ইনসাইড টক

‘এখন তো বুদ্ধিজীবী কম, দলজীবী বেশি’


প্রকাশ: 15/12/2021


Thumbnail

সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সাধারণ সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার বলেন, স্বাধীনতা যুদ্ধের শেষ পর্যায়ে এসে পাকিস্তান বাহিনী যখন বুঝতে শুরু করে যে তাদের পক্ষে যুদ্ধে জেতা সম্ভব না, তখন তারা এ অঞ্চলকে সাংস্কৃতিক, সামাজিক ও শিক্ষাগত দিক থেকে দুর্বল এবং পঙ্গু করে দেয়ার জন্য পরিকল্পনা করতে থাকে। পরিকল্পনা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ১৪ ডিসেম্বর রাতে পাকিস্তানি বাহিনী তাদের দেশীয় দোসর রাজাকার, আলবদর ও আল শামস বাহিনীর সহায়তায় দেশের শ্রেষ্ঠ সন্তানদের নিজ নিজ গৃহ হতে তুলে এনে নির্মম নির্যাতনের পর হত্যা করে বুদ্ধিজীবীদের।

বুদ্ধিজীবী হত্যাকাণ্ড, বর্তমান বুদ্ধিবৃত্তিক চর্চাসহ বিভিন্ন বিষয়ে ড. বদিউল আলম মজুমদার বাংলা ইনসাইডারের সঙ্গে একান্ত আলাপচারিতায় বিভিন্ন বিষয় তুলে ধরেন। পাঠকদের জন্য ড. বদিউল আলম মজুমদার এর সাক্ষাৎকার নিয়েছেন বাংলা ইনসাইডার এর নিজস্ব প্রতিবেদক অলিউল ইসলাম।

বদিউল আলম মজুমদার বলেন, দেশ স্বাধীন হওয়ার পর তাদের ক্ষত-বিক্ষত ও বিকৃত লাশ রায়ের বাজার এবং মিরপুর বধ্যভূমিতে পাওয়া যায়। অনেকের লাশ শনাক্তও করা যায়নি, পাওয়াও যায়নি বহু লাশ। এই ক্ষত কখনোই শুকানোর নয়। এই পরিকল্পিত গণহত্যাটি বাংলাদেশের ইতিহাসে বুদ্ধিজীবী হত্যাকাণ্ড নামে পরিচিত। ১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বর শহীদ হওয়া বুদ্ধিজীবীদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি।

তিনি আরও বলেন, দেশে এখন শুভ বুদ্ধির যে আকাল চলছে, তার শুরু ১৪ ডিসেম্বর থেকে। ওখান থেকে নামতে নামতে আজকের অবস্থানে চলে এসেছি। এখন তো বুদ্ধিজীবী কম, দলজীবী বেশি। দলীয় বৃত্তির বাহিরে এসে সত্যকে সত্য বলা, নির্ভয়ে বলা, জনমত তৈরি করার মতো বিষয়গুলো এখনকার বুদ্ধিজীবীর মধ্যে অনুপস্থিত। অথচ পাকিস্তান আমলেও আমাদের অসংখ্য বুদ্ধিজীবী ছিল। তারা কথা বলতেন। মানুষের পাশে দাঁড়াতেন। মানুষের পক্ষে শাসদের বিরুদ্ধে বুদ্ধিবৃত্তিক লড়াই করতেন। আর এখন! এখনকার বুদ্ধিজীবীরা ক্ষমতাকে প্রশ্নের বদলে তোষণে ব্যতিব্যস্ত।

সুজন সম্পাদক বলেন, আমি বঙ্গবন্ধুর সংস্পর্শ পেয়েছিলাম। বঙ্গবন্ধু আজীবন মানুষের জন্য সংগ্রাম করে গেছেন। পাকিস্তান আমলে অধিকাংশ সময়ই কারাগারে কাটিয়েছেন। কিন্তু আদর্শ থেকে সড়ে যাননি। মানুষের কথা ভোলেননি। এমনকি বাংলাদেশ আমলে ওনার বক্তব্যগুলো ‍যদি শোনেন, তাহলে দেখবেন তিনি দুর্নীতির বিরুদ্ধে বলছেন। দলীয় নেতাদের হুশিয়ারি দিচ্ছেন। সবাইকে একত্রে কাজ করার আহ্বান জানাচ্ছেন। কিন্তু এখনকার নেতাকর্মীরা খুব একটা পড়াশোনাও করে না। জনগণের থেকে  দলকে প্রাধান্য দেয় বেশি। আবার দল থেকেও নিজেকে বেশি প্রাধ্যন্য দেয়। কিন্তু এটা হওয়ার কথা ছিল উল্টো। নিজের থেকে দল বড়, দল থেকেও দেশ- আগে এটাই ছিল নীতি। বুদ্ধিজীবীসহ সবাইকে দেশের তরে ব্যক্তিগত স্বার্থ পরিহার করা উচিত।


প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭