কিছুদিন আগে অর্থমন্ত্রী মোস্তফা কামাল সংসদে বলেছিলেন, অর্থ পাচারকারী কারা, তাদের নাম ঠিকানা তিনি জানেন না। কিন্তু দুর্নীতি দমন (দুদক) কমিশন অর্থ পাচারকারী ৪৩ জনের তালিকা তৈরি করেছে। সেই তালিকায় আব্দুল আওয়াল মিন্টুর পরিবারের সকল সদস্যের নাম আছে। এছাড়াও আরও ৪৩ জন ব্যক্তির তালিকা করা হয়েছে। তালিকাটি দুদক বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগে জমা দিবে।
প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে প্যারাডাইস পেপারসের বিষয়ে সংবাদ প্রকাশিত হয়। এ সংবাদের প্রথম পর্বে ১০ জন ও দ্বিতীয় পর্বে ১৯ জনসহ ২৯ জনের নাম পাওয়া যায়। তারা হলেন-মাল্টিমোড লিমিটেডের আবদুল আউয়াল মিন্টু, একই প্রতিষ্ঠানের নাসরিন ফাতেমা আউয়াল, তাবিথ আউয়াল, তাফসির আউয়াল, তাজওয়ার মো. আউয়াল, নিউইয়র্কের তাইরন পিআইএর মোগল ফরিদা ওয়াই, যুক্তরাষ্ট্রের শহিদ উল্লাহ, বনানীর চৌধুরী ফয়সাল, বারিধারার আহমেদ সামির, ব্রোমার অ্যান্ড পার্টনার্স অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট বাংলাদেশ লিমিটেড, ভেনাস ওভারসিস কোম্পানির মুসা বিন শমসের, বারিধারার ডায়নিক এনার্জির ফজলে এলাহী, ইন্ট্রিপিড গ্রুপের কেএইচ আসাদুল ইসলাম, খালেদা শিপিং কোম্পানির জুলফিকার আহমেদ, জেমিকো ট্রেড ইন্টারন্যাশনালের তাজুল ইসলাম তাজুল, বেঙ্গল শিপিং লাইন্সের মোহাম্মদ মালেক, সাউদার্ন আইস শিপিং কোম্পানির শাহনাজ হুদা রাজ্জাক, ওসান আইস শিপিং কোম্পানির ইমরান রহমান, শামস শিপিং কোম্পানির মোহাম্মদ এ আউয়াল, উত্তরার এরিক জনসন আনড্রেস উইলসন, ইন্ট্রিডিপ গ্রুপের ফারহান ইয়াকুবুর রহমান, জেমিকো ট্রেড ইন্টারন্যাশনালের তাজুল ইসলাম, পদ্মা টেক্সটাইলের আমানুল্লাহ চাগলা, নিউটেকনোলজি ইনভেস্টমেন্টের মোহাম্মদ আতিকুজ্জামান, মাল্টার মোহাম্মদ রেজাউল হক, জেমিকো ট্রেড ইন্টারন্যাশনালের মোহাম্মদ কামাল ভূঁইয়া, তুহিন-সুমন, সেলকন শিপিং কোম্পানির মাহতাবা রহমান, জেমিকো ট্রেড ইন্টারন্যাশনালের ফারুক পালওয়ান ও গ্লোবাল এডুকেশন সিস্টেমের মাহমুদ হোসাইন।
এর আগে ২৮ ফেব্রুয়ারি বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান দেশ থেকে পাচার করা টাকা সুইস ব্যাংকসহ বিদেশের বিভিন্ন ব্যাংকে কারা রেখেছেন এর তালিকা চান হাইকোর্ট। একইসঙ্গে পাচার হওয়া টাকা ফেরত আনতে কী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে, তাও জানতে চাওয়া হয়। দেশীয় ও আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমের তথ্য বিশ্লেষণ করে ও আইসিআইজের ওয়েবসাইটে বর্ণিত দেশভিত্তিক তালিকা পর্যালোচনা করে বাংলাদেশির ক্ষেত্রে প্রথম পর্বে ৪৩ ব্যক্তি ও ২টি প্রতিষ্ঠান এবং দ্বিতীয় পর্বে ১৮ ব্যক্তি ও ৫টি প্রতিষ্ঠানসহ ৬১ ব্যক্তি এবং ৭টি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্টতার তথ্য পাওয়া যায়।