নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৪:০০ পিএম, ১২ জানুয়ারী, ২০১৯
বিদায় নিচ্ছেন ব্রিটিশ টেনিস কিংবদন্তি অ্যান্ডি মারে। অস্ট্রেলিয়া ওপেনেই শেষ হবে তার ক্যারিয়ার। বর্ণাঢ্য ক্যারিয়ারে কী পেলেন আর কী হারালেন এই ব্রিটিশ তারকা?
টেনিস জগতের বিগ ফোরের একজন অ্যান্ডি মারে। বাকি তিনজন- রাফায়েল নাদাল, রজার ফেদেরার ও নোভাক জোকোভিচের তুলনায় কিছুটা ম্রিয়মাণ হয়ে পড়েছিলেন মাঝামাঝি সময়ে। ইনজুরি ও মানসিক অবসাদ দুটোই তার ক্যারিয়ারের সবথেকে মূল্যবান সময়কে নষ্ট করেছে। কিন্তু তাতে দমে যাননি মারে।
যেভাবে শুরু হলো
মাত্র পাঁচ বছর বয়স থেকে টেনিস শুরু। বড় ভাই ও পেশাদার ব্রিটিশ টেনিস খেলোয়াড় জেমি মারের অনুপ্রেরণায় লালিত হতে থাকে তার স্বপ্ন। ২০০৩ সালে অনুষ্ঠিত ম্যানচেস্টার চ্যালেঞ্জার নামক একটি জাতীয় টেনিস প্রতিযোগিতা দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয় তার ক্যারিয়ার। ঐ প্রতিযোগিতায় তিনি কোয়ার্টার ফাইনাল পর্যন্ত পৌঁছাতে পারেন।
তবে ঐ বছরই গ্লাসগো ফিউচার ইভেন্টের শিরোপা জেতেন মারে। মাঝে কিছু আঞ্চলিক প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে সাফল্য আসে। তবে বড় সাফল্য আসে ২০০৪ সালে। জুনিয়র ইউএস ওপেন কাপ জয় করেন এবং ঐ বছরেই বিবিসির বছর সেরা তরুণ ক্রীড়া ব্যক্তিত্ব পুরস্কার পান। বছর শেষে জুনিয়রদের তালিকায় ২য় স্থান অধিকার করেন মারে।
২০০৫ সাল থেকে তার পৃথিবীব্যাপী ভ্রমণ শুরু। ২০০৫-০৬ এই এক বছরে মারে পৃথিবীর বিভিন্ন প্রতিযোগিতার কুনিয়ার ইভেন্টে অংশ নেন। এই সময় তিনি ব্রিটেনের সর্বকনিষ্ঠ খেলোয়াড় হিসেবে প্রথমবারের মতো ডেভিস কাপে অংশ নেন।
মারে এই বছরে কুইন্স ক্লাব চ্যাম্পিয়নশিপ, থাইল্যান্ড ওপেন, উইম্বলডন, ইউএস ওপেন, এটিপি ওয়ার্ল্ড ট্যুর মাস্টার্স, বাসেল সুইস ইনডোরস প্রভৃতি বড় ছোট প্রতিযোগিতায় অংশ নেন। থাইল্যান্ড কাপে তিনি প্রথমবারের মতো বিশ্বের এক নম্বর তারকা রজার ফেদেরারের মুখোমুখি হন।
২০০৬ মৌসুমের শুরু থেকে শেষে মারে বিভিন্ন সময়ে ১০ ব্রিটিশ টেনিস তারকাদের তালিকায় দুই দফায় শীর্ষ স্থান দখল করেন।
২০০৭ সালে বিশ্ব র্যাংকিংয়ের সেরা দশে উঠে আসেন এই ব্রিটিশ তারকা। ঐ বছরেই অস্ট্রেলিয়ান ওপেনে প্রথম মুখোমুখি হন বিশ্বের ২ নম্বর খেলোয়াড় রাফায়েল নাদালের। ঐ বছর জার্মান ওপেন, ইউএস ওপেন, মিয়ামি মাস্টার্সে অংশ নিলেও ইনজুরি আক্রান্ত মারে উল্লেখযোগ্য কোন সাফল্য পাননি। পরবর্তী তিন বছর সাংহাই ওপেন, ফ্রেঞ্চ ওপেন, মাদ্রিদ মাস্টার্স, মন্টে কার্লো মাস্টার্স, চায়না ওপেন, সিনসিনাতি মাষ্টার্স প্রভৃতি প্রতিযোগীতায় সেমি-ফাইনাল, কোয়াটার ফাইনাল প্রভৃতি রাউন্ডে পৌঁছান।
২০১০ সালে মারে প্রথম বড় অর্জন পান। ঐ বছর অস্ট্রেলিয়ান ওপেনে সিলিক ও নাদালকে হারিয়ে ফেদেরারের সাথে ফাইনাল নিশ্চিত করেন । যদিও তিনি হেরে যান। তবে ঐটাই ছিল তার তখনও পর্যন্ত প্রাপ্ত সেরা সাফল্য- অস্ট্রেলিয়া ওপেন রানার আপ।
মারে প্রথম বড় সাফল্য পান লন্ডন ২০২২ গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিকে। ১৯০৮ সালের পর মারেই প্রথম ব্রিটিশ টেনিস খেলোয়াড় যিনি পুরুষ এককে গোল্ড অর্জন করেন। ঐ অলিম্পিকেই তিনি দুইটি গোল্ড অর্জন করে পৃথিবীর ৭ম খেলোয়াড় হিসেবে রেকর্ড গড়েন।
৩১ বছর বয়সী এই ব্রিটিশ তারকা দীর্ঘ সময় ভুগেছেন ইনজুরিতে। পনের বছরের ক্যারিয়ারের মোট ৩০টি খেতাব লাভ করেন মারে। এর মধ্যে তিনটি গ্রান্ড স্ল্যাম রয়েছে – ইউএস ওপেন ২০১২, উইম্বলডন ২০১৩ ও ২০১৬। এছাড়াও অলিম্পিক গোল্ড মেডেল পান ২ বার, এটিপি ওয়ার্ল্ড ট্যুর ফাইনালস জেতেন একবার।
২০১৩ সালে টেনিসে অবদানের জন্য অ্যান্ডি মারে ব্রিটিশ রাজ পরিবার কর্তৃক ‘অফিসার অফ দ্য অর্ডার অফ দ্য ব্রিটিশ এম্পেয়ার’ বা সংক্ষেপে ওবিই খেতাব অর্জন করেন এবং সর্বশেষ ২০১৭ সালে ‘নাইট’ উপাধি লাভ করেন।
এক নজরে অ্যান্ডি মারের অর্জন দেখে নেয়া যাক:
(১১টি গ্রান্ড স্ল্যাম ফাইনালে চ্যাম্পিয়ন ৩, রানার আপ ৮)
ইউএস ওপেন ২০০৮ রানার আপ
অস্ট্রেলিয়া ওপেন ২০১০ রানার আপ
অস্ট্রেলিয়া ওপেন ২০১১ রানার আপ
উইম্বলডন ২০১২ রানার আপ
ইউএস ওপেন ২০১২ চ্যাম্পিয়ন
অস্ট্রেলিয়া ওপেন ২০১৩ রানার আপ
উইম্বলডন ২০১৩ চ্যাম্পিয়ন
অস্ট্রেলিয়া ওপেন ২০১৫ রানার আপ
অস্ট্রেলিয়া ওপেন ২০১৬ রানার আপ
ফ্রেঞ্চ ওপেন ২০১৬ রানার আপ
উইম্বলডন ২০১৬ চ্যাম্পিয়ন
এছাড়াও,
এটিপি ওয়ার্ল্ড ফাইনাল ট্যুর ২০১৬ চ্যাম্পিয়ন
গ্রীষ্ম অলিম্পিক ২০১২ গোল্ড ২টি
দলগত ইভেন্ট,
ডেভিস কাপ ২০১৫ চ্যাম্পিয়ন (গ্রেট ব্রিটেন, অ্যান্ডি মারে)
উল্লেখ্য, শুক্রবার মেলবোর্নে আসন্ন অস্ট্রেলিয়া ওপেনকে তার শেষ গ্রান্ড স্ল্যাম বলে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেন অ্যান্ডি মারে।
বাংলা ইনসাইডার/ডিএম
মন্তব্য করুন
ক্রিকেটকে ভালোবাসেনা এমন ভারতীয় ভক্ত-সমর্থক খুঁজে পাওয়া বিরল। তবে শুধু সমর্থক বা ভক্তই নয়, ক্রিকেটের জন্য নিজের জীবন বাজী রাখতে পারেন ভারতে এমন ক্রিকেটারও অনেক রয়েছে। তেমনই একজন রিয়ান পরাগ।
২০২৩ আইপিএলে ৭ ইনিংসে ৭৮ রান। ১৩ ব্যাটিং গড়ে স্ট্রাইকরেট ১১৮.১৮। আগের বছর নিলামে ৩ কোটি ৮০ লাখ রুপিতে কেনার পর রিয়ান পরাগের কাছে মোটেও এমন পারফরম্যান্স আশা করেনি রাজস্থান রয়্যালস। এবার আইপিএলে দুই ইনিংসে পরাগের রান ১২৭। স্ট্রাইকরেট ১৭১.৬২। এর মধ্যে গতকাল জয়পুরে কঠিন উইকেটে দিল্লি ক্যাপিটালসের বিপক্ষে ম্যাচ জেতানো ৪৫ বলে অপরাজিত ৮৪ রানের ইনিংসও আছে। টি-টোয়েন্টিতে এটাই পরাগের ক্যারিয়ার সেরা ইনিংস।
২২ বছর বয়সী পরাগ নিজেকে ভালোভাবে প্রস্তুত করেই এবার আইপিএলে ভালো শুরু পেয়েছেন। এ মৌসুমে ভারতের ঘরোয়া টি-টোয়েন্টি প্রতিযোগিতা সৈয়দ মুশতাক আলী ট্রফিতে সর্বোচ্চ ৫১০ রান (১০ ইনিংস) এসেছে তাঁর ব্যাট থেকে। ৮৫ ব্যাটিং গড়ে স্ট্রাইকরেট ১৮৩ এর কাছাকাছি। আর এই পথে টানা সাতটি ফিফটি তুলে নিয়ে টি-টোয়েন্টিতে গড়েছেন টানা সর্বোচ্চ ইনিংসে ফিফটির রেকর্ডও।
গতকাল ম্যাচ শেষে পরাগ জানিয়েছেন, তার এই পাল্টে যাওয়ার পেছনে রয়েছে প্রচুর অনুশীলন। তিনি বলেন ‘কে বল করছে সেটা নয়, কী বল করছে সেটা গুরুত্বপূর্ণ, আর সেগুলোই বেশি বেশি অনুশীলন করেছি। আজ (গতকাল) তার কিছু কাজে লাগাতে পেরেছি।’
পরাগ কেমন কাজে লাগিয়েছেন, তার একটা ছোট্ট উদাহরণ হচ্ছে রাজস্থান রয়্যালসের ইনিংসে শেষ ওভারটা। বোলিংয়ে ছিলেন দিল্লির পেসার আনরিখ নর্কিয়া। বিশ্বের অন্যতম গতিময় এই পেসারের কাছ থেকে পরাগ একাই তুলেছেন ২৫ রান। অথচ শারীরিকভাবে পুরোপুরি সুস্থও ছিলেন না। আগের তিন দিন বিছানায় পড়েছিলেন। ম্যাচের দিন সকালে ব্যথানাশক ওষুধ (পেইন কিলার) খেয়ে ম্যাচটা খেলতে নেমেছিলেন।
কিন্তু মাঠে দেখা গেল পরাগের উইলো-বাজিতে হারের ব্যথাটা দিল্লিই পেল। ম্যাচ-পরবর্তী পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে পরাগ বলেছেন, ‘গত তিন দিন অনেক ধকল গেছে। বিছানায় পড়ে ছিলাম। অসুস্থ ছিলাম। ব্যথানাশক ওষুধ খেয়ে আজ (গতকাল) উঠে দাঁড়িয়েছি। এরপর ঠিকঠাকমতো সব করতে পেরেছি। তাই নিজের জন্য ভালো লাগছে।’
নর্কিয়ার বাউন্সার এবং ইয়র্কার পাত্তাই দেননি পরাগ। হাত খুলে মেরেছেন। ম্যাচসেরা পরাগ এই দক্ষতা নিয়ে বলেছেন, ‘উইকেটের দুই প্রান্তেই রান করা নিয়ে শেষ দিকে কাজ করেছি। আমি জানি শর্ট বলে ছক্কা কিংবা ইয়র্কারও মেরে দেওয়ার মতো শক্তি ও ক্ষমতা আমার আছে। তাই সুযোগ পেলেই এটা করি। কখনো বাউন্ডারি মারতে পারি, কখনো আবার পারি না।’
ষষ্ঠ ওভারে রাজস্থানের স্কোর ২ উইকেটে ৩০ থাকতে চারে ব্যাটিংয়ে নামেন পরাগ। একপর্যায়ে তাঁর রান ছিল ২৬ বলে ২৬। কিন্তু নিজের খেলা শেষ ১৯ বল থেকে তুলেছেন ৫৮ রান। পরাগ জানিয়েছেন, রাজস্থান রয়্যালস কোচ কুমার সাঙ্গাকারা এবং সঞ্জু স্যামসন তাঁকে ‘ইনিংসটা লম্বা করতে’ বলেছিলেন। পরাগের ভাষায়, ‘আমি জানতাম, ইনিংসটা লম্বা করতে পারলে অনেক রান পাব।’
রান পাওয়ার এই ম্যাচে একটি রেকর্ডও গড়েছেন পরাগ। ভারতের সর্বকনিষ্ঠ খেলোয়াড় হিসেবে টি-টোয়েন্টিতে ১০০ ম্যাচ খেলার মাইলফলক ছুঁয়েছেন গতকাল রাতের ম্যাচে। ২২ বছর ১৩৯ দিন বয়সে পরাগ রেকর্ডটি গড়ার পথে পেছনে ফেলেছেন তাঁর ফ্র্যাঞ্চাইজি দলেরই অধিনায়ক স্যামসনের রেকর্ড। ২২ বছর ১৫৭ দিন বয়সে রেকর্ডটি গড়েছিলেন স্যামসন।
রিয়ান পরাগ আইপিএল দিল্লী ক্যাপিটালস রাজস্থান রয়্যালস
মন্তব্য করুন
চলতি মৌসুম শেষেই স্প্যানিশ ক্লাব বার্সেলোনার দায়িত্ব ছাড়ার ঘোষণা দিয়েছেন জাভি হার্নান্দেজ। গত জানুয়ারির শেষ সপ্তাহে এমনটা জানান তিনি। তার দায়িত্ব ছাড়ার ঘোষণার পর দুইমাস পেরিয়ে গেলেও তার উত্তরসূরি চূড়ান্ত করার ক্ষেত্রে এখনো দৃশ্যমান অগ্রগতি নেই বার্সেলোনায়।
অনেকের ধারণা, জাভিকে আরও এক বছর থেকে যেতে বলবে বার্সেলোনার পরিচালনা পর্ষদ। বার্সেলোনার সভাপতি হোয়ান লাপোর্তা মুন্দো দেপোর্তিভোকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এমন ইঙ্গিত দিয়েছেনও। কিন্তু প্রস্তাব দেওয়া বা জাভির দিক থেকে পরের মৌসুমেও দায়িত্ব চালিয়ে যাওয়ার বিষয়ে এখন পর্যন্ত কোনো ইতিবাচক আভাস পাওয়া যায়নি। বার্সেলোনার সংশ্লিষ্ট বিভাগকে তাই নতুন কোচ খোঁজার কাজটি চালিয়ে যেতে হচ্ছেই।
স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যম মুন্দো দেপোর্তিভো জানিয়েছে, বার্সেলোনার সম্ভাব্য কোচের তালিকা এখন ছোট হয়ে এসেছে। এর মধ্যে শীর্ষ নাম লুইস এনরিকে। বার্সেলোনার সাবেক এই কোচ এখন পিএসজির দায়িত্বে। আগামী ১৬ এপ্রিল চ্যাম্পিয়নস লিগ কোয়ার্টার ফাইনালের দ্বিতীয় লেগ খেলতে দল নিয়ে বার্সার মাঠে আসবেন তিনি।
৫৩ বছর বয়সী এনরিকের সঙ্গে পিএসজির চুক্তির মেয়াদও এক বছর বাকি। তবু জাভির অবর্তমানে বার্সেলোনা যদি কাউকে নিশ্চিন্তে দায়িত্ব দিতে চায়, সেটি এনরিকেই। সাবেক খেলোয়াড় ও কোচ হিসেবে এই ক্লাবকে তিনি বেশ ভালো করে চেনেন। বার্সেলোনার সংস্কৃতি, তরুণ ফুটবলার ও খেলার ধরন—কোনো কিছুই এনরিকের জন্য নতুন হবে না।
তবে অনেক সময়ই ঘুরে দাঁড়াতে নতুন পরিকল্পনা, নতুন মুখের দরকার হয়। এদিকে বাড়তি গুরুত্ব দিলে বার্সেলোনা কোচ করতে পারে হান্সি ফ্লিককে। বায়ার্ন মিউনিখ ও জার্মানির সাবেক এই কোচ এখন বেকার। বার্সেলোনার কোচ হতে তাঁর আগ্রহও আছে। ফ্লিকের যিনি এজেন্ট, সেই পিনি জাহাভি আবার বার্সেলোনার সভাপতি লাপোর্তার ভালো বন্ধু। সবচেয়ে বড় কথা বায়ার্ন মিউনিখের হয়ে ফ্লিকের সাফল্য (২ মৌসুমে ৭ ট্রফি) বার্সেলোনা পর্ষদকে ফ্লিকের ব্যাপারে আগ্রহী করে তুলেছে।
শেষ পর্যন্ত ফ্লিক বা এনরিকের কেউ কোচ না হলে চমক হতে পারেন রাফায়েল মার্কেজ। বার্সেলোনার সাবেক এই ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার এখন বার্সেলোনা ‘বি’ দলের কোচের দায়িত্ব পালন করছেন। পেপ গার্দিওলা যেমন বার্সেলোনা মূল দল দিয়ে প্রথম সিনিয়র কোনো দলের কোচিং শুরু করেন, মার্কেজও হতে পারেন তেমন কেউ। তবে এই নাম তিনটির কোনোটিকেই হয়তো বার্সেলোনার ডাগআউটে দেখা যাবে না, যদি জাভি কাজ চালিয়ে যেতে সম্মত হন।
জাভি ও লাপোর্তা দুজনই বিশ্বাস করেন, চলতি মৌসুমে বার্সেলোনার এখনো কিছু একটা অর্জনের সুযোগ আছে। অন্তত শেষ পর্যন্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতায় টিকে থাকার সামর্থ্যও আছে দলটির। যদিও লা লিগায় বার্সা এখন শীর্ষে থাকা রিয়ালের চেয়ে ৮ পয়েন্ট পিছিয়ে। আর চ্যাম্পিয়নস লিগেও ফাইনালের দৌড়ে বার্সেলোনা ফেবারিট নয়। তবে জাভির বিদায় ঘোষণার পর দল যেভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছে, সামনে ভালো কিছু হওয়ার সম্ভাবনা উড়িয়েও দেওয়া যায় না।
বার্সালোনা চ্যাম্পিয়ন্স লিগ কোয়ার্টার ফাইনাল জাভি হার্নান্দেজ
মন্তব্য করুন
বিশ্বকাপ জেতার আনন্দে পুরো গ্যালারিভর্তি দর্শক এবং টিভি ক্যামেরার সামনে নারী ফুটবলারকে চুমু দেন স্পেন ফুটবল ফেডারেশনের সাবেক সভাপতি লুইস রুবিয়ালেস। এই ঘটনার জেরে চাকরি হারানোর পর এবার বড় শাস্তি পেতে যাচ্ছেন সাবেক এই ফুটবল সংগঠক।
ফিফা নারী ফুটবল বিশ্বকাপের সবশেষ আসরের চ্যাম্পিয়ন স্পেন। গত বছরের ২২ আগস্ট ইংল্যান্ডকে হারিয়ে প্রথমবারের মতো বিশ্বচ্যাম্পিয়নের স্বাদ পায় স্প্যানিশ মেয়েরা। তবে শিরোপার মঞ্চে বিপত্তি ঘটান স্পেন ফুটবল ফেডারেশনের সাবেক সভাপতি লুইস রুবিয়ালেস।
হারমোসোকে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে চুমু দিয়েই মূলত বিপাকে পড়েছেন রুবিয়ালেস। ঘটনার জেরে প্রথমে চাকরি হারান তিনি। বিষয়টি তদন্তের পর এবার বিচারের জন্য তোলা হয়েছে আদালতে। সেখানে দোষী সাব্যস্ত হলে কারাগারে যেতে হতে পারে তাকে।
রুবিয়ালেসের বিরুদ্ধে যৌন নিপীড়নের জন্য ১ বছর এবং জবরদস্তিমূলক কর্মকাণ্ডের জন্য ১৮ মাস বা দেড় বছর সাজা চেয়েছেন হারমোসোর আইনজীবী দুরান্তেজ। তিনি আরো দাবি করেছেন, হারমোসোকে ৫০ হাজার ইউরো (৫৯ কোটি ৪০ লাখ টাকা) ক্ষতিপূরণও দিতে হবে রুবিয়ালেসকে।
মন্তব্য করুন
মহেন্দ্র সিং ধোনি। নামটি শুনলেই ক্রিকেটের সফলতম অধিনায়কত্বের কথা মাথায় আসে। তার অধিনায়কত্বে ভারত দুইটি বিশ্বকাপ পেয়েছে। তার তীক্ষ্ণ বুদ্ধিমত্তার জন্য তিনি ক্যাপ্টেন কুল নামেও পরিচিত। ভারতীয় ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় ঘরোয়া আসর ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগেও (আইপিএল) তিনি সবচেয়ে সফলতম অধিনায়ক। চেন্নাই সুপার কিংসের হয়ে জিতেছেন ৫টি শিরোপা।
কিন্তু এবার তিনি অধিনায়ক নন। এবার তরুণ খেলোয়াড় ঋতুরাজ গায়কোয়াডকে অধিনায়ত্ব দেওয়া হলেও মাঠে ধোনির রাজত্ব রয়েছেই। ফিল্ডার সাজানো থেকে শুরু করে বোলিং-ব্যাটিং পজিশন, সবখানেই ধোনির সংযুক্ততা রয়েছে তার। এমনকি নতুন অধিনায়ক ঋতুরাজ গায়কোয়াডকেও দেখা গেছে যেকোন সিদ্ধান্ত নেওয়ার পূর্বে ধোনির সাথে আলোচনা করতে।
এবার আইপিএলে নতুন কৌশল রপ্ত করেছেন এই মাস্টারমাইন্ড। গত বছর থেকে চালু হয়েছে ‘ইমপ্যাক্ট প্লেয়ারের’ নিয়ম। এর ফলে কোনো দল ম্যাচ শুরুর আগে পাঁচজন বদলি খেলোয়াড়ের নাম জানাতে পারে। ম্যাচের যে কোনো সময় প্রথম একাদশে থাকা কোনো ক্রিকেটারের পরিবর্তে বদলি তালিকা থেকে কাউকে নামানো যায়। সেই নিয়মের সুবিধা কাজে লাগিয়েই ব্যাটিং অর্ডারে নিজেকে এত নীচে নামিয়ে এনেছেন চেন্নাইয়ের মাস্টারমাইন্ড মহেন্দ্র সিং ধোনি।
গত মঙ্গলবার গুজরাটের বিপক্ষে চেন্নাই দুশোর উপর রান তুলেছিল। সেই ম্যাচে চেন্নাইয়ের ছয় উইকেট পড়ে গেলেও ব্যাট করতে নামেননি ধোনি। এই বিষয়টি ব্যাখ্যা করেছেলেন তারই সাবেক সতীর্থ ও চেন্নাইয়ের ব্যাটিং কোচ মাইক হাসি।
হাসি বলেন, ‘নিশ্চয়ই কোচ স্টিফেন ফ্লেমিংয়ের নির্দেশেই ওরা এ কাজ করেছে। ম্যাচটা আরো বেশি দূর টানার ইচ্ছে ছিল ওদের। ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার নিয়মের কারণে ওদের ব্যাটিং অর্ডার আরো লম্বা হয়েছে। ধোনি আট নম্বরে নামছে, যা কোনো দিন ভাবাই যেত না। অনুশীলনে ওকে দেখে ভালোই লেগেছে।’
নতুন নিয়মের কারণেই চেন্নাইয়ের খেলায় শুরু থেকে এত বেশি আক্রমণ বলে মনে করেন ধোনি। এই বিষয়ে বলেন, ‘ব্যাটিং অর্ডার লম্বা হওয়ার কারণে ওরা শুরু থেকে চালিয়ে খেলতে পারে। কোচ এবং অধিনায়কের সমর্থনও ওদের সঙ্গে রয়েছে। মারতে গিয়ে যদি আউটও হয় তাতেও পরোয়া নেই। ওদের কেউ সমালোচনা করবে। চেন্নাই এ ভাবেই আগ্রাসী খেলা চালিয়ে যাবে বলে আমার বিশ্বাস।’
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশি আম্পায়ার আইসিসি শরফুদ্দৌলা ইবনে সৈকত
মন্তব্য করুন
মহেন্দ্র সিং ধোনি। নামটি শুনলেই ক্রিকেটের সফলতম অধিনায়কত্বের কথা মাথায় আসে। তার অধিনায়কত্বে ভারত দুইটি বিশ্বকাপ পেয়েছে। তার তীক্ষ্ণ বুদ্ধিমত্তার জন্য তিনি ক্যাপ্টেন কুল নামেও পরিচিত। ভারতীয় ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় ঘরোয়া আসর ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগেও (আইপিএল) তিনি সবচেয়ে সফলতম অধিনায়ক। চেন্নাই সুপার কিংসের হয়ে জিতেছেন ৫টি শিরোপা।