ইনসাইড থট

গণতন্ত্র, বাকস্বাধীনতা এবং মানবাধিকার- এ নিয়ে কথা বলার অধিকার কার আছে?


প্রকাশ: 14/12/2021


Thumbnail

(প্রথম পর্ব)

বিশ্বের মধ্যে, আমি উত্তর কোরিয়া, মায়ানমার, ইসরাইল, সৌদি আরব, পাপুয়া নিউগিনি, চিলি সহ ৬টি মহাদেশের ১০৫টি দেশে ভ্রমণ, কাজ করতে এবং মানুষের সাথে মিশতে অনন্য সুযোগ পেয়েছি। সে সব দেশে গণতন্ত্র, বাকস্বাধীনতা দেখেছি আর মানবাধিকার পর্যবেক্ষণ করেছি। অনেক দেশের রাজপুত্র, রাজকন্যা, রানী, ফার্স্ট লেডিস, প্রেসিডেন্ট, প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রী, পরাশক্তির দেশের রাষ্ট্রদূত, পার্লামেন্টারিয়ান এবং সিনেটের সদস্য, রাজনৈতিক নেতা, এনজিও এবং সুশীল সমাজের সাথে আমার দেখা করার এবং কথা বলার সুযোগ হয়েছিল। এই মাসে আমরা জঘন্য পাকিস্তানি সেনাবাহিনী এবং পারমাণবিক চালিত সপ্তম নৌবহরের বিরুদ্ধে আমাদের গৌরবময় লড়াই এবং সংগ্রামকে স্মরণ করতে এবং আমাদের গৌরবময় স্বাধীনতার ৫০ বছর উদযাপন করতে প্রস্তুত হচ্ছি এবং আমরা দারুন গর্বিত। গত ৫০ বছর, বিশেষ করে ২০০৯ সাল থেকে, আমাদের আর্থ-সামাজিক মানব উন্নয়নের অর্জনগুলি তাৎপর্যপূর্ণ যা নিয়ে আমরা সবাই খুব গর্বিত হতে পারি। হ্যাঁ, আমাদের গণতন্ত্র হয়ত সম্পুর্ণ নিখুঁত নাও হতে পারে, কিছু লোকের মানবাধিকার হয়ত লঙ্ঘন করা হচ্ছে এবং অনেকে হয়ত বলবেন তাদের বাঁক সাধীনতা নেই এমনকি তাদের সহিংসতা উস্কে দেওয়ার মতো কিছু বলার স্বাধীনতা নেই, তবুও আমি গর্বিত এবং মাথা উঁচু করে উচ্চস্বরে বলতে পারি, সমস্ত অর্জন এবং ত্রুটি সহ আমরা বাঙালি আর বাংলাদেশী। আজ আর কেউ বলতে সাহস পাবে না আমরা “তলাবিহীন ঝুড়ির” জাতি।

অনেক বাংলাদেশি (যাদের আমি বাঙালি পাকিস্তানি বলতে চাই) আমাদের স্বাধীনতার বিরুদ্ধে ছিল এবং আমাদের শত্রুদের সাথে গণহত্যা সংঘটনে একসাথে কাজ করেছিল। আমি আন্তরিকভাবে কিন্তু নির্বোধভাবে ভেবেছিলাম ৫০ বছর পরে, তারা আমাদের স্বাধীনতা উপলব্ধি করবে এবং আমাদের অগ্রগতিতে খুশি হবে এবং বাঙালি এবং বাংলাদেশী হিসাবে গর্বিত হবে। হায়, না, তারা এখনও আমাদের স্বাধীনতাকে মেনে নেয়নি এবং এখনও আমাদের অগ্রগতিকে ক্ষুণ্ন করতে এবং থামানোর জন্য যে কোনও উপায়ে, তা যতই জঘন্য হোক না কেন কোনো, সেই প্রচেষ্টা গ্রহন করতে দ্বিধা করছে না। তারা এখনও আমাদের বলছে পরাজিত শক্তির আর সপ্তম নৌবহরের ক্ষমতার কাছে নতজানু হয়ে দাসের মতো তাদের আদেশ এবং তারা আমাদের যা করতে বলছে তা অনুসরণ করতে। এটা আমাকে কষ্ট দেয় যখন আমি দেখি, আমাদের গণতন্ত্রকে নিখুঁত করার জন্য, মানবাধিকার সমুন্নত রাখা নিশ্চিত করা জন্য এবং আমাদের বাকস্বাধীনতা অর্জন করার জন্য লড়াই করার পরিবর্তে, কেউ কেউ আমাদের সার্বভৌমত্বের বিরুদ্ধে হস্তক্ষেপ করার জন্য এবং নেতিবাচকভাবে আমাদের অগ্রগতি প্রভাবিত করতে ভিক্ষার থালা নিয়ে ভিখারির মতো নির্লজ্জভাবে বিভিন্ন দেশের দূতাবাসে বা তাদের রাজধানীতে ছুটে যাচ্ছে। যখন সেই দেশগুলো আর পরাজিত শক্তি আমাদের সার্বভৌমত্বে হস্তক্ষেপ করে এবং আমাদের হুমকি দেয় তখন সেই নির্লজ্জ ভিখারির দল খুব খুশি হয়।

বাংলাদেশে গণতন্ত্র, বাকস্বাধীনতা এবং মানবাধিকার নিয়ে কথা বলার আগে আসুন কথা বলি স্বাধীনতার ৫০ বছরের ইতিহাসে আমরা কি দেখলাম। আমাদের জাতির পিতা যখন বিধ্বস্ত জাতিকে পুনর্গঠনের আর তার জনগণের ক্ষুধা থেকে জীবন বাঁচাতে নিদ্রাহীনভাবে চেষ্টা করছিলেন, তখন সপ্তম নৌবহরের দেশের সরকার নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিল কারণ জাতীর পিতা কিউবার কাছে পাট বিক্রি করেছিলেন বলে। দেশের জন্য সবচেয়ে ভাল কি তা চয়ন করতে, গণতন্ত্র, পছন্দের স্বাধীনতা, বাণিজ্যের স্বাধীনতা, দেশের স্বাধীনতা বাঁচাতে সম্প্রতি বিধ্বস্ত স্বাধীন দেশ বাংলাদেশের অনেক মানুষ নিষেধাজ্ঞা আরোপের কারনে সেই সময় মারা গিয়েছিল। ১৯৭৫ সালে, জাতির পিতাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছিল, তার স্ত্রী, তার ছেলেদের এমনকি তার ছোট বাচ্চা, তার গর্ভবতী পুত্রবধূকেও নির্মম ভাবে হত্যা করা হয়েছিল। সেই সেনা জেনারেল যিনি সক্রিয়ভাবে জড়িত ছিলেন এবং এই হত্যাকাণ্ডকে সমর্থন করেছিলেন, সে হত্যাকারীদের পুরস্কৃত করেন, - সেদিন জাতির পিতা এবং তার পরিবারের মৃত্যুর সাথে সাথে গণতন্ত্র, মানবাধিকার এবং বাক স্বাধীনতা - সামগ্রিকভাবে আমাদের সংবিধান যা আমাদের সেই অধিকার এবং স্বাধীনতা প্রদান করেছিল, সেই সব স্বাধীনতাকে হত্যা করা হয়। সেই সেনা জেনারেল, স্বৈরশাসক অগণতান্ত্রিক “হ্যাঁ বা না” ভোটে নিরঙ্কুশ ক্ষমতা গ্রহণ করে - তখন গণতন্ত্রকে সমাহিত করা হয়। শত শত নিরপরাধ সেনা অফিসারকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে হত্যা করে সেই বর্বর সেনা জেনারেল, মানবাধিকার লঙ্ঘন করে। এরপর তাকে হত্যা করে আরেক সেনা স্বৈরশাসক ক্ষমতা দখল করেন। তিনি সামরিক শাসন জারি করে এবং সংবিধান স্থগিত করে সেনাবাহিনীর প্রধান হিসেবে ক্ষমতা দখল করেন। তিনি ১৯৮৩ সালে নিজেকে রাষ্ট্রপতি ঘোষণা করেন। পরবর্তীকালে বিতর্কিত ১৯৮৬ সালের বাংলাদেশী রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে জয়লাভ করেন। আবার গণতন্ত্র, মানবাধিকার ও বাকস্বাধীনতাকে জানালা দিয়ে ছুড়ে ফেলে দেওয়া হয়। এরপর আসেন তথাকথিত গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী। তিনি যারা পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর সঙ্গে সহযোগিতা করেছে, গণহত্যায় অংশ নিয়েছে তাদের মন্ত্রী হিসেবে বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলনের অনুমতি দেন। তখন আমরা শুধু স্বাধীনতার আকাঙ্ক্ষা এবং বাকস্বাধীনতাই হারাইনি, সেই সঙ্গে সেই অপরাধীদের বিরুদ্ধে লড়াই করার অধিকারও হারাই। তারপর গণতন্ত্রের নামে তার নেতৃত্বে ১৯৯৬-২০০১ সালের তৎকালীন সরকারের গৃহীত সমস্ত উন্নয়ন পদক্ষেপগুলি বাতিল করা হয়। ক্ষমতা ধরে রাখতে তথাকথিত নির্বাচন পরিচালনা করা হয়। বিরোধীদের হত্যা ও স্তব্ধ করার জন্য গ্রেনেড নিক্ষেপ করে, বাক স্বাধীনতা, গণতন্ত্র, মানবাধিকারকে গলাচিপে মারার চেষ্টা করা হয়। তারপর এলো পর্দার অন্তরালে সেনাদের নির্দেশে চালিত তথাকথিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার। ২০০৬-২০০৮ সালের সেই তথাকথিত সুশীল সমাজের অনির্বাচিত সদস্যরা গণতন্ত্র, মানব অধিকার, বাকস্বাধীনতা সব ভুলে উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা বা রাষ্ট্রদূত হয়ে ক্ষমতা দখল করতে থাকে। ২৮ বছরের গণতন্ত্র, মানবাধিকার এবং বাক স্বাধীনতার সেই শূন্যতার মধ্যে, ২০০৯ সাল থেকে, নতুন সরকার ক্ষমতায় আসে এবং গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করার জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা শুরু করে, কণ্ঠহীনদের (বিশেষ করে নারীদের) কণ্ঠস্বর প্রদান করে এবং ধনী বা গরিব সকল ধর্মের মানবাধিকার সমুন্নত রাখার উদ্দোগ গ্রহন করে। গণতন্ত্র ধ্বংস, মানবাধিকারের অপব্যবহার এবং বাকস্বাধীনতা খর্ব করার ২৮ বছরের প্রচেষ্টা রাতারাতি সংশোধন করা যায় না – তবে কোনো আপস ছাড়াই তা করতে হবে। হ্যাঁ, এখনও অনেক কিছু করা দরকার, অনেক কিছু সংশোধন করা দরকার। আমাদের সজাগ থাকতে হবে এবং যেকোনো অপব্যবহারের বিরুদ্ধে আমাদের সোচ্চার হতে হবে, তবে আমাদের এটি একটি গর্বিত জাতি হিসাবে করা উচিত, একটি গর্বিত, আত্মসম্মানিত নাগরিক হিসাবে করতে হবে। আমাদের সার্বভৌমত্ব এবং আত্মসম্মান বিসর্জন দিয়ে নয়। আমাদের নিজেদের জন্য, নিজেদের লড়াই করা উচিত এবং বহিরাগতদের দ্বারা নির্দেশিত বা হস্তক্ষেপে নয়। কখনই ভুলবোন না আমরা একটি গর্বিত জাতি হিসাবে আমাদের আত্মসম্মান বজায় রেখে বাঁচতে চাই।

কিছু লোককে বলতে শুনি বাংলাদেশে নাকি বাকস্বাধীনতা নেই। আমরা কি জানি বাংলাদেশে বর্তমানে কত সংবাদপত্র, টিভি স্টেশন, ই-পেপার এবং সোশ্যাল মিডিয়া আউটলেট রয়েছে? দিনে দিনে এটি বন্য মাশরুমের মতো বেড়ে উঠছে। প্রতি রাতে কত টিভি টক শো প্রচারিত হয়, যেখানে সরকারকে সাক্ষীর কাঠগরায় দাঁড় করানো হয় এবং আত্মপক্ষ সমর্থন করতে বলা হয়? টিভি টকশো প্রোগ্রামে কেউ কেউ তাদের মতামত শুরু করেন বাংলাদেশে কোন বাকস্বাধীনতা নেই বলে এরপর শীঘ্রই একই ব্যক্তি বলতে শুরু করে, কখনও বাজে ভাষায়, সরকার এমনকি প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে। আমি তাদের জেলে যেতে দেখিনি কিন্তু তাদের রাতের পর রাত টিভি টক শোতে অংশ নিতে দেখেছি। সংবাদপত্রের মতামত বিভাগে, সাংবাদিক বা সম্পাদকরা কোনো সীমাবদ্ধতা ছাড়াই লিখছেন এবং তাদের আওয়াজ তুলছেন। সেদিন আমি পড়লাম প্রথম আলো সংবাদপত্রে “সবখানে নৈরাজ্য, রাস্তা তারই প্রতিচ্ছবি”। জনাব আনিসুল হক লিখেছেন “দেশের সর্বত্র যেমন নৈরাজ্য, বিশৃঙ্খলা, নীতিহীনতা, নিরাপত্তাহীনতা, অনিশ্চয়তা; সড়ক-মহাসড়ক, গলি-রাজপথেও তারই প্রতিচ্ছবি। যানজট তো আছেই। রাস্তাগুলো ভাঙাচোরা। কোথাও কোথাও ভয়াবহ খানাখন্দক। ……..”। তার পুরো নিবন্ধটি সম্পূর্ণরূপে পূর্ণ ছিল সরকারের ইচ্ছাকৃত অক্ষমতা এবং অপকর্মের অভিযোগের কথা, যেন উনার ইতিবাচক কোন কিছুই বলার ছিল না। ভদ্রলোক কি এখন জেলে? সদ্য নুতন দলের নেতা হওয়া ছাত্রনেতা নুর ফেসবুক লাইভে বলেন, “কোন মুসলমান আওয়ামী লীগকে সমর্থন করতে পারে না। যারা আওয়ামী লীগকে সমর্থন করে তারা ভন্ড মুসলমান। তারা ঘুষ নেয়, চাঁদাবাজি, মাদক পাচার এবং টেন্ডারবাজি করে এবং নিজেদেরকে মুসলমান বলে দাবি করে,”। সে কি জেলে আছে? বিএনপির আলাল সাহেব প্রধানমন্ত্রীকে লক্ষ্য করে বললেন ‘প্রধানমন্ত্রী এখন কপালে তিলক চন্দন দেয়। আর মোদির সঙ্গে গিয়ে ফষ্টিনষ্টি করে। এইতো চলছে“। প্রথম আলোতে লেখা পড়লাম আসিফ নজরুল লিখেছেন “বাংলাদেশ কোনো আইনের শাসন থাকলে এ নিয়ে বিন্দুমাত্র সংশয় থাকার কথা ছিল না। আমাদের এখানে যে এই দুর্ভাগ্যজনক সংশয় রয়েছে, তা অস্বীকার করার উপায় নেই। মুরাদ হাসানের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে, কিন্তু এর ভিত্তিতে মামলা হবে কি না, তা এখনো স্পষ্ট নয়। তা ছাড়া তিনি বিদেশে চলে গেলে মামলার তদন্ত বিঘ্নিত হতে পারে”। ওনার সবাইকি এখন জেলে? সরকার কি সব ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম বা সোশ্যাল মিডিয়া বন্ধ করে দিয়েছে, যখন অনেকেই মিথ্যা প্রচার করছে, সরকার ও প্রধানমন্ত্রীকে অভিযুক্ত করে অত্যন্ত অশ্লীল ভাষা ব্যবহার করছে। বাক স্বাধীনতা মানে সহিংসতা, বাস পোড়ানো, মানুষ হত্যা বা মিথ্যা প্রচার করা নয়। একজন ব্যক্তির স্বাধীনতা নামে অন্যের স্বাধীনতা বা মানব অধিকার কেড়ে নেওয়া উচিত নয়।

আমরা কি জানি যে ১১/৯ -এর পর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সহ অনেক পশ্চিমা দেশ কঠোর আইন পাস করেছে – সন্ত্রাসের নামে যে কোনও ব্যক্তি কোনও তথ্য বা আইনী অধিকার ছাড়াই যে কোনও সময় যে কোনও সময়ের জন্য আটক করতে পারে বা করেছে। এর কোন পরিসংখ্যান পাওয়া যায় না বা জিজ্ঞাসা করা যায় না। আমরা কি জানি গুয়ান্তানামো বে কারাগারে এখনও কত মানুষ অমানবিক অবস্থায় জীবন যাপন করছেন? ইরাকের আবু গারিব কারাগারে বা আফগানিস্তানের কারাগারে কত মানুষ নির্যাতনের শিকার হয়েছে? আমরা উপস্থাপনা (rendition) সম্পর্কে জানি? নতুন এবং আরো ধ্বংসাত্মক অস্ত্র দিয়ে ইরাক, আফগানিস্তান, সিরিয়া, লিবিয়ার ধ্বংস আর সে সব দেশে শত শত এবং হাজার হাজার নিরীহ মানুষের হত্যার (তথাকথিত সমান্তরাল ক্ষতি) কথা আমরা কি ভুলে গেছি? এখনও ড্রোন দিয়ে নারী-শিশুসহ হাজার হাজার নিরীহ মানুষকে হত্যা করছে- সন্ত্রাসকে পরাজিত, গণতন্ত্র ও মানবাধিকার পুনরুদ্ধারের নামে? তারাই সিদ্ধান্তকারী কে খারাপ, কে ভালো, তারাই বিচারক এবং জল্লাদ – কারও কিছু বলার বা প্রতিবাদ করার কোন সাহস বা অধিকার নেই। আমি বলছি না কারণ তারা এটা করছে, তাই আমাদেরও অধিকার আছে মানবাধিকারের অপব্যবহার, গণতন্ত্র ধ্বংস করা বা বাক স্বাধীনতা খর্ব করার। আমি বলার চেষ্টা করছি, তাদের কী নৈতিক কর্তৃত্ব আছে আমাদের দেশের গণতন্ত্র, বাকস্বাধীনতা এবং মানবাধিকার নিয়ে কথা বলার বা আমাদের শাস্তি দেওয়ার?

(চলবে দ্বিতীয় পর্বে)


প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭