নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৭:৩১ পিএম, ১০ নভেম্বর, ২০১৮
আজকের সারাদিনের ‘টক অব দা টাউন’ হচ্ছে দেশের ক্রিকেটের দুই বরপুত্র মাশরাফি বিন মর্তুজা এবং সাকিব আল হাসানের মনোনয়নপত্র কেনার ঘোষণা। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে এই দুই ক্রিকেটার আগামীকাল আওয়ামী লীগের মনোনয়নপত্র কিনবেন। মাশরাফি বিন মর্তুজা নড়াইল-২ আসন থেকে এবং সাকিব আল হাসান মাগুরা-১ আসন থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।
সাকিব নিজেই মনোনয়ন পত্র কেনার ব্যাপারে সংবাদমাধ্যমকে জানান। এদিকে, মাশরাফির বাবা গোলাম মর্তুজা স্বপন মাশরাফির মনোনয়ন কেনার ব্যাপারটি নিশ্চিত করে বলেন, ‘আগামীকাল রোববার মনোনয়নের ফরম কিনতে আওয়ামী লীগের ধানমন্ডি অফিসে যাবেন মাশরাফি।‘
আগামী নির্বাচনে মাশরাফি ও সাকিবের প্রার্থী হওয়ার খবরে আনন্দের জোয়ার বইছে পুরো এলাকা জুড়ে। জনপ্রিয় এই দুই ক্রিকেটারকে নির্বাচনে জয়ী করতে সবধরনের সাহায্য-সহযোগিতা ও একসঙ্গে কাজ করার ব্যাপারে আগ্রহ দেখিয়েছে ওই দুই এলাকার মানুষজন।
এলাকার অনেক মানুষ আনন্দিত হলেও দীর্ঘদিন ধরে ওই দুই আসনে রাজনীতি করে আসছেন এমন অনেক নেতাদের মুখে হাসি নেই। অনেকেই মাশরাফি ও সাকিবের প্রার্থী হওয়ার খবরটি ভালভাবে নিতে পারেননি। তাদের মতে, তাঁরা দীর্ঘদিন ধরে রাজনীতি করে আসছেন। রাজপথে থেকে হামলা-মামলার শিকার হয়েছেন। কিন্তু দল না করেও সরকার দলের প্রার্থী হওয়ার কারণে অনেকেই ব্যাপারটি মেনে নিতে পারছেন না। আবার অনেকে শেখ হাসিনার এমন সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানিয়েছেন। শেখ হাসিনা নৌকা মার্কায় যাকেই প্রার্থী বানাবেন তাকে বিজয়ী করার জন্য সবধরনের কাজ করার অঙ্গীকার শোনা যাচ্ছে তাদের মুখে মুখে।
শুধু ওই দুই আসনে নয়, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকেও দেখা গেছে ভক্ত ও সমর্থকদের মিশ্র প্রতিক্রিয়া। অনেকেই সাকিব-মাশরাফির নির্বাচন করার ঘোষণাকে নির্বাচনের ইতিবাচক দিক মনে করছেন। আবার কেউ কেউ তাদের এই সিদ্ধান্তটি মেনে নিতে পারছেন না।
ঢাকার মোহাম্মদপুরের বাসিন্দা নাফিসা নওরিন খান ঐশী মাশরাফির মনোনয়নের প্রার্থী হওয়ার ঘোষণায় নিজের ফেসবুকে লেখেন, ‘ঢাকার ভোটার হয়ে নড়াইলে যেয়ে ভোট দেওয়া যাবে না? আমি খুব করে চাই এই মানুষটা বড় কোনো পজিশনে যাক। একদিন দেশের প্রধানমন্ত্রী হোক। বাংলাদেশের এমন ভালো মানুষের খুব দরকার।‘
বেসরকারি চাকুরীজীবী অভি ইসলাম সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লেখেন, ‘সামনে বিশ্বকাপ। ১৬ কোটি মানুষের স্বপ্ন বিশ্বকাপ। একমাত্র এই একটি জায়গায় নেই কোনো দলের বিভক্তি। এমন একটি মুহূর্তের আগে সাকিব-মাশরাফির মনোনয়নের এমন সিদ্ধান্ত মেনে নিতে কষ্ট দিচ্ছে। বিশ্বকাপে খারাপ পারফর্ম করলে কত নেতিবাচক মন্তব্য শুধু মাত্র এই কারণে শুনতে হবে সেটা জানেন? রাজনীতি করুণ কিন্তু অবসরের পর করুণ’।
বাংলা ইনসাইডার/এসএকে/জেডএ
মন্তব্য করুন
পিবিআই প্রধান বনজ কুমার মজুমদার হ্যালো পিওর গোল্ড
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
পবিত্র মাহে রমজানের আগে আবারও বাড়লো চিনির দাম। কেজিতে ২০ টাকা বাড়িয়ে প্রতিকেজি সরকারি মিলের চিনির সর্বোচ্চ খুচরা দাম ১৬০ টাকা নির্ধারণ করেছে বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প করপোরেশন (বিএসএফআইসি)।
বৃহস্পতিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) এক বিজ্ঞপ্তিতে চিনি ও খাদ্য শিল্প মন্ত্রণালয় জানায়, চিনির এ দাম অবিলম্বে কার্যকর হবে।
এতে বলা হয়, আন্তর্জাতিক ও দেশীয় চিনির বাজার মূল্যের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে বিএসএফআইসি কর্তৃক উৎপাদিত চিনির বিক্রয়মূল্য পুনর্নির্ধারণ করা হয়েছে। বাজারে রোজা উপলক্ষ্যে চিনির বাজার নিয়ন্ত্রণে সরকারের সহযোগিতা প্রয়োজন।
এখন থেকে করপোরেশনের ৫০ কেজি বস্তাজাত চিনির মিলগেট বিক্রয়মূল্য ১৫০ টাকা (এক কেজি) ও ডিলার পর্যায়ে বিক্রয়মূল্য ১৫৭ টাকা (এক কেজি) নির্ধারণ করা হয়েছে।
এ ছাড়া করপোরেশনের ১ কেজি প্যাকেটজাত চিনির মিলগেট বা করপোরেট সুপারশপ বিক্রয়মূল্য ১৫৫ টাকা ও বিভিন্ন সুপারশপ, চিনি শিল্প ভবনের বেজমেন্টে ও বাজারে সর্বোচ্চ খুচরা বিক্রয়মূল্য ১৬০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
বাজারে সরকারি চিনির নামে মোড়কজাত করে চড়া দামে বিক্রি করছে কিছু প্রতিষ্ঠান। সবশেষ কেজিপ্রতি ১৪০ টাকা চিনির মূল্য নির্ধারণ করে সংস্থাটি।
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশের জন্য ১ হাজার ৬৫০ টন পেঁয়াজ কিনছে ভারত। এই খবরে দেশের বাজারে ব্যাপক দরপতন শুরু হয়েছে। সরবরাহ বাড়তে থাকায় খুচরা বাজারে পেঁয়াজের দাম প্রতি কেজিতে অন্তত ৩০ টাকা কমেছে। অথচ রোজা শুরুর আগেও পেঁয়াজের দাম বাড়ছিল। বাজার নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে সরকার তখন ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি করার বিশেষ উদ্যোগও নিয়েছিল।