেকের ভোগান্তি হয়। কারণ, পরীক্ষাগুলো বাতিল হয়ে যায়, আবার পরীক্ষা দিতে হয়। যে পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁস হয়েছে সেটা হচ্ছে ব্যাংকের নিয়োগ পরীক্ষা। আমি যখন ইস্ট-ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ে ছিলাম তখন ব্যাংকের পরীক্ষা কয়েকবারই আমার হাত দিয়ে হয়েছে। কখনো কিন্তু তেমন ঘটনা ঘটেনি। কারণ, আমরা খুবই কেয়ারফুল (সতর্ক) ছিলাম। সুতরাং, যারা এ ধরণের পাবলিক পরীক্ষা, যে ধরণেরই পরীক্ষা হোক না কেন, ব্যাংকের পরীক্ষা তো অন্য পাবলিক পরীক্ষার চাইতে একটু ভিন্ন। কারণ, এটা কন্ট্রোল করা একটু সহজ। একটি পাবলিক পরীক্ষা, এসএসসি-এইচএসসি পরীক্ষা অনেক হাত ঘুরে যায়, যেকোনো যায়গা থেকে এটা লিক হতে পারে। কিন্তু একটা ইনটেক পরীক্ষা, একটা চাকরীর পরীক্ষা তেমন না।

সম্প্রতি ব্যাংক নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁস সহ বিভিন্ন দিক নিয়ে বাংলা ইনসাইডার এর সঙ্গে একান্ত আলাপচারিতায় এসব কথা বলেছেন অধ্যাপক আবদুল মান্নান। পাঠকদের জন্য অধ্যাপক আবদুল মান্নান এর সাক্ষাৎকার নিয়েছেন বাংলা ইনসাইডার এর নিজস্ব প্রতিবেদক মাহমুদুল হাসান তুহিন।

অধ্যাপক আবদুল মান্নান বলেন, ​২০০৪-৫ সালের দিকে ইস্ট-ওয়েস্টে থাকতে আমি কয়েকবার পরীক্ষা নিয়েছি। যারা প্রশ্ন করেন, প্রশ্ন ছাপেন, প্রশ্ন প্যাকেজিং করেন ওদেরকে একটু বাড়তি সতর্ক হতে হবে। আর আহছানউল্লাহ ইউনিভার্সিটি অব সাইন্স এবং টেকনোলোজি তো একটি ভালো ইউনিভার্সিটি। যারা এই দায়িত্বটা পালন করেছেন তারা সম্ভবত একটু বেখেয়ালি ছিলেন, এটা উচিৎ হয়নি। এটা ওদের বেখেয়ালির কারণে প্রচুর ছেলেমেয়ের বাড়তি ভোগান্তি হয়, যেটি কখনো কাম্য নয়।

তিনি আরও বলেন, ব্যাংকগুলো চাইলে নিজেরা ব্যবস্থা করতে পারে, সেটার মধ্যেও ঝুঁকি আছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইবিএ পরীক্ষা নেয়, বিজনেস ফ্যাকাল্টি পরীক্ষা নেয়। সেই সময় কিন্তু এরকম পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনা ঘটেছে, এটা আমার জানা নেই। পাবলিক সার্ভিস কমিশনের জন্য পাবলিক সার্ভিস কমিশন আছে, বোর্ডের পরীক্ষার জন্য বোর্ডগুলো আছে, চাকরী প্রার্থীদের পরীক্ষা বিভিন্ন দেশে এভাবে নেয়া হয়। আমাদের দেশের ব্যাংকগুলোর ব্রাঞ্চ আছে সারাদেশে, কিন্তু আমেরিকাতে ব্রাঞ্চ ব্যাংকিংটা খুব বেশি নাই। একটা স্টেটে যে ব্যাংক আছে তা ওই স্টেটের মধ্যে সীমাবদ্ধ। সারা আমেরিকাব্যপী কোন ব্যাংক নাই। আমাদের দেশে যেহেতু ব্রাঞ্চ ব্যাংকিং ব্যবস্থা আছে, বাংলাদেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে ব্যাংকের ব্রাঞ্চ আছে, সেখানেও লোক নিয়োগ দিতে হবে। সেই পরীক্ষা নেওয়ার মত সক্ষমতা আছে বলে আমার মনে হয়না। যেটা করেছিল তারা ঠিকই করেছিল, কিন্তু গাফলতিটা হয়েছিল ইউনিভার্সিটির।



প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭