সোশ্যাল থট

সাংবাদিকের মৃত্যুতে ছেলের হৃদয়বিদারক স্ট্যাটাস

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৭:২১ পিএম, ২৯ এপ্রিল, ২০২০


Thumbnail

দৈনিক সময়ের আলোর সিটি এডিটর ও চিফ রিপোর্টার এবং জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক হুমায়ুন কবির খোকনের মৃত্যু হয়েছে মঙ্গলবার (২৮ এপ্রিল)। সাংবাদিক বাবার এমন হঠাৎ চলে যাওয়া যেন কোনোভাবে মেনে নিতে পারছেন না আশরাফুল আবির।

নিজের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে বাবার অসুস্থ হওয়ার বিবরণ ও চিকিৎসা সম্পর্কে বর্ণনা দেন তিনি। তার বর্ণনা অনুযায়ী, হুমায়ুন কবির খোকন অসুস্থ হওয়ার আগ পর্যন্ত অফিস করেছেন। তবে তার অফিস দাবি করছে ১৫ দিন ধরে তিনি ছুটিতে ছিলেন।

আশরাফুল আবির তার স্ট্যাটাসে লিখেছেন, আমি ও আমার পরিবারের কাছে মনে হচ্ছে যে আমরা হয়তো কোনো বাজে স্বপ্ন দেখলাম। কিন্তু এইটা যে আসলেই বাস্তবেই হয়ে গেলো আমরা এখনো বিশ্বাসই করতে পারছি না। আমার কাছে এখনো মনে হচ্ছে যেন একটা বাজে স্বপ্ন দেখে হয়তো ঘুমটা ভাঙলো।

আমার বাবা একজন অত্যন্ত সৎ, নিষ্ঠাবান, পরিশ্রমী একজন ব্যক্তি ছিলেন। যিনি সারাটি জীবনে হয়তো নিজের কথা কখনো ভাবেননি। আমাদের জন্যই হয়তো সারাটা জীবন উৎসর্গ করে গেলেন। এই করোনা সংকটময় দিনেও তিনি ঝুঁকি নিয়ে প্রতিটা দিন অফিসে গিয়েছেন, বাসায় এসেছেন। আমি এই নিয়ে আমার বন্ধুদেরও বলেছিলাম যে আমরা খুব ভয়ে আছি। কারণ আমার আব্বু আর আপু দুই জন চাকরিজীবী পরিবারে এবং তারা প্রতিদিনই অফিসের গাড়ি দিয়েই অফিস এ আসা-যাওয়া করেছেন।

আমার বাবার ৩-৪ দিন ধরে কাশি হচ্ছিলো। পরিমাণটা দিন দিন বেড়েই চলছিল। আমার তখনই সন্দেহ হচ্ছিলো। আমি বাবাকে বললাম, আপনার করোনা হয়নি তো? সে হেসে বললো, অরে ধুর বেটা টন্সিলের ব্যাথা এইটা আগের থেকেই ছিল। ঐ রকম কিছু না।

কারণ সে চাচ্ছিলো বাসায় থেকেই ট্রিটমেন্ট নিয়ে সুস্থ হতে। কারণ করোনা পজেটিভ হলে এলাকার ভেতর আতঙ্ক ছড়াবে। এছাড়া লজ্জার ভয়ে সে তখনও এইটা সাধারণভাবেই দেখছিলো। আমি ও ভাবলাম যে হয়তো এই রকম জ্বর-কাশি হয়তো সাধারণ। বাসায় ওষুধ খেলে গরম পানি খেলে হয়তো ঠিক হয়ে যাবে। আমি এই কয়দিন বাসায় সাধারণভাবেই কাটাচ্ছিলাম। বিভিন্ন স্কিল ডেভেলপেড করার জন্য অনেক কিছু শিখছিলাম।কিন্তু বাবার কাশি বেড়েই চলছিল। আম্মু ও জ্বর অনুভব করতে শুরু করলো তার দুই দিন আগে। তখন আমি ভয় পেয়ে গেলাম।

আম্মুকে বললাম, বললো যে করোনার নমুনা দুই-একদিন এর ভেতরই নিতে আসবে বললো। কিন্তু বাবার কাশি বেড়েই চলছিল। কাশির সাথে সাথে ফুসফুসে মারাত্মকভাবে আক্রমণ করছিলো মনে হচ্ছে। হয়তো বাবার গলায় চুলকাচ্ছিল। আমি এর পরের দিন একটু দেরিতে উঠলাম। দেখলাম আম্মু বাবাকে ভাতের জাউ রান্না করে খাওয়াচ্ছে।

হঠাৎ দেখলাম, সে জানি কেমন করছে। মনে হচ্ছে অনেক কষ্ট হচ্ছে। মনে হলো শ্বাস কষ্ট হচ্ছে। সে ওই মুহূর্তে এই লড়াইয়ের সাথে পেরে উঠতে পারনি। আম্মুকে বললাম, বললো সকালে অ্যাম্বুলেন্স খবর দেওয়া হয়ছে। উত্তরার রিজেন্টে ব্যাবস্থা করা হয়ছে। অ্যাম্বুলেন্স আসতেছে।

আম্মু বললো তোর কাছে কি ভাংতি টাকা আছে? আমাকে দে তো। আমার কাছে ৩৫০০ টাকা ছিল আমি পুরোটাই আম্মুকে দিয়ে দিলাম সাথে সাথে। আমি ঘরে পরার জামা পরেই অ্যাম্বুলেন্সে উঠে গেলাম। কারণ আমার মনে হচ্ছিলো এমনিতেই দেরি হয় গেছে। আমি ভাবলাম হাসপাতালে হয়তো অনেকেই থাকবে আব্বুর জন্য অফিসে লোক। কিন্তু সেখানে গিয়ে দেখলাম আমি আর আম্মু ছাড়া পরিচিত কেউ নেই। কারণ লকডাউন থাকার জন্য গাড়ি তেমন চলে না রাস্তায়। এছাড়া অনেকেই হয়তো লক্ষণগুলোর বর্ণনা শুনে হয়তো কেউ আসতে সাহস করছিলো না।

এদিকে সাবান আঙ্কেল সব ব্যবস্থা করে রেখেছিলেন ওইখানে। তারা সর্বাত্মক চেষ্টাই করেছিল আইসিইউতে রেখে অক্সিজেন দেয়ার, কিন্তু ডাক্তার বললো তার পালস নেই এবং ব্রেন ও অক্সিজেন নিচ্ছে না। ডাইরেক্টলি বললেনও না যে সে আগেই মারা গেছে। বললেন, আমরা সর্বাত্মক চেষ্টা করছি দোয়া করেন যদি ব্রেইন হঠাৎ মিরাকলভাবে কাজ করতে শুরু করে। রাত ১০টার দিকে আম্মুকে উপরে ডাকলো শেষবারের মতো দেখার জন্য। তখন আম্মু ফোনে কয়েকজনকে জানিয়ে দেন।

এছাড়া নিউজ স্ক্রলগুলাতেও অফিসিয়ালি আপডেট দিয়ে দেয় যে বাবা আর নেই। এখন বাবার করোনা টেস্ট হওয়ার আগেই মারা গেছেন তাই এইটা অফিসিয়ালি বলা হয়নি। বলা হয়েছে যে করোনাভাইরাসের উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন।

সবাই বাবার জন্য দোয়া করবেন যেন আল্লাহ ওনাকে জান্নাতবাসী করেন। ওনার মতো ভালো, সৎ এবং নিষ্ঠাবান মানুষ খুব কমই আছে সমাজে। এছাড়া আমি চাই না এখন সবাই আমাদে কে ডিমোটিভেট বা ভয়ভীতি দেখাক। আমরা এমনিতেই অনেক কঠিন সময় পার করছি।

আমরা সবাই সতর্কতা অবলম্বন করেই বাসায় আছি। বাসা বা এলাকা হয়তো লকডাউন হতে পারে। তাই এই মুহূর্তে মনে করি সবাই আমাদের জন্য দোয়া করুক।

আমার বন্ধুরা অনেক চিন্তিত হয়ে পড়েছে আমার জন্য। আমাদের সামনের দিনগুলো নিয়ে। আশা করি আমাদের পরিবার, আমিন মোহাম্মদ গ্রুপ, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি, বাংলাদেশ সরকার পাশে থাকবেন। বাস্তবতা কঠিন হয়ে গেছে তবুও বাস্তবতার সাথেই সবকিছু এখন এডজাস্ট করে নিতে হবে। সবাই ভালো থাকবেন এবং সচেতন হবেন। আপাতত আর কিছু লিখতে চাচ্ছি না।

উল্লেখ্য, রাজধানীর উত্তরার রিজেন্ট হাসপাতালের নিবিড় পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মঙ্গলবার (২৮ এপ্রিল) রাতে মারা যান সাংবাদিক হুমায়ুন কবির খোকন। গতকাল বিকেলে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় তাকে ওই হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তিনি শ্বাসকষ্টজনিত রোগে ভুগছিলেন। বুধবার (২৯ এপ্রিল) তার মরদেহের নমুনা পরীক্ষায় করোনা পজিটিভ পাওয়া গেছে।



মন্তব্য করুন


সোশ্যাল থট

তবে কি তাদের নিজেদের বিশ্বাসেই ঘাটতি রয়েছে?

প্রকাশ: ০৯:২৯ এএম, ০৯ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪


Thumbnail

মানুষের ব্যক্তিগত জীবনের কোনোকিছু খারাপ লাগলেও সেটি মাথা ব্যথার কারণ কখনোই হয়নি, যে পর্যন্ত সেটি সমাজের জন্য হানিকর বলে বিবেচিত না হয়েছে!

ষাটোর্ধ্ব বয়সী এক লোক সম্প্রতি বিয়ে করেছেন, এই বয়সী ব্যক্তির অষ্টাদশী তরুণীর সাথে বিয়ে গ্রামে প্রায়শই কম করে হলেও ঘটে! সমস্যা এখানে নয়, সমস্যা হলো সম্প্রতি তৃতীয় বিয়ে সম্পন্নকারী এই ব্যক্তি তার বিয়ে পরবর্তী সময়কে দারুণভাবে গ্লোরিফাই করে বেড়াচ্ছেন। একইসাথে তার মত অতি প্রাপ্তবয়স্ক লোকের সাথে স্বাভাবিকভাবেই তার সহধর্মিণী সহমত পোষণ করে আরও ঝাঁঝালো বক্তব্য রেখে যাচ্ছেন এবং তিনি তা উপভোগও করছেন।

আজ বইমেলায় স্কুল, কলেজ পড়ুয়া অনেক বাচ্চারা নববিবাহিত এই দম্পতির বই কিনতে যেয়ে, শ্যুগা ( Sugar) ড্যাডি টার্মকে রীতিমতো শিল্পের পর্যায়ে নিয়ে এই ধরনের বিয়ে অথবা ড্যাডি টাইপ কারো সাথে থাকাকে জায়েজ মনে করে নিচ্ছে! এই কিশোরীদের সামনে প্রশ্নগুলো ছুঁড়ছে কারা? বোধহীন এই প্রশ্নগুলো করছেন, তথাকথিত কিছু ইউটিউব চ্যানেলের বুমধারী ব্যক্তিগণ, যাদের কাছে নিজ চ্যানেল অথবা পেইজের কিছু সস্তা ভিউজ প্রাপ্তি ছাড়া আর কোনো দায়বদ্ধতা নেই!

আমাদের স্বল্পশিক্ষিত, প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষায় শিক্ষিত অথচ মননে অশিক্ষিত সম্প্রদায়ের হাতে নতুন কিছু ভুলক্রমে চলে আসলে সেটি ভাজা ভাজা না করে আমাদের নিস্তার নাই। সম্প্রতি শ্যুগা (Sugar) ড্যাডি অথবা মম বিষয় নিয়ে অতি উৎসাহী হওয়ার মানে দাঁড়াচ্ছে, এই মস্তিষ্ক বিবর্জিত শ্রেণী অতি সম্প্রতিই এই শব্দদ্বয়ের সাথে পরিচিত হয়েছে! যার কারণে নিজ নিজ পেইজে ১৮+ কনটেন্টের মত বিষয়াদি ছাড়াও আরও বর্জ্য সংযুক্ত করে নিচ্ছে!

অন্যদিকে ষাটোর্ধ্ব ভদ্রলোকের সহধর্মিণী তাদের এই বিয়েকে প্রতিনিয়ত জাস্টিফাই করে যাচ্ছেন। তিনি ভুল করছেন এই জায়গাতেই! কোনোকিছু স্বাভাবিক মনে করলে সেটিকে বারবার বলে বুঝাতে হয় না এটি স্বাভাবিক! এই দম্পতি সমাজের একমাত্র দম্পতি নন, অন্য সবাই তাদের মত জাস্টিফাই করতে তো আসছেন না! তারা তবে কেন এই চেষ্টা করছেন? নিজ সম্পর্ককে স্বাভাবিক বোধ করলে অন্যের কাছে তা প্রতিষ্ঠিত করার এত তীব্র চেষ্টা কেন করছেন? তবে কি তাদের নিজেদের বিশ্বাসেই ঘাটতি রয়েছে?

বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হওয়া ভুল নয় কিন্তু সেটিকে প্রচারণার মাধ্যমে জৌলুসপূর্ণ করে প্রকাশ করে অপ্রাপ্ত বয়স্কদের বিভ্রান্ত করা, অত্যন্ত ভুল একটি পদ্ধতি! ১৮ বছর বয়সী কারো মাথায় সেই বোধ পুরোপুরি না-ই আসতে পারে, ষাটোর্ধ্ব কারো মাথায় এটি কেন কাজ করছে না সেটাই বোধগম্য নয়!

লেখক : ইফতেখায়রুল ইসলাম

এডিসি, ওয়েলফেয়ার অ্যান্ড ফোর্স ডিভিশন।

(লেখকের ফেসবুক পেজ থেকে সংগৃহীত)



মন্তব্য করুন


সোশ্যাল থট

টাঙ্গাইল শাড়ির তাঁতিরা অনেকটা আমার মতো: তসলিমা নাসরিন

প্রকাশ: ০১:৫০ পিএম, ০৬ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪


Thumbnail

টাঙ্গাইল শাড়ি এবং টাঙ্গাইল শাড়ির তাঁতিরা অনেকটা আমার মতো। বাংলাদেশে জন্ম, কিন্তু নিরাপত্তাহীনতার কারণে বাংলাদেশ ত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছি বলে মন্তব্য করছেন ভারতে বসবাসকারী বাংলাদেশী লেখিকা তসলিমা নাসরিন। 

তসলিমা নাসরিন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকের এক পোস্টে টাঙ্গাইল শাড়ি ও টাঙ্গাইল শাড়ির তাঁতিদের নিয়ে লিখতে গিয়ে বলেন, টাঙ্গাইল থেকে প্রচুর হিন্দু তাঁতি ভারত ভাগের পর পূর্ব বঙ্গ থেকে, বা পূর্ব পাকিস্তান থেকে বা বাংলাদেশ থেকে মুসলমানের অত্যাচারের ভয়ে ভারতে চলে এসেছেন। ভারতেই তাঁরা টাঙ্গাইলে যেভাবে শাড়ি বুনতেন, সেভাবেই শাড়ি বুনছেন। কিন্তু প্রচুর তাঁতি তো টাঙ্গাইলে রয়েও গেছেন। তাঁরাও বুনছেন টাঙ্গাইল শাড়ি। 

আশির দশকে, আমি যখন থেকে শাড়ি পরতে শুরু করেছি, আমার সবচেয়ে প্রিয় শাড়ি ছিল টাঙ্গাইল শাড়ি। দামে কম, মানে ভাল। আমার বাড়ির কাছে বেইলি রোডে ছিল টাঙ্গাইল শাড়ি কুটির। ডাক্তারি চাকরি করতাম প্রথমে মিটফোর্ডে তারপর ঢাকা মেডিকেলে। বেতনটা পেলেই বেইলি রোডের দুটো দোকানে চলে যেতাম, টাঙ্গাইল শাড়ি কুটির থেকে কিনতাম টাঙ্গাইল শাড়ি, আর তার পাশের সাগর পাবিলিশার্স নামের বইয়ের দোকান থেকে কিনতাম বিস্তর বই। আমি প্রচুর বই পড়তাম, এবং খুব গুছিয়ে শাড়ি পরতাম। রঙ মিলিয়ে কপালের টিপ পরতাম, রঙ মিলিয়ে হালকা কানের দুল বা হাতের চুড়ি পরতাম। আমার যত শাড়ি ছিল, তার সত্তর বা পঁচাত্তর ভাগই ছিল টাঙ্গাইল শাড়ি। টাঙ্গাইল শাড়ির প্রতি আমার ভালবাসার কথা অনেকেই জানতো। আমার সেই জীবনকে এখন রূপকথা বলে মনে হয়। 

এখন টাঙ্গাইল শাড়ির জিআই অর্থাৎ জিওগ্রাফিক্যাল ইন্ডিকেশান ভারত পেয়েছে বলে চারদিকে বিতর্ক চলছে। ভারতের লোকেরা বলছে, কাজটা ভাল হয়েছে, বাংলাদেশের লোকেরা বলছে, কাজটা ভাল হয়নি। প্রশ্ন উঠছে, টাঙ্গাইল থেকে তাঁতিরা ভারতে চলে গিয়ে একই পদ্ধতিতে যদি টাঙ্গাইল শাড়ি তৈরি করতে পারেন, তাহলে কি তাঁরা টাঙ্গাইল শাড়ির স্বত্ব আইনত পেতে পারেন? এ নিয়ে কেউ বলছেন পারেন, কেউ বলছেন পারেন না। টাঙ্গাইল শাড়ির স্বত্ব হয়তো ভারতে চলে আসা তাঁতিরা পেতে পারতেন, যদি টাঙ্গাইল শাড়ি বোনা টাঙ্গাইলে বন্ধ হয়ে যেত, যদি টাঙ্গাইল শাড়ি বোনার কেউ আর বাস না করতো টাঙ্গাইলে, যদি কারখানায় তালা পড়তো এবং যদি ভবিষ্যতে এই তাঁত শিল্প রক্ষা করার উপায় না থাকতো। তা কিন্তু ঘটনা নয়। 

টাঙ্গাইল শাড়ি বোনার তাঁতিদের মধ্যে বসাক বংশ বিখ্যাত। বসাক বংশের সবাই বাংলাদেশ ত্যাগ করেননি। প্রচুর বসাক রয়ে গেছেন টাঙ্গাইলে, এবং বংশ পরম্পরায় তাঁরা আজও শাড়ি বুনছেন। টাঙ্গাইল টাঙ্গাইলেই আছে, থাকবে। যে বসাক তাঁতিরা টাঙ্গাইল থেকে ভারতে চলে গিয়ে শান্তিপুরে স্থায়ী হয়েছেন, সেই শান্তিপুরও শান্তিপুরেই আছে, থাকবে। শান্তিপুরের বসাকরা কিন্তু যে শাড়ি বুনছেন, সেই শাড়িকে শান্তিপুরী শাড়ি না বলে টাঙ্গাইল শাড়ি বলছেন। শান্তিপুরের নাম তাঁরা চাইলেও বদলে দিতে পারেন না, বদলে  টাঙ্গাইল রাখতে পারেন না। এই তাঁতিদের একজন পদ্মশ্রী পেলেও, শান্তিপুরে বোনা শাড়িকে টাঙ্গাইল শাড়ি বলে ডাকলেও শান্তিপুরের নাম টাঙ্গাইল হবে না এবং টাঙ্গাইলের নাম টাঙ্গাইলই রয়ে যাবে। এবং টাঙ্গাইলে বোনা শাড়ির নামও টাঙ্গাইল শাড়িই রয়ে যাবে।  

মনে রাখতে হবে টাঙ্গাইলের তাঁতিরা দু’দেশে ভাগ হয়ে গেছেন। টাঙ্গাইল নামের অঞ্চল তো শাড়ি বানায় না, শাড়ি বানায় মানুষ। মানুষই কারিগর। ঢাকায় যেমন আমার বাড়ির পাশে টাঙ্গাইল শাড়ির দোকান ছিল, আমি ভারতের যে শহরে এখন বাস করছি, সে শহরেও আমার বাড়ির পাশে রয়েছে একটি টাঙ্গাইল শাড়ির দোকান। এখান থেকেও আমি যখন ইচ্ছে টাঙ্গাইল শাড়ি কিনতে পারি। দেশের কত কিছু মিস করি, টাঙ্গাইল শাড়ি মিস করি না। কলকাতায় মরণচাঁদের মিষ্টির দোকান দেখে একবার চমকে উঠেছিলাম। ঢাকার মরণচাঁদের দই আর মিষ্টি স্পেশাল ছিল। এখন মরণচাঁদের উত্তরাধিকারীরা যদি তাঁদের সিক্রেট রেসিপি  নিয়ে ঢাকা থেকে ব্যবসা গুটিয়ে কলকাতায় আসেন, এবং পুরোনো রেসিপি অনুযায়ী দই মিষ্টি বানান, তবে তাঁদের কেন অধিকার থাকবে না সেসবের স্বত্ব পাওয়ার? একবার তো শুনেছিলাম বাসমতি চালের স্বত্ব  দাবি করেছে আমেরিকা। রসগোল্লার স্বত্ব নিয়ে বহুদিন মারামারি চলেছে পশ্চিমবঙ্গ আর উড়িষ্যার মধ্যে।

এখন জরুরি কথা হলো, শাড়ি পরা তো প্রায় বন্ধ হয়ে গেছে দু’দেশেই, তাহলে শাড়ির মালিকানা নিয়ে কী লাভ কার? আমি খুব চাই মেয়েরা শাড়ি পরুক, ভালবেসে পরুক। টাঙ্গাইল শাড়ি দু’দেশেই পাওয়া যায়। একই কোয়ালিটির, একই স্টাইলের। স্বত্ব নিয়ে যখন লড়াই চলছে, অনেকে হয়তো নামটা প্রথম জানবে শাড়ির। শাড়ি কেমন দেখতে চাইবে, পরতে কেমন তাও জানতে চাইবে। এভাবে আগ্রহ বাড়ুক। টাঙ্গাইল নিয়ে দুশ্চিন্তা করার কিছু নেই। টাঙ্গাইলকে কেউ ধরে বেঁধে কোথাও নিয়ে যায়নি। টাঙ্গাইল শাড়ি  টাঙ্গাইলেরই থাকবে। ভারত সেই স্বত্ব ভুল করে পেলে ভারতকে তা ফিরিয়ে দিতে হবে। দেশভাগের আগে টাঙ্গাইল ভারতবর্ষের অংশ হলেও দেশভাগের পর টাঙ্গাইল বাংলাদেশের অংশ। তারপরও এ কথা আমাদের অস্বীকার করার উপায় নেই যে কাঁটাতার পেরিয়ে টাঙ্গাইলের যে তাঁতিরা এপারে অর্থাৎ ভারতে আসতে বাধ্য হয়েছেন, তাঁরাও বুকের ভেতর তাঁদের জন্মের ভূমি টাঙ্গাইলকে লালন করেন, তাঁদেরও স্বত্ব  পাওয়ার অধিকার আছে বলে তাঁরা মনে করেন। সেক্ষেত্রে অন্য কোনও নামে টাঙ্গাইল শাড়ির স্বত্ব তাঁরা পেতে পারেন, যেমন আদি টাঙ্গাইল শাড়ি বা নিউ টাঙ্গাইল শাড়ি। এই নামের মধ্যে রয়ে যাবে দেশ ভাগের আর সাম্প্রদায়িকতার ইতিহাস। বাংলাদেশের কিন্তু টাঙ্গাইল শাড়ির স্বত্ব আমার আমার বলে চেঁচালে চলবে না, টাঙ্গাইলে যে তাঁতিরা শাড়ি বানাচ্ছেন, তাঁরা যেন টাঙ্গাইলে নিরাপদে বাস করতে পারেন, তার ব্যবস্থা করতে হবে। যে বসাকরা টাঙ্গাইল শাড়ি তৈরি করছেন, তাঁরা যেন তল্পি তল্পা গুটিয়ে দেশ ত্যাগ করতে বাধ্য না হন, তা দেখতে হবে। যেন সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাসের ঘটনা আর না ঘটে দেশে।    

টাঙ্গাইল শাড়ি এবং টাঙ্গাইল শাড়ির তাঁতিরা অনেকটা আমার মতো। বাংলাদেশে জন্ম, কিন্তু  নিরাপত্তাহীনতার কারণে বাংলাদেশ ত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছি। বাংলাদেশ এবং ভারত...এই দু’দেশে বসবাসের সময় অনেকটা সমান হয়ে এসেছে আমার। বাংলাদেশ যতটুকু আমার, ভারতও ঠিক ততটুকু আমার। বাংলাদেশ আর ভারত দু’দেশের ক্রেতারা আমাকে ভুলতে বসেছে, এ যেমন ঠিক, আমাকে নিয়ে গর্ব করার লোকও এদেশে ওদেশে কিছু আছে...এও তেমন ঠিক।



টাঙ্গাইল শাড়ি   তাঁতি   তসলিমা নাসরিন  


মন্তব্য করুন


সোশ্যাল থট

এই পূজা অশুভ শক্তির অবসান ঘটাক: সজীব ওয়াজেদ জয়

প্রকাশ: ১২:৫০ পিএম, ২২ অক্টোবর, ২০২৩


Thumbnail

সাম্প্রদায়িকতা নির্মূলের অঙ্গীকার নিয়ে দুর্গাপূজা উপলক্ষে হিন্দু সম্প্রদায়কে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিবিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে (সাবেক টুইটার) তিনি লিখেছেন, ‘এই পূজা অশুভ শক্তির অবসান ঘটাক এবং একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক ও শান্তিপূর্ণ সমাজে মানুষের সমৃদ্ধি হোক।’

তিনি আরও বলেন, ‘ধর্ম যার যার, উৎসব সবার।’

সজীব ওয়াজেদ আরও লিখেছেন, সবাইকে দুর্গাপূজার অনেক অনেক শুভেচ্ছা।

উল্লেখ্য, গত ২০ (অক্টোবর) থেকে শুরু হয়  শারদীয় দুর্গোৎসব । আজ রোববার মহাঅষ্টমী। সকাল ৬টা ১০ মিনিটে মহাঅষ্টমী পূজা শুরু হয়। সকাল ১০টা ৩০ মিনিটে পুষ্পাঞ্জলি দেয়া হয় এবং ১১টায় কুমারী পূজা। রাজধানীর রামকৃষ্ণ মঠে কুমারী পূজা অনুষ্ঠিত হয়।

রাত ৮টা ৬ মিনিটে সন্ধিপূজা শুরু হবে। রাত ৮টা ৫৪ মিনিটে পূজা শেষ হবে


পূজা   সাম্প্রদায়িক   অবসান   ঘটাক   শক্তির   উৎসব  


মন্তব্য করুন


সোশ্যাল থট

মার্কিন রাষ্ট্রদূতের বক্তব্য স্বচ্ছ নয়: এডিটরস গিল্ড

প্রকাশ: ০৯:২৪ পিএম, ২৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৩


Thumbnail

বাংলাদেশের মিডিয়াও মার্কিন ভিসা নীতির আওতায় আসতে পারে—ঢাকাস্থ মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার ডি হাসের এমন বক্তব্যে উদ্বেগ জানিয়েছে এডিটরস গিল্ড।

বুধবার (২৭ সেপ্টেম্বর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ উদ্বেগ জানিয়েছে সংগঠনটি।

এতে বলা হয়, মার্কিন পররাষ্ট্র দফতর স্পষ্টভাবে বলেছে, বাংলাদেশে যাদের ওপর মার্কিন ভিসা নিষেধাজ্ঞা প্রয়োগ শুরু করেছে এই ব্যক্তিদের মধ্যে আইন প্রয়োগকারী সংস্থা, ক্ষমতাসীন দল এবং রাজনৈতিক বিরোধী দলের সদস্য রয়েছে। ঘোষিত নীতিমালায় গণমাধ্যম ও গণমাধ্যম পেশাজীবীদের বিষয়ে কিছুই ছিল না। কিন্তু হঠাৎ করেই ২৪ সেপ্টেম্বর পিটার হাস একটি সাক্ষাতকারে বলেন যে, বাংলাদেশের মিডিয়াও মার্কিন ভিসা নীতির আওতায় আসতে পারে। 

পিটার হাস এর এই বক্তব্যের পর বাংলাদেশের সাংবাদিকদের মধ্যে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে যে মার্কিন সরকার বাংলাদেশের মিডিয়ার ওপর তার আঁকড়ে ধরার চেষ্টা করছে নাকি মিডিয়া পেশাদারদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করছে।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, বাংলাদেশে আসন্ন নির্বাচন নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর নিজস্ব মতপার্থক্য রয়েছে। বাংলাদেশের সাংবাদিকরা বিবাদমান দলগুলোর কোনো পক্ষ না নিয়ে টিভি চ্যানেল, সংবাদপত্র এবং অনলাইন পোর্টালে নির্বাচনের পূর্ববর্তী ঘটনাগুলো কভার করছেন এবং নির্বাচনকে একাধিক ফরম্যাটে কভার করার জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন। আমরা জানতে চাই কী কারণে রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশের মিডিয়াকে হেয় করার জন্য ব্যস্ত সক্রিয়তা শুরু করেছিলেন। মার্কিন রাষ্ট্রদূতের বক্তব্য যথেষ্ট স্বচ্ছ নয় এবং এর সুস্পষ্ট ব্যাখ্যা প্রয়োজন। সাংবাদিকদের উপর ভিসা বিধিনিষেধ সম্প্রসারণের রাষ্ট্রদূতের বক্তব্যকে জনগণের কণ্ঠস্বরকে স্তব্ধ করার এবং গণমাধ্যমের উপর অদৃশ্য সেন্সরশিপ আরোপ করার একটি প্রচেষ্টা হিসাবে দেখা যেতে পারে, যা গণতন্ত্রের প্রধান স্তম্ভ বাকস্বাধীনতা এবং সংবাদপত্রের স্বাধীনতার নীতির পরিপন্থী। এবং শাসন।


মন্তব্য করুন


সোশ্যাল থট

'সাকিবের এমন সংকীর্ণ চিন্তা ভাবনা পরিবর্তন করা উচিৎ'

প্রকাশ: ০৭:১১ পিএম, ২২ সেপ্টেম্বর, ২০২৩


Thumbnail জেনিসিয়া বর্ণা ও মেহের নেগার

তরুণ ক্রিকেটার তানজিম হাসান সাকিবের নারীদের নিয়ে তার একটি পোস্ট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সম্প্রতি ভাইরাল হয় এবং এর পরই তীব্র সমালোচনার মুখে পরেন এই ক্রিকেটার। সাকিবের অসম্মাজনক পোস্টকে নিয়ে ইতিমধ্যে আলোচনা-সমালোচনার ঝড় বইছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। এছাড়া এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অনেক নারী তাদের ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন। 

এরই ধারাবাহিকতায় তার এই পোষ্ট নিয়ে বাংলা ইনসাইডারের সাথে শুক্রবার (২২ সেপ্টেম্বর) কথা বলেছেন দুইজন কর্মজীবী নারী। তাদের মধ্যে একজন হলেন একটি বেসরকারি টেলিভিশনের নিউজরুম এডিটর ও  নিউজ প্রেজেন্টার জেনিসিয়া বর্ণা। অন্য আরেকজন হলেন, একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের হিসাবরক্ষক ব্যবস্থাপক মেহের নেগার।

সাকিবের ফেইজবুক পোষ্ট প্রসঙ্গে প্রথমেই বর্ণা বলেন, আমার মনে হয় সবার দেখার ধরণ এবং পয়েন্ট অব ভিউ এক নয়। সাকিব যা বলেছেন সম্পূর্ণই তার নিজের পয়েন্ট অব ভিউ থেকে বলেছেন। তার সাথে আমার বা আপনার মতামত মিলবে এর কোন বাধ্যবাধকতা নেই। তবে তিনি যা বলছেন তার সাথে আমি একমত নই। 

আমি নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ে বিবিএ পড়ছি পাশাপাশি একটি বেসরকারি টেলিভিশনে নিউজরুম এডিটর ও প্রেজেন্টার হিসেবে কাজ করছি। ক্লাস, অফিস সামলে আমি বাসা বেশ ভালো ভাবে সামলে নিতে পারি। আমার দৈন্দিন জীবন ব্যাবস্থা নিয়ে আমি এবং আমার পরিবার বেশ খুশি। 

তিনি বলেন, এসময়ে এসে নারী পুরুষ সকলে যেখানে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে উন্নত বিশ্ব গড়ার লক্ষ্যে সেখানে আমার পয়েন্ট অব ভিউ থেকে সাকিবের এমন মন্তব্য অহেতুক। একজন নারী যখন শিক্ষিত এবং  সাবলম্বী হবেন তখন তিনি তার সন্তান কেও সঠিক শিক্ষা দিতে পারবেন, নিজের এবং পরিবারের খরচ বহন করতে পারবেন। কখনোই একজন চাকরিজীবী স্ত্রীদের জন্য সমাজ পরিবার ধ্বংশ হয় না। বরং একজন কর্মজীবী মহিলার জন্য সমাজ এবং পরিবারের বন্ধন শক্ত হয় ভালো হয় । আর একজন চাকরিজীবী স্ত্রী সবসময় চারদিক মানে পরিবার, সমাজ,চাকরি সবকিছুই সমানভাবে সামলানোর ক্ষমতা রাখেন। একজন কর্মজীবি নারী সবসময় অনেক গোছানো হয়।

এবার আসি পর্দার কথায় পর্দার সাথে চাকরীর কোনো সম্পর্ক নেই। চাকরী করলেযে কেউ পর্দা করতে পারবে না এমন কোনো বাধ্যকতা নেই। আমি মনে করি পর্দা করার ইচ্ছে থাকলে যে কোনো অবস্থাতেই করা সম্ভব। অনেক নারীই আছেন যারা চাকরী করেন না, কই তারাতো পর্দা করেনা তাহলে তাদের উদ্দেশ্য সাকিব কি বলবে?  

পাশাপাশি হিসাবরক্ষক ব্যবস্থাপক মেহের নেগার বলেন, যদিও এটা তানজিম হাসান সাকিবের ব্যক্তিগত অভিমত। কিন্তু তিনি পুরো নারী সমাজকে উদ্দেশ্য করে কথাগুলো বলেছেন। তাছাড়া উনি বাংলাদশেকে রিপেজেন্ট করছেন তাই উনার এমন মন্তব্য একদমই গ্রহণযোগ্য নয়। উনাকে অনেকেই অনুসরণ করেন তাই তার এমন মন্তব্য সমাজের কর্মজীবী নারীদের উপর নেগেটিভ ইমপেক্ট পরতে পারে।

মেহের বলেন, একজন শিক্ষিত এবং কর্মজীবী নারী অন্য সাধারণ নারীদের চেয়ে অনেক বেশি স্মাট এবং রেসপন্সিবিল হন বলে আমি মনে করি। কর্মজীবী নারীরা যেমন সাহসিকতার সাথে অফিসের কাজ সামলান ঠিক তেমনি সংসারও সামলান। চাকরীজীবী স্ত্রীরা হাজবেন্ডের সাথে সংসারে কন্ট্রিবিউট করে হাজবেন্ডের  চাপ কমিয়ে আনেন।

এমনকি সন্তানদের সঠিকভাবে বেড়ে উঠা এবং তাদের সুন্দর চরিত্র গঠনে অনেক বড় ভূমিকা রাখেন একজন শিক্ষিত ও কর্মজীবী নারী। তাই স্বামী এবং সন্তানদের হক নষ্ট হওয়ার কথা একদম অযৌক্তিক। আর পর্দা করা একজনের ব্যক্তিগত পছন্দের ব্যাপার । কেউ পর্দা করতে চাইলে সে যেকোনো অবস্থাতেই পর্দা করতে পারেন।

তিনি আরও বলেন, পর্দা চাকরি করার উপর নির্ভর করে না। সামগ্রিকভাবে একজন শিক্ষত এবং কর্মজীবী নারী দেশের অর্থ সামাজিক উন্নয়ন থেকে শুরু করে পারিবারিক বন্ধন শক্ত করে সর্বক্ষেত্রে সমান ভূমিকা রাখেন। তানজিম হাসান সাকিবের এমন সংকীর্ণ চিন্তা ভাবনা  পরিবর্তন করা উচিৎ।

উল্লেখ্য, নারীদের নিয়ে তানজিম সাকিবের অসম্মাজনক পোস্টটিতে তিনি বলেন, ‘স্ত্রী চাকরি করলে স্বামীর হক আদায় হয় না, স্ত্রী চাকরি করলে সন্তানের হক আদায় হয় না, স্ত্রী চাকরি করলে তার কমনীয়তা নষ্ট হয়, স্ত্রী চাকরি করলে পরিবার ধ্বংস হয়, স্ত্রী চাকরি করলে পর্দা নষ্ট হয়, স্ত্রী চাকরি করলে সমাজ নষ্ট হয়।



সাকিব   কর্মজীবী নারী  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন