ইংল্যান্ডের পরাজয়টা যেন ছিল সুনিশ্চিতই। আর হলোও সেটিই। জশ বাটলার কিছুটা প্রতিরোধ গড়ে তুললেও সেটি যথেষ্ট ছিল না হার এড়ানোর জন্য। শেষদিনে দিবা-রাত্রির টেস্টটি জয়ের জন্য ইংল্যান্ডের করতে হতো ৩৮৬ রান। হাতে ছিল চার উইকেট। চা বিরতির পর পর্যন্ত খেললেও ইংল্যান্ড শেষ অবধি অলআউট হয়ে গেছে ১৯২ রানে। ২৭৫ রানের বড় ব্যবধানের জয়ে সিরিজে ২-০তে এগিয়ে গেছে অস্ট্রেলিয়া।
৪ উইকেটে ৮২ রানে সোমবার (২০ ডিসেম্বর) মাঠে নামে ইংল্যান্ড। নতুন ব্যাটসম্যান ওলি পোপকে (৪) হারায় তারা আর চার রান স্কোরবোর্ডে যোগ করে। একশ ছাড়ানোর পর বেন স্টোকস (১২) নাথান লিয়নের কাছে এলবিডাব্লিউ।
১০৫ রানে ৬ উইকেট নেই। বাকি চার উইকেট হাতে নিয়ে ইংল্যান্ড ঘুরে দাঁড়ানোর শেষ চেষ্টা করেছিল, যার কারিগর বাটলার ও ওকস। ৬১ রানের এই জুটি ভেঙে স্বস্তি ফেরান ঝাই রিচার্ডসন। ৪৪ রান করে বোল্ড ওকস। বাটলার একপ্রান্ত আগলে রাখলেও বিদায় নেন ওলি রবিনসন (৮)।
ইংল্যান্ডের ৮ উইকেট পড়ায় দ্বিতীয় সেশন আরো ১৫ মিনিট বাড়ানো হয়। স্টুয়ার্ট ব্রডকে নিয়ে বাটলার সময়টুকু পার করে দেন। তৃতীয় সেশনের শুরুতেই এই জুটির করুণ সমাপ্তি হয় বাটলারের হিট উইকেটে। ২০৭ বলে দুটি চারে ২৬ রান করেন তিনি। ব্যাকফুটে খেলতে গিয়ে তার গোড়ালি স্টাম্পে আঘাত করে। ৪৬ বলে ৪ রানের আশা জাগানিয়া জুটি ভাঙে।
ম্যাচ বাঁচাতে ২৪ ওভার পার করতে হতো ব্রড ও জেমস অ্যান্ডারসনের ১১তম জুটিকে। এত বড় ও কঠিন দায়িত্ব তারা নিতে পারেননি। ৩.১ ওভার পর থামে তাদের জুটি। অ্যান্ডারসনকে (২) ক্যামেরন গ্রিনের ক্যাচ বানিয়ে শেষ উইকেট তুলে নেন রিচার্ডসন। ডানহাতি ফাস্ট বোলার ১৯.১ ওভারে ৯ মেডেনসহ ৪২ রান দিয়ে নেন ৫ উইকেট। ১০৩ ও ৫১ রান করে ম্যাচের সেরা খেলোয়াড় হয়েছেন বিজয়ী দলের ব্যাটসম্যান মার্নাস লাবুশেন।