ইনসাইড গ্রাউন্ড

আইপিএল ইতিহাসে ফাইনাল না হারা পাঁচ অধিনায়ক

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৭:১৩ পিএম, ২৪ মার্চ, ২০১৮


Thumbnail

ভারতের বিদ্রোহী ক্রিকেট লিগ ‘আইসিএল’কে দমাতেই ২০০৮ সালে যাত্রা শুরু করে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ বা আইপিএল। তারপর এক দশক পার করেছে ক্রিকেট বিশ্বের জনপ্রিয় এই ফ্রাঞ্চাইজি টি২০ টুর্নামেন্ট। এবারের আসর দিয়ে দ্বিতীয় দশকে পা দিবে আইপিএল। ২০০৮ থেকে শুরু করে ২০১৭ সাল পর্যন্ত আইপিএল শিরোপা জিতেছে মোট ছয়টি দল। রাজস্থান রয়্যালস (২০০৮), ডেকান চার্জার্স (২০০৯) ও সানরাইজার্স হায়দরাবাদ (২০১৬) একবার করে, চেন্নাই সুপার কিংস (২০১০, ২০১১) ও কলকাতা নাইট রাইডার্স (২০১২, ২০১৪) দু`বার করে এবং মুম্বই ইন্ডিয়ান্স তিনবার (২০১৩, ২০১৫, ২০১৭) আইপিএল চ্যাম্পিয়ন হয়েছে।

তবে এই ছয় দলের অধিনায়কদের মধ্যে পাঁচ জন অধিনায়ক এমন আছেন, যারা কোনোদিন ফাইনাল হারেনি। অর্থাৎ যখনই তাঁরা অধিনায়ক হিসেবে ফাইনাল খেলেছে ট্রফি নিয়েই মাঠ ছেড়েছে। ব্যতিক্রম শুধু চেন্নাইয়ের অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনি। তিনি এক মাত্র অধিনায়ক যিনি ফাইনাল যেমন জিতেছেন, তেমনি হেরেছেনও। এই তালিকায় পাঁচ অধিনায়কের মধ্যে তিনজনই অস্ট্রেলিয়ার।

আইপিএল শুরু হওয়ার আগে আসুন সেই পাঁচজন অধিনায়কের কৃতিত্বকে একবার স্মরণ করে নেওয়া যাক যাঁরা কোনও দিন ফাইনালে হারেননি।

আইপিএল ফাইনালে অজেয় পাঁচ অধিনায়ক:

ডেভিড ওয়ার্নার (সানরাইজার্স হায়দরাবাদ)

২০১২ সালে ডেকান চার্জার্স দেউলিয়া হয়ে গেলে ২০১৩ সালে আইপিএল আত্মপ্রকাশ সানরাইজার্স হায়দরাবাদ টিমের। ২০১৫ সালে অজি তারকা ডেভিড ওয়ার্নারকে দলে নেয় সানরাইজার্স, এর ঠিক পরের বছর ২০১৬ সালে ওয়ার্নারের হাত ধরে প্রথমবার ফাইনালে উঠেই চ্যাম্পিয়ন হয় এসআরএইচ। ৪৭টি ম্যাচে অধিনায়কত্ব করেছেন ওয়ার্নার। জয়ের শতকরা হার ৫৫.৩১।

রোহিত শর্মা (মু্ম্বাই ইন্ডিয়ান্স)

আইপিএল ক্রিকেটে রোহিত একমাত্র অধিনায়ক যাঁর নামের পাশে তিনটি ট্রফি জয়ের নজির রয়েছে। শতকরা জয়ের হিসাবেও সবার ওপরে আছেন রোহিত- ৬০.৬৬*। একই সঙ্গে রোহিত শর্মা আইপিএল ইতিহাসে একমাত্র ক্রিকেটার যিনি চারবার ট্রফি জয়ী দলের সদস্য। ২০০৯ সালে ডেকান চার্জার্সে ছিলেন এই হিটম্যান। তাঁর নেতৃত্বেই ২০১৩ সালে প্রথম শিরোপা জেতে মুম্বাই। এরপর ২০১৫ এবং সর্বশেষ ২০১৭ সালে শিরোপা জেতে রোহিতের দল। আইপিএল ক্রিকেটে মুম্বই চারবারের ফাইনালিস্ট। প্রথমবার শচীন তেন্ডুলকরের নেতৃত্বে ২০১০ সালে ফাইনালে ওঠে টিম। সেবার হেরে যায় মু্ম্বই ইন্ডিয়ান্স। ৭৫টি ম্যাচে অধিনায়কত্ব করেছেন রোহিত।

গৌতম গম্ভীর (কলকাতা নাইট রাইডার্স)

প্রথমে দিল্লি ডেয়ারডেভিলসের হয়ে খেলেছিলেন গৌতম গম্ভীর। পরে ২০১১ সাল থেকে শুরু করে ২০১৭ সাল পর্যন্ত কলকাতা নাইট রাইডার্সের অধিনায়ক ছিলেজন গম্ভীর। তাঁর নেতৃত্বেই ২০১২ সালে ও ২০১৪ সালে সিরিজ জেতে কলকতা। গম্ভীর ১২৩টি ম্যাচে কেকেআরকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। জয়ের শতকরা হার ৫৭.৩১ ।

শেন ওয়ার্ন (রাজস্থান রয়্যালস)

২০০৮ সালের প্রথম আইপিএল চ্যাম্পিয়ান রাজস্থান রয়্যালসের অধিনায়ক ছিলেন অজি কিংবদন্তি লেগ স্পিনার শেন ওয়ার্ন। সেবার দলকে নেতৃত্ব দেওয়ার পাশাপাশি, ১৫ ইনিংসে ১৯টি উইকেট শিকার করেন ওয়ার্ন। সেবারি প্রথম সেবারই শেষ ফাইনালে ওঠে এবং শিরোপা জেতে রাজস্থান। এর পর আর কোনো আসরেই ফাইনালের মুখ দেখেনি শিল্পা শেঠির দল। ২০০৮ সাল থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত দলের অধিনায়ক ছিলেন তিনি। ৫৫টি ম্যাচে অধিনায়ক ছিলেন শেন ওয়ার্ন। ওয়ার্নের জয়ের শতকরা হার ৫৫.৪৫ ।

অ্যাডাম গিলক্রিস্ট (ডেকান চার্জার্স)

ডেকান চার্জার্সের প্রথম অধিনায়ক ছিলেন অ্যাডম গিলক্রিস্ট। পরে কিংস ইলেভেন পাঞ্জাবের অধিনায়কও হয়েছিলেন তিনি। ২০০৮ সাল থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত খেলেছিলেন তিনি। গিলির নেতৃত্বে ২০০৯ সালে আইপিএল শিরোপা জিতে নেয় ডেকান চার্জার্স। ২০১২ সালে দল্টি দেউলিয়া হয়ে যায়। সেখান থেকেই উত্থান হয় সানরাইজার্স হায়াদরাবাদের। ৭৪টি ম্যাচে অধিনায়ক ছিলেন গিলক্রিস্ট। গিলক্রিস্টের জয়ের শতকরা হার ৪৭.২৯ ।

বাংলা ইনসাইডার/ডিআর/জেডএ



মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

শেষ ওভারে চেন্নাইকে ডোবালেন মুস্তাফিজ

প্রকাশ: ০২:০৭ এএম, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

শেষ ৬ বলে ১৭ রানের টার্গেট। উইকেটে তখন স্টয়নিসের মতো বিধ্বংসী ব্যাটার। অন্যদিকে, ঘরের মাঠ এম চিদাম্বরম চেন্নাই চেন্নাই স্লোগানে প্রকম্পিত। দলকে জিতিয়ে নায়ক হওয়ার দারুণ সুযোগ মুস্তাফিজের সামনে। টাইগার এই পেসারের প্রথম বল গ্যালারিতে আছড়ে ফেলে এক লহমায় সমর্থকদের চুপ করিয়ে দিলেন স্টয়নিস। পরের দুই বলে দুটি চারে ম্যাচ তখন কেবল আনুষ্ঠানিকতার অপেক্ষা। তিন নম্বর ডেলিভারিটিতে আবার হলো নো বল। ফ্রি হিটে ফের ৪ মেরে লখনৌকে অবিশ্বাস্য জয় এনে দিলেন স্টয়নিস। 

দিন তিনেক আগে নিজেদের মাটিতে প্রথম দেখায় চেন্নাইকে ৮ উইকেটের বড় ব্যবধানে হারিয়েছিল লখনৌ। এবার চিপকে প্রতিশোধের ম্যাচে অধিয়াক রুতুরাজ গায়কোয়াড় আর শিবাম দুবের ব্যাটে হাতে শুরুটা দারুণ করে চেন্নাই। শেষ পর্যন্ত গায়কোয়াড় ১০৮ রানে অপরাজিত ছিলেন এবং দুবে করেছেন ৬৬ রান।

ঘরের মাঠে চেন্নাই বরাবরই ধারাবাহিক পারফরম্যান্স দেখিয়ে আসছে। আজকের আগে তাদের চার জয়ের তিনটিই এসেছে চিপকের এই ভেন্যুতে। তবে ওপেনিংয়ে তারা সেভাবে সুবিধা করতে পারছিল না। তার ব্যতিক্রম ঘটেনি আজও। প্রথম ওভারেই ব্যক্তিগত ৪ রানে আউট হয়ে যান রাহানে। যদিও সেই ধাক্কা ড্যারিল মিচেলকে সঙ্গী বানিয়ে সামলাতে থাকেন গায়কোয়াড়। তবে নিউজিল্যান্ডের এই ব্যাটার বেশিক্ষণ ক্রিজে টিকতে পারেননি, বিদায়ের আগে মাত্র ১১ রান (১০ বল) করেন।

মিচেল-গায়কোয়াড় এবং এরপর নামা রবীন্দ্র জাদেজা-গায়কোয়াড়ের পঞ্চাশোর্ধ রানের জুটি হলেও, সেখানে বড় অবদান ছিল চেন্নাই অধিনায়কের। জাদেজাও ফেরেন মাত্র ১৬ রানে (১৯ বল)। গায়কোয়াড় রান এবং একপ্রান্ত আগলে রাখায় অগ্রণী ভূমিকা রাখায় উইকেট পতনে সেভাবে সমস্যা হচ্ছিল না। এরপর শিবাম দুবে তাকে যোগ্য সঙ্গ দিয়েছেন। গায়কোয়াড়ের চেয়েও এই তরুণ ছিলেন বেশি আগ্রাসী। ব্যাট করেছেন ২৪৪–এর বেশি স্ট্রাইকরেটে। অর্ধশতক করেছেন মাত্র ২২ বলে। শেষ ওভারে আউট হওয়ার আগে দুবে ২৭ বলে ৩টি চার ও ৭টি ছক্কায় ৬৬ রান করেন।

অন্যদিকে, শেষ পর্যন্ত অপরাজিত ছিলেন চেন্নাই অধিনায়ক। তিনি ব্যক্তিগত শতক তুলে নেন ৫৬ বলে। একইসঙ্গে আইপিএলের দ্বিতীয় সর্বনিম্ন বয়সী অধিনায়ক হিসেবেও সেঞ্চুরির নজির গড়েন গায়কোয়াড়। এদিন রুতুরাজ গায়কোয়াড় শেষ পর্যন্ত ৬০ বলে ১২টি চার ও ৩টি ছক্কায় ১০৮ রানে অপরাজিত ছিলেন। মহেন্দ্র সিং ধোনি ক্রিজে এসে পেয়েছেন কেবল ১ বল, ইনিংসের চূড়ান্ত বলটিকে তিনি পরিণত করেন চারের বাউন্ডারিতে। লখনৌর হয়ে ম্যাচে একটি করে উইকেট নেন ম্যাট হেনরি, মহসিন খান ও যশ ঠাকুর।

চেন্নাইয়র ঘরের মাঠে ২১১ রানের টার্গেট তাড়া করা, তার ওপর চিপকের মাটিতে বেশ সফল স্বাগতিক দলের দুই পেসার পাথিরানা ও মুস্তাফিজ। জয়টা বেশ কঠিনই ছিল লখনৌয়ের জন্য। এমন সমীকরণে লখনৌয়ের শুরুটা ছিল হতাশার। 

কুইন্টন ডি'কক ফিরে যান কোনও রান না করেই। অধিনায়ক কেএল রাহুলকেও বেশিক্ষণ ক্রিজে টিকতে দিলেন না মুস্তাফিজ। ১৪ বলে ১৬ রান করেন তিনি। এর পরই ইনিংসের হাল ধরেন স্টয়নিস। লখনউয়ের ডুবন্ত নৌকা কার্যত একার হাতে তীর পর্যন্ত নিয়ে যান তিনি। অনবদ্য সেঞ্চুরিও হাঁকিয়ে ফেলেন তিনি। তাঁকে সঙ্গ দেন নিকোলাস পুরান এবং দীপক হুডা। পুরান মাত্র ১৫ বলে ৩৪ রান করেন। আর হুডা ১৭ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেন।

কিন্তু কোনও লড়াই-ই কাজে আসত না যদি না শেষ ওভারে স্নায়ুর চাপ সামলে চেন্নাইয়ের হাত থেকে জয় ছিনিয়ে আনতেন স্টয়নিস। শেষ ওভারে ১৭ রানের টার্গেটে মুস্তাফিজের ৩ বলেই চেন্নাইয়ের কফিনে শেষ পেরেক ঠুকে দেন এই অস্ট্রেলিয়ান। ৩.৩ ওভারে ৫১ রান খরচায় এক উইকেট নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হলো মুস্তাফিজকে। ফিজের মতো শুরুটা ভালো হলেও ইনিংসের ১৯তম ওভারে তিন চার হজম করেছেন মাথিশা পাথিরানাও। ৪ ওভারে ৩৫ রান খরচায় ২ উইকেট তুলে নেন তিনি।


মুস্তাফিজ   বাংলাদেশ   চেন্নাই   আইপিএল  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

লখনৌর বিপক্ষে টস হেরে ব্যাটিংয়ে মুস্তাফিজের চেন্নাই

প্রকাশ: ০৮:০১ পিএম, ২৩ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

চলছে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) ১৭তম আসর। আর এবারের আসরের শুরু থেকেই দুর্দান্ত ছন্দে রয়েছে গতবারের চ্যাম্পিয়ন চেন্নাই সুপার কিংস। চলতি আসরে এখন পর্যন্ত ৭ ম্যাচ খেলে চারটিতেই জয়ের দেখা পেয়েছে রেকর্ড পাঁচবারের চ্যাম্পিয়নরা।

তবে নিজেদের সর্বশেষ ম্যাচে লখনৌ সুপার জায়ান্টসের বিপক্ষে বড় ব্যবধানে হেরেছে চেন্নাই। এবার ঘুরে দাঁড়ানোর মিশনে লখনৌর বিপক্ষে ফিরতি লেগে মাঠে নামছে মোস্তাফিজের দল। এমন পরিস্থিতিতে মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) টস জিতে চেন্নাইকে প্রথমে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন লখনৌর অধিনায়ক লোকেশ রাহুল। বাংলাদেশ সময় রাত ৮টায় শুরু হবে ম্যাচটি।

প্রতিশোধের এই ম্যাচে একাদশে একটি পরিবর্তন এনেছে চেন্নাই। রাচিন রবীন্দ্রর জায়গায় একাদশে ফিরেছেন ড্যারিল মিচেল। অন্যদিকে অপরিবর্তিত একাদশ নিয়েই নামছে লখনৌ।

চেন্নাই একাদশ : ড্যারিল মিচেল, রুতুরাজ গায়কোয়াড় (অধিনায়ক), আজিঙ্কা রাহানে, শিবাম দুবে, মঈন আলি, রবীন্দ্র জাদেজা, এমএস ধোনি (উইকেটরক্ষক), দীপক চাহার, তুষার দেশপান্ডে, মোস্তাফিজুর রহমান ও মাথিশা পাথিরানা।

লখনৌ একাদশ : কুইন্টন ডি কক, লোকেশ রাহুল (অধিনায়ক), মার্কাস স্টয়নিস, দীপক হুদা, নিকোলাস পুরান, আয়ুশ বাদোনি, ক্রুনাল পান্ডিয়া, ম্যাট হেনরি, রবি বিষ্ণুই, মহসিন খান, যশ ঠাকুর।


আইপিএল   চেন্নাই সুপার কিংস   লখনৌ সুপার জায়ান্টস   ঋতুরাজ   লোকেশ রাহুল  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

কী কারণে বাংলাদেশের প্রাথমিক দলে নেই সাকিব-মুস্তাফিজ?

প্রকাশ: ০৬:৫৮ পিএম, ২৩ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

আগামী মাস থেকে শুরু হতে যাওয়া বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ে সিরিজকে সামনে রেখে ১৭ সদস্যের প্রাথমিক দল ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড। পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের জন্য এ প্রাথমিক দল ঘোষণা করা হয়েছে। মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) ঘোষিত প্রাথমিক দলে রাখা হয়নি সাকিব আল হাসান ও মুস্তাফিজুর রহমানকে।

আগামী ২৬ থেকে ২৮ এপ্রিল চট্টগ্রামে অনুষ্ঠিত হবে এই ক্যাম্প। আইপিএলে চেন্নাই সুপার কিংসের হয়ে খেলা মুস্তাফিজকে আগামী ১ মে পর্যন্ত ছুটি দিয়েছে বিসিবি। আইপিএলে থাকায় বাঁহাতি এই পেসারকে প্রাথমিক দলে রাখেনি দেশের ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থা।  আর সাকিব শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দ্বিতীয় টেস্টের পর ছুটি কাটাতে যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমিয়েছেন। চলতি মাসের শেষের দিকে দেশে ফেরার কথা রয়েছে দেশসেরা এই অলরাউন্ডারের।

জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজ শুরু হবে ৩ মে। ৪ ও ৭ মে চট্টগ্রামেই পরের দুটি টি-টোয়েন্টি, এরপর মিরপুরের শেরেবাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে ১০ ও ১২ মে হবে সিরিজের শেষ দুটি ম্যাচ।

জিম্বাবুয়ে সিরিজের প্রাথমিক দল
নাজমুল হোসেন, লিটন দাস, তানজিদ হাসান, তাওহিদ হৃদয়, মাহমুদউল্লাহ, জাকের আলী, মেহেদী হাসান, রিশাদ হোসেন, তাসকিন আহমেদ, শরীফুল ইসলাম, তানজিম হাসান, পারভেজ হোসেন, তানভির ইসলাম, আফিফ হোসেন, হাসান মাহমুদ, সাইফউদ্দিন, সৌম্য সরকার।


সাকিব আল হাসান   ‍মুস্তাফিজুর রহমান   জিম্বাবুয়ে   বাংলাদেশ   টি-২০  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

অসদাচরণের অভিযোগে এবার শাস্তির মুখে কোহলি

প্রকাশ: ০৫:১৩ পিএম, ২৩ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

চলছে আইপিএলের ১৭তম আসর। যেখানে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরুর হয়ে বেশ ভালো ফর্মে রয়েছেন ভারতের তারকা ব্যাটার বিরাট কোহলি। প্রায় প্রতি ম্যাচেই পাচ্ছেন রানের দেখা। তবে ব্যতিক্রম ছিলেন কলকাতা নাইট রাইডার্সের বিপক্ষে।

রোববার ইডেন গার্ডেন্সে কলকাতা নাইট রাইডার্সের মুখোমুখি হয়েছিল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরু। যেখানে আম্পায়ারের সিদ্ধান্তে অসন্তুষ্ট হয়ে মাঠেই কোহলি প্রতিক্রিয়া দেখান। অসদাচরণের অভিযোগে অভিজ্ঞ এই ব্যাটারকে জরিমানা করেছে আইপিএল কর্তৃপক্ষ। আইপিএলের কোড অব কন্টাক্ট ভঙ্গ করায় কোহলিকে তার ম্যাচ ফির ৫০ শতাংশ জরিমানা করা হয়েছে।

ব্যাঙ্গালুরুর সামনে লক্ষ্য ছিল ২২৩ রানের। সেই লক্ষ্যে ভালো একটা শুরুর দরকার ছিল। বিরাট কোহলি ঠিক সেই চেষ্টাই করেছিলেন। স্টার্কের প্রথম বলেই চার মেরে শুরু করেছিলেন। নিজের প্রথম ৬ বল থেকে তুলে নেন ১৮ রান। এরপরেই অবশ্য ভারতীয় এই ব্যাটার আউট হয়েছেন বিতর্কিত এক সিদ্ধান্তে।

হারশিত রানার বলটা ছিল কোমরের কাছাকাছি। ফুল টস বলে কোহলি কেবল ব্যাটে-বলে করেছেন। ফিরতি ক্যাচ লুফেছেন বোলার নিজেই। আউটের সিদ্ধান্তের জন্য দ্বারস্থ হতে হয়েছিল আম্পায়ারের। যেখানে প্রযুক্তির সাহায্যে থার্ড আম্পায়ার মাইকেল গফ আউটের সিদ্ধান্ত জানান।

কোহলি সেই সিদ্ধান্ত মেনে নিতে পারেননি। মাঠেই মেজাজ হারিয়ে তর্ক করেছেন আম্পায়ারের সঙ্গে। যুক্ত ছিলেন আরসিবি অধিনায়ক ফাফ ডু প্লেসিও। তবে গফ নিজেই ম্যাচ চলাকালে জানান, বিতর্ক উসকে দেয়া এমন সিদ্ধান্তের কারণ।

হারশিত রানার ওই ডেলিভারি পুরোপুরি বৈধ ছিল। ব্যাটার ক্রিজে থাকলে বলের উচ্চতা হতো ০.৯২ মিটার। বিরাট কোহলির কোমরের উচ্চতা ১.০৪ মিটার। যার অর্থ, বিরাট ক্রিজে থাকলে বল তার কোমরের নিচ দিয়েই যেত, যা আইসিসির নীতি অনুযায়ী বৈধ বল হিসেবেই গণ্য হবে। স্বাভাবিক নিয়ম মেনেই তাই আউটের সিদ্ধান্ত দেন মাইকেল গফ।


আইপিএল   বিরাট কোহলি   রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরু  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

জিম্বাবুয়ে সিরিজের জন্য বাংলাদেশের প্রাথমিক দল ঘোষণা

প্রকাশ: ০৪:৫৮ পিএম, ২৩ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

আগামী মাস থেকে শুরু হতে যাওয়া বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ে সিরিজকে সামনে রেখে ১৭ সদস্যের প্রাথমিক দল ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড। পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের জন্য এ প্রাথমিক দল ঘোষণা করা হয়েছে। এ দলে ডাক পেয়েছে চলমান ডিপিএলে দারুণ ছন্দে থাকা পারভেজ হোসেন ইমন, তানভির ইসলাম ও মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন। 

চলমান ডিপিএলে ব্যাট হাতে ৩ সেঞ্চুরি ও ২ হাফ সেঞ্চুরিতে ১২ ম্যাচে ৫৮৫ রান করেছেন পারভেজ ইমন। আর ডিপিএলে ১১ ম্যাচে ১৯ উইকেট নিয়েছেন তানভির ইসলাম। তাছাড়া সর্বশেষ বিপিএলে ধারাবাহিক পারফরম্যান্স করে নির্বাচকদের সুনজরে আসেন সাইফউদ্দিন।

জিম্বাবুয়ে সিরিজের প্রস্তুতি ক্যাম্প:

নাজমুল হোসেন, লিটন দাস, তানজিদ হাসান, তাওহিদ হৃদয়, মাহমুদউল্লাহ, জাকের আলী, মেহেদী হাসান, রিশাদ হোসেন, তাসকিন আহমেদ, শরীফুল ইসলাম, তানজিম হাসান, পারভেজ হোসেন, তানভির ইসলাম, আফিফ হোসেন, হাসান মাহমুদ, সাইফউদ্দিন, সৌম্য সরকার। 

জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজ শুরু হবে ৩ মে। ৪ ও ৭ মে চট্টগ্রামেই পরের দুটি টি-টোয়েন্টি, এরপর মিরপুরের শেরেবাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে ১০ ও ১২ মে হবে সিরিজের শেষ দুটি ম্যাচ


বাংলাদেশ ক্রিকেট   বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ে সিরিজ   বিসিবি  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন