ইনসাইড বাংলাদেশ

সর্বোচ্চ সতর্কতায় দেশ


প্রকাশ: 08/12/2021


Thumbnail

বিজয় দিবস উপলক্ষে দেশকে সর্বোচ্চ সতর্কতায় নেয়া হচ্ছে। আগামী ১৬ই ডিসেম্বর বাংলাদেশের বিজয়ের ৫০ বছর পূর্তি। এ উপলক্ষে বড় ধরনের অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হচ্ছে। বিদেশি অতিথিরা দেশে আসবেন। ভারতের রাষ্ট্রপতির বাংলাদেশে আসার কথা রয়েছে। আর এই সব কিছু মিলিয়ে যেন আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির কোন অবনতি না হয়, সবকিছু যেন শান্তিপূর্ণভাবে এবং নিরাপদ, স্বাচ্ছন্দ্যভাবে হয় সে কারণেই সরকার নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা করছে। সাম্প্রতিক সময়ে বিভিন্ন ইস্যুতে রাজপথে আন্দোলন সংগ্রাম লক্ষ্য করা যাচ্ছে। এর প্রভাব যেন বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানে না পারে সেদিকেও খেয়াল রাখা হচ্ছে। গত মার্চে ছিল বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তি।  সেই অনুষ্ঠানে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বাংলাদেশ সফর করেছিলেন। নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরকে ঘিরে এক ধরনের উত্তেজনা তৈরি হয়েছিল। বিশেষ করে হেফাজতে ইসলাম সেই সময়ে নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরের বিরোধিতা করে দেশের বিভিন্ন স্থানে তাণ্ডব চালিয়েছিল। ঢাকা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, চট্টগ্রামে হেফাজতের তাণ্ডবে আমাদের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর উৎসব ম্লান হয়েছিল। এরকম পরিস্থিতি যেন এবার না হয় সেজন্য সরকার অত্যন্ত সতর্ক এবং এজন্য আইন প্রয়োগকারী সংস্থা দেশের সর্বোচ্চ সর্তকতা অবলম্বন করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন।

উল্লেখ্য যে, এবার ভারতের রাষ্ট্রপ্রধানকে নিয়ে হেফাজতের প্রকাশ্যে কোনো কর্মসূচি নেই। হেফাজতের শীর্ষ নেতাদের একের পর এক মৃত্যু এবং অন্য নেতাদের গ্রেপ্তার থাকার কারণে হেফাজতের পক্ষে এখন কোন আন্দোলন করার মতো বাস্তব  সক্ষমতা নেই। হেফাজতের না থাকলেও রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে এখন বাংলাদেশ অনেকটাই উত্তপ্ত। বিশেষ করে বেগম খালেদা জিয়ার উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশ যাওয়ার দাবিতে বিএনপি বিভিন্ন রকম কর্মসূচি পালন করছে। বিএনপিকে নেপথ্যে থেকে সহযোগিতা দিচ্ছে জামায়াত। জামায়াত সব সময় বাংলাদেশের স্বাধীনতা এবং সার্বভৌমত্ব বিরোধী শক্তি হিসেবে কাজ করে। কাজেই বাংলাদেশের বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানকে কলুষিত করা বা কলঙ্কিত করার জন্য জামায়াত সব কিছুই করতে পারে। এই কারণেই জামায়াত বিএনপির কাঁধে ভর করে বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানের সময় কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি তৈরি করতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।  আর সেই জন্যই সরকার এ ব্যাপারে সতর্ক। 

জামায়াত ছাড়াও নিরাপদ সড়ক আন্দোলনের নামে কিছু আন্দোলন এখন লক্ষণীয়। পরিবহন মালিকরা অর্ধেক ভাড়ার দাবি মেনে নেওয়ার পরও এখন পর্যন্ত ছাত্রদের আন্দোলন পুরোপুরি ভাবে বন্ধ হয়নি বরং কোথাও কোথাও ছাত্ররা এখনও নানা রকম বিক্ষোভ করছে।  এটি যেন কোনোভাবেই বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানের সময় না হয় সে ব্যাপারে সরকার তৎপর।  তাছাড়া সুযোগসন্ধানীরা এরকম ইস্যুতে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করতে পারে। সে সমস্ত কর্মসূচি গুলো যেন না হয় বিজয় দিবস অনুষ্ঠান যেন শান্তিপূর্ণ হয় এটি সরকারের প্রধান লক্ষ্য। এ জন্য সারাদেশে নিরাপত্তা জোরদার করা হবে বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন ।


প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭