চীন তার দেশের বাহিরে প্রথম সামরিক বাহিনীর ঘাটি স্থাপন করে আফ্রিকার দেশ জিবুতিতে। চীনের এই আগ্রাসী মনোভাব যেনো দিনকে দিন আরো বৃদ্ধি পাচ্ছে। এবার তারা আটলান্টিক মহাসাগরেরে উপকূলে আফ্রিকার ছোট্ট দেশ ইকোয়েটোরিয়াল গিনিতে নতুন আরেকটি সামরিক ঘাঁটি প্রতিষ্ঠা করতে যাচ্ছে। আর এ নিয়েই বেশ উদ্বিগ্ন হয়ে উঠেছে আমেরিকা।
চীন যদি ইকোয়েটোরিয়াল গিনিতে এই সামরিক ঘাঁটির প্রতিষ্ঠা করে তবে তা সত্যিই হোয়াইট হাউজ ও পেন্টাগনের জন্য বেশ বড় মাথা ব্যাথার কারণ হয়ে দাঁড়াবে। চীন যদি ইকোয়েটোরিয়াল গিনিতে এই সামরিক ঘাঁটির প্রতিষ্ঠা করে তাহলে চীনা যুদ্ধজাহাজ পুনঃঅস্ত্র গ্রহণ করতে সক্ষম হবে এবং সে সমস্ত অস্ত্র মার্কিন পূর্ব উপকূলের ঠিক বিপরীতে মোতায়েন হবে। এই ঘাঁটিতে চীনা যুদ্ধজাহাজ মেরামতের কাজ করার সুযোগ তৈরি হবে।
গত অক্টোবর মাসে মার্কিন প্রিন্সিপাল ডেপুটি ন্যাশনাল সিকিউরিটি অ্যাডভাইজার জন ফিনার ইকোয়েটোরিয়াল গিনি সফরে যান এবং দেশটির প্রেসিডেন্ট তিওদোরো ওবিয়াং এনগুয়েমা এমবাসোগোর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। সেসময় মার্কিন কর্মকর্তা চীনের ঘাঁটির পরিকল্পনা বাতিল করার আহ্বান জানান।
এর আগে, গত এপ্রিল মাসে মার্কিন সিনেটের শুনানিতে আমেরিকার সামরিক বাহিনীর আফ্রিকা বিষয়ক কমান্ডার জেনারেল স্টিফেন টাউনসেন্ড বলেছিলেন, আটলান্টিক উপকূলে চীনা ঘাঁটি প্রতিষ্ঠা সবচেয়ে বড় হুমকি।