ইনসাইড ইকোনমি

কমছে না পেঁয়াজের ঝাঁঝ

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: 01/12/2017


Thumbnail

বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর) মোহাম্মদপুর টাউনহল বাজারে পেঁয়াজ কিনতে গিয়ে রীতিমত হতবাক ওমর ফারুক। তিনি এদিন ৯৫ টাকা দরে ৫ কেজি পেঁয়াজ কিনেছেন ৪৭৫ টাকায়। অথচ সপ্তাহ খানেক আগে ৬৫ টাকা কেজিদরে পেঁয়াজ কিনেছিলেন। পাশেই এক কেজি দেশি টমেটো ১৭০ টাকায় কিনতে দেখা যায় এক মধ্যবয়সী নারীকে ।

কাঁচাবাজারে পেঁয়াজের ঝাঁঝ কমছে না। লাগামহীনভাবে বাড়ছে পেঁয়াজের দাম।

অবিশ্বাস্য মনে হলেও সত্যি! বর্তমানে রাজধানীতে প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজের খুচরামূল্য ১০০ টাকা ছুঁয়েছে। আর আমদানিকৃত পেঁয়াজের কেজি ৮০-৮৫ টাকা।

সরকারি বিপণন সংস্থা ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) হিসাবেই এই দর তুলে ধরা হয়েছে। টিসিবির তথ্য অনুযায়ী, এক মাসের ব্যবধানে দেশি পেঁয়াজের দাম কেজিতে ২০-২৫ টাকা বেড়েছে।

ব্যবসায়ীদের ভাষ্য, চলতি মৌসুমে বাংলাদেশ ও ভারতের আবহাওয়া অনুকূলে ছিল না। বৃষ্টির কারণে পেঁয়াজের ফলন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। অনেক পেঁয়াজ নষ্ট হয়ে গেছে। এ কারণে বাজারে পেঁয়াজের সংকট। সরবরাহ ঘাটতিতে পণ্যটির দাম বেড়েই চলেছে।

পাইকারি ও খুচরা পর্যায়ের ব্যবসায়ীরা বলছেন, পেঁয়াজের দাম চলতি সপ্তাহে কমার কোনো সম্ভাবনা তাঁরা দেখছেন না; বরং আরও বাড়তে পারে। তবে এক মাসের মধ্যে বাজারে নতুন পেঁয়াজ আসবে। তখন দাম কমবে বলে আশা করা যায়।

পেঁয়াজের ঝাঁজের সঙ্গে পালা দিয়ে বেড়েছে কাঁচামরিচের দাম । প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ১২০-১৩০ টাকায়।

শীতকালীন সবজির সরবরাহ পর্যাপ্ত থাকলেও দাম আকাশ ছোঁয়া। শুধুমাত্র মূলা আর পেঁপে বাদে সব রকম সবজির দাম ৫০ টাকা ছাড়িয়েছে। বৃহস্পতিবার আলু বিক্রি হয়েছে ২০-২৫ টাকা কেজিদরে।

এছাড়া ঢেঁড়স ৫০-৬০, বেগুন ৬০, ঝিঙ্গা ৫০, চিচিঙ্গা ৫০, পটোল ৫০-৬০, বরবটি ৫০, শসা ৪০-৫০, টমেটো ১৩০, কচুর মুখী ৩৫-৪০, ধনেপাতা ১৬০, আমদানি করা ও দেশি রসুন ১০০ এবং আদা বিক্রি হয় ১০০ টাকায়। প্রতি পিস ফুলকপি ৩০, বাঁধা কপি ৩০, পেঁপে ২৫-৩০ টাকায় বিক্রি হয়।

বাজার বিশ্লেষণে দেখা যায়, সবজির দাম বাড়ার পেছনে রয়েছে ব্যবসায়ীদের বাড়তি মুনাফা অর্জনের প্রবণতা। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ঢাকার বাইরে এসব সবজি পানির দামেই কৃষকদের কাছ থেকে কিনছেন ব্যবসায়ীরা।

তবে সবজি ব্যবসায়ীরা এ কথা মানতে নারাজ। তাঁদের দাবি, বাড়তি পরিবহন ব্যয় ও রাস্তার মোড়ে চাঁদা দেওয়ার কারণে তাঁদের খরচ বেড়ে যায়। সে কারণেই বেশি দামে সবজি বিক্রি করতে হচ্ছে ব্যবসায়ীদের।

গত কয়েক দিনের তুলনায় শুক্রবার দাম বেড়েছে সব ধরনের মাছের। টাউনহল বাজারের ইলিশ মাছ বিক্রেতা সোলেমান ভান্ডারী জানান, এদিন এক কেজি ওজনের ইলিশের জোড়া বিক্রি হয় ২ হাজার ২০০ টাকায়। ৮০০ গ্রাম ওজনের এক জোড়া ইলিশের দাম ছিল ১ হাজার ৫০০, ৭০০ গ্রাম ওজনের ইলিশের জোড়া বিক্রি হয় ১ হাজার ২০০ টাকায়। ৬০০ গ্রাম ওজনের ইলিশের জোড়া বিক্রি হয় ১ হাজার ১০০, আর ৫০০ গ্রাম ওজনের এক জোড়া ইলিশ ৭০০-৮০০ টাকায়। এছাড়া রুই-কাতলা, তেলাপিয়া, পাঙ্গাশ, নলা, কই সরপুটিসহ সব ধরনের মাছ কেজিতে ২০-৩০ টাকা বেশি দামে বিক্রি হয়েছে।

সব ধরনের চালের দাম কেজিতে বেড়েছে দেড় টাকা। চাল ব্যবসায়ী বাচ্চু মিয়া বলেন, আপাতত দাম কমার কোনো লক্ষণ নেই। এখন প্রতি কেজি মোটা চাল ৪৪, মিনিকেট ৬০ এবং নাজিরশাইল ৬৪ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।


বাংলা ইনসাইডার/এসএ/টিবি



প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭