ইনসাইড গ্রাউন্ড

রাশিয়া বিশ্বকাপে আন্ডারডগ যারা

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৪:০৮ পিএম, ১৩ জুন, ২০১৮


Thumbnail

অনেকেই বিশ্বকাপে ছোট এবং অচেনা দলগুলোর সঙ্গে লড়তে চায় না। ড্র’য়ের আগে সৃষ্টিকর্তার কাছে প্রার্থনা করে এমন কোনো দল যেন তাঁদের গ্রুপসঙ্গী না হয়। মোদ্দাকথা বিশ্বকাপে আন্ডারডগ মানেই যেন মূর্তিমান আতঙ্ক। প্রায়ই দেখা যায় যে আন্ডারডগ দলগুলো পাল্টে দেয় খেলার ছক। ওলটপালট করে দেয় ফেবারিট দলগুলোর বিশ্বকাপ মিশন।

রাশিয়া বিশ্বকাপে ব্রাজিল, আর্জেন্টিনা, জার্মানি, স্পেন, ফ্রান্স, ইংল্যান্ড, পর্তুগাল, বেলজিয়ামসহ বেশকিছু দেশের দিকে সবার নজর থাকবে। কেননা দলগুলো বেশ বড় তারকায় ঠাসা। তবে প্রতিবারই হিসেবের বাইরে থাকা আন্ডারডগ দলগুলো অসাধারণ নৈপুণ্যে চমকে দেয় ফুটবলবিশ্বকে। চলুন দেখা নেয়া যাক এমন কয়েকটি দল: 

মিশর
ফুটবল বিশ্বে বর্তমান সময়ের আলোচিত নাম মোহাম্মেদ সালাহ। লিভারপুলের হয়ে ইউরোপীয় ফুটবলে আলো ছড়াচ্ছেন এই মিশরীয় ফুটবলার। আর সালাহ’র হাত ধরেই বিশ্বকাপে ভালো কিছু করার আশা বুনছে মিশর। এর অবশ্য অনেক যৌক্তিক কারণ আছে। কেননা ইউরোপীয় ফুটবলে রোনালদো-মেসি- নেইমারদের পাশ কাটিয়ে ছড়ি ঘুড়াচ্ছেন মোহাম্মেদ সালাহ। এই দলে সালাহ ছাড়াও বেশ কয়েকজন ভালো মানের খেলোয়াড় আছে।

২০১৫ সালে মিশরের কোচের দায়িত্ব পান হেক্টর কুপার। কোচিং ক্যারিয়ারে ভ্যালেন্সিয়া, ইন্টার মিলান, রিয়াল বেতিসের মতো ক্লাবে কোচের দায়িত্বে ছিলেন। এ ছাড়া ২০০৮-২০০৯ মৌসুমে জর্জিয়ার ফুটবলকে নতুন মাত্রা দেন হেক্টর। তবে হেক্টর কুপার মিশরের দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে তাঁর অধীণে এখন পর্যন্ত ৩০টি ম্যাচ খেলেছে সালাহরা। আর এই ৩০ ম্যাচে মাত্র একবার একটির বেশি গোল হজম করেছে মিশর। এ সব কিছুকে পাশ কাটিয়ে মিশরের শক্তির জায়গা তাদের আক্রমণভাগ এবং দুর্বলতা হলো অভিজ্ঞতা।

প্লেয়ার টু ওয়াচ: মোহাম্মেদ সালাহ (লিভারপুল)।

আইসল্যান্ড
প্রথমবার বিশ্বকাপে খেলছে আইসল্যান্ড। মাত্র ৩ লাখ ৩৪ হাজার জনসংখ্যার দেশটি বিশ্বকাপে কোয়ালিফাই করা সবচেয়ে কম জনসংখ্যার দেশ। ইংল্যান্ডকে ২০১৬ ইউরো থেকে ছিটকে দিয়ে নিজেদের সামর্থের প্রমাণ তারা আগেই দিয়েছে। সেবার ইউরোতে কোয়ার্টার ফাইনাল পর্যন্ত গিয়েছিলো তাঁরা। বিশ্বকাপ কোয়ালিফায়ারে আয়ারল্যান্ড খুব ভালো খেলেছে এবং প্রমাণ করেছে যে শুধুমাত্র হাইপ দিয়ে তারা এই পজিশনে আসেনি। তাই এবার পালা বিশ্বকাপে নিজেদের প্রমাণের।

প্লেয়ার টু ওয়াচ: আইসল্যান্ডের সবচেয়ে বড় তারকা নিঃসন্দেহে গিলফি সিগারসন। তবে তাঁর সঙ্গে বিরকির বায়ারসন(এ্যস্টন ভিলা), এ্যারন গুনারসন(কার্ডিফ সিটি) এবং আলফ্রেড ফিনবোগাসন(এফসি আউসবুর্গ)রা আছে যথেষ্ঠ সাহায্যের জন্য। গ্রুপ ডি’তে আর্জেন্টিনা, ক্রোয়েশিয়া আর নাইজেরিয়ার সাথে পড়া আইসল্যান্ড কতোদূর যেতে পারবে সেটা সময় বলে দিবে তবে তারা যে জান দিয়ে খেলবে এই ব্যাপার সন্দেহ নাই।

ডেনমার্ক
ডেনমার্ককে নিয়ে আলোচনা কম হয় কিন্তু তাঁরাও অনেক প্রতিভাবান খেলোয়াড়দের নিয়ে গড়া একটি দল। ডেনমার্ক সর্বশেষ বিশ্বকাপ খেলেছিলো ২০১০ সালে। তবে বিশ্বকাপে তাদের সেরা সাফল্য আসে ১৯৯৮ বিশ্বকাপে। সেবার কোয়ার্টার ফাইনাল পর্যন্ত গিয়েছিল ড্যানিশরা। তবে এবারের ডেনমার্কের শক্তি মাঝমাঠ। ইউরোপীয়ান বাছাইপর্বে গ্রুপ ‘ই’-তে পোলান্ডের পেছনে থেকে রানার্স আপ হয় ডেনমার্ক। এরপর আয়ারল্যান্ডকে প্লে-অফে ৫-১ গোলের বড় ব্যবধানে হারিয়ে বিশ্বকাপে পা রাখে তারা। কোচ এরিকজ হারিদা ৪-৩-৩ ফরমেশনে খেলতে পছন্দ করেন। অর্থাৎ খেলার ধরন আক্রমণাত্মক। তবে দলটির মূল সমস্যা ভালো স্ট্রাইকারের অভাব, অর্থাৎ ফরোয়াড লাইনে সমস্যা আছে। বাছাইপর্বে ডেনমার্ক ২৫টি গোল করে, যার মধ্যে স্ট্রাইকাররা করে ৬টি গোল।

প্লেয়ার টু ওয়াচ: ডেনমার্ক দলে আছেন বিশ্বের অন্যতম সেরা অ্যাটাকিং মিডফিল্ডার ক্রিশ্চিয়ান এরিকসন (টটেনহ্যাম)। ২০১০ সাল থেকে বিশ্বকাপ খেলছেন এই খেলোয়াড়। সেবার ছিলেন কনিষ্ঠতম সদস্য এবার অভিজ্ঞ। বাছাইপর্বের ১২ ম্যাচে ১১ গোলই তাঁর সামর্থ্যের প্রমাণ দেয়।

নাইজেরিয়া
আফ্রিকার ‘সুপার ঈগল’রা এবার সবাইকে চমকে দিতে পারে। বিশ্বকাপের আসরে নাইজেরিয়ার জার্সিতে নামার অপেক্ষায় থাকা খেলোয়াড়দের গড় বয়স ২৪.৯ বছর। এত কম গড় বয়স নিয়ে আর কোন দল মাঠে নামছেনা এবারের বিশ্বকাপে। এই নিয়ে যষ্ঠবারের মত বিশ্বকাপ খেলবে নাইজেরিয়া। তরুণ এই দলকে নিয়ে বেশ আশাবাদী তাদের কোচ গারনট রোর ও অধিনায়ক জন ওবি মিকেল। তাছাড়া এই দলটিই কয়েক মাস আগে এক প্রীতি ম্যাকচে আর্জেন্টিনাকে ৪-২ গোলে হারিয়েছে। সেই সঙ্গে নাইজেরিয়া সুশৃঙ্খল ও শান্ত একটি দল। সবাই সবার কাজ জানে এবং সেভাবেই করে যাচ্ছে। গত নভেম্বরে আর্জেন্টিনার সঙ্গে ৪-২ গোলে জেতা ম্যাচটিতে তাঁরা তাঁরা কতটা ভয়ংকর হতে পারে। তাঁদের অ্যাটাক গ্রুপের অন্য তিন দিল- আর্জেন্টিনা, আইসল্যান্ড ও ক্রোয়েশিয়াকে সমস্যায় ফেলতে পারে। আর এই চার দল নিয়ে গড়া গ্রুপ ডি হলো এবারের বিশ্বকাপের সবচেয়ে  কঠিন গ্রুপ।

প্লেয়ার টু ওয়াচ: জন ওবি মিকেল (তাইনজিন টেডা), অ্যালেক্স ইয়োবি (আর্সেনাল) এবং কেলেচি ইহিয়ানাচো(লেস্টার সিটি)।

অস্ট্রেলিয়া
২০০৬ জার্মানি বিশ্বকাপ থেকে নিয়মিত ফুটবলের এই বড় আসরে খেলছে অস্ট্রেলিয়া। জানলে অনেকেই অবাক হতে পারেন বাছাই পর্ব পেরোতে সকারুজদের প্রায় ২৫০০০০ মাইল ভ্রমন করতে হয়েছে। তবে এবার তারা অনেক কাঠখোড়ন পেরিয়ে বিশ্বকাপে এসেছে। বাছাইপর্বে জাপান এবং সৌদি আরবের পেছনে ছিল তারা। যার কারনে দু’দুটি প্লে-অফ খেলতে হয়েছে তাদের। প্রথমে সিরিয়া এবং এরপর হন্ডুরাস। অস্ট্রেলিয়ায় দলেরও মূল শক্তির জায়গা টিম স্পিরিট। আর দুর্বলতার জায়গা ভালো স্ট্রাইকারের অভাব, অর্থাৎ ফরোয়াড লাইনে সমস্যা আছে। ৩৮ বছর বয়সেও আক্রমণভাগের প্রাধান টিম কাহিল। সেই সঙ্গে সকারুজদের দীর্ঘদিনের কোচ এঙ্গু পোস্তগলু পদত্যাগ করার পর এখনও কোচের দেখা পায়নি তারা। অথচ বিশ্বকাপের আছে মাত্র একমাস।

প্লেয়ার টু ওয়াচ: অ্যারন মোই। ইপিএলের দল হাডার্সফিল্ডে খেলা এই মিডফিল্ডার হতে পারে অজিদের মূল ভরসা।

বাংলা ইনসাইডার/ডিআর



মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

শেষ ওভারে চেন্নাইকে ডোবালেন মুস্তাফিজ

প্রকাশ: ০২:০৭ এএম, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

শেষ ৬ বলে ১৭ রানের টার্গেট। উইকেটে তখন স্টয়নিসের মতো বিধ্বংসী ব্যাটার। অন্যদিকে, ঘরের মাঠ এম চিদাম্বরম চেন্নাই চেন্নাই স্লোগানে প্রকম্পিত। দলকে জিতিয়ে নায়ক হওয়ার দারুণ সুযোগ মুস্তাফিজের সামনে। টাইগার এই পেসারের প্রথম বল গ্যালারিতে আছড়ে ফেলে এক লহমায় সমর্থকদের চুপ করিয়ে দিলেন স্টয়নিস। পরের দুই বলে দুটি চারে ম্যাচ তখন কেবল আনুষ্ঠানিকতার অপেক্ষা। তিন নম্বর ডেলিভারিটিতে আবার হলো নো বল। ফ্রি হিটে ফের ৪ মেরে লখনৌকে অবিশ্বাস্য জয় এনে দিলেন স্টয়নিস। 

দিন তিনেক আগে নিজেদের মাটিতে প্রথম দেখায় চেন্নাইকে ৮ উইকেটের বড় ব্যবধানে হারিয়েছিল লখনৌ। এবার চিপকে প্রতিশোধের ম্যাচে অধিয়াক রুতুরাজ গায়কোয়াড় আর শিবাম দুবের ব্যাটে হাতে শুরুটা দারুণ করে চেন্নাই। শেষ পর্যন্ত গায়কোয়াড় ১০৮ রানে অপরাজিত ছিলেন এবং দুবে করেছেন ৬৬ রান।

ঘরের মাঠে চেন্নাই বরাবরই ধারাবাহিক পারফরম্যান্স দেখিয়ে আসছে। আজকের আগে তাদের চার জয়ের তিনটিই এসেছে চিপকের এই ভেন্যুতে। তবে ওপেনিংয়ে তারা সেভাবে সুবিধা করতে পারছিল না। তার ব্যতিক্রম ঘটেনি আজও। প্রথম ওভারেই ব্যক্তিগত ৪ রানে আউট হয়ে যান রাহানে। যদিও সেই ধাক্কা ড্যারিল মিচেলকে সঙ্গী বানিয়ে সামলাতে থাকেন গায়কোয়াড়। তবে নিউজিল্যান্ডের এই ব্যাটার বেশিক্ষণ ক্রিজে টিকতে পারেননি, বিদায়ের আগে মাত্র ১১ রান (১০ বল) করেন।

মিচেল-গায়কোয়াড় এবং এরপর নামা রবীন্দ্র জাদেজা-গায়কোয়াড়ের পঞ্চাশোর্ধ রানের জুটি হলেও, সেখানে বড় অবদান ছিল চেন্নাই অধিনায়কের। জাদেজাও ফেরেন মাত্র ১৬ রানে (১৯ বল)। গায়কোয়াড় রান এবং একপ্রান্ত আগলে রাখায় অগ্রণী ভূমিকা রাখায় উইকেট পতনে সেভাবে সমস্যা হচ্ছিল না। এরপর শিবাম দুবে তাকে যোগ্য সঙ্গ দিয়েছেন। গায়কোয়াড়ের চেয়েও এই তরুণ ছিলেন বেশি আগ্রাসী। ব্যাট করেছেন ২৪৪–এর বেশি স্ট্রাইকরেটে। অর্ধশতক করেছেন মাত্র ২২ বলে। শেষ ওভারে আউট হওয়ার আগে দুবে ২৭ বলে ৩টি চার ও ৭টি ছক্কায় ৬৬ রান করেন।

অন্যদিকে, শেষ পর্যন্ত অপরাজিত ছিলেন চেন্নাই অধিনায়ক। তিনি ব্যক্তিগত শতক তুলে নেন ৫৬ বলে। একইসঙ্গে আইপিএলের দ্বিতীয় সর্বনিম্ন বয়সী অধিনায়ক হিসেবেও সেঞ্চুরির নজির গড়েন গায়কোয়াড়। এদিন রুতুরাজ গায়কোয়াড় শেষ পর্যন্ত ৬০ বলে ১২টি চার ও ৩টি ছক্কায় ১০৮ রানে অপরাজিত ছিলেন। মহেন্দ্র সিং ধোনি ক্রিজে এসে পেয়েছেন কেবল ১ বল, ইনিংসের চূড়ান্ত বলটিকে তিনি পরিণত করেন চারের বাউন্ডারিতে। লখনৌর হয়ে ম্যাচে একটি করে উইকেট নেন ম্যাট হেনরি, মহসিন খান ও যশ ঠাকুর।

চেন্নাইয়র ঘরের মাঠে ২১১ রানের টার্গেট তাড়া করা, তার ওপর চিপকের মাটিতে বেশ সফল স্বাগতিক দলের দুই পেসার পাথিরানা ও মুস্তাফিজ। জয়টা বেশ কঠিনই ছিল লখনৌয়ের জন্য। এমন সমীকরণে লখনৌয়ের শুরুটা ছিল হতাশার। 

কুইন্টন ডি'কক ফিরে যান কোনও রান না করেই। অধিনায়ক কেএল রাহুলকেও বেশিক্ষণ ক্রিজে টিকতে দিলেন না মুস্তাফিজ। ১৪ বলে ১৬ রান করেন তিনি। এর পরই ইনিংসের হাল ধরেন স্টয়নিস। লখনউয়ের ডুবন্ত নৌকা কার্যত একার হাতে তীর পর্যন্ত নিয়ে যান তিনি। অনবদ্য সেঞ্চুরিও হাঁকিয়ে ফেলেন তিনি। তাঁকে সঙ্গ দেন নিকোলাস পুরান এবং দীপক হুডা। পুরান মাত্র ১৫ বলে ৩৪ রান করেন। আর হুডা ১৭ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেন।

কিন্তু কোনও লড়াই-ই কাজে আসত না যদি না শেষ ওভারে স্নায়ুর চাপ সামলে চেন্নাইয়ের হাত থেকে জয় ছিনিয়ে আনতেন স্টয়নিস। শেষ ওভারে ১৭ রানের টার্গেটে মুস্তাফিজের ৩ বলেই চেন্নাইয়ের কফিনে শেষ পেরেক ঠুকে দেন এই অস্ট্রেলিয়ান। ৩.৩ ওভারে ৫১ রান খরচায় এক উইকেট নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হলো মুস্তাফিজকে। ফিজের মতো শুরুটা ভালো হলেও ইনিংসের ১৯তম ওভারে তিন চার হজম করেছেন মাথিশা পাথিরানাও। ৪ ওভারে ৩৫ রান খরচায় ২ উইকেট তুলে নেন তিনি।


মুস্তাফিজ   বাংলাদেশ   চেন্নাই   আইপিএল  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

লখনৌর বিপক্ষে টস হেরে ব্যাটিংয়ে মুস্তাফিজের চেন্নাই

প্রকাশ: ০৮:০১ পিএম, ২৩ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

চলছে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) ১৭তম আসর। আর এবারের আসরের শুরু থেকেই দুর্দান্ত ছন্দে রয়েছে গতবারের চ্যাম্পিয়ন চেন্নাই সুপার কিংস। চলতি আসরে এখন পর্যন্ত ৭ ম্যাচ খেলে চারটিতেই জয়ের দেখা পেয়েছে রেকর্ড পাঁচবারের চ্যাম্পিয়নরা।

তবে নিজেদের সর্বশেষ ম্যাচে লখনৌ সুপার জায়ান্টসের বিপক্ষে বড় ব্যবধানে হেরেছে চেন্নাই। এবার ঘুরে দাঁড়ানোর মিশনে লখনৌর বিপক্ষে ফিরতি লেগে মাঠে নামছে মোস্তাফিজের দল। এমন পরিস্থিতিতে মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) টস জিতে চেন্নাইকে প্রথমে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন লখনৌর অধিনায়ক লোকেশ রাহুল। বাংলাদেশ সময় রাত ৮টায় শুরু হবে ম্যাচটি।

প্রতিশোধের এই ম্যাচে একাদশে একটি পরিবর্তন এনেছে চেন্নাই। রাচিন রবীন্দ্রর জায়গায় একাদশে ফিরেছেন ড্যারিল মিচেল। অন্যদিকে অপরিবর্তিত একাদশ নিয়েই নামছে লখনৌ।

চেন্নাই একাদশ : ড্যারিল মিচেল, রুতুরাজ গায়কোয়াড় (অধিনায়ক), আজিঙ্কা রাহানে, শিবাম দুবে, মঈন আলি, রবীন্দ্র জাদেজা, এমএস ধোনি (উইকেটরক্ষক), দীপক চাহার, তুষার দেশপান্ডে, মোস্তাফিজুর রহমান ও মাথিশা পাথিরানা।

লখনৌ একাদশ : কুইন্টন ডি কক, লোকেশ রাহুল (অধিনায়ক), মার্কাস স্টয়নিস, দীপক হুদা, নিকোলাস পুরান, আয়ুশ বাদোনি, ক্রুনাল পান্ডিয়া, ম্যাট হেনরি, রবি বিষ্ণুই, মহসিন খান, যশ ঠাকুর।


আইপিএল   চেন্নাই সুপার কিংস   লখনৌ সুপার জায়ান্টস   ঋতুরাজ   লোকেশ রাহুল  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

কী কারণে বাংলাদেশের প্রাথমিক দলে নেই সাকিব-মুস্তাফিজ?

প্রকাশ: ০৬:৫৮ পিএম, ২৩ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

আগামী মাস থেকে শুরু হতে যাওয়া বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ে সিরিজকে সামনে রেখে ১৭ সদস্যের প্রাথমিক দল ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড। পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের জন্য এ প্রাথমিক দল ঘোষণা করা হয়েছে। মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) ঘোষিত প্রাথমিক দলে রাখা হয়নি সাকিব আল হাসান ও মুস্তাফিজুর রহমানকে।

আগামী ২৬ থেকে ২৮ এপ্রিল চট্টগ্রামে অনুষ্ঠিত হবে এই ক্যাম্প। আইপিএলে চেন্নাই সুপার কিংসের হয়ে খেলা মুস্তাফিজকে আগামী ১ মে পর্যন্ত ছুটি দিয়েছে বিসিবি। আইপিএলে থাকায় বাঁহাতি এই পেসারকে প্রাথমিক দলে রাখেনি দেশের ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থা।  আর সাকিব শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দ্বিতীয় টেস্টের পর ছুটি কাটাতে যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমিয়েছেন। চলতি মাসের শেষের দিকে দেশে ফেরার কথা রয়েছে দেশসেরা এই অলরাউন্ডারের।

জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজ শুরু হবে ৩ মে। ৪ ও ৭ মে চট্টগ্রামেই পরের দুটি টি-টোয়েন্টি, এরপর মিরপুরের শেরেবাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে ১০ ও ১২ মে হবে সিরিজের শেষ দুটি ম্যাচ।

জিম্বাবুয়ে সিরিজের প্রাথমিক দল
নাজমুল হোসেন, লিটন দাস, তানজিদ হাসান, তাওহিদ হৃদয়, মাহমুদউল্লাহ, জাকের আলী, মেহেদী হাসান, রিশাদ হোসেন, তাসকিন আহমেদ, শরীফুল ইসলাম, তানজিম হাসান, পারভেজ হোসেন, তানভির ইসলাম, আফিফ হোসেন, হাসান মাহমুদ, সাইফউদ্দিন, সৌম্য সরকার।


সাকিব আল হাসান   ‍মুস্তাফিজুর রহমান   জিম্বাবুয়ে   বাংলাদেশ   টি-২০  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

অসদাচরণের অভিযোগে এবার শাস্তির মুখে কোহলি

প্রকাশ: ০৫:১৩ পিএম, ২৩ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

চলছে আইপিএলের ১৭তম আসর। যেখানে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরুর হয়ে বেশ ভালো ফর্মে রয়েছেন ভারতের তারকা ব্যাটার বিরাট কোহলি। প্রায় প্রতি ম্যাচেই পাচ্ছেন রানের দেখা। তবে ব্যতিক্রম ছিলেন কলকাতা নাইট রাইডার্সের বিপক্ষে।

রোববার ইডেন গার্ডেন্সে কলকাতা নাইট রাইডার্সের মুখোমুখি হয়েছিল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরু। যেখানে আম্পায়ারের সিদ্ধান্তে অসন্তুষ্ট হয়ে মাঠেই কোহলি প্রতিক্রিয়া দেখান। অসদাচরণের অভিযোগে অভিজ্ঞ এই ব্যাটারকে জরিমানা করেছে আইপিএল কর্তৃপক্ষ। আইপিএলের কোড অব কন্টাক্ট ভঙ্গ করায় কোহলিকে তার ম্যাচ ফির ৫০ শতাংশ জরিমানা করা হয়েছে।

ব্যাঙ্গালুরুর সামনে লক্ষ্য ছিল ২২৩ রানের। সেই লক্ষ্যে ভালো একটা শুরুর দরকার ছিল। বিরাট কোহলি ঠিক সেই চেষ্টাই করেছিলেন। স্টার্কের প্রথম বলেই চার মেরে শুরু করেছিলেন। নিজের প্রথম ৬ বল থেকে তুলে নেন ১৮ রান। এরপরেই অবশ্য ভারতীয় এই ব্যাটার আউট হয়েছেন বিতর্কিত এক সিদ্ধান্তে।

হারশিত রানার বলটা ছিল কোমরের কাছাকাছি। ফুল টস বলে কোহলি কেবল ব্যাটে-বলে করেছেন। ফিরতি ক্যাচ লুফেছেন বোলার নিজেই। আউটের সিদ্ধান্তের জন্য দ্বারস্থ হতে হয়েছিল আম্পায়ারের। যেখানে প্রযুক্তির সাহায্যে থার্ড আম্পায়ার মাইকেল গফ আউটের সিদ্ধান্ত জানান।

কোহলি সেই সিদ্ধান্ত মেনে নিতে পারেননি। মাঠেই মেজাজ হারিয়ে তর্ক করেছেন আম্পায়ারের সঙ্গে। যুক্ত ছিলেন আরসিবি অধিনায়ক ফাফ ডু প্লেসিও। তবে গফ নিজেই ম্যাচ চলাকালে জানান, বিতর্ক উসকে দেয়া এমন সিদ্ধান্তের কারণ।

হারশিত রানার ওই ডেলিভারি পুরোপুরি বৈধ ছিল। ব্যাটার ক্রিজে থাকলে বলের উচ্চতা হতো ০.৯২ মিটার। বিরাট কোহলির কোমরের উচ্চতা ১.০৪ মিটার। যার অর্থ, বিরাট ক্রিজে থাকলে বল তার কোমরের নিচ দিয়েই যেত, যা আইসিসির নীতি অনুযায়ী বৈধ বল হিসেবেই গণ্য হবে। স্বাভাবিক নিয়ম মেনেই তাই আউটের সিদ্ধান্ত দেন মাইকেল গফ।


আইপিএল   বিরাট কোহলি   রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরু  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

জিম্বাবুয়ে সিরিজের জন্য বাংলাদেশের প্রাথমিক দল ঘোষণা

প্রকাশ: ০৪:৫৮ পিএম, ২৩ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

আগামী মাস থেকে শুরু হতে যাওয়া বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ে সিরিজকে সামনে রেখে ১৭ সদস্যের প্রাথমিক দল ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড। পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের জন্য এ প্রাথমিক দল ঘোষণা করা হয়েছে। এ দলে ডাক পেয়েছে চলমান ডিপিএলে দারুণ ছন্দে থাকা পারভেজ হোসেন ইমন, তানভির ইসলাম ও মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন। 

চলমান ডিপিএলে ব্যাট হাতে ৩ সেঞ্চুরি ও ২ হাফ সেঞ্চুরিতে ১২ ম্যাচে ৫৮৫ রান করেছেন পারভেজ ইমন। আর ডিপিএলে ১১ ম্যাচে ১৯ উইকেট নিয়েছেন তানভির ইসলাম। তাছাড়া সর্বশেষ বিপিএলে ধারাবাহিক পারফরম্যান্স করে নির্বাচকদের সুনজরে আসেন সাইফউদ্দিন।

জিম্বাবুয়ে সিরিজের প্রস্তুতি ক্যাম্প:

নাজমুল হোসেন, লিটন দাস, তানজিদ হাসান, তাওহিদ হৃদয়, মাহমুদউল্লাহ, জাকের আলী, মেহেদী হাসান, রিশাদ হোসেন, তাসকিন আহমেদ, শরীফুল ইসলাম, তানজিম হাসান, পারভেজ হোসেন, তানভির ইসলাম, আফিফ হোসেন, হাসান মাহমুদ, সাইফউদ্দিন, সৌম্য সরকার। 

জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজ শুরু হবে ৩ মে। ৪ ও ৭ মে চট্টগ্রামেই পরের দুটি টি-টোয়েন্টি, এরপর মিরপুরের শেরেবাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে ১০ ও ১২ মে হবে সিরিজের শেষ দুটি ম্যাচ


বাংলাদেশ ক্রিকেট   বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ে সিরিজ   বিসিবি  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন