কালার ইনসাইড

দেশ স্বাধীন হলেও অধিকাংশ মানুষের চিন্তা ভাবনা স্বাধীন হয়নি: জাহারা মিতু


প্রকাশ: 16/12/2021


Thumbnail

আজ বৃহস্পতিবার (১৬ ডিসেম্বর) মহান বিজয় দিবস। এ বছর দিনটিতে বাঙালি জাতি বিজয়ের ৫০ বছর পূর্ণ করেছে। বিজয় দিবস বাঙালি জাতির আত্মগৌরবের একটি দিন। 

স্বাধীনতার পঞ্চাশ বছর পূর্তিতে দেশের নাগরিকরা প্রত্যাশা করছেন এক ভিন্ন বাংলাদেশের। অন্যান্যদের মতো স্বাধীনতার এই সুবর্ণজয়ন্তীতে দেশের শোবিজ তারকাও নিজেরদের প্রত্যাশার কথা জানাচ্ছেন। সেই কাতারে আছেন মডেল, উপস্থাপক ও ঢাকাই চলচ্চিত্রের নবাগতা নায়িকা জাহারা মিতু। 

বাংলা ইনসাইডারের সাথে কথা হলে জাহারা মিতু স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে নিজের প্রত্যাশা নিয়ে বলেন, দেশ স্বাধীন হয়েছে, তবে এখনো অধিকাংশ মানুষের চিন্তা ভাবনা স্বাধীন হয়নি। উন্নয়নের পথে প্রতিদিন এগিয়ে চললেও এখনো শতভাগ মানুষের বাসস্থান নিশ্চিত হয়নি, এখনো শতভাগ শিক্ষার হার নিশ্চিত হয়নি, এখনো শতভাগ শিশুর সুন্দর শৈশব নিশ্চিত হয়নি। অমানুষের রূপে এখনো কিছু মানুষ অন্যায় আর অপকর্মে লিপ্ত। চাই শুধুমাত্র প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা নয়, স্ব-শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে উঠুক প্রতিটি মানুষ, বিবেকহীন মানুষদের বিবেক জাগ্রত হোক। শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের যে আত্মত্যাগ তা মাথায় এবং মনে রেখে দেশপ্রেমকে ধারণ করতে পারুক সবাই। দেশ ও দশের প্রতি যেনো প্রতিটি মানুষ নিজ নিজ দায়িত্ব বুঝে নেয় এবং সুন্দর-পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন এক বাংলাদেশ গড়ে তুলি সবাই মিলে।

১৯৭১ সালের এই দিনে দীর্ঘ ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধে চূড়ান্ত বিজয় অর্জনের মধ্য দিয়ে বিশ্ব মানচিত্রে অভ্যুদয় ঘটে স্বাধীন ও সার্বভৌম হানাদার মুক্ত বাংলাদেশ রাষ্ট্রের। ৩০ লাখ শহীদের আত্মদান আর দুই লাখ মা-বোনের ত্যাগ আর তিতিক্ষা এবং কোটি বাঙালির আত্মনিবেদন ও গৌরবগাঁথা গণবীরত্বে পরাধীনতার অভিশাপ থেকে মুক্তি পায় বাঙালি জাতি।

বাঙালির অবিসংবাদিত নেতা ইতিহাসের মহানায়ক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দীর্ঘ আন্দোলন-সংগ্রামের মধ্য দিয়ে বাঙালি জাতিকে মুক্তির আকাঙ্ক্ষায় উজ্জীবিত করে স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধের পথে এগিয়ে নিয়ে যান। ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ ঐতিহাসিক ভাষণে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মুক্তিযুদ্ধের চূড়ান্ত প্রস্তুতি নেওয়ার নির্দেশ দেন। ২৫ মার্চ পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী বাঙালিদের হত্যাযজ্ঞে মেতে উঠলে ২৬ মার্চের প্রথম প্রহরে বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতার ঘোষণা দেন এবং শুরু হয় মহান মুক্তিযুদ্ধ। বঙ্গবন্ধুর ডাকে সারা দিয়ে সর্বস্তরের বাঙালি মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েন। মহান মুক্তিযুদ্ধে বাংলাদেশের মানুষের পাশে সার্বিক সহযোগিতা দিয়ে এগিয়ে আসে প্রতিবেশী দেশ ভারত। সরাসরি যুদ্ধে অংশগ্রহণ এবং কোটি বাঙালিকে আশ্রয় দিয়ে ভারত সাহায্যের হাত বাড়িযে দেয়। ওই সময় পরাশক্তি সোভিয়েত ইউনিয়নও বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সমর্থন দিয়ে সরাসরি পক্ষ নেয়।

দীর্ঘ ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তানি সামরিক বাহিনী পরাজয় মেনে নিতে বাধ্য হয়। ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর ঢাকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে (তৎকালীন রেসকোর্স ময়দান) হানাদার পাকিস্তানি বাহিনী যৌথবাহিনীর কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে আত্মসমর্পণ করে এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে পৃথিবীর বুকে বাংলাদেশ নামে নতুন রাষ্ট্রের অভ্যুদয় ঘটে।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ও বিজয়ের সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন উপলক্ষে জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় ‘মহাবিজয়ের মহানায়ক’ প্রতিপাদ্যে আজ থেকে দুই দিনব্যাপী বিশেষ অনুষ্ঠানমালার আয়োজন করা হয়েছে। মুজিববর্ষ উদযাপন জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটি এ আয়োজন করেছে।


প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭