ইনসাইড টক

‘ডা. মুরাদ ছাত্রদল করতো এতে কোন সন্দেহ নাই’


প্রকাশ: 07/12/2021


Thumbnail

‘এটা তো সত্য সে ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজে ছাত্রদল করতো এতে কোন সন্দেহ নাই। আমরাও জানি যে ছাত্রদল করতো। আমার অনেক জুনিয়র। আমরা পাশ করে আসার অনেক পরে তারা মেডিক্যালে আসে। আমরাও জানি, শুনেছি ছাত্রদল করতো। পরবর্তী সময়ে ছাত্রলীগে আসছে।’

সম্প্রতি বিতর্কিত মন্তব্যের কারণে আলোচিত-সমালোচিত সদ্য পদত্যাগ  ডা. মুরাদ হাসান সদ্য সহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বাংলা ইনসাইডার এর সঙ্গে একান্ত আলাপচারিতায় স্বাধীনতা চিকিৎসা পরিষদ (স্বাচিপ) এর মহাসচিব অধ্যাপক ডা. এম এ আজিজ এসব কথা বলেছেন। পাঠকদের জন্য অধ্যাপক ডা. এম এ আজিজ এর সাক্ষাৎকার নিয়েছেন বাংলা ইনসাইডার এর নিজস্ব প্রতিবেদক মাহমুদুল হাসান তুহিন।

প্রশ্ন: ডা. মুরাদ হাসান স্বাচিপের আজীবন সদস্য। বিবিসি বাংলার প্রতিবেদনেও তাই দেখা যায়। এই বিষয়ে স্বাধীনতা চিকিৎসা পরিষদ (স্বাচিপ) এর মহাসচিব হিসেবে আপনার বক্তব্য কি?

অধ্যাপক ডা. এম এ আজিজ: ডা. মুরাদ হাসান আমাদের স্বাচিপের প্রাথমিক সদস্য বলে আমার জানা নেই। বিবিসি বাংলাতেও দেখালো যে স্বাধীনতা চিকিৎসা পরিষদ (স্বাচিপ) এর কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য। আসলে মুরাদ হাসান স্বাচিপ এর কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য না, প্রাথমিক সদস্য না, স্বাচিপ এর রাজনীতিতে সে কোনদিন আসেও নাই, করেও নাই, কোন প্রোগ্রামেও যায়নি আমার জানা মতে। সে জামালপুরে লোকাল রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলো। পাশ করার পরে আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলো। স্বাচিপ, বিএমএ, ডাক্তারদের কোন সংগঠনের সাথে কোন সময়ই ছিলো না। আমরা জনার পর এই ব্যাপারে সংগঠনের পক্ষ থেকে প্রতিবাদ জানিয়ে প্রেস বিজ্ঞপ্তি দেই।



প্রশ্ন: আপনি ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজের শিক্ষার্থী ছিলেন। ডা. মুরাদ হাসানও একই কলেজের শিক্ষার্থী। তার ছাত্র রাজনীতির বিষয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন তিনি ছাত্রদল করতেন সেই সময়। এই বিষয়ে আপনার বক্তব্য কি?

অধ্যাপক ডা. এম এ আজিজ: মির্জা ফখরুল যা বলেছেন উনি হয়তো রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গিতে বলছে। এটা তো সত্য সে ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজে ছাত্রদল করতো এতে কোন সন্দেহ নাই। আমরাও জানি যে ছাত্রদল করতো। আমার অনেক জুনিয়র। আমরা পাশ করে আসার অনেক পরে তারা মেডিক্যালে আসে। আমরাও জানি, শুনেছি ছাত্রদল করতো। পরবর্তী সময়ে ছাত্রলীগে আসছে। কিন্তু তার পিতা আওয়ামী লীগের নেতা ছিলো জামালপুরে। কিন্তু সে ছাত্রদল করতো। ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর সে ছাত্রলীগে আসে। এটা কেন আসছে আমি জানিনা, তখন চলে আসে ছাত্রলীগে। এটা হলো তার ছাত্রজীবনের ইতিহাস।

প্রশ্ন: ডা. মুরাদ হাসানের ছাত্র রাজনীতির বিষয়ে আপনারা তো আগে থেকেই জানতেন। তখন এই বিষয়ে কেন কোন হয়নি?

অধ্যাপক ডা. এম এ আজিজ: কে কোন রাজনীতি করতো কিংবা করে, আমার দৃষ্টিকোণে সেটা ব্যাপার না। যে যেই রাজনৈতিক দলই করুক, তার শিষ্টাচার, সৌজন্যবোধ, নীতি-নৈতিকতা এগুলো গুরুত্বপূর্ণ। কে কোন দল করবে সেটা না। যে যেই দলই করুক। সে কতটুকু দায়িত্বশীল, দায়িত্ববোধ আছে সেটি গুরুত্বপূর্ণ। এখন সে যেই দলই করুক, দল থেকে যদি সে নীতি-নৈতিকতা বিরোধী কোন কাজ করে সেটা তো গ্রহণযোগ্য নয় কারো কাছে, সমাজের কাছেও গ্রহণযোগ্য নয়। তাই তার রাজনৈতিক দলের বিষয়ে আগে জানলে কি হতো কিংবা পরে জানলে কি হবে সেটা বিষয় না। বাংলাদেশের কালচারে তো দলবদল হয়ই। একজন একদল করে, আরেকজন আরেকদল করে, এটা তো হচ্ছেই। কিন্তু দল পরিবর্তন করলেই নীতি-নৈতিকতা না থাকলে তো একই পরিণতি হবে, এটাই তো বাস্তবতা। আমি যেটা বুঝি যে, ডা. মুরাদ হাসান বিভিন্ন কথাবার্তা বিগত সময় ধরে বলছে, এটা কোন দল, কোন সমাজ, কোন সরকার, কেউই এটা গ্রহণ করবে না। এটা কারও কাছেই গ্রহণযোগ্য না।


প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭