ইনসাইড টক

‘ইউপি নির্বাচনে সংঘাত পুরনো বিষয়’


প্রকাশ: 04/12/2021


Thumbnail

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন বলেন, মৃত্যু কোনো কাম্য না। আমরা এ সহিংসতার নিন্দা জানাই। যারা নির্বাচন কেন্দ্রিক সংঘর্ষে আহত-নিহত হয়েছেন, তাদের পরিবারের প্রতি আমি সহানুভূতি জানাই। নিহতদের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করি। আমরা চাই নির্বাচন সুষ্ঠ নিরপেক্ষ হোক। মূল কথা হচ্ছে ইউপি নির্বাচনে সংঘাত পুরনো বিষয়। আগে এত বেশি মিডিয়া ছিল না বিধায় এত খবর সামনে আসেনি। বিশেষ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ঘটনা ঘটার সাথে সাথে চলে আসে। যার কারণে মানুষ দেখতে পারছে যে এত মানুষ মারা গিয়েছে। কিছু লোক মারা গেছে, এটা দুঃখজনক। কোনো মৃত্যুই কাম্য নয়। তারপরও আমরা মনে করি এই নির্বাচনে গণতন্ত্রের বিজয় হয়েছে। জননেত্রী শেখ হাসিনার বিজয় হয়েছে। কারণ যেভাবে নির্বাচন নিয়ে অপপ্রচার করা হয়েছিল, যে ভাবে ভোট নিয়ে গুজব ছড়ানো হয়েছিল, মানুষকে ভোটবিমুখ করার যে ষড়যন্ত্র, চক্রান্ত জামাত-বিএনপি ও তাদের সহযোগীরা করেছিল, সেই ষড়যন্ত্র থেকে মানুষ বের হয়ে এসেছে। মানুষ নির্বাচনমুখী হয়েছেন। কেন্দ্রমুখী হয়েছেন। এটা হচ্ছে বড় বিষয়।

আওয়ামী লীগের তৃণমূলে কোন্দল, ইউপি নির্বাচনে সহিংসতা সহ বিভিন্ন বিষয়ে বাংলা ইনসাইডারের সাথে আলাপচারিতায় তিনি এসব কথা বলেছেন। পাঠকদের জন্য এস এম কামাল হোসেন এর সাক্ষাৎকার নিয়েছেন বাংলা ইনসাইডার এর নিজস্ব প্রতিবেদক অলিউল ইসলাম।

তৃণমূলে কেন্দ্রের কন্ট্রোল আছে কিনা জানতে চাইলে কামাল বলেন, এখানে মূল কারণ হচ্ছে এই নির্বাচন ক্ষমতা পরিবর্তনের নির্বাচন না। এটা তৃণমূলও জানে। যার ফলে অনেক জায়গায় বিদ্রোহী প্রার্থী দাঁড়াচ্ছেন। দল থেকে অবশ্য তাদের অব্যাহতি দেওয়া হচ্ছে। পাশাপাশি একটি ইউনিয়ন থেকে পাঁচ থেকে সাত জন মনোনয়ন চান। কিন্তু পায় মাত্র একজন। ফলে বাকি ছয়জন সেই একজনের বিরুদ্ধে উঠে পড়ে লেগে যায়। 

তৃণমূল থেকে পাঠানো তালিকা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, তৃণমূল থেকে তালিকার সিরিয়ালটা হয় সাধারণত দলীয় পদ অনুযায়ী। যেমন প্রেসিডেন্ট বা সেক্রেটারি দাঁড়ালে তার নাম তালিকার প্রথম দিকে থাকে। অনেক সময় সদ্য সাবেক চেয়ারম্যানের নাম আগে রেখে পাঠানো হয়। তবে এই সিরিয়াল অনুযায়ী মনোনয়ন দেওয়া হয় না। অনেক সময় দেখা যায়, যার নাম এক নম্বরে আছে, সে মনোনয়ন পায়নি। কিন্তু দুই তিন বা চার নম্বরে যে আছে, সে মনোনয়ন পেয়েছে। এখানে সাধারণত চুলচেরা বিচার বিশ্লেষণ করে তারপরই মনোনয়ন দেওয়া হয়। কিন্তু দেখা যায় যে, যারা পাননি, তারা মনোনয়ন প্রাপ্ত ব্যক্তির বিরুদ্ধে নানা রকম অপপ্রচার চালায়। এই কারণে অনেক জায়গায় দেখা যায় যে, নৌকা প্রার্থীর বিরোধী পক্ষ বিজয়ী হয়ে যাচ্ছে। 

ভোটের কাস্টের হার প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এবার প্রত্যেকটি জায়গায় ৭০ থেকে ৮০ ভাগ ভোট পড়ছে। অর্থাৎ এইখানে বিএনপি জামায়াতের তৃণমূলের সমর্থকরাও স্বতন্ত্র হিসেবে নির্বাচনে আসছেন। নৌকার বিরুদ্ধে ভোট দিচ্ছেন। সংঘাতের যতগুলো কারণ আছে তার মধ্যে এটি একটি কারণ। তারা আওয়ামী লীগের বিদ্রোহীদের ওপর ভর করে নৌকা প্রার্থী ও তার সমর্থকদের ওপর চড়াও হচ্ছেন। মারপিট বাজাচ্ছেন। এটিই হচ্ছে মূল কারণ। 

কেন্দ্রের ব্যর্থতা ও নিহতদের পরিবারকে কোনো ধরণের প্রণোদনা দেওয়ার পরিকল্পনা আছে কিনা প্রশ্নে কামাল বলেন, হ্যাঁ, অবশ্যই কেন্দ্রের কিছু কিছু ব্যর্থতা তো আছেই। তা অস্বীকার করছি না। কিছু দায় দায়িত্ব আমাদের অবশ্যই ছিল। প্রণোদনার বিষয়ে বলতে চাই খোঁজ খবর নিয়ে অবশ্যই সবাইকে সাহায্য করা হবে। জননেত্রী শেখ হাসিনা তো মানবতার নেত্রী। উনার মতো অন্য কোনো নেতা তৃণমূলের খোঁজ রাখে না। প্রধানমন্ত্রী সবসময় তৃণমূলের সুখে-দুঃখে পাশে দাঁড়ান। উনি উনার অবস্থান থেকে পর্যাপ্ত সাহায্য সহযোগিতা করেন। শুধু দলীয় নয়, উনি সব দলের ও মতাদর্শের লোকদের বিপদে পাশে দাঁড়ান। সাহায্য সহযোগিতা করেন। বিভিন্ন সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব যারা আওয়ামী লীগ করে না, তাদেরকেও জননেত্রী শেখ হাসিনা সাহায্য করেছেন।


প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭