ইনসাইড টক

‘আমার বিশ্বাস রাষ্ট্রপতির আমন্ত্রণে সাড়া দিয়ে সংলাপে বসবে বিএনপি’


প্রকাশ: 22/12/2021


Thumbnail

বাংলাদেশে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ বলেন, বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় কেউ নির্বাচিত হলে নির্বাচনের আমেজ নষ্ট হয়। সাধারণ ভোটাররা নির্বাচনী আমেজ থেকে বঞ্চিত হয়। আমাদের এই অঞ্চলে শত বছরের নির্বাচনের ইতিহাস তো হচ্ছে মানুষ নির্বাচন নিয়ে উৎসব মুখর থাকে। সবাই নির্বাচনকে উৎসব হিসেবেই দেখে। যখনই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় কেউ নির্বাচিত হয়, তখন তো পাবলিক বঞ্চিত হয়, অখুশি হয়। এটি সাধারণ মানুষের কাছে কখনোই কাম্য নয়। 

ইউপি নির্বাচনে বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হওয়া, নির্বাচন কমিশন গঠন নিয়ে রাষ্ট্রপতির সংলাপসহ বিভিন্ন বিষয়ে বাংলা ইনসাইডার এর সঙ্গে একান্ত আলাপচারিতায় মাহবুবউল আলম হানিফ এসব কথা বলেছেন। পাঠকদের জন্য  মাহবুবউল আলম হানিফ এর সাক্ষাৎকার নিয়েছেন বাংলা ইনসাইডার এর নিজস্ব প্রতিবেদক অলিউল ইসলাম।

মাহবুবউল আলম হানিফ বলেন, গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থা ও সংবিধানের বিধান অনুযায়ী যেহেতু বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হতে পারেন, সেহেতু এটি মেনে নিতে হয়। একটি এলাকায় যদি একজন মাত্র প্রার্থী হয়, তখন তো সে অটোমেটিক বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়ে যায়। আমাদের এইখানে বড় সমস্যা হচ্ছে বিএনপিসহ বেশ কিছু দল আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে না। এই দলগুলোর নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করার ফলে তাদের প্রার্থীরা বেশকিছু এলাকায় স্বতন্ত্র হিসেবে নির্বাচন করছেন। আবার অনেক জায়গায় অংশ নিচ্ছে না। যেসব এলাকায় তাদের পরাজয়ের সম্ভাবনা আছে বা সম্ভাবনা বেশি, সেসব এলাকায় তারা নির্বাচন করছে না। 

তিনি বলেন, যেখানে বিএনপির জয়লাভ করার সম্ভাবনা আছে, সেসব এলাকায় তারা দলীয়ভাবে না হলেও স্বতন্ত্রভাবে নির্বাচন করছে। এই যে তারা পরাজয়ের আশংকায় নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে না, এর কারণে অনেক জায়গায় দেখা যাচ্ছে আমাদের আওয়ামী লীগের প্রার্থী একজন হয়ে যাচ্ছে। যার ফলে বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হওয়ার সুযোগ তৈরি হয়ে যাচ্ছে। আমি মনে করি, সাধারণ ভোটাররা চায় নির্বাচনে একাধিক প্রার্থী থাকুক। একাধিক প্রার্থী থাকলে তখন একটি উৎসবমুখর পরিবেশ তৈরি হয়। এ উৎসবমুখর পরিবেশের সঙ্গে সাধারণ মানুষ পরিচিত, অভ্যস্ত এবং সেটাই তাদের আকাঙ্ক্ষা। 

রাষ্ট্রপতির ডাকা সংলাপ প্রসঙ্গে মাহবুবউল আলম হানিফ বলেন, মহামান্য রাষ্ট্রপতি নির্বাচন কমিশন গঠনের লক্ষ্যে রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে বৈঠক  করছেন। আমাদের দেশে নির্বাচন কমিশন গঠনের যে বিদ্যমান পদ্ধতি আছে, আমি মনে করি সেটা হলো উত্তম পন্থা। যেহেতু আমাদের নির্বাচন কমিশন গঠনের আইন নেই, সে কারণে মহামান্য রাষ্ট্রপতি সকল রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলাপ আলোচনা করে তাদের মতামত নিয়ে সার্চ কমিটি গঠন করে থাকেন। সার্চ কমিটির মাধ্যমে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের দেয়া নামগুলো যাচাই বাছাই করে যোগ্য ব্যক্তিদের নিয়ে নির্বাচন কমিশন গঠন করেন। আমি মনে করি এটি সবচেয়ে উত্তম পন্থা। সেই উত্তম পন্থার জন্য যখন মহামান্য রাষ্ট্রপতি সবগুলো দলকে আমন্ত্রণ জানান, সেই আমন্ত্রণে সাড়া দিয়ে সবগুলো দলদের অংশ নেয়াটাই যৌক্তিক এবং এটিই সমীচীন। 

তিনি বলেন, বিএনপি হয়তো রাজনৈতিক কারণে ক্ষমতায় নেই। ক্ষমতার বাইরে থাকা রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে সরকারের সমালোচনা করাই মুখ্য হয়ে দাঁড়ায়। সরকার বিরোধী বক্তব্য দিতে পারলে কৌশলগত কারণে তারা মনে করে তারা লাভবান হয়। এসব বিবেচনা করেই হয়তো বিরোধী দলগুলো সংলাপ নিয়ে বিভিন্ন ধরণের কথাবার্তা বলেন। কিন্তু আমার বিশ্বাস যে বিএনপি মহামান্য রাষ্ট্রপতির আমন্ত্রণে সাড়া দিবেন এবং যাবেন। তাদের যদি কোনও কথা থাকে, কোনও অভিমত থাকে, নির্বাচন  নিয়ে তাদের যে চিন্তা চেতনা যা আছে, সেসব দাবি তারা মহামান্য রাষ্ট্রপতির কাছে পেশ করতে পারেন। কথা বলতে পারেন। মহামান্য রাষ্ট্রপতির কাছে যদি সেভাবে দাবি পেশ করেন বা তাদের কথা বলেন, সে কথাগুলো মহামান্য রাষ্ট্রপতি তার বিবেচনায় নিতে পারেন। সে ক্ষেত্রে আমি তো মনে করি তাদের জন্য এটা ভালো। আমার বিশ্বাস বিএনপি মহামান্য রাষ্ট্রপতির আমন্ত্রণে সাড়া দিয়ে সংলাপে বসবে।


প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭