নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৫:০৪ পিএম, ২৫ মার্চ, ২০১৭
যথাযথ মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে পাকিস্তানে ‘গণহত্যা দিবস’ পালিত হয়েছে।
শনিবার পাকিস্তানের রাজধানী ইসলামাবাদস্থ বাংলাদেশ হাইকমিশনে দিবসটি পালিত হয়। এ উপলক্ষে সকালে চানসারিতে এক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।
সভায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও একাত্তরের স্বাধীনতাযুদ্ধে,বিশেষ করে ২৫ মার্চ কালরাতে শাহাদাতবরণকারীদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। এ সময় বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর বাণী পাঠ করা হয়।
আলোচনা সভায় বক্তারা ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চের কালরাতে নিরস্ত্র বাঙালি ছাত্র, যুবকসহ আবাল-বৃদ্ধ-বনিতার উপর পাকিস্তানি বাহিনীর অতর্কিত হামলা ও নৃশংস হত্যাকাণ্ডের কথা উল্লেখ করেন। তারা বলেন, “পাকিস্তানি বাহিনীর এই বর্বরতা ও নৃশংস গণহত্যা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর সংঘটিত অন্য যেকোনো গণহত্যার চেয়ে ভয়াবহ।”
আজ ঢাকায় প্রাপ্ত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।
আলোচনা সভায় হাইকমিশনার তারিক আহসান ২৫ মার্চ দিবাগত রাতে নিরীহ ও নিরস্ত্র বাঙ্গালিদের ওপর বিনা প্ররোচনায় বর্বরোচিত হামলা ও হত্যাযজ্ঞ চালানোর জন্য পাকিস্তান দখলদার বাহিনীর তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলেন, “এ ঘটনার পরই বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতার ঘোষণা দেন।”
তিনি মুক্তিযুদ্ধে জীবন উৎসর্গকারী সকল শহীদের প্রতি গভীর কৃতজ্ঞতা ও শ্রদ্ধা জানান। তারিক আহসান ১৯৪৮ সালের জেনোসাইড কনভেনশনের দেয়া গণহত্যার সঙ্গার ব্যাখ্যা দিয়ে বলেন, “১৯৭১ সালে বাংলাদেশে সংঘটিত ব্যাপক হত্যাযজ্ঞ গণহত্যার সঙ্গার সাথে সম্পূর্ণভাবে মিলে যায়।”
তিনি বলেন, “আজকের এই দিনে সবাইকে গভীরভাবে উপলব্ধি করতে হবে, কত বড় আত্মত্যাগের বিনিময়ে আমরা স্বাধীনতা পেয়েছি। ‘গণহত্যা দিবস’ এর মর্মবাণী সারা বিশ্বে ছড়িয়ে দিতে হবে যেন গণহত্যার বিপক্ষে জনমত সৃষ্টি হয় এবং কোথায়ও আর কখনো গণহত্যা সংঘটিত না হয়।”
আলোচনা শেষে জাতির পিতা ও মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের আত্মার মাগফেরাত এবং দেশ ও জাতির সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ মুনাজাত করা হয়।
পরিশেষে, ১৯৭১ সালের গণহত্যার উপর নির্মিত একটি প্রামাণ্য চলচ্চিত্র প্রদর্শণ করা
হয়।
অনুষ্ঠানে হাইকমিশনের কর্মকর্তা-কর্মচারিবৃন্দ ও অসংখ্য প্রবাসী বাংলাদেশি উপস্থিত ছিলেন।
বাংলা ইনসাইডার/এসআই
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
এপ্রিল মাসের পূর্ণিমার চাঁদকে ‘পিঙ্ক মুন’ বা ‘গোলাপি চাঁদ’ নামে ডাকা হয়। মঙ্গলবার (২৩ আগস্ট) রাতের আকাশে এই চাঁদের দেখা মিলবে। এছাড়া আগামী বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত এই চাঁদ দেখা যাবে।
এপ্রিলের পূর্ণিমার চাঁদের আরও নাম রয়েছে। যেমন- ‘ফিশ মুন’ (মাছ চাঁদ), ‘গ্রাস মুন’ (ঘাস চাঁদ) ও ‘এগ মুন’ (ডিম চাঁদ)।
যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা বলছে, দেশটির স্থানীয় সময় মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭টা ৪৯ মিনিটে পূর্ণ গোলাপি চাঁদের দেখা মিলবে। অন্যদিকে ইউরোপ, আফ্রিকা, এশিয়া ও অস্ট্রেলিয়ায় এই গোলাপি চাঁদ পূর্ণরূপে দেখার সুযোগ পাওয়া যাবে আগামীকাল বুধবার।
জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা বলছেন, পৃথিবী যখন সূর্য ও চাঁদের মাঝবরাবর অবস্থান করে, তখনই পূর্ণ চাঁদ দেখা যায়। তবে নাম গোলাপি হলেও এপ্রিলের এই পূর্ণ চাঁদের রং কিন্তু পুরোপুরি গোলাপি নয়। কোথাও কোথাও কমলা রঙেও চাঁদটি দেখা যেতে পারে। রাত বাড়ার একপর্যায়ে চাঁদটি উজ্জ্বল সাদা রং ধারণ করবে। এছাড়া ধোঁয়াসহ আবহাওয়াগত নানা কারণে এই চাঁদ চোখে গোলাপি রঙে দেখা দেবে না। সাধারণত সোনালি রঙেই তা দেখা যাবে।
বিশ্বজুড়ে পূর্ণিমার চাঁদের বিভিন্ন নাম রয়েছে। আর এসব নাম এসেছে বিভিন্ন ঋতু, ঐতিহাসিক ফসল, এমনকি কোনো প্রাণীর বিচিত্র আচরণ থেকে। গোলাপি চাঁদ নাম এসেছে আমেরিকা অঞ্চলে বসন্তের শুরুতে ফোটা একটি বুনো ফুল থেকে।
মন্তব্য করুন
ভারতের লোকসভা নির্বাচনের প্রথম দফার নির্বাচন শেষ হয়েছে। সাত দফার এই নির্বাচন শেষ হবে আগামী ১ জুন। ভোট গণনা ৪ জুন।
এমপি হিসেবে নির্বাচিত হলেন দলের সুরাত কেন্দ্রের প্রার্থী মুকেশ কুমার চন্দ্রকান্ত দালাল। নির্বাচনী ময়দান থেকে তার প্রতিপক্ষরা সরে দাঁড়ানোয় ওয়াক ওভার পেয়েছেন ৬২ বছর বয়সী দালাল। সোমবারই তাকে বিজয়ী হিসেবে ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে জয়ের সনদও তুলে দেয়া হয়।
বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় মুকেশের এই জয়ের পরই গুজরাট রাজ্যের বিজেপি সভাপতি সি.আর পাতিল তাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন।
রবিবার এই কেন্দ্রে মুকেশের প্রধান প্রতিপক্ষ কংগ্রেস প্রার্থী নীলেশ কুম্ভানির মনোনয়নপত্র বাতিল করে দেয় রিটার্নিং অফিসার সৌরভ পারধি। কারণ মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময় তিন প্রস্তাবকের কেউই নির্বাচনী কর্মকর্তার সামনে উপস্থিত ছিলেন না ফলে প্রার্থীর সমর্থনে মনোনয়নপত্রে স্বাক্ষরও করতে পারেননি। পরবর্তীতে সুরাত কেন্দ্রে নীলেশের পরিবর্তিত প্রার্থী হিসেবে সুরেশ পাডশালাকে মনোনয়ন দেয় কংগ্রেস। কিন্তু তার মনোনয়নপত্রও অবৈধ বলে গণ্য হয়। স্বাভাবিকভাবেই নির্বাচনী লড়াইয়ের ময়দান থেকে বেরিয়ে যায় কংগ্রেস।
মন্তব্য করুন
ভারতের লোকসভা নির্বাচনের প্রথম দফার নির্বাচন শেষ হয়েছে। সাত দফার এই নির্বাচন শেষ হবে আগামী ১ জুন। ভোট গণনা ৪ জুন। এমপি হিসেবে নির্বাচিত হলেন দলের সুরাত কেন্দ্রের প্রার্থী মুকেশ কুমার চন্দ্রকান্ত দালাল। নির্বাচনী ময়দান থেকে তার প্রতিপক্ষরা সরে দাঁড়ানোয় ওয়াক ওভার পেয়েছেন ৬২ বছর বয়সী দালাল। সোমবারই তাকে বিজয়ী হিসেবে ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে জয়ের সনদও তুলে দেয়া হয়।