প্রকাশ: 01/12/2021
গতকাল মঙ্গলবার রাজধানী
রামপুরা পলাশবাগ এলাকায় অনাবিল পরিবহনের বাসের চাপায় ঘটনাস্থলে একজন কলেজ ছাত্র নিহত
হয়। এই ঘটনায় ১৪/১৫ টি বাসে আগুনও দেয়া হয়েছে। এটা কি দুর্ঘটনা ছিলো নাকি পূর্বপরিকল্পিত?
প্রত্যক্ষদর্শীদের দেয়া তথ্য অনুযায়ী, ঘটনাটি ঘটে রাত ১০ টা ৪৫ মিনিটে। এর ১২ মিনিট পর ১০.৫৭ মিনিটে নিরাপদ সড়ক চাই (নিসআ) ফেসবুক পেইজের মাধমে উক্ত স্থান থেকে সরাসরি লাইভ করা হয়। রাত ১১ টায় জামায়াত পরিচালিত টেলিগ্রাম চ্যানেলে খবরটি প্রকাশিত হয়। আর সেখান থেকেই সমস্ত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে খবরটি ছড়িয়ে পড়ে। খবর ছড়ানোর ১০ মিনিটের মধ্যেই ১৫ টি বাসে আগুন দেয়াও শেষ। উক্ত ঘটনা থেকে তো কিছু প্রশ্ন থেকেই যায়।
প্রথমত, ঘটনার ১২ মিনিটেই
নিরাপদ সড়ক চাই পেইজ লাইভে গেলো কিভাবে? নাকি তারা আগে থেকেই প্রস্তুত ছিলো?
দ্বিতীয়ত, বাঁশেরকেল্লা
১৫ মিনিটের মধ্যেই সব খবর পেয়ে গেলো? আর বাকি ১০ মিনিটেই বা ১০ টি গাড়ীতে আগুন কিভাবে
দেয়া হলো?
তৃতীয়ত, এতো জনবল রাত ১১
টার পর অইখানে এলো কিভাবে? নাকি তারা আগেই প্রস্তুত ছিলো? সেনাবাহিনী,পুলিশ বা ফায়ার
বিগ্রেডও এত তাড়াতাড়ি পৌছাতে পারে না ,যত দ্রুত গাড়ি পোড়ানো হয়েছে। আর কম বয়সী শিক্ষার্থীরা
কি এত দ্রুত পৌছে গেছে?
এমনিতেই সড়ক দুর্ঘটনা নিয়ে
আন্দোলন চলছে। যারাই দুর্ঘটনা কবলিত হচ্ছেন তারা সবাই শিক্ষার্থী। গাড়ীতে কি ছাত্র
ছাড়া যাত্রী থাকে না? বিষয়টি মোটেও কোন দুর্ঘটনা নয়। এটা বিএনপি জামাতের অতীত অভ্যাসের
পুনরাবৃত্তি। পরিকল্পনা সফল হওয়ার ১২ মিনিট পরই ব্রেকিং নিউজ আকারে খবর টি প্রকাশ করে
জামায়াত পরিচালিত বাঁশেরকেল্লা। বিএনপি-জামাতের রক্তের রাজনীতি জনগণের কাছে পরিস্কার।
ভেবে দেখুন। বিবেক জাগ্রত করুন।
প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান
বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭