নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৪:২৫ পিএম, ১০ অগাস্ট, ২০১৮
মমিনুল হক টেস্টের অন্যতম সেরা ব্যাটসম্যানদের একজন। টেস্টে দুর্দান্ত খেলা এই ব্যাটসম্যান ওয়ানডে দলে নিয়মিত সুযোগ পাচ্ছেন না। ভক্ত সমর্থকদের অনেকদিনের চাওয়া ছিল মমিনুলকে রঙিন পোশাকে দেখা। সেটার জন্য চাই ঘরোয়া লিগ ও বাংলাদেশ এ দলের হয়ে ওয়ানডে সিরিজগুলোতে ভালো করা।
আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ খেলার জন্য বাংলাদেশ ‘এ’ দলের সঙ্গে আয়ারল্যান্ড অবস্থান করছেন মমিনুল হক। পাঁচ ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের চতুর্থ ম্যাচে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স করেন তিনি। অল্পের জন্য ডাবল সেঞ্চুরি মিস করেন এই লিটল মাস্টার। বৃষ্টি বিঘ্নিত ওই ম্যাচে টি২০ মেজাজে ব্যাট করেন মমিনুল। শেষ পর্যন্ত ১৩৩ বলে ১৮২ রান করে রান আউটের শিকার হন এই বাঁহাতি ব্যাটসম্যান। মমিনুলের ব্যাট থেকে আসে ২৭ চার ও ৩ ছক্কা। এই পারফরম্যান্সের পর থেকেই তাঁকে নিয়ে বেশ আলোচনা শুরু হয়।
অনেকের মতে তাঁকে আবারো রঙিন পোশাকে দলে সুযোগ দেয়া উচিত। দুইটি ফরম্যাট অর্থাৎ ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি দলে তাঁকে সুযোগ দেওয়ার জন্য অনেকেই দাবী জানাচ্ছেন। দুইটি না হলেও আপাতত একটি ফরম্যাটে তাঁকে নিয়মিত করার ব্যাপারে অনেক দাবী তুলেছেন। অনেক ভক্ত ও সমর্থকরা মনে করছেন তাঁকে টেস্ট স্পেশালিস্ট না বানিয়ে ভিন্ন ফরম্যাটে সুযোগ দিলে তিনি ভালো করবেন। সেটার জন্য অবশ্যই তাঁকে সুযোগ দিতে হবে নিয়মিত।
বাংলাদেশ ‘এ’ দলের হয়ে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স করার পরও মমিনুল যে সহজে সুযোগ পাচ্ছেন না সেটা বোর্ড প্রেসিডেন্ট নাজমুল হাসান পাপনের কথায় সে ইঙ্গিত পাওয়া গেল। মমিনুলের জন্য আপাতত দলের দরজা বন্ধ সেটা পাপনের কথায় অনেকটাই স্পষ্ট হয়ে উঠেছে।
গতকাল হোটেল র্যাডিসন ব্লুতে কোচ স্টিভ রোডসের সঙ্গে বৈঠক ছিল। বৈঠকের পরপরই সাংবাদিকের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে মমিনুলকে নিয়ে পাপন বলেন, ‘আমাদের জাতীয় দলে বেশ কয়েকটি জায়গা ফিক্সড। তিন অথবা সাতে বদল করা যেতে পারে। সাকিব তিনে খুব ভালো করছে। সে খেললে তো কথাই নেই। সাকিব তিনে নামলে সাতের আগে কোন জায়গা খালি নেই। পজিশন দেখেই আসলে সবকিছু ঠিক করতে হয়। মমিনুলকে আমরা সবসময়ই ভালো ব্যাটসম্যান মনে করি। সে রান করেছে এতে আমরা সবাই খুশি। আমরা মনে করি সে আসলেই ভালো ব্যাটসম্যান’।
এশিয়া কাপে সাকিব আল হাসান না খেললে হয়তো মমিনুলের ভাগ্য খুলে যেতে পারে। তবে সাকিব খেললে সহসাই যে তিনি দলে থাকছেন না সেটা এক প্রকার নিশ্চিত।
বাংলা ইনসাইডার/এসএকে
মন্তব্য করুন
তিন বছর পূর্বে ২০২১ সালের নভেম্বরে হতাশায় ডুবতে থাকা বার্সেলোনার দায়িত্ব নিয়েছিলেন জাভি হার্নান্দেজ। দায়িত্ব নেয়ার পর গত মৌসুমে ক্লাবকে এনে দিয়েছিলেন লিগ শিরোপাও। এরপর হঠাৎ চলতি বছরের শুরুতে কাতালান ছাড়ার ঘোষণা দেন জাভি। এই কিংবদন্তি ফুটবলার জানিয়ে দিয়েছেন, চলমান মৌসুম শেষে বার্সার ডাগআউটে আর থাকবেন না। এরপর থেকে অন্য রূপে বার্সা। নিয়মিত পারফর্ম করতে থাকে তারা। দলের এই পরিবর্তনে খুশি কাতালান প্রশাসন। আর যার জন্য ক্লাবকর্তারা অনুরোধ করেছেন জাভিকে থেকে যাওয়ার জন্য।
আর ক্লাবকর্তাদের অনুরোধে এবার সিদ্ধান্ত বদল করে বার্সাতেই থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন জাভি। তিনি জানিয়েছেন, ২০২৫ সাল পর্যন্ত বার্সাতেই থাকবেন।
স্প্যানিশ গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, বার্সেলোনা সভাপতি হুয়ান লাপোর্তা ও স্পোর্টিং ডিরেক্টর ডেকোর সঙ্গে বৈঠকের পর নিজের সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করেন জাভি। বার্সা সভাপতির বাড়িতে তাদের এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে ক্লাবের পক্ষ থেকে জাভিকে থেকে যাওয়ার জন্য চাপ দেওয়া হয়েছে।
জাভি দায়িত্ব ছাড়ার ঘোষণা দেওয়ার পর বেশ কিছু কোচের সঙ্গেই আলোচনা করেছিল বার্সা কর্তৃপক্ষ। সাবেক জার্মানি কোচ হ্যান্সি ফ্লিক ও ব্রাইটন কোচ রবার্তো ডি জারবির সঙ্গে বিবেচনায় ছিলেন বার্সেলোনা বি দলের কোচ রাফায়েল মারকুয়েজও। কিন্তু জাভিকেই কোচ হিসেবে রেখে দেওয়ার পক্ষে ছিলেন লাপোর্তা। অবশেষে বার্সা সভাপতির ইচ্ছেই পূরণ হতে চলেছে।
উল্লেখ্য, ২০২১ সালের নভেম্বরে বার্সেলোনার দায়িত্ব নিয়েছিলেন জাভি। গত মৌসুমে দারুণ পারফরম্যান্সের মধ্য দিয়ে ক্লাবকে এনে দিয়েছিলেন লিগ শিরোপাও। কিন্তু এ মৌসুমে ব্যর্থতার বৃত্তেই ঘুরপাক খাচ্ছে বার্সা। এরই মধ্যে লা লিগায় রিয়াল মাদ্রিদের চেয়ে ১১ পয়েন্ট পিছিয়ে কাতালান ক্লাবটি।
বার্সালোনা চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জাভি হার্নান্দেজ লা লিগা
মন্তব্য করুন
আর কিছুদিন পরেই ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতে শুরু হতে যাচ্ছে এবারের টি-২০ বিশ্বকাপের মহারণ। যার জন্য ইতোমধ্যেই বেশ জোরেশোরে প্রস্তুতি চলছে প্রতিটি দলেই। সেই তালিকায় রয়েছে বাংলাদেশও। যার জন্য ফিটনেস ট্রেনিং থেকে শুরু করে ঘরের মাঠে সিরিজ সবক্ষেত্রেই ভালো করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে টাইগাররা।
আসন্ন বিশ্বকাপকে সামনে রেখে ক্রিকেটারদের বিশেষ পরিকল্পনা দিয়েছেন হেড কোচ হাথুরুসিংহে। জানা গেছে, মুমিনুল-মিরাজদের সঙ্গে আলাদা বৈঠক করে অনুশীলন পরিকল্পনা দিয়েছেন চন্ডিকা হাথুরুসিংহে। পাকিস্তান ও ভারতের বিপক্ষে বিশ্ব টেস্ট সিরিজ জন্য ব্যাটারদের ভালোভাবে প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে।
হাথুরুসিংহের সঙ্গে আলাদা বৈঠকে কী নিয়ে কথা হয়েছে-এমন প্রশ্নের জবাবে মুমিনুল বলেন, ‘খেলা না থাকলে খেলোয়াড়দের সঙ্গে মিটিং করে কিছু নির্দেশনা দেন কোচ। সে রকম একটা মিটিং ছিল। অবশ্য এবারের মিটিংটা একটু আলাদা। লিগ শেষ হলে টেস্ট ক্রিকেটারদের অনুশীলনে থাকতে বলা হয়েছে। বিসিবি থেকেই অনুশীলনের ব্যবস্থা করা হবে।’
হাথুরুসিংহের বিশেষ পরিকল্পনায় কারা অনুশীলন করবে জানতে চাওয়া হলে ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের চেয়ারম্যান জালাল ইউনুস বলেন, ‘জাতীয় দলের পুলের ক্রিকেটারদের অনুশীলনে রাখার একটা পরিকল্পনা করা হয়েছে। কোচ টেস্ট খেলোয়াড়দের সঙ্গে মিটিং করে পরিকল্পনা দিয়েছেন। বিসিবি এখন কোচের পরিকল্পনা অনুযায়ী অনুশীলনের ব্যবস্থা করবে। কারণ, বিশ্বকাপ শেষে পরপর দুটি টেস্ট সিরিজ খেলা হবে।’
হাথুরুসিংহে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড বিসিবি
মন্তব্য করুন
চলতি বছরের জুনে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতে শুরু হতে যাচ্ছে এবারের টি-২০ বিশ্বকাপের মহারণ। যার জন্য ইতোমধ্যেই বেশ জোরেশোরে প্রস্তুতি চলছে প্রতিটি দলেই। ক্রিকেটের সংক্ষিপ্ততম এই সংস্করণের বৈশ্বিক টুর্নামেন্ট এবার আয়োজিত হচ্ছে কিছুটা ভিন্নরূপে। যেখানে অংশ নিচ্ছে ২০টি দল।
এই আসরে বাড়তি মাত্রা যোগ করবেন ট্র্যাক অ্যান্ড ফিল্ডের সর্বকালের অন্যতম সেরা অ্যাথলেট উসাইন বোল্ট। আসন্ন টি-২০ বিশ্বকাপের শুভেচ্ছাদূত হয়েছেন তিনি। তাকে এই টুর্নামেন্টে যুক্ত করেছে বিশ্ব ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইসিসি।
এ বিষয়ে দ্রুত গতির মানব বলেন, ‘টি-২০ বিশ্বকাপের শুভেচ্ছাদূত হতে পেরে আমি আনন্দিত। ক্যারীবিয়ান থেকে উঠে আসা মানুষ আমি। ক্রিকেট জীবনেরই একটি অংশ। এই খেলাটি সবসময় আমার হৃদয়ে বিশেষ জায়গা নিয়ে আছে। বিশ্বকাপের মতো এমন মর্যাদাপূর্ণ টুর্নামেন্টের অংশ হতে পেরে আমি সম্মানিত বোধ করছি। বৈশ্বিকভাবে ক্রিকেটের উন্নতিতে অবদান রাখতে এবং বিশ্বকাপে নিজের শক্তি ও উৎসাহ দিয়ে কাজ করতে মুখিয়ে আছি আমি।’
দেশটিতে ক্রিকেটের ভবিষ্যৎ নিয়েও আশাবাদী বোল্ট। তার মতে, ‘আমেরিকা খেলায় এবং এর তীব্রতায় বিশ্বাস করে। এমন বাজারে ঢোকা আমার কাছে বড় ব্যাপার বলে মনে হয়। যদি তারা এদিকে ঝোঁকে, তাহলে তারা ঠিকঠাকভাবেই এগোবে। টি-২০ বিশ্বকাপে যেমন উৎসাহ থাকবে, তেমন কিছু হলে দারুণ হবে।’
এবারই প্রথম যুক্তরাষ্ট্র কোনো আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ইভেন্ট আয়োজন করতে যাচ্ছে। বোল্ট মনে করেন, ক্রিকেটের প্রতি দ্রুতই আরো মনোনিবেশ করবে আমেরিকা।
অ্যাথলেট উসাইন বোল্ট টি-২০ বিশ্বকাপ
মন্তব্য করুন
চলতি আইপএলের ৩২ তম ম্যাচে প্রথমবার মুখোমুখি হয়েছিল গুজরাট টাইটানস্ ও দিল্লি ক্যাপিটালস। সেই দেখাই গুজরাটকে তাদের ঘরের মাঠে এ আসরের সব থেকে কম ৮৯ রানে অলআউট করেছিল দিল্লি। সেই ম্যাচে ৬ উকেটের দুর্দান্ত জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে ঋষভ পন্তের দল। গতকাল বুধবার (২৪ এপ্রিল) দিনের একমাত্র ম্যাচে মুখোমুখি হয় এই দুই দল। এই ম্যাচে গুজরাটকে ৪ রানে হারিয়ে ব্যাক টু ব্যাক জয় তুলে নেয় দিল্লি ক্যাপিটালস।
চলতি আইপিএলের ৪০ তম এই ম্যাচে আগে ব্যাট করতে নেমে গুজরাটকে ২২৫ রানের টার্গেট দেয় দিল্লি ক্যাপিটালস। জবাবে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ২২০ রান তুলতে পারে গুজরাট। এতে ৪ রানের জয় পায় দিল্লি।
এই জয়ের মাধ্যমে গুজরাটকে পিছনে ফেলে পয়েন্ট টেবিলের ৬ নম্বরে উঠে গেল দিল্লি।
বড় লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুতেই হোঁচট খায় গুজরাট। ৫ বলে ৬ রান করে সাজ ঘরে ফেরেন অধিনায়ক শুভমান গিল। এরপর সাই সুদর্শনকে সঙ্গে নিয়ে রান তুলতে থাকেন ঋদ্ধিমান শাহা। ২৫ বলে ৩৯ রান করে ঋদ্ধিমান আউট হলেও ২৯ বলে ফিফটি তুলে নেন এই সুদর্শন।
এরপর একপ্রান্ত আগলে রেখে ডেভিড মিলার লড়াই জারি রাখলেও বাকিদের চলে আসা যাওয়ার মিছিল। শেষ দিকে রশিদ খান ও সাই কিশোরের শেষ ১০ বলে ২১ রানের ক্যামিও ইনিংস থাকলেও হার এড়াতে পারেনি গুজরাট।
এদিন দিল্লি ক্যাপিটালসের হয়ে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট শিকার করেন রাসিখ সালাম। এছাড়াও কুলদ্বীপ যাদব ২টি, এনরিখ নরকিয়া, মুকেশ কুমার ও অক্ষর প্যাটেল ১টি করে উইকেট নেন।
এর আগে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে দুর্দান্ত শুরু করে দিল্লির দুই ওপেনার পৃথ্বী শাহ এবং জ্যাক ফ্রেজার। তবে ইনিংস বড় করেতে পারেননি দুজনের কেউই। ১৪ বলে ২৩ রান করে ফ্রেজার আউট হলে ৭ বলে ১১ রান করে সাজ ঘরে ফিরেন পৃথ্বী। এদিন ব্যাট হাতে আলো ছড়াতে পারেননি শাই হোপ। ৬ বলে ৫ রান করেন এই ক্যারিবিয়ান।
এরপর দিল্লি শিবিরের হাল ধরেন অক্ষর প্যাটেল এবং ঋষভ পান্থ। ৩৭ বলে ফিফটি তুলে নেন অক্ষর প্যাটেল। এরপর দ্রুত গতিতে রান তুলতে থাকেন এই বাঁহাতি ব্যাটার। ৪৩ বলে ৬৬ রান করে সাজ ঘরে ফিরেন তিনি। এরপর স্টাবসের ৭ বলে ২৬ রান এবং পান্থের ৪৩ বলে ৮৮ রানের বিধ্বংসী ইনিংসে ভর করে ২২৪ রানের বড় পুঁজি পায় দিল্লি।
আইপিএল গুজরাট টাইটানস্ দিল্লি ক্যাপিটালস
মন্তব্য করুন
আগামী বছর পাকিস্তানে বসতে চলেছে চ্যাম্পিয়নস ট্রফির আসর। তবে সেই
আসরে ভারত অংশগ্রহণ করবে কিনা তা নিয়ে চলছে নানা দ্বিধা-দ্বন্দ্ব। ভারতের একগুয়েমিতে
গত এশিয়া কাপে হাইব্রিড মডেলে টুর্নামেন্ট আয়োজন করতে বাধ্য হয়েছিল পাকিস্তান। কারণ
পাকিস্তান ভেবেছিল ভারতে বিশ্বকাপ খেলতে গেলে পাকিস্তানে চ্যাম্পিয়নস ট্রফি খেলবে রোহতিরা।
তবে ভারতীয় দলকে পাকিস্তানের মাটিতে ক্রিকেট খেলাতে পিসিবি (পাকিস্তান
ক্রিকেট বোর্ড) উদ্যোগ নিলেও তা কোনো কাজেই আসছে না। কারণ, পাকিস্তানে নয়, বরং হাইব্রিড
মডেলেই চ্যাম্পিয়নস ট্রফি খেলতে চায় ভারত।
সবশেষ রোহিত-কোহলিরা যাতে পাকিস্তানে স্বাভাবিকভাবে খেলতে পারে সেজন্য দ্বিপাক্ষিক সিরিজ
আয়োজনের কথাও বলেছিলেন পিসিবি চেয়ারম্যান মহসিন নকভি। কিন্তু সেখানেও সায় দেয়নি ভারতীয়
ক্রিকেট নিয়ন্ত্রক সংস্থা (বিসিসিআই)। দ্বিপাক্ষিক সিরিজ তো নয়ই, বরং ২০২৫ সালের চ্যাম্পিয়নস
ট্রফি খেলতেও পাকিস্তান যেতে নারাজ ভারতীয়রা।
এমনকি আইসিসির এই বড় আসরে ভেন্যু পরিবর্তন করে ভারতের ম্যাচগুলো
পাকিস্তানের বাইরে অন্য কোনো দেশে আয়োজনের দাবি করছে বিসিসিআই। পাকিস্তানের মাটিতে
গিয়ে খেলতে চায় না ভারত।অর্থাৎ ২০২৫ সালের চ্যাম্পিয়নস ট্রফির আসর হাইব্রিড মডেলে চায়
ভারত।
এদিকে বিসিসিআই সূত্রের বরাত দিয়ে আইএএনএস বলছে, ভারতীয় দল চ্যাম্পিয়নস
ট্রফির জন্য পাকিস্তানে না-ও যেতে পারে। ভেন্যু পরিবর্তন হতে পারে। হাইব্রিড মডেলেও
করার সম্ভাবনা রয়েছে।
অন্যদিকে বিসিসিআই জানিয়েছে, চ্যাম্পিয়নস ট্রফি আইসিসির আয়োজন
হওয়া সত্ত্বেও ভারতের অংশগ্রহণ সরকারি নির্দেশের ওপর নির্ভর করে।
বিসিসিআই আরও জানায়, চ্যাম্পিয়নস ট্রফি একটি আইসিসি ইভেন্ট। তাই
এটি ভারতের জন্য একটি কঠিন সিদ্ধান্ত হবে। কিন্তু সরকারের নির্দেশ-সবুজসংকেত ছাড়া
কিছুই করার নেই।
সবশেষ ২০১২-১৩ ভারতের বিপক্ষে
সিরিজ খেলতে যায় পাকিস্তান। এরপর থেকে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে আর কোনো দ্বিপাক্ষিক
সিরিজ আয়োজিত হয়নি। এছাড়াও গত বছর পাকিস্তানের আয়োজনে এশিয়া খেলতে যায়নি ভারত। কারণ সেবার রোহিতদের ম্যাচগুলো
হয়েছিল শ্রীলঙ্কার মাটিতে।
তবে ২০২৩ সালের ওয়ানডে বিশ্বকাপে পাকিস্তান দল ঠিকই খেলতে আসে ভারতের মাটিতে। যদিও ভারতীয় দল মোটেও
যায়নি পাকিস্তানে।
পাকিস্তান চ্যাম্পিয়নস ট্রফি ভারত ক্রিকেট
মন্তব্য করুন
তিন বছর পূর্বে ২০২১ সালের নভেম্বরে হতাশায় ডুবতে থাকা বার্সেলোনার দায়িত্ব নিয়েছিলেন জাভি হার্নান্দেজ। দায়িত্ব নেয়ার পর গত মৌসুমে ক্লাবকে এনে দিয়েছিলেন লিগ শিরোপাও। এরপর হঠাৎ চলতি বছরের শুরুতে কাতালান ছাড়ার ঘোষণা দেন জাভি। এই কিংবদন্তি ফুটবলার জানিয়ে দিয়েছেন, চলমান মৌসুম শেষে বার্সার ডাগআউটে আর থাকবেন না। এরপর থেকে অন্য রূপে বার্সা। নিয়মিত পারফর্ম করতে থাকে তারা। দলের এই পরিবর্তনে খুশি কাতালান প্রশাসন। আর যার জন্য ক্লাবকর্তারা অনুরোধ করেছেন জাভিকে থেকে যাওয়ার জন্য।
চলতি বছরের জুনে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতে শুরু হতে যাচ্ছে এবারের টি-২০ বিশ্বকাপের মহারণ। যার জন্য ইতোমধ্যেই বেশ জোরেশোরে প্রস্তুতি চলছে প্রতিটি দলেই। ক্রিকেটের সংক্ষিপ্ততম এই সংস্করণের বৈশ্বিক টুর্নামেন্ট এবার আয়োজিত হচ্ছে কিছুটা ভিন্নরূপে। যেখানে অংশ নিচ্ছে ২০টি দল। এই আসরে বাড়তি মাত্রা যোগ করবেন ট্র্যাক অ্যান্ড ফিল্ডের সর্বকালের অন্যতম সেরা অ্যাথলেট উসাইন বোল্ট।
চলতি আইপএলের ৩২ তম ম্যাচে প্রথমবার মুখোমুখি হয়েছিল গুজরাট টাইটানস্ ও দিল্লি ক্যাপিটালস। সেই দেখাই গুজরাটকে তাদের ঘরের মাঠে এ আসরের সব থেকে কম ৮৯ রানে অলআউট করেছিল দিল্লি। সেই ম্যাচে ৬ উকেটের দুর্দান্ত জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে ঋষভ পন্তের দল। গতকাল বুধবার (২৪ এপ্রিল) দিনের একমাত্র ম্যাচে মুখোমুখি হয় এই দুই দল। এই ম্যাচে গুজরাটকে ৪ রানে হারিয়ে ব্যাক টু ব্যাক জয় তুলে নেয় দিল্লি ক্যাপিটালস।
আগামী বছর পাকিস্তানে বসতে চলেছে চ্যাম্পিয়নস ট্রফির আসর। তবে সেই আসরে ভারত অংশগ্রহণ করবে কিনা তা নিয়ে চলছে নানা দ্বিধা-দ্বন্দ্ব। ভারতের একগুয়েমিতে গত এশিয়া কাপে হাইব্রিড মডেলে টুর্নামেন্ট আয়োজন করতে বাধ্য হয়েছিল পাকিস্তান। কারণ পাকিস্তান ভেবেছিল ভারতে বিশ্বকাপ খেলতে গেলে পাকিস্তানে চ্যাম্পিয়নস ট্রফি খেলবে রোহতিরা।