ইনসাইড গ্রাউন্ড

আইপিএলের সেরা পাঁচ ইনিংস

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৪:০২ পিএম, ১৩ মার্চ, ২০১৮


Thumbnail

আর মাত্র এক মাস পরেই বসবে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) একাদশ আসর। এবারের আসরের নিলামে দলগুলো বেশ বুঝশুনে অর্থ খরচ করেছে। তবে কোনো কোনো ফ্রাঞ্চাইজি দুহাত খুলেও অর্থ ঢেলেছে। অর্থ যেমনই খরচ করা হোক না কেন, দিনশেষে দলগুলো নিজেদের চাহিদা এবং লক্ষ্য মতো দল সাজাতে পেরেছে কিনা তাই বড় কথা। এবারের ১১তম আসর ৯টি ভেন্যুতে ৫১ দিনব্যাপী অনুষ্ঠিত হবে। ২৭ মে ফাইনাল ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে মুম্বাইয়ে।

এর আগে আমরা আইপিএলের এবারের আসরের খেলা আট দল সম্পর্কে বিস্তারিত জেনেছি। এবার আইপিএলের ইতিহাসের কিছু রেকর্ড নিয়ে আলোচনা করবো। ২০০৮ সালে শুরু হওয়া আইপিএলে অনেক চমৎকার কিছু ইনিংস দেখা গেছে। তাই আজ থাকছে আইপিএলের ইতিহাসে সেরা পাঁচটি ব্যক্তিগত ইনিংস সম্পর্কে…

ক্রিস গেইল (১৭৫*, ২০১৩)
`দ্য ক্যারিবিয়ান স্ট্রম` ক্রিস গেইলের ১৭৫ রানের তাণ্ডবটি শুধু আইপিএলেই না বিশ্বের সমস্ত টি-টোয়েন্টি আসরের সেরা ব্যক্তিগত ইনিংস। ২০১৩ সালে ৩১ মার্চ পুনে ওয়ারিয়র্সের সঙ্গে ৬৬ বলে ১৭টি ছক্কা ও ১৩টি চার মারেন তিনি। এ ম্যাচে ২৬৩ রানের দলীয় সংগ্রহটি সবচে’বেশি রানের সংগ্রহ। গেইল ঝড়ের ম্যাচটিতে ১৩০ রানে বড় জয়ও পায় বেঙ্গালুরু।

ব্র্যান্ডন ম্যাককালাম (১৫৮*, ২০০৮)
আইপিএল শুরু হবার আগে জাঁকজমক ক্রিকেটের নতুন এ ধারাটিকে নিয়ে অনেকের ভিন্ন মত ছিল। সব আলোচনা-সমালোচনাকে উড়িয়ে দিয়ে নিউজিল্যান্ডের মারকুটে ওপেনার ব্যান্ডন ম্যাককালাম আইপিএল ইতিহাসের প্রথম ম্যাচেই উপহার দেন অসাধারণ এক ইনিংস। ২০০৮ সালের উদ্বোধনী আসরের প্রথম ম্যাচে বেঙ্গালুরুর বিপক্ষে কলকাতা নাইট রাইডার্সের হয়ে ৭৩ বলে অপরাজিত ১৫৮ রান করেন তিনি। ম্যাককালামের ১০ চার ও ১৩ ছয়ের ইনিংসটিতে ১৪০ রানের জয় পায় বলিউড অভিনেতা শাহরুখ খানের দলটি।

এবি ডিভিলিয়ার্স (১৩৩*, ২০১৫)
২০১৫ সালে ৪৬তম ম্যাচে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সকে ২৩৫ রানের টার্গেট দেয় বেঙ্গালুরু। এ ম্যাচেরও জয়ের নায়ক প্রোটিয়া ব্যাটসম্যান এবি ডিভিলিয়ার্স। ৫৯ বলের ১৩৩ রানের ইনিংসে মাঠের প্রায় প্রতিটি অংশ দিয়ে সীমানা অতিক্রম করিয়েছিলেন তিনি।

এবি ডিভিলিয়ার্স (১২৯*, ২০১৬)
আইপিলের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি রানের জয়টি তুলে নেয় রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু। ১৪৪ রানের এ জয়ে আগে ব্যাটিং করে গুজরাট লায়নকে ২৪৮ রানের পাহার সমান টার্গেট দেয় বিরাট কোহলির দল। বিশাল টার্গেটে খেলতে নেমে মাত্র ১০৪ রানেই অলআউট হয় গুজরাট।এ জয়ের নায়ক দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটসম্যান এবি ডিডিভিলিয়ার্স। ৫৫ বলে ১২৯ রানের ওই বিধ্বংসী ইনিংসে ৮টি ছক্কা ও পাঁচটি বাউন্ডারি হাঁকান তিনি।

ক্রিস গেইল (১২৮*, ২০১২০)
২০১২ সালের আসরের ৬৭তম ম্যাচে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর বিপক্ষে টসে জিতে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন দিল্লি ডেয়ারডেভিলসের কাপ্তান মাহেলা জয়বর্ধনে। কিন্তু এ সিদ্ধান্ত কাল হয়ে দাড়ায় তাদের জন্য। ক্রিস গেইলের ১৩টি ছক্কা ও ৭টি চারের ইনিংসটি মনে রাখবে আইপিএলের সব দর্শকরা। ৬৭ বলে ১২৮ রানের এ ইনিংসটি আইপিএলের ১০ বছরের ইতিহাসের অন্যতম সেরা ইনিংস।

বাংলা ইনসাইডার/ডিআর/জেডএ



মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

ডিপিএলে ব্যাট হাতে প্রথম ম্যাচেই শান্ত-মুশফিকের শতক

প্রকাশ: ১২:০৮ পিএম, ১৬ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

ঘরের মাঠে লংকানদের সাথে পূর্ণাঙ্গ সিরিজ শেষ করে ঘরোয়া আসর ডিপিএলে যোগ দিয়েছেন জাতীয় দলের ক্রিকেটাররা। ডিপিএলের চলতি আসরে ব্যাট হাতে নিজেদের প্রথম ম্যাচ খেলতে নেমে সেঞ্চুরির দেখা পায় নাজমুল হোসেন শান্ত এবং মুশফিকুর রহিম। প্রাইম ব্যাংকের বিপক্ষে খেলেন ১১৮ রানের এক দুর্দান্ত ইনিংস খেলেন আবাহনীর অধিনায়ক শান্ত। এছাড়া ১১১ রানে অপরাজিত থাকেন প্রাইম ব্যাংকের উইকেটরক্ষক ব্যাটার মুশফিকুর রহিম।

ঈদের ছুটি কাটিয়ে গতকাল থেকে আবারও মাঠে ফিরেছে ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগ (ডিপিএল)। এদিন শের-ই বাংলায় প্রাইম ব্যাংকের বিপক্ষে মাঠে নামে আবাহনী। এ ম্যাচে ১০৪ বল খেলে ১০৫ রান করেন নাঈম শেখ। তবে দিনটিতে আলাদাভাবে নজর কাড়েন আবাহনীর অধিনায়ক শান্ত। এর আগের ম্যাচেও খেলেছিলেন তিনি যদিও ব্যাট হাতে তার নামার আগেই দল জয় তুলে নিয়েছিল।

তবে গতকাল ব্যাট হাতে খেলতে নেমে দেখা পায় শতকের। ৮৫ বল খেলে ১৩ চার এবং চার ছক্কায় এই অধিনায়কের ব্যাট থেকে আসে ১১৮ রান। নির্ধারিত ওভার ব্যাট করে চার উইকেটে ৩৪১ রান জমা করেন আবাহনী। তবে বড় লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ২৮৩ গুটিয়ে যায় প্রাইম ব্যাংক। ফলে ৫৮ রানের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে আবাহনী।

এছাড়াও সোমবার বিকেএসপিতে মুখোমুখি হয় লেজেন্ডস অফ রূপগঞ্জ এবং গাজী টায়ার্স ক্রিকেট একাডেমি। সেই ম্যাচে ম্যাচে গাজী টায়ার্সকে ১০ উইকেটে হারায় রূপগঞ্জ। আরেক ম্যাচে পারটেক্স স্পোটিং ক্লাবকে ৫ উইকেটে হারায় শেখ জামাল।


শ্রীলঙ্কা   মুশফিক   সেঞ্চুরী   নাজমুল হোসেন শান্ত  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

এভারটনের জালে চেলসির গোল উৎসব

প্রকাশ: ১১:৩৭ এএম, ১৬ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

এভারটনকে যেন ছেলেখেলা করেই হারাল চেলসি। ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের ম্যাচে এভারটনের জালে ছয়বার বল পাঠিয়েছে ব্লুজরা। এই ম্যাচে হ্যাটট্রিক পূরণসহ ৪ গোল করেছেন কোল পালমার। সোমবার রাতে নিজেদের ঘরের মাঠ স্টামফোর্ড ব্রিজে মুখোমুখি হয়েছিল চেলসি-এভারটন। যেখানে ২১ বয়সী পালমার এভারটনকে একাই ধসিয়ে দিয়েছেন। 

ইংল্যান্ডের এই তরুণ প্রথম গোল (১৩ মিনিটে) করেন বাঁপায়ের জাদুকরী শটে। নিজের দ্বিতীয় গোল (১৮ মিনিটে) করেন হেডে, তৃতীয় গোল (২৯ মিনিটে) ডানপায়ের শটে আর বাকি গোলটি (৬৪ মিনিটে) করেন ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধে পেনাল্টিতে।

এভারটনের বিপক্ষে ৪ গোলের সুবাদে চলতি মৌসুমে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে যৌথভাবে সর্বোচ্চ হয়ে গোলদাতা হয়েছেন পালমার। তার সমান ২০ গোল করেন ম্যানচেস্টার সিটির ফরোয়ার্ড আর্লিং হালান্ড।

চলতি মৌসুমে সব ধরনের প্রতিযোগিতা মিলে মোট ২৩ গোল করলেন পালমার। গত ৫ বছরের মধ্যে চেলসির প্রথম কোনো খেলোয়াড় এক মৌসুমে ২০ গোল করার কীর্তি গড়েন। তার আগে ২০১৮-১৬ মৌসুমে ২০ গোলের রেকর্ড করেছিলেন ইডেন হ্যাজার্ড।

চেলসির হয়ে বাকি গোল দুটি করেন নিকোলাস জ্যাকসন (৪৪ মিনিটে) ও বদলি খেলোয়াড় আলফি গিলক্রিস্ট (৯০ মিনিটে)।

এই জয়ে ৩১ ম্যাচে ৪৭ পয়েন্ট নিয়ে বর্তমানে পয়েন্ট টেবিলের ৯ম স্থানে আছে চেলসি। আর ৩২ ম্যাচে ২৭ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের নিচের দিক থেকে পঞ্চমস্থানে আছে এভারটন।


ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ   কোল পালমার  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

এবারের বিশ্বকাপে কেমন হবে বাংলাদেশ দল?

প্রকাশ: ০৯:০০ এএম, ১৬ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

চলতি বছরে শ্রীলংকার সাথে পূর্ণাঙ্গ সিরিজের মধ্য দিয়ে আন্তর্জাতিক খেলায় মাঠে নেমেছিল বাংলাদেশ দল। যা বোর্ডের নীতি নির্ধারক থেকে শুরু করে দলের অধিনায়ক, সবার জন্যই ছিল প্রথম অ্যাসাইনমেন্ট। কারণ এই সিরিজের কিছুদিন   পূর্বেই নানা জল্পনা কল্পনার অবসান ঘটিয়ে বদলেছিল নির্বাচক প্যানেল ও দলের অধিনায়ক উভয়ই।

তবে নতুন নির্বাচক প্যানেল ও অধিনায়কের প্রথম অ্যাসাইনমেন্টেই ধরাশায়ী হয়েছে বাংলাদেশ। পূর্ণাঙ্গ সিরিজের মধ্যে টি-টোয়েন্টিতে হেরে শুরুতেই ব্যাকফুটে চলে গেলেও পরবর্তীতে ওয়ানডেতে ঘুরে দাঁড়িয়েছিল টাইগাররা। কিন্তু শেষে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজে সবকটিতেই হেরে হোয়াইটওয়াশ হয় নাজমুল শান্তরা। তবে এই পূর্ণাঙ্গ সিরিজে ধরাশায়ী হলেও বেশ কিছু ইতিবাচক দিক রয়েছে বলেই জানিয়েছিলেন সংশ্লিষ্টরা।

পুরো সিরিজে টাইগারদের পারফরম্যান্স নিয়ে নতুন অধিনায়ক শান্ত বলেছিলেন, ‘যদি পুরো সিরিজের দিকে তাকান, আমরা ভালো ক্রিকেট খেলেছি। এই সিরিজ থেকে আমরা অনেক আত্মবিশ্বাস পেয়েছি। বোলারদেরও অভিজ্ঞতা হচ্ছে আরও ভালোভাবে যে ভালো উইকেটে কীভাবে বোলিং করতে হয়। ব্যাটারদের ১৭০-৮০ অথবা ২০০ রান কীভাবে চেইজ করা লাগে সেরকম ধারণা আসছে। বিশ্বকাপের আগে এটা আমার মনে হয় ভালো প্রস্তুতি।’

আগামী জুনে যুক্তরাষ্ট্র ও ওয়েস্ট ইন্ডিজে বসতে যাচ্ছে এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আসর। ইতোমধ্যেই বৈশ্বিক এই আসরকে সামনে রেখে পরিকল্পনা শুরু করেছে বাংলাদেশসহ অন্যান্য দল। অন্যান্য সব দলগুলোই বিশ্বকাপকে কেন্দ্র করে দল গঠন করা শুরু করেছে। সেই তালিকায় বাদ যায়নি বাংলাদেশও।

শুধু শ্রীলংকাই নয়, এবার জিম্বাবুয়ে এবং পরবর্তীতে আমেরিকার সঙ্গে টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলবে টাইগাররা। আর এসব সিরিজ বিবেচনা করেই মূলত আসন্ন বিশ্বকাপের দল গঠন করা হবে বলে জানা গেছে।

বাংলাদেশের বিশ্বকাপের দল গঠন নিয়ে কথা বলেছেন বিসিবির পরিচালক ও ঢাকা আবাহনীর কোচ খালেদ মাহমুদ সুজন।ঈদের ছুটি শেষে সোমবার (১৫ এপ্রিল) থেকে মাঠে গড়াচ্ছে ডিপিএল। এদিন মুখোমুখি হবে আবাহনী-প্রাইম ব্যাংক। সেই ম্যাচকে সামনে রেখে রোববার (১৪ এপ্রিল) অনুশীলন করে আবাহনী। অনুশীলন শেষে মিরপুরে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন সুজন।

বিসিবির এই বোর্ড পরিচালক মনে করেন, আসন্ন জিম্বাবুয়ে সিরিজ থেকেই বিশ্বকাপের দল গঠনের কার্যক্রম শুরু করা উচিত। তিনি বলেন, ‘যারা বিশ্বকাপে খেলবে, যাদের ওপর কোচ, অধিনায়ক, ম্যানেজমেন্টের বিশ্বাস রয়েছে তাদের জিম্বাবুয়ে সিরিজ থেকে শুরু করা উচিত। হাতে তো বেশি সময় নেই। এরকম না যে দুইটা ম্যাচ একজন খেললো, পরের দুইটা ম্যাচ আরেকজন খেললো, আবার দুজনেই ফেইল করলো।’

সুজন বলেন, ‘তখন পাঁচ নাম্বার ম্যাচে কাকে নিয়ে খেলবেন আসলে। আপনি কনফিডেন্স নষ্ট করলেন দুইটা ছেলের। ওরকম না করে, একটা ছেলেকেই চারটা ম্যাচেই খেলানো হোক।’

উল্লেখ্য, আগামী ২৮ এপ্রিল পাঁচ ম্যাচের টি-টুয়েন্টি সিরিজ খেলতে বাংলাদেশ সফরে আসছে জিম্বাবুয়ে ক্রিকেট দল। পাঁচ ম্যাচের টি-টুয়েন্টি সিরিজ শুরু হবে মে মাসে। সিরিজের প্রথম তিন টি-টুয়েন্টি হবে চট্টগ্রাম জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে, যথাক্রমে আগামী ৩, ৫ ও ৭ মে। তারপর মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে ১০ ও ১২ মে হবে শেষ দুটি ম্যাচ।


বিশ্বকাপ   ক্রিকেট  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

আইপিএলে ইতিহাস গড়া ম্যাচে শেষ হাসি হাসল হায়দরাবাদ

প্রকাশ: ০১:১২ এএম, ১৬ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

টি-টোয়েন্টির ইতিহাসে আজ যেন এক অতিমাণবীয় রূপ দেখল ক্রিকেট বিশ্ব। এক ম্যাচেই দুই দল মিলিয়ে রান করল ৫৪৯। আর এতে করেই ভাঙ্গা হয়ে গেছে ডজনের বেশি রেকর্ড। সোমবার (১৫ এপ্রিল) বেঙ্গালুরুর চিন্বাস্বামী স্টেডিয়ামে চার ছক্কার খেলাই মেতেছিল সানরাইজার্স হায়দরাবাদ ও রয়েল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু। যেখানে মাঠের লড়াই য়ে শেষ পর্যন্ত জয়ের হাসি হেসেছে হায়দরাবাদ।


এদিন টসে হেরে শুরুতে দানবীয় ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ২৮৭ রানের ইতিহাস গড়ে অরেঞ্জ আর্মিরা। এমন দানবীয় স্কোরে প্রথম ইনিংসের পরেই হয়তো লড়াইটা একঘেয়ে হয়ে যাওয়ার কথা ছিল। তবে দ্বিতীয় ইনিংসে বিরাট কোহলি, ফাফ ডু প্লেসিস এবং দিনেশ কার্তিকরা যা করলেন সেটাও রূপকথার চেয়ে কোনো অংশে কম নয়। ২৮৮ রানের পাহাড়সম লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শেষ পর্যন্ত লড়েছে দলটি। বোলারদের ব্যর্থতা ব্যাট হাতে পুষিয়ে দেয়ার সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছেন কোহলিরা। তবে ২৮৮ রানের লক্ষ্যটা যে অনেকটাই অসম্ভব। তাই কাছাকাছি গিয়ে শেষমেশ হেরেছে ডু প্লেসির দল।

আইপিএলে নিজেদের সপ্তম ম্যাচে হায়দরাবাদের কাছে ২৫ রানে হেরেছে রয়েল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু। হায়দরাবাদের দেয়া ২৮৮ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ২৬২ রান করেছে কোহলিরা। এই হারে এবারের আইপিএলে টানা পঞ্চম হারের স্বাদ পেল বেঙ্গালুরু। ৭ ম্যাচে মাত্র ২ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের তলানিতে আছে বিরাট-ফাফরা। 

 

বেঙ্গালুরুর ঘরের মাঠে টস হেরে প্রথমে ব্যাটিংয়ে নামে হায়দ্রাবাদ। হায়দ্রাবাদের দুই ওপেনার অভিষেক শর্মা ও হেড দলকে উড়ন্ত সূচনা এনে দেয়। ওপেনিং জুটি থেকে আসে ১০৮ রান। অভিষেক ৩৪ রানে আউট হলেও, অপরপ্রান্তে থাকা হেডের ঝোড়ো ব্যাটিং অব্যাহত থাকে। প্রোটিয়া ব্যাটসম্যান ক্লাসেনকে নিয়ে এগোতে থাকেন তিনি।


মাত্র ৩৯ বলে শতক হাঁকিয়ে চলতি আইপিএলের দ্রুততম সেঞ্চুরিও করেন হেড। হেডের শতক চলতি আইপিএলে সবচেয়ে দ্রুততম হলেও, আইপিএলের ইতিহাসে এটি চতুর্থ দ্রুততম।


তবে হেড বেশিদূর যেতে পারেননি। ৪১ বলে ১০২ রানে থামে তার ইনিংস। হেড আউট হওয়ার পর তাণ্ডব চালান ক্লাসেন। ২৩ বলে অর্ধশতক হাঁকান এই প্রোটিয়া ব্যাটসম্যান। ৩১ বলে ৬৭ রান করে আউট হন তিনি।


শেষ দিকে মারকামের ১৭ বলে অপরাজিত ৩২ এবং আব্দুল শামাদের ১০ বলে অপরাজিত ৩৭ রানের উপর ভর করে ২৮৭ রানের পাহাড়সম পুঁজি পায় হায়দ্রাবাদ। আইপিএলের সবগুলো আসর মিলিয়ে এটিই এখন সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড। চলতি মৌসুমেই মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের বিপক্ষে ২৭৭ রান করেছিল দলটি। এবার নিজেদের রেকর্ডই ভাঙল দলটি। 

 

প্রায় অসম্ভব রান তাড়া করতে নেমে শুরুটা দারুণ হয়েছিল হায়দরাবাদের। পাওয়ারপ্লেতে দুই ওপেনার বিরাট কোহলি এবং ফাফ ডু প্লেসি মিলে ৭৯ রান করে দলকে রেখেছিলেন লড়াইয়ে। ৮০ রানে ভাঙে এই জুটি। ২০ বলে ৪২ রান করা কোহলি ‘ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার’ মায়াঙ্ক মারকান্দের বলে আউট হন।


কোহলির বিদায়ের পর রানের গতি কমার পাশাপাশি বেশ কয়েকটি উইকেটও হারায় বেঙ্গালুরু। বড় রানতাড়ায় রান পাননি উইল জ্যাকস, রজত পাতিদার এবং সৌরভ চৌহান। দলীয় ১২১ রানে উইকেটের মিছিলে যোগ দেন অধিনায়ক প্লেসি। ৪ ছক্কা ও ৭ চারে ২৮ বলে ৬২ রান করে কামিন্সের শিকার হয়ে ফেরেন তিনি।

 

ষষ্ঠ উইকেটে লড়াইয়ে ফেরার বেশ চেষ্টা করেছিলেন কার্তিক এবং লোমরোর। তবে তাদের ২৫ বলে ৫৯ রানের জুটিও ভাঙেন কামিন্স। ৩০ বলে ১০১ রানের লক্ষ্য ছিল বেঙ্গালুরুর। প্রায় অসম্ভব এই রান তাড়ায় একাই লড়েছেন কার্তিক।


১৭তম ওভারে দুটি ছক্কা, ১৮তম ও ১৯তম ওভারে একটি করে ছক্কা মেরেছেন কার্তিক। তবে শেষ পর্যন্ত আর লড়াইটা চালিয়ে যেতে পারেননি। ৭ ছক্কা ও ৫ চারে সাজানো তার ৩৫ বলে ৮৩ রানের ইনিংস থামে ১৯তম ওভারে নটরঞ্জনের বলে। ম্যাচ না জেতাতে পারলেও কার্তিকের লড়াইকে দাঁড়িয়ে হাততালি দিয়ে সম্মান জানিয়েছে বেঙ্গালুরুর দর্শকরা।


আইপিএলের এক ম্যাচে ৫৪৯ রান এখন টুর্নামেন্টের ইতিহাসে সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড। চলতি মৌসুমেই এক ম্যাচে ৫২৩ রানের রেকর্ড গড়েছিল মুম্বাই-হায়দরাবাদ। এবার সেই রেকর্ড ভাঙল বেঙ্গালুরু-হায়দরাবাদ। দুই ম্যাচেই শেষ পর্যন্ত জিতেছে হায়দরাবাদ।


সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদ   আইপিএল   ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

আইপিএলে আবারও হায়দরাবাদের সর্বোচ্চ রানের ইতিহাস

প্রকাশ: ০৯:৫২ পিএম, ১৫ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) ১৭তম আসরে নিজেদেরই রেকর্ড ভেঙে নতুন ইতিহাস লিখলো সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। আইপিএলের ইতিহাসে এক ইনিংসে সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড গড়লো দলটি।

সোমবার (১৫ এপ্রিল) রয়েল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর বিপক্ষে ম্যাচে প্রথম ব্যাট করে এক সেঞ্চুরি ও এক ফিফটিতে ভর করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে ২৮৭ রান করে তারা।

এর আগে এবারের আসরেই মুম্বাইয়ের বিপক্ষে ২৭৭ রানের রেকর্ড গড়েছিল অরেঞ্জ আর্মিরা। আজ আবারও তাদের নিজেদের রেকর্ড ভেঙে নতুন ইতিহাস লিখলো তারা।

এদিন দলের হয়ে সর্বোচ্চ ১০২ রান করেছেন ট্রাভিস হেড। তাছাড়া ৩১ বলে ৬৭ রান এসেছে হেনরিখ ক্লাসেনের ব্যাট থেকে। আর আব্দুল সামাদ করেছেন ১০ বলে ৩৭ রান।

উল্লেখ্য, এর আগে ২০১৩ সালে পুনে ওয়ারিয়র্সের বিরুদ্ধে ৫ উইকেটে ২৬৩ রান করেছিল রয়েল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান করেছিল লখনৌ সুপার জায়ান্টস। তারা ২০২৩ সালে পাঞ্জাব কিংসের বিরুদ্ধে ৫ উইকেটে ২৫৭ করে। তবে এবার গত ১১ বছরের ইতিহাস দ্বিতীয়বারের মতো ভেঙ্গেছে হায়দরাবাদ।


সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদ   আইপিএল   ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন