নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৮:৩৫ পিএম, ১৪ জুন, ২০১৮
রাশিয়া বিশ্বকাপের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শুরু হয়েছে। দেশটির রাজধানী মস্কোর লুঝনিকি স্টেডিয়ামে প্রায় ৮১ হাজার দর্শক নিয়ে চলছে এই জমকালো উদ্বোধনী অনুষ্ঠান।
এবারের বিশ্বকাপের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান অন্য যেকোনো সময়ের চেয়ে আলাদা। এবার সঙ্গীত দিয়েই পুরো অনুষ্ঠানটি সাজানো হয়েছে। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে দেখা যাবে বিভিন্ন ধরনের মিউজিক্যাল শো। সেই সঙ্গে দেখা যাবে প্রত্যেকটি দেশের পতাকা নিয়ে একটি মনোমুগ্ধকর র্যালি। সেই সঙ্গে থাকবে ৫০০ নৃত্য কর্মী রাশিয়ান সংস্কৃতিকে তুলে ধরার নৃত্য। এছাড়া শারীরিক কসরতও দেখানো হবে যা রাশিয়ার ঐতিহ্যকে বহন করবে।
থাকছেন ১৯৯০ সালের পপ আইকন রুবি উইলায়াম। এছাড়া এবারের বিশ্বকাপের থিম সংও পরিবেশন করা হবে এই অনুষ্ঠানে। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ‘লিভ ইট আপ’ শিরোনামের থিম সংটি গেয়ে শোনাবেন নিকি জ্যাম, উইল স্মিথ ও ইরা ইস্ত্রোফির মতো তারকারা।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে শুরু হবে রাশিয়া বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচ। প্রথম ম্যাচে মুখোমুখি হবে স্বাগতিক রাশিয়া ও সৌদি আরব। খেলা শুরু হবে রাত ৯ টায়। আর্জেন্টাইন রেফারি নেস্তর পিতানা পরিচালনা করবেন ম্যাচটি।
বাংলা ইনসাইডার/ডিআর/জেডএ
মন্তব্য করুন
সালটা ২০০১। বিশ্বকাপ বাছাইয়ে ওশেনিয়া অঞ্চলের ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার মুখোমুখি হয়েছিল আমেরিকান সামোয়া। কফস হারবারে অনুষ্ঠিত হওয়া সেই ম্যাচে ঘটেছিল ফুটবল বিশ্বের অনন্য এক ইতিহাস। কারণ সেই ম্যাচে আমেরিকান সামোয়া হেরেছিল ৩১-০ গোলে। যা আন্তর্জাতিক ফুটবলে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বড় ব্যবধানে হার।
ইতিহাসের সেই ম্যাচে আমেরিকান সামোয়ার গোলকিপার ছিলেন নিকি সালাপু। লোকে এখনো নাকি তাকে ম্যাচটি নিয়ে জিজ্ঞেস করে। বিবিসির ‘স্পোর্টিং উইটনেস’ পডকাস্টে সেই ম্যাচ নিয়েই কথা বলেছেন সালাপু।
অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ম্যাচটির জন্য খুব দ্রুত দল গড়তে হয়েছিল আমেরিকান সামোয়াকে। বেশিরভাগই ছিলেন কিশোর বয়সি। আমেরিকান সামোয়ার ফুটবল ফেডারেশন (এফএফএএস) ফিফায় অন্তর্ভুক্তি পেয়েছিল ম্যাচটি খেলার মাত্র তিন বছর আগে। সেই সময় ১ কোটি ৯০ লাখ অধিবাসীর অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে মাত্র ৫৮ হাজার জনসংখ্যার আমেরিকান সামোয়া এমনিতেই পুঁচকে ছিল।
আর ২০০২ বিশ্বকাপ বাছাইয়ের আগে ফিফা জানিয়ে দেয়, শুধু আমেরিকান পাসপোর্টধারীরাই প্রশান্ত মহাসাগরের দেশটির জাতীয় দলের প্রতিনিধিত্ব করতে পারবেন। প্রাথমিকভাবে ঘোষিত ২০ জনের স্কোয়াডে যোগ্য খেলোয়াড় বাছতে দল উজাড়, টিকেছিলেন শুধু সালাপু। তিনি বলেন, মাত্র দুই সপ্তাহের মধ্যে যে কাউকে খুঁজে বের করতে হতো। আমরা হাইস্কুলের ছেলেদের বাছাই করেছিলাম।
সালাপুর এ কথার ব্যাখ্যা দেবে পরিসংখ্যান। আমেরিকান সামোয়ার দলে ১৫ বছর বয়সী খেলোয়াড় ছিলেন তিনজন। দলের খেলোয়াড়দের গড় বয়স ছিল ১৮ বছর। সালাপু সেই দলে সবচেয়ে অভিজ্ঞ; তার বয়সই ছিল মাত্র ২০ বছর।
ফলে এই দল নিয়ে প্রথম রাউন্ডে ফিজির কাছে ১৩-০ গোলের ব্যবধানে হেরেছিল আমেরিকান সামোয়া। পরের ম্যাচে সামোয়ার কাছে হার ৮-০ গোলে। তৃতীয় ম্যাচে হারের ব্যবধান তো ছাড়িয়ে গেল সবকিছুকে ৩১-০! ওই ৩ ম্যাচে ৫২ গোল খাওয়ার পর টোঙ্গার কাছে ৫-০ গোলের হার আমেরিকান সামোয়ার কাছে জয়ের সমান হওয়ার কথা!
খুব কাছে গিয়েও ১৯৯৮ বিশ্বকাপের চূড়ান্ত পর্বে উঠতে ব্যর্থ হওয়া অস্ট্রেলিয়া ২০০২ বিশ্বকাপে জায়গা পেতে মুখিয়ে ছিল। নিজেদের প্রমাণে জিদ কাজ করছিল অস্ট্রেলীয়দের মনে। আমেরিকান সামোয়ার আগে অস্ট্রেলীয়দের সেই জিদের অনলে পুড়েছিল টোঙ্গাও। পলিনেশিয়ান দেশটিকে ২২-০ গোলে গুঁড়িয়ে আমেরিকান সামোয়ার মুখোমুখি হয়েছিল অস্ট্রেলিয়া। সালাপু জানিয়েছেন, তার প্রাথমিক লক্ষ্য ছিল কোনোভাবেই ২২-০ ব্যবধানের হার অতিক্রম করা যাবে না।
গোল বন্যার ‘ফটক’ খুলেছিল ম্যাচের ৮ মিনিটে। অস্ট্রেলিয়ার ২২ বছর বয়সী স্ট্রাইকার আর্চি থম্পসন একাই করেছিলেন ১৩ গোল। ৮ গোল করেন ডেভিড জিদ্রিলিক। সালাপু জানিয়েছেন, পুরো ম্যাচে তিনি সতীর্থদের ‘সামনে এগোতে’ বলেছেন। কারণ তার সতীর্থরা বেশিরভাগ সময়েই রক্ষণভাগে জড়সড় হয়েছিলেন। এ কারণে বল দেখতে খুব সমস্যা হচ্ছিল সালাপুর।
৮৬ মিনিটে অস্ট্রেলিয়ার পোস্টে একবারই আক্রমণ করতে পেরেছিল আমেরিকান সামোয়া। অস্ট্রেলিয়ার গোলকিপার মাইকেল পেটকোভিচের ম্যাচে সেটাই একমাত্র সেভ। সালাপু মনে করেন, অস্ট্রেলিয়া যেভাবে খেলেছে, সেটি অখেলোয়াড় সুলভ।
সালাপু জানিয়েছেন, তিনি অস্ট্রেলিয়ার কোচ হলে দল ২০ গোল করার পর খেলোয়াড়দের ‘ম্যাচ শেষ হওয়ার আগপর্যন্ত বলের দখল ধরে রেখে খেলতে’ বলতেন। হারের সেই স্মৃতি মনে সইয়ে নিতে সালাপুর প্রায় ১০ বছর লেগেছে। এ সময়ের ব্যবধানে আমেরিকান সামোয়া টানা ৩৮ ম্যাচ হেরেছে ২১৭ গোল ব্যবধানে। ফিফা র্যাঙ্কিংয়ে নেমেছে ২০৪তম স্থানেও (বর্তমানে ১৮৯)।
২০১০ সালে ডাচ বংশোদ্ভূত কোচ টমাস রনজেনকে কোচ করে আনে আমেরিকান সামোয়া। পরিস্থিতি এর পর ধীরে ধীরে পাল্টাতে থাকে। ২০১৪ বিশ্বকাপ বাছাইয়ের ম্যাচে ২০১১ সালের ২৩ নভেম্বর টোঙ্গার মুখোমুখি হয় আমেরিকান সামোয়া।
সালাপু জানিয়েছেন, সে ম্যাচে ‘আমাদের পুরো দল জয়ের ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী ছিল’। শেষ বাঁশি বাজার পর পূরণ হলো সেই প্রত্যাশাও। টোঙ্গাকে ২-১ গোলে হারায় আমেরিকান সামোয়া—ফিফা স্বীকৃত ম্যাচে সেটাই প্রথম জয় দলটির। সালাপুকে সেদিনও আবেগ সংবরণ করতে হয়েছিল। তিনি বলেন, খুবই ভালো লাগছিল। বারবার মনকে প্রবোধ দিয়েছি, ম্যাচে মনোযোগ ধরে রাখতে আবেগ সামলে রাখতে হবে।’
ফুটবল বিশ্বকাপ আমেরিকান সামোয়া অস্ট্রেলিয়া
মন্তব্য করুন
ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) ১৭তম আসরে খুব একটা ছন্দে নেই গতবারের রানার্স আপ গুজরাট টাইটান্স। ছয় ম্যাচ খেলে মাত্র তিনটি জয় পেয়ে শুভমান গিলের দল।
অন্যদিকে গুজরাটের সমান ম্যাচ থেকে দুটিতে জয় পেয়েছে দিল্লি ক্যাপিটালস। নিজেদের সপ্তম ম্যাচে মাঠে নামছে এই দুই দল।
বুধবার ( ১৭ এপ্রিল) আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদি ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে গুজরাটকে ব্যাটিংয়ে আমন্ত্রণ জানিয়েছে দিল্লি।
গুজরাট টাইটান্সের একাদশ: ঋদ্ধিমান সাহা (উইকেটকিপার), শুভমান গিল (অধিনায়ক), সাই সুদর্শন, ডেভিড মিলার, স্পেন্সার জনসন, অভিনাভ মোনোহার, রাহুল তেওয়াটিয়া, রশিদ খান, নূর আহমেদ, মোহিত শর্মা ও সানদীপ ওয়ারিয়ার।
দিল্লির একাদশ: ঋষভ পান্ত (অধিনায়ক), জ্যাক ফ্রেসার, পৃথ্বী শা, ত্রিস্তান স্টাবস, মুকেশ কুমার, অক্ষর প্যাটেল, সাই হোপ, এনরিখ নরকিয়া, ইশান্ত শর্মা, সুমিত কুমার ও খলিল আহমেদ।
মন্তব্য করুন
চলমান আইপিএলে দল পাওয়া নিয়ে ছিল শঙ্কা। পরবর্তীতে বিকল্প হিসেবে দল পেয়ে এবং একাদশে সুযোগ পেয়েই চলতি আসরের শুরু থেকেই বল হাতে দ্যুতি ছড়াচ্ছেন দ্য ফিজ। তারই ধারাবাহিকতায় এবারের আসরে সর্বোচ্চ উইকেট শিকারীর তালিকাতেও শীর্ষের দিকে রয়েছেন তিনি। এখন পর্যন্ত ৫ ম্যাচ খেলে ১০ উইকেট শিকার করেছেন তিনি।
সেরাদের তালিকায় থেকেও মুস্তাফিজের এবারের আইপিএল অধ্যায় বড় হচ্ছে না। কারণ মুস্তাফিজ বিসিবি থেকে ছুটি পেয়েছিলেন শুরুতে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত। কিন্তু পরবর্তীতে আরও একদিন বাড়ানো হয়েছে সেই অনুমতি। আর সে অনুযায়ী ২ মে দেশে ফিরে ৩ মে জাতীয় দলের সঙ্গে যোগ দিতে হবে তাকে।
টাইগার এই পেসারকে নিয়ে বুধবার (১৭ এপ্রিল) বিসিবির ক্রিকেট অপারেশন্স চেয়ারম্যান জালাল ইউনুস কথা বলেছেন। মিরপুরে বিসিবির ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের চেয়ারম্যান জালাল ইউনুস বলেন, ‘মুস্তাফিজের আইপিএল থেকে শেখার কিছু নাই। তার শেখার সময় পার হয়ে গেছে। বরং মুস্তাফিজের থেকে শিখতে পারে আইপিএল খেলোয়াড়রা। এতে বাংলাদেশের কোনো লাভ হবে না। মুস্তাফিজের কাছে পেলে অন্যদের সুবিধা হবে।’
বিসিবির ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের চেয়ারম্যান গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে আরও বলেন, ‘আমরা মুস্তাফিজের ফিটনেস নিয়ে চিন্তিত। চেন্নাই চাইবে তার থেকে শতভাগ নেওয়ার জন্য। তার ফিটনেস নিয়ে তাদের মাথাব্যথা নেই, আমাদের আছে।’
জালাল ইউনুস যোগ করেন, ‘আমরা মুস্তাফিজকে ফেরত আনার কারণ শুধু জিম্বাবুয়ে সিরিজে খেলানো না। এখানে আনলে আমরা ওয়ার্কলোড দিয়েই ওকে প্ল্যান দেবো। কিন্তু আইপিএলে থাকলে সেই প্ল্যান হবে না।’
মুস্তাফিজ চেন্নাই সুপার কিংস আইপিএল
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশ ক্রিকেটে গেল ওয়ানডে বিশ্বকাপ থেকেই সমালোচনার ঝড় বয়ে যাচ্ছে কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহেকে নিয়ে। কদিন আগেও সোস্যাল মিডিয়ার গুঞ্জন ছড়িয়েছিল যে টাইগারদের সাথে আর কাজ করতে চাননা হাথুরু। যার জন্য ব্যক্তিগত কাজে অস্ট্রেলিয়া যাওয়ার পর আর দেশে ফিরতে চাননা তিনি এমন খবর ভাসছিল সবখানে। যদিও গুঞ্জনটি যে ভুয়া তা কিছুক্ষণের মধ্যেই জানা গিয়েছিল।
তবে এবার জানা গেল হাথুরুর দেশে ফেরার দিনক্ষণ। বুধবার (১৭ এপ্রিল) গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে হাথুরুর ফেরা নিয়ে বিসিবির পরিচালক জালাল ইউনূস বলেন, ‘আমাদের প্রধান কোচ আসবেন ২১ তারিখ রাত্রে বেলা, বেশিরভাগ কোচ ২২-২৩ তারিখের মধ্যে অ্যাভেইলেবল। ইতোমধ্যে স্ট্রেংথ অ্যান্ড কন্ডিশনিং কোচ এখানে আছেন। জিম্বাবুয়ে সিরিজের আগে আমাদের নতুন স্পিন বোলিং কোচ মুশতাক আহমেদের আসার কথা। আশা করি জিম্বাবুয়ে সিরিজের আগেই চলে আসবেন। বাকি যারা আছে তারাও ২৩ এপ্রিলের আগে চলে আসবে।’
এদিকে গতকাল নতুন স্পিন কোচ হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন মুশতাক আহমেদ। তাকে নিয়ে জালাল বলেন, ‘মুশতাক আহমেদ থাকা অবস্থায় দেশের আনাচে-কানাচে যদি ভালো লেগ স্পিনার থাকে এবং যারা এক্সপোজার পায়নি, তাদের জন্য ট্যালেন্ট হান্ট (স্পিনার হান্ট) করতে পারি সেটা ক্রিকেটের জন্য ভালো হবে, লেগ স্পিনের ভবিষ্যতের জন্য ভালো হবে।’
হাথুরুসিংহে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড বিসিবি জালাল ইউনূস
মন্তব্য করুন
প্রথম লেগে পার্ক দে প্রিন্সে বার্সার কাছে ৩-২ গোলে হেরে ব্যাকফুটে চলে গিয়েছিল পিএসজি। যার জন্য দ্বিতীয় লেগকে রীতিমত যুদ্ধ ঘোষণা করেছিলেন কোচ লুইস এনরিকে। গতকাল রাতে সেই যুদ্ধে অবশেষে ঘুরে দাঁড়িয়েছে কিলিয়ান এমবাপ্পেরা।
মঙ্গলবার ১০ জনের বার্সার বিপক্ষে অলিম্পিক লুইস কোম্পানিস স্টেডিয়ামে তারা ঘুরে দাঁড়িয়ে দ্বিতীয় লেগ জিতলো ৪-১ গোলে। শেষ পর্যন্ত দুই লেগ মিলিয়ে পিএসজি ৬-৪ ব্যবধানে জিতে নিশ্চিত করেছে সেমিফাইনাল।
এদিন লাল কার্ড দেখেছেন বার্সার রোনাল্ড আরাউহো। এমন সিদ্ধান্তকে অপ্রয়োজনীয় হিসেবে অভিহিত করে বার্সেলোনা কোচ জাভি হার্নান্দেজ বলেছেন, এই ঘটনায় ক্লাবের সব আশা শেষ হয়ে গেছে।
২৯ মিনিটে বক্সের ঠিক বাইরে ব্র্যাডলি বারকোলাকে পিছন থেকে টেনে ধরেন আরাউহো। ঐ সময় ১-০ গোলে এগিয়ে থেকে দুই লেগ মিলিয়ে ৪-২ ব্যবধানে লিডে ছিল বার্সা।
১০ জনের বার্সেলোনার উপর এরপর চেপে বসে পিএসজি। দারুণভাবে লড়াইয়ে ফিরে এসে শেষ পর্যন্ত ৪-১ গোলে জয়ী হয়ে দুই লেগ মিলিয়ে ৬-৪ ব্যবধানে এগিয়ে সেমিফাইনাল নিশ্চিত করে প্যারিসের জায়ান্টরা।
ম্যাচ শেষে হতাশ জাভি বলেছেন, ‘রেফারির বাজে সিদ্ধান্তের কারণে পুরো মৌসুমের পরিশ্রম শেষ হয়ে যাওয়াটা খুবই কষ্টের। লাল কার্ডের সিদ্ধান্ত সম্পূর্ণ অপ্রয়োজনীয় ছিল।’
উত্তেজনার বশবর্তী হয়ে জাভিকেও দ্বিতীয়ার্ধে ডাগ আউট ছেড়ে স্ট্যান্ডে চলে যেতে হয়েছিল। রোমানিয়ান রেফারি ইস্তভান কোভাসের সমালোচনা করে জাভি বলেছেন, ‘রেফারিং খুবই বাজে হয়েছে। আমি নিজে সেটা তাকে বলেছি, সে ম্যাচের কিছুই বুঝতে পারেনি।’
আরাউহোর লাল কার্ডের কারণে প্রথমার্ধের মাঝামাঝিতে ১৬ বছর বয়সী লামিন ইয়ামালকে তুলে নিয়ে ডিফেন্ডার ইনিগো মার্টিনেজকে মাঠে নামান জাভি। রাফিনহার প্রথম গোলের যোগানদাতা ছিলেন ইয়ামাল।
জাভি আরো বলেন, ‘আমরা খুবই ক্ষুব্ধ। এক লাল কার্ডই আমাদের সব শেষ করে দিয়েছে। আমরা ভাল খেলছিলাম, দলের মধ্যে একতাও ছিল। ঐ মুহূর্ত থেকে পুরো ম্যাচের চিত্র পাল্টে যায়। লামিন ভাল খেলছিল, তাকে উঠিয়ে নেয়া নিয়েও আমাদের মধ্যে শঙ্কা ছিল। কিন্তু ম্যাচের পরিস্থিতি আমাকে বাধ্য করেছে।’
লা লিগায় চির প্রতিদ্বন্দ্বী রিয়াল মাদ্রিদের থেকে আট পয়েন্ট পিছিয়ে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে বার্সেলোনা। সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে রোববার এল ক্লাসিকোতে রিয়ালের মুখোমুখি হবে বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা।
পিএসজি বার্সালোনা উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগ
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশ ক্রিকেটে গেল ওয়ানডে বিশ্বকাপ থেকেই সমালোচনার ঝড় বয়ে যাচ্ছে কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহেকে নিয়ে। কদিন আগেও সোস্যাল মিডিয়ার গুঞ্জন ছড়িয়েছিল যে টাইগারদের সাথে আর কাজ করতে চাননা হাথুরু। যার জন্য ব্যক্তিগত কাজে অস্ট্রেলিয়া যাওয়ার পর আর দেশে ফিরতে চাননা তিনি এমন খবর ভাসছিল সবখানে। যদিও গুঞ্জনটি যে ভুয়া তা কিছুক্ষণের মধ্যেই জানা গিয়েছিল।