ইনসাইড গ্রাউন্ড

সফলতা নাকি ব্যর্থতা, কী পেল বাংলাদেশ?

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৯:০০ এএম, ১৬ নভেম্বর, ২০১৮


Thumbnail

টেস্ট জয়ের মধ্য দিয়ে গতকাল আরও একটি সিরিজ শেষ করলো বাংলাদেশ। সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টেস্টে নিজেদের ইতিহাসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ জয় তুলে নিলেও সিরিজটি নিজেদের করে নিতে পারেনি বাংলাদেশ। সিলেট টেস্টে চরম ব্যর্থতার কারণেই সিরিজটি হাতছাড়া হয় বাংলাদেশের। টেস্টে ব্যর্থ হলেও ওয়ানডেতে বাংলাদেশ তাঁদের একক আধিপত্য ধরে রাখে।

এশিয়া কাপের পরপরই জিম্বাবুয়ে সিরিজ শুরু হয়। এশিয়া কাপে দুর্দান্ত পারফর্ম করা বাংলাদেশ সেই ধারাবাহিকতা ধরে রাখে ওয়ানডে সিরিজেও। ওয়ানডে সিরিজে রানে ফিরেছেন ওপেনাররা। ইমরুল কায়েস ছিলেন পুরো সিরিজ জুড়ে অপ্রতিরোধ্য। প্রথম ম্যাচে ১৪৪ রানের পর দ্বিতীয় ম্যাচে মাত্র ১০ রানের জন্য টানা দ্বিতীয় সেঞ্চুরি করার সুযোগ নষ্ট করেন ইমরুল। দ্বিতীয় ম্যাচে এশিয়া কাপের ফাইনাল ম্যাচে সেঞ্চুরির পর আবারও রানে ফেরেন লিটন দাস। ৮৩ রানের দুর্দান্ত এক ইনিংস খেলেন তিনি। ওপেনিং জুটিতে ১৪৮ রানের পার্টনারশিপ গড়েন এই দুই ব্যাটসম্যান। তৃতীয় ম্যাচে লিটন ব্যর্থ হলেও ইমরুল আবারও তুলে নেন সেঞ্চুরি। এদিকে অনেক দিন পর সুযোগ পেয়ে জ্বলে ওঠেন সৌম্য সরকার। দীর্ঘ দুই বছর রান খরায় থাকা সৌম্য ৯২ বলে ১১৭ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেন। সব মিলিয়ে ওপেনিং ব্যাটসম্যানরা এই সিরিজে দারুণভাবে রানে ফেরেন।

নিজেদের প্রিয় ফরম্যাট ওয়ানডে সিরিজ থেকে টেস্টে ফিরতেই পারফরম্যান্সের সূচক নিচের দিকে যায় বাংলাদেশের। প্রথম টেস্ট সিলেটে দারুণভাবে ব্যর্থ হয় বাংলাদেশ। জিম্বাবুয়ের কাছে ১৫১ রানের লজ্জার হার দেখতে হয় স্বাগতিকদের। এমন পরাজয়ে দারুনভাবে সমালোচিত হয় বাংলাদেশের টেস্ট ক্রিকেট।

সিলেট টেস্টের আগে বাংলাদেশের অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যানদের প্রায় সবাই শেষ ৭ ইনিংসে চরমভাবে ব্যর্থ ছিলেন। ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের শেষ ৭ ইনিংসে এভারেজ রান ছিল মাত্র ৬। এই সাত ইনিংসে তাঁর সর্বোচ্চ রান ছিল মাত্র ১৭। মুমিনুল হকও ছিলেন শেষ ৭ ইনিংসে দারুণভাবে ব্যর্থ। মমিনুল হক তার খেলা শেষ ৭ ইনিংসে সর্বোচ্চ ৩৩ রান করেন। সব মিলিয়ে ৮ রান গড়ে করেন ৫৯ রান। চারটি ইনিংসে তিনি কোনো রান করতে পারেননি।

ইমরুল কায়েস শেষ ৪ ইনিংসে রান করেন মাত্র ৬০ রান। সর্বোচ্চ ১৯ রান আসে এই চার ইনিংস থেকে। এভারেজ মাত্র ১৫। আরেক ওপেনার লিটন দাসের ব্যাট থেকে আসে মাত্র ১১৮ রান। সর্বোচ্চ ৩৩ রান আসে তার খেলা শেষ ৭ ইনিংসে।বাংলাদেশের সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য ব্যাটসম্যান মুশফিক। মুশির শেষ সাত ইনিংসের গড় মাত্র ১৭ রান। রান করেছেন ১২১ রান। শেষ ৭ ইনিংসে সিলেট টেস্টের ৩১ রানই সর্বোচ্চ ইনিংস।

সব মিলিয়ে দারুণভাবে আশাহত করেন দলের মুল খেলোয়াড়রা। সে কারণে বাংলাদেশকে এমন লজ্জার সম্মুখীন হতে হয় প্রথম টেস্টে।

দ্বিতীয় টেস্টে বাংলাদেশের পারফরম্যান্স মুদ্রার আরেক পিঠ দেখিয়ে দেয়। দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়ায় বাংলাদেশ। প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশ ৫২২ রানের পাহারসম রান জড়ো করে। যেখানে আগের কয়েকটি টেস্টের একটি ইনিংসেও বাংলাদেশ ২০০ রান পাড় করতে পারেনি।

দলের বড় রানের পাশপাশি রানে ফেরে ব্যর্থ ব্যাটসম্যানরা। মুমিনুল হক প্রথম ইনিংসে ১৬১ রানের দুর্দান্ত এক ইনিংস খেলেন। মুমিনুল হককেও ছাপিয়ে যান মুশফিক। তুলে নেন নিজের ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় ডাবল সেঞ্চুরি। দ্বিতীয় ইনিংসে চমক দেখান অধিনায়ক রিয়াদ। দীর্ঘ আট বছর অপেক্ষার পর অবশেষে নিজের ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় সেঞ্চুরি তুলে নেই এই ব্যাটসম্যান।

পুরো টেস্ট সিরিজে তাইজুল ইসলাম ছিলেন এক কথায় অনন্য। ইনজুরির কারণে সাকিব আল হাসানের অনুপস্থিতিতে একদমই টের পেতে দেননি তিনি। দুই টেস্ট মিলিয়ে টানা তিন ইনিংসে ৫ উইকেট নেওয়ার কীর্তি গড়েন এই বোলার।

বাংলাদেশের অনেকদিনের স্বপ্ন ছিল লম্বা দ্রুত গতির পেস বোলারের। জিম্বাবুয়ে সিরিজেই অভিষেক হয় খালেদ আহমেদের মতো লম্বা বোলারের। উইকেট না পেলেও পুরো সিরিজ জুড়েই দারুণ বোলিং করেছেন তিনি। নিয়মিত ১৪০ কি.মির আশেপাশে বোলিং করেছেন তিনি।

টেস্টে বোলিং-ব্যাটিং ডিপার্টমেন্টের ব্যর্থতার থেকেও সবচেয়ে বেশি হতাশ করেছে ফিল্ডিং। একের পর এক মিস ফিল্ডিংয়ের পাশাপাশি বেশ কয়েকটি সহজ ক্যাচ মিস করেন বাংলাদেশের খেলোয়াড়রা। প্রথম টেস্টে বাংলাদেশের এমন হারের পেছনে ফিল্ডিং অনেকটাই দায়ী। দ্বিতীয় টেস্ট বাংলাদেশ জয় পেলেও সেখানেও ছিল মিস ফিল্ডিং ও ক্যাচ মিসের মহড়া। 

সব মিলিয়ে প্রথম টেস্ট ব্যতীত বাংলাদেশ দারুণ একটা সিরিজ কাটিয়েছে। দ্বিতীয় টেস্টে দুই ডিপার্টমেন্টের সফলতা পরবর্তী সিরিজেও টেনে নিয়ে যেতে হবে বাংলাদেশকে। সেই সঙ্গে ফিল্ডিংয়ে ব্যাপক উন্নতি করতে হবে দলের সবাইকে।

বাংলা ইনসাইডার/এসএকে



মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

আইসিসি থেকে সুসংবাদ পেলেন শাহীন, বাবরের দুঃসংবাদ

প্রকাশ: ০৮:২৫ পিএম, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

পাকিস্তানের তারকা ক্রিকেটার বাবর আজম ও শাহীন আফ্রিদি। গেল ওয়ানডে বিশ্বকাপের পর থেকেই আলোচনায় রয়েছেন তারা। জাতীয় দলের অধিনায়কত্ব নিয়ে বারবার সমালোচিত হয়েছেন এই দুই তারকা। তবে এবার এই দুইজনের একজন আইসিসি থেকে পেয়েছেন সুসংবাদ এবং অন্যজন পেয়েছেন দুঃসংবাদ।

আসন্ন টি-২০ বিশ্বকাপের প্রস্তুতি নিতে ঘরের মাঠে পাঁচ ম্যাচের সিরিজ খেলছে পাকিস্তান। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে চলমান এই সিরিজে নেই হারিস রউফ। এখন পর্যন্ত সিরিজের তিনটি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই ৩ ম্যাচে ৪ উইকেট নিয়েছেন শাহিন আফ্রিদি।

আর এতেই রেটিং পয়েন্টের যোগ বিয়োগের খেলায় রউফকে টপকে আইসিসির টি-২০ র‍্যাঙ্কিংয়ে আবারও পাকিস্তানের শীর্ষ বোলার হয়েছেন আফ্রিদি। অবশ্য রউফকে টপকে গেলেও র‍্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষ ১৫-তেও নেই পাকিস্তানের সদ্য সাবেক অধিনায়ক। দুই ধাপ এগিয়ে ১৭ নম্বরে উঠেছেন ২৪ বছর বয়সী এই পেসার।

এদিকে চার ধাপ পিছিয়ে ২২ নম্বরে নেমে গেছেন রউফ। বোলারদের র‍্যাঙ্কিংয়ে আফ্রিদির ঠিক পরেই ১৮ নম্বরে আছেন নিউজিল্যান্ডের লেগ স্পিনার ইশ সোধি। পাকিস্তানের বিপক্ষে ৩ উইকেট নেয়া সোধি পাঁচ ধাপ এগিয়েছেন।

কিউইদের সেরা বোলার মিচেল স্যান্টনার। সিরিজের নিউজিল্যান্ড দলে না থাকা স্যান্টনার অবশ্য পয়েন্ট হারিয়ে পাঁচ ধাপ পিছিয়ে ১৫ নম্বরে নেমে গেছেন। টি-২০ বোলারদের এক নম্বর জায়গাটা ধরে রেখেছেন ইংল্যান্ডের লেগ স্পিনার আদিল রশিদ।

এদিকে ব্যাটসম্যানদের র‍্যাঙ্কিংয়ে নিউজিল্যান্ডের টিম সাইফার্ট তিন ধাপ এগিয়ে উঠেছেন ২৪ নম্বরে। তার সতীর্থ মার্ক চ্যাপম্যান লম্বা লাফই দিয়েছেন। পাকিস্তানের বিপক্ষে সিরিজের তৃতীয় ম্যাচে ৪২ বলে অপরাজিত ৮৭ রানের ইনিংস খেলে নিউজিল্যান্ডকে জেতানো ব্যাটসম্যান ১২ ধাপ এগিয়ে উঠেছেন ৩৩ নম্বরে।

পাকিস্তান অধিনায়ক বাবর আজম এক ধাপ পিছিয়ে নেমে গেছেন পাঁচে। মোহাম্মদ রিজওয়ান আছেন আগের মতোই তিনে। বুধবার (২৪ এপ্রিল) প্রকাশিত সর্বশেষ র‍্যাঙ্কিংয়ে ক্যারিয়ারসেরা অবস্থানে উঠেছেন নেপালের দীপেন্দ্র সিং ঐরী।

যুবরাজ সিং ও কাইরন পোলার্ডের পর তৃতীয় ব্যাটসম্যান হিসেবে আন্তর্জাতিক টি-২০তে এক ওভারে ছয় ছক্কা মারা ব্যাটসম্যান ১০ ধাপ এগিয়ে উঠে এসেছেন ৫০ নম্বরে। পরশ খাড়কা, কৌশল ভুরতেল ও রোহিত পৌডেলের পর চতুর্থ নেপালি হিসেবে র‍্যাঙ্কিংয়ে শীর্ষ ৫০-এ উঠলেন ঐরী।

ব্যাটিংয়ে ভারতের সূর্যকুমার যাদব ও অলরাউন্ডার র‍্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশের সাকিব আল হাসান শীর্ষস্থান ধরে রেখেছেন।


পাকিস্তান   টি-২০ বিশ্বকাপ   আন্তর্জাতিক ক্রিকেট   বাবর আজম   শাহীন আফ্রিদি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

ফিরতি লেগে হেরেও ফাইনাল নিশ্চিত জুভেন্টাসের

প্রকাশ: ০৬:৪৮ পিএম, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

প্রথম লেগে ২-০ গোলে জিতে ইতোমধ্যেই এগিয়ে ছিল তারা। যার জন্য ফিরতি লেগে ড্র করলে অথবা এক গোলে হারলেও ফাইনাল নিশ্চিত ছিল। এমন সমীকরণের সামনে দাঁড়িয়ে ইতালিয়ান কাপের সেমিফাইনালের দ্বিতীয় লেগে মঙ্গলবার ল্যাজিওর মুখোমুখি হয়েছিল জুভেন্টাস। ম্যাচটিতে  ২-১ গোলে পরাজিত হয়েছে তারা। কিন্তু তারপরেও দুই লেগ মিলিয়ে ৩-২ ব্যবধানে এগিয়ে থাকায় ফাইনাল নিশ্চিত করেছে তুরিনের জায়ান্টরা।

এদিন ল্যাজিওর মাঠে ৪৮ মিনিটেই ২-০ গেলে পিছিয়ে পড়ে অস্বস্তিতে পড়ে তুরিনের জায়ান্টরা। ল্যাজিওর হয়ে দুটি গোলই করেছেন ভ্যালেন্টিন ক্যাস্তেলানোস। ৮৩ মিনিটে বদলি খেলোয়াড় মিলিকের প্রথম সুযোগের গোলে জুভেন্টাস দুই লেগ মিলিয়ে ফাইনাল নিশ্চিত করে।

ম্যাচ শেষে পোলিশ স্ট্রাইকার মিলিক বলেছেন, ‘আমরা একটি ভাল দলের বিপক্ষে কঠিন লড়াইয়ের মুখে পড়েছিলাম। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ফাইনাল নিশ্চিত করতে পারায় আমরা দারুণ খুশি। ফাইনালে আমাদের ভাল খেলতে হবে। সেটা করার ব্যপারে আমরা মুখিয়ে আছি।’

নিয়মিত গোলরক্ষক ওজিচে সিজনি বদলি বেঞ্চে থাকায় মাত্তিয়া পেরিনের উপর জুভেন্টাসের গোলবার সামলানোর দায়িত্ব ছিল। ১২ মিনিটে কর্নার থেকে কাস্তেলানোসের হেডে ল্যাজিও এগিয়ে যায়।

বিরতির পরপরই লো শটে এই আর্জেন্টাইন কোনাকুনি শটে ব্যবধান দ্বিগুন করেন। জুভেন্টাস কোচ মাসিমিলিয়ানো আলেগ্রি ম্যাচে ফিরে আসার লক্ষ্যে টিমোথি উইয়াহ ও মিলিককে মাঠে নামান। জুভেন্টাসের ভাগ্য নির্ধারণী গোলে এই দুজনেরই অবদান ছিল।

এর মাধ্যমে ১৫ বারের মত কোপা ইতালিয়ার শিরোপা জয়ের দৌড়ে টিকে থাকলো জুভেন্টাস। অন্যদিকে সিরি আয় শেষ ১২ ম্যাচে মাত্র দুই জয়ে তৃতীয় স্থানে থাকা জুভেন্টাস চ্যাম্পিয়ন্স লিগের পজিশনের জন্য লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে।


জুভেন্টাস   ল্যাজিও   ইতালিয়ান কাপ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

বিশ্বকাপ বাছাইয়ের শেষ ম্যাচে কাতারে লেবাননের মুখোমুখি বাংলাদেশ

প্রকাশ: ০৬:০৬ পিএম, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

২০২৬ বিশ্বকাপ ও এশিয়ান কাপের যৌথ বাছাইয়ে নিজেদের শেষ ম্যাচে লেবাননের মুখোমুখি হবে লাল-সবুজ জার্সিধারীরা। আগামী ১১ জুন নিরপেক্ষ ভেন্যু হিসেবে কাতারের দোহায় আল সাদ স্টেডিয়ামে স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৭টায় এ ম্যাচের আয়োজন করছে লেবানন। বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) ভেন্যুর বিষয়টি নিশ্চিত হয়েছে।

এবারের বিশ্বকাপ ও এশিয়ান কাপের বাছাইয়ে বাংলাদেশের গ্রুপে রয়েছে অস্ট্রেলিয়া, লেবানন ও ফিলিস্তিন। লেবানন ও ফিলিস্তিন দুই দেশই অভ্যন্তরীণ সমস্যার জন্য হোম ম্যাচ নিরপেক্ষ ভেন্যুতে খেলতে হয়। বাংলাদেশ মার্চ উইন্ডোতে ফিলিস্তিনের বিপক্ষে খেলেছে কুয়েতে।

এখন জুন উইন্ডোতে লেবাননের ম্যাচ খেলবে কাতারে। মধ্যপ্রাচ্যের এই দেশে বাংলাদেশের একাধিক ম্যাচ খেলার অভিজ্ঞতা রয়েছে। মার্চ উইন্ডোতে কোচ হ্যাভিয়ের ক্যাবরেরা বাংলাদেশ দলকে সৌদি আরবে দুই সপ্তাহের বেশি অনুশীলন করিয়েছিলেন। জুন উইন্ডোর আগে বড় সময় অনুশীলন করানোর সুযোগ পাবেন না। কারণ প্রিমিয়ার লিগ চলবে ২৯ মে পর্যন্ত। এর পরই মূলত জাতীয় দলের ক্যাম্প শুরু করতে পারবেন কোচ।

বিশ্বকাপ ও এশিয়ান কাপ যৌথ বাছাইয়ে বাংলাদেশ ইতোমধ্যে চার ম্যাচ খেলেছে। এর মধ্যে কেবল হোম ম্যাচে লেবাননের বিপক্ষে মাত্র এক পয়েন্ট পেয়েছে। বাকি দুই ম্যাচের একটি হোমে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে, আরেকটি নিরপেক্ষ ভেন্যুতে লেবাননের বিপক্ষে।

বাংলাদেশের বিশ্বকাপ বাছাই যাত্রা শুরু হয়েছিল অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে। এশিয়ার অন্যতম শক্তিশালী দেশ ৬ জুন কিংস অ্যারেনায় অ্যাওয়ে ম্যাচ খেলতে আসবে। অস্ট্রেলিয়া ২০১৫ সালে বাংলাদেশে আরেকবার এসেছিল বিশ্বকাপ বাছাইয়ের ম্যাচ খেলতে।


বাংলাদেশ   লেবানন   ফুটবল   বিশ্বকাপ ২০২৬   এশিয়ান কাপ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

হঠাৎ অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে আর্জেন্টিনার কার্লোস তেভেজ

প্রকাশ: ০৫:২৮ পিএম, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

আর্জেন্টিনার সাবেক তারকা ফুটবলার কার্লোস তেভেজ। একসময় দারুণ ফুটবল খেলে আর্জেন্টিনার সমর্থকদের হৃদয় জিতে নিয়েছিলেন তিনি। এল অ্যাপাচি ডাকনাম পাওয়া এই ফুটবলার ফুটবল খেলা ছাড়লেও ফুটবলকে ছাড়তে পারেননি।

বর্তমানে আর্জেন্টিনায় কোচিং করানো সাবেক এই ফুটবলার দীর্ঘদিন পর এসেছেন আলোচনায়। বুকে ব্যথা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন তেভেজ। দেশটির গণমাধ্যমের বরাতে জানা গেছে, বুয়েন্স আইরেসের একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে তাকে।

২০২২ সালে সব ধরনের ফুটবল থেকে অবসর নেওয়া তেভেজ বর্তমানে আর্জেন্টিনার ক্লাব ইন্ডিপেনডিয়েন্তের হেড কোচের দায়িত্বে আছেন। ক্লাবটির বরাতে জানা গেছে, গতকাল (মঙ্গলবার) রাতে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন সাবেক এই তারকা ফুটবলার।

সোশ্যাল মিডিয়া এক্সে এক বার্তায় ইন্ডিপেনডিয়েন্তে জানিয়েছে, আমাদের কোচ কার্লোস তেভেজ বুকে ব্যথা নিয়ে সান ইসিড্রোর লা ত্রিনিদাদ হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। প্রাথমিকভাবে তার পরীক্ষার রিপোর্ট সন্তোষজনক এসেছে বলেও জানিয়েছে তারা। যদিও সতর্কতা হিসেবে আরও কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলবে। সে পর্যন্ত হাসপাতালেই থাকবেন তিনি।

এর আগে গত বছর একটি দুর্ঘটনায় আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন তেভেজ। আর্জেন্টিনার জার্সি গায়ে ৭৬ ম্যাচ খেলে গোল করেছেন ১৩টি। ২০০৬ আর ২০১০ বিশ্বকাপে খেলেছেন। কোপা আমেরিকাতেও তিনটি ফাইনালে হেরেছেন তিনি, ফিরে এসেছেন শিরোপাজয়ের হাতছোঁয়া দূরত্ব থেকে।

২০০৪ সালে এথেন্স অলিম্পিকে স্বর্ণজয়ী দলের সদস্য ছিলেন তিনি। ক্লাব পর্যায়ে বোকা জুনিয়র্সের হয়ে ক্যারিয়ার শুরু করা তেভেজ ২০০৩ সালে জিতেছেন কোপা লিবারেটেডর্স। ইংল্যান্ড ও ইতালির ক্লাব ক্যারিয়ারে দারুণ সফল এই ফরোয়ার্ডকে নিয়ে কখনো কোনো ধরনের সমালোচনা শোনা যায়নি।

কার্লোস তেভেজকেও ফুটবল দুনিয়া মনে রাখবে তার আগ্রাসী খেলার জন্য। বর্তমানে কোচিং পেশায় আসা এই স্ট্রাইকার নিজের সময়ে ছিলেন অন্যতম সেরা। ওয়েইন রুনি এবং ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদের সঙ্গে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে দারুণ সময় পার করেছেন এই আর্জেন্টাইন। ২০০৮ সালের চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জিতেছেন। খেলেছেন ম্যানসিটির জার্সিতেও। সিটির বড় ক্লাব হয়ে ওঠার চেষ্টায় তিনি ছিলেন প্রথম দিকের সাইনিং।


এল অ্যাপাচি   কার্লোস তেভেজ   আর্জেন্টিনা  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

‘মুস্তাফিজের জন্য ধোনি এবং ফ্লেমিংয়ের সঙ্গটা অন্য রকম ব্যাপার’

প্রকাশ: ০৪:২৪ পিএম, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

বিকল্প হিসেবে দল পেলেও এবারের আইপিএল স্বপ্নের মতোই শুরু করেছিল বাংলাদেশি পেসার মুস্তাফিজুর রহমান। তবে শেষ ৩টি ম্যাচে বল হাতে খুব একটা সুবিধা করতে পারেনি এই কাটার মাস্টার। একটি করে উইকেট পেলেও ছিলেন বেশ খরুচে। গতকাল লখনৌয়ের বিপক্ষে শেষ ওভারে চেন্নাই সমর্থকদের জন্য রীতিমতো ভিলেইন হিসেবে পরিণত হয়েছেন তিনি।

এবার আইপিএলের জন্য মুস্তাফিজুর রহমানকে শুরুতে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত অনাপত্তিপত্র (এনওসি) দিয়েছিল বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। এরপর ১ দিন বাড়িয়ে ১ মে পর্যন্ত করেছে বিসিবি। ১ মে চেন্নাই বনাম পাঞ্জাবের ম্যাচ রয়েছে। সব ঠিক থাকলে সেই ম্যাচ খেলে পরদিন ২ মে বাংলাদেশে ফিরবেন মুস্তাফিজ।

মূলত জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজে মুস্তাফিজকে খেলানোর পরিকল্পনা বিসিবির। তাই আইপিএলের পুরো আসরের জন্য মুস্তাফিজকে এনওসি দেয়নি বোর্ড। কয়েক দিন আগেই মুস্তাফিজকে আইপিএলে না খেলিয়ে জিম্বাবুয়ে সিরিজে খেলানোর ব্যাখা দিয়েছেন বিসিবির ক্রিকেট অপারেশন্স বিভাগের প্রধান জালাল ইউনুস চৌধুরী। তিনি বলেছেন, আইপিএলে থেকে এই পেসারের শেখার কিছু নেই।

বিসিবির এমন সিদ্ধান্তের সমালোচনা করেছেন ভারতীয় ধারাভষ্যকার ও ক্রিকেট বিশ্লেষক হার্শা ভোগলে। তিনি বলেন, 'মুস্তাফিজ ১ মে আইপিএল ছেড়ে চলে যাবে। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের ডিরেক্টর বলেছে যে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রস্তুতির জন্য বাংলাদেশে খেলাটা মুস্তাফিজের জন্য বেশি ভালো। ডোয়াইন ব্রাভো যখন পাথিরানাকে শেখাবে তখন ফিজ খুব বেশিদিন থাকবে না। ধোনি এবং ফ্লেমিংয়ের সঙ্গটা অন্য রকম ব্যাপার।'

‘বাংলাদেশের ক্রিকেট ডিরেক্টর যা বলেছে আশা করি তা মিথ্যা হবে। কারণ সে বলেছে আইপিএল থেকে মুস্তাফিজের শেখার কিছু নেই। তখনই প্রশ্নটা উঠছে কোথায় তাহলে তার জন্য ভালো। আমি বুঝতে পারছি ব্যাপারটা। আসলে বাংলাদেশের রীতিটা ঠিক করতে হবে। এখানে খেলাটা মুস্তাফিজের জন্য খুবই ভালো। কারণ এখানে সে দারুণ বোলিং করছে।’

আগামী ৩ মে থেকে ঘরের মাঠে রোডেশিয়ানদের বিপক্ষে ৫ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলবে বাংলাদেশ। ৪ ও ৭ মে চট্টগ্রামেই পরের দুটি টি-২০, এরপর মিরপুরের শেরেবাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে ১০ ও ১২ মে হবে সিরিজের শেষ দুই ম্যাচ।


মুস্তাফিজ   চেন্নাই সুপার কিংস   আইপিএল   মহেন্দ্র সিং ধোনি   ফ্লেমিং   হার্শা ভোগলে  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন