সদ্য প্রতিমন্ত্রীর পদ ছাড়া বহুল আলোচিত ডা. মুরাদ হাসান সবার চোখ ফাঁকি দিয়ে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের অভ্যন্তরীণ টার্মিনালের সাধারণ যাত্রীদের গেট দিয়ে বের হয়ে গেছেন। তবে কানাডায় ঢুকতে ব্যর্থ মুরাদ ঘুরেফিরে দেশে ফিরলেও ধানমন্ডির নিজ বাসায় যাননি। গতকাল পর্যন্ত তিনি রাজধানীর ধানমন্ডির বাসায় স্ত্রী-সন্তানদের কাছে ফেরেননি বলে জানা গেছে।
ঢাকায় মুরাদের তিনটি বাসার তথ্য নিশ্চিত হওয়া গেছে। এর একটি রাজধানীর শান্তিনগরে, একটি ধানমন্ডিতে এবং অপরটি প্রতিমন্ত্রী হিসেবে পাওয়া মিন্টো রোডে।
তবে প্রতিমন্ত্রীর পদ ছাড়ার কারণে মুরাদ মিন্টো রোডের বাসার অধিকার ইতোমধ্যে হারিয়েছেন। সরকারি বরাদ্দের ওই বাসায় তিনি প্রতিমন্ত্রী থাকার সময়েও খুব একটা যাননি। শান্তিনগরের বাসাতেও তার নেই তেমন যাতায়াত।
দেশ ছাড়ার দুদিন পর রোববার বিকেল ৪টা ৫৫ মিনিটে ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে মুরাদ হাসানকে বহনকারী ফ্লাইটটি অবতরণ করে। দুবাই থেকে এমিরেটস এয়ারলাইনসের ইকে-৫৮৬ ফ্লাইটে তিনি ঢাকায় ফেরেন। এরপর প্রায় দেড় ঘণ্টারও বেশি সময় ইমিগ্রেশন কার্যালয়ে থাকার পর বিমানবন্দর ত্যাগ করেন সম্প্রতি নারীবিদ্বেষী বক্তব্য দিয়ে ব্যাপকভাবে আলোচনায় আসা ডা. মুরাদ।
স্বাভাবিকভাবে সংসদ সদস্য হিসেবে বিমানবন্দরের ভিআইপি টার্মিনাল দিয়ে বের হওয়ার কথা থাকলে গণমাধ্যমের নজর এড়াতে এদিন বিমানবন্দরের অভ্যন্তরীণ টার্মিনাল দিয়ে সাধারণ যাত্রীদের কাতারে বের হন মুরাদ। পরে ঢাকা মেট্রো-গ-৪৩-৩১০৮ নম্বরের একটি গাড়িতে করে বিমানবন্দর ত্যাগ করেন।
ডা. মুরাদ তার নির্বাচনী এলাকা জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে যাচ্ছেন কি না- সে ব্যাপারেও এখনো কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।