ইনসাইড গ্রাউন্ড

সেই সব মজার কাণ্ড এখন আর ঘটান না আম্পায়াররা

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৯:০০ এএম, ২৩ জানুয়ারী, ২০১৯


Thumbnail

ক্রিকেট যে শুধু ১১ জনের খেলা নয়, বিষয়টা আমাদের অজানা নয়। মাঠে গুরুত্বপূর্ণ, সঠিক ও নিরপেক্ষ সিদ্ধান্তের মাধ্যমে যারা খেলাটিকে সার্থক ও সফল করে তোলেন, সেই আম্পায়ারদের কথাই আমাদের একদম মনে থাকে না। একটা সময় শুধু খেলোয়াড় নয়, আম্পায়াররাও দৃষ্টি আকর্ষণ করতো দর্শকের। আম্পায়ারের কীর্তি দেখার জন্য দর্শক টিভি সেট কিংবা মাঠে ছুটে যেতেন। এখন আর তেমন কেউ নেই।

ডেভিড শেফার্ডের মত এখন আরও কেউ লাফায় না!

স্কোরবোর্ডে ‘১১১’ উঠলেই দর্শকরা বা টিভি ক্যামেরা খুঁজে নিতো তাকে। শেফার্ড ছোট্ট একটা লাফ দিতেন। এটাই ছিল ডেভিড শেফার্ডের ‘ট্রেডমার্ক’। কোনো দলের স্কোর যখন ১১১ হতো, তখন তিনি মাঠে এক পা তুলে দিতেন লাফ। এর জন্য সারাবিশ্বে ছিলেন বিশেষভাবে পরিচিত। যখনই আম্পায়ারিং করতে নামতেন, দর্শকরা অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করতেন সবাই। এমন কেন করে তার উত্তরটাও দিয়েছিলেন মজার করে,‘এই ‘১১১’ হলো ক্রিকেটারদের জন্য অপয়া স্কোর! এই স্কোরে অনেক সময় খেলোয়াড়রা আউট হয়ে যায়। যাতে আউট না হয় সেজন্য আমি এক পা তুলে লাফ দিই’। তিনি যখন চারের সংকেত দেখাতেন তখন তার হাতকে এমনভাবে নাড়াতেন যা দেখলে মনে হতো তিনি মাঠে নাচছেন। সেটাও দর্শকদের আনন্দ দিতো।

শুধু এই লাফটির জন্য নয়, শেফার্ড ক্রিকেটের সর্বকালের সেরা আম্পায়ারদের একজন বলেই তাকে এখনও শ্রদ্ধাভরে মানুষ স্বরণ করে।

বিলি বাউডেনের মত বাঁকা আঙুল নেই কারো!

কিউই আম্পায়ার বিলি বাউডেনের কথা নিশ্চয়ই ভুলে যাননি। আম্পায়ারদের মধ্যে তিনিই সম্ভবত সবচেয়ে জনপ্রিয় চরিত্র। কোনো ব্যাটসম্যান আউট হলে তাকে তিনি আউটের সিদ্ধান্ত দেখাতেন তর্জনী বাঁকা করে। ছয়ের সংকেতের সময়ও তার দুই হাতের দুই তর্জনী বাঁকা হত। চারের সংকেত কখনও দিতেন নেচে নেচে। আর এসবে তাকে বিনোদনের প্যাকেজ বলা হত। ‘ক্রুকেট ফিংগার’ বলা হত এটাকে। শুধু আউট কেন, বিলির সব ‘সিগন্যাল’য়েই মোটামুটি তার সেই রোগের প্রভাব আছে। আঙুল সোজা করতে পারেন না ঠিকমতো, বোলারদের জাম্পার, সুয়েটার ধরে রাখতে পারেন না বলে কোমরে বেঁধে রাখেন। অবশ্য বাঁকানো আঙুলে আউট দেবার একটা ‘দার্শনিক’ ব্যাখ্যাও দিয়েছিলেন বিলি। এর মানে হলো ‘অর্ধেক অর্ধেক, শেষ নয়’

‘বাকনার’ আউট হয়েছে?

এলবিডব্লিউর আবেদনে সাড়া দেওয়ার ক্ষেত্রে বাকনার ছিলেন স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্য মণ্ডিত। যথেষ্ট সময় নিয়ে চিন্তা-ভাবনা করে তিনি সিদ্ধান্ত দিতেন। বোলার ও ফিল্ডাররা দীর্ঘক্ষণ তীব্র আবেদন করে শ্রান্ত-ক্লান্ত হয়ে যখন ধরেই নিতেন ব্যাটসম্যান নটআউট, তখন ধীরে ধীরে এক রাজসিক ভঙ্গিতে আঙুল তুলতেন বাকনার। তার এই স্বতন্ত্র রাজসিক ভঙ্গি ক্রিকেটবিশ্বে স্লো ডেথ হিসেবে খ্যাতি পায়।

বিতর্ক বড্ড ভালবাসতেন হেয়ার

একের পর এক বোলিং করছেন মুত্তিয়া মুরালিধরন। আর একটু পরপর ডান হাত উঁচিয়ে আম্পায়ার ড্যারেল হেয়ার বলছেন, ‘না’। ১৯৯৫ সালের ২৬ ডিসেম্বর মেলবোর্নে শুরু হওয়া মেলবোর্ন টেস্টে মুরালির ক্যারিয়ারটাকেই শঙ্কার মুখে ফেলে দিয়ে তার বিরুদ্ধে চাকিংয়ের অভিযোগ এনে। অস্ট্রেলিয়ান এই আম্পায়ার উপমহাদেশের স্পিনারদের বিরুদ্ধে নিয়মিত অভিযোগের আঙ্গুল তুলতেন। যা ছিল ক্রিকেটের আলোচিত বিষয়। উপমহাদেশের তিন সেরা বোলার ভারতের হরভজন সিং, পাকিস্তানের সাকলাইন মুশতাক এবং শ্রীলঙ্কার মুরালিধরনদের তো পিছুই ছাড়তেন না। ২০০৬ সালে ওভাল টেস্টের চতুর্থ দিনে বল টেম্পারিং করার অভিযোগ এনে পাকিস্তানকে ৫ রানের জরিমানা করেন। পাকিস্তানও প্রতিবাদ জানিয়ে চা বিরতির পর খেলায় না ফেরার সিদ্ধান্ত নেয়। ক্রিকেট বোর্ড পাকিস্তানতে মাঠে নামায়। কিন্তু আম্পায়ররা আর মাঠে নামেননি। তারা ইংল্যান্ডকে জয়ী ঘোষণা করেন। বোঝেন কাণ্ডটা!

ঠাণ্ডা মাথার টোফেল

সিদ্ধান্ত দেওয়ার ক্ষেত্রে ঠাণ্ডা মাথার পরিচয় দিয়েছেন জীবনে বহুবার। ২০০৪ থেকে শুরু করে ২০০৮ সাল পর্যন্ত টানা ৫ বার হয়েছেন আইসিসির বর্ষসেরা আম্পায়ার। ১৯৯৯ সালে মাত্র ২৮ বছর বয়সে অস্ট্রেলিয়া ও শ্রীলঙ্কার মধ্যকার ওয়ানডে দিয়ে আম্পায়ার হিসেবে আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার শুরু করেন অস্ট্রেলিয়ান টাফেল। ২৩ মাস পর টেস্টেও অভিষেক। বলা হয়ে থাকে সাইমন টোফেলের সিদ্ধান্ত ক্যালকুলেটরের মাধ্যমে গাণিতিক সমস্যা সমাধানের মতোই নিখুঁত। আর এই নিখুঁতের জন্যই তিনি থাকতেন আলোচনায়।

শেষ কথা

এটা এমন একটা পেশা, যত সূক্ষ্মভাবে ম্যাচ পরিচালনা করুন, আপনি প্রশংসা কমই পাবেন। যদি আলোচনায় আসতে চান, তাহলে বিতর্কিত হতে হবে। এখন ভুল হয়, তবে বিতর্ক কম হয় আম্পায়ারদের নিয়ে। একটা সময় তো আম্পায়ারদের নিয়মিত কুশপুত্তলিকা দাহ হতো।

বাংলা ইনসাইডার/এমআরএইচ/এমআর

 



মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

ভারত-পাকিস্তানের বিপক্ষে মাঠে নামবে অস্ট্রেলিয়া

প্রকাশ: ০৩:০২ পিএম, ২৮ মার্চ, ২০২৪


Thumbnail

ভারত ও পাকিস্তানের বিপক্ষে ভিন্ন সিরিজের পূর্ণাঙ্গ সূচি ঘোষণা করেছে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া (সিএ)। আগামী নভেম্বরে ঘরের মাঠে পাকিস্তানের বিপক্ষে ওয়ানডে ও টি-২০ সিরিজ খেলবে অস্ট্রেলিয়া। এরপরেই ভারতের বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচের টেস্ট সিরিজ খেলবে অজিরা। দীর্ঘ ৩৩ বছর পর পাঁচ ম্যাচের টেস্ট সিরিজ খেলতে যাচ্ছে ভারত-অস্ট্রেলিয়া।

সবশেষ ১৯৯৯ সালে ভারতের বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচের টেস্ট সিরিজ খেলেছিল অস্ট্রেলিয়া। এরপর হোম-অ্যাওয়েতে ১১টি চার ম্যাচের, তিনটি তিন ম্যাচের এবং একটি করে এক ও দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ খেলেছে ভারত-অস্ট্রেলিয়া।

পার্থের নতুন ভেন্যুতে আগামী ২২ নভেম্বর থেকে বোর্ডার-গাভাস্কার টেস্ট সিরিজ শুরু করবে ভারত ও অস্ট্রেলিয়া। আগামী ৬ ডিসেম্বর গোলাপি বলে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্ট খেলবে ভারত ও অস্ট্রেলিয়া।

এরপর ব্রিজবেনে ১৪ ডিসেম্বর থেকে তৃতীয় খেলতে নামবে ভারত ও অস্ট্রেলিয়া। ২৬ ডিসেম্বর বক্সিং ডে’তে সিরিজে চতুর্থ টেস্ট খেলবে দু’দল। ঐতিহ্যবাহী বক্সিং ডে টেস্ট অনুষ্ঠিত হবে মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ডে। আগামী বছরের শুরুতে ৩ জানুয়ারি সিডনি ক্রিকেট গ্রাউন্ডে সিরিজের পঞ্চম ও শেষ টেস্টে লড়বে দু’দল।


অস্ট্রেলিয়া   ভারত   পাকিস্তান   ক্রিকেট  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

ব্যক্তিগত লক্ষ্য বা অর্জন নিয়ে কখনও ভাবিনি: সাকিব

প্রকাশ: ০১:৪২ পিএম, ২৮ মার্চ, ২০২৪


Thumbnail

ক্রিকেটে কখনও ব্যক্তিগত লক্ষ্য বা অর্জন নিয়ে কখনও ভাবিনি বলে মন্তব্য করেছেন সাকিব আল হাসান। বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) রূপায়ণ সিটি উত্তরার সঙ্গে ঢাকায় একটি চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে এ কথা জানান বিশ্বের অন্যতম সেরা এই অলরাউন্ডার।

সাকিব বলেন, ‘যতদিন ক্রিকেট খেলেছি, ব্যক্তিগত লক্ষ্য বা অর্জন নিয়ে কখনও ভাবিনি। সবসময় চেষ্টা করেছি দলে কীভাবে অবদান রাখা যায়। টেস্ট দলে ফিরতে পেরে স্বাভাবিকভাবেই আমি আনন্দিত। ম্যাচ জেতার আশা তো সবসময়ই করি। শ্রীলংকার সঙ্গে ম্যাচটি জেতা উচিত।’

বাংলাদেশ ক্রিকেটের পোস্টার বয় সাকিব বেশ কিছুদিন ছিলেন জাতীয় দলের বাইরে। শ্রীলংকার বিপক্ষে চট্টগ্রাম টেস্ট দিয়ে ফিরছেন জাতীয় দলে। ক্রিকেটের সবচেয়ে অভিজাত সংস্করণ ধরা হয় সাদা পোশাকের ম্যাচকে। সেই টেস্টে বাংলাদেশ এখনও অনেক পিছিয়ে। শ্রীলংকার বিপক্ষে দুই ম্যাচ সিরিজের প্রথম টেস্টে বাংলাদেশ হেরেছে চার দিনে। করতে পারেনি ন্যূনতম লড়াই।

সিলেট টেস্ট শেষে চট্টগ্রামে ফিরেছে দল। জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে আগামী ৩০ মার্চ থেকে শুরু হবে দ্বিতীয় ও শেষ টেস্ট। সেই ম্যাচের দলে যুক্ত করা হয়েছে সাকিবকে।


শ্রীলংকা   বাংলাদেশ   সাকিব আল হাসান  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

চট্টগ্রাম টেস্ট শুরুর পূর্বে লংকান শিবিরে দুঃসংবাদ

প্রকাশ: ১২:৩৮ পিএম, ২৮ মার্চ, ২০২৪


Thumbnail

দুই ম্যাচ টেস্ট সিরিজের প্রথমটিতে বাংলাদেশকে নাস্তানাবুদ করে জয় তুলে নিয়েছে শ্রীলংকা। তবে দ্বিতীয় টেস্ট শুরুর পূর্বে বড় দুঃসংবাদ পেয়েছে সফরকারীরা। সিলেট টেস্টে বাংলাদেশের বিপক্ষে সর্বোচ্চ উইকেটশিকারি লঙ্কান বোলার কাসুন রাজিথা চট্টগ্রাম টেস্ট থেকে ছ্টিকে গেছেন। ইনজুরির কারণে আগামী ৩০ মার্চ থেকে শুরু হতে যাওয়া এই টেস্টে খেলতে পারবেন না এই লঙ্কান পেসার।

রাজিথার পরিবর্তে চট্টগ্রাম টেস্টে খেলবেন আসিথা ফার্নান্ডো। শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট (এসএলসি) বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। বিবৃতিতে এসএলসি বলেছে, 'কাসুন রাজিথা দ্বিতীয় টেস্ট ম্যাচের জন্য বিবেচিত হবেন না। কারণ তিনি পিঠের বাঁপাশের উপরের অংশে চোট পেয়েছেন। পুনর্বাসনের কাজ শুরু করতে কাসুন দেশে ফিরে আসবে।'

সিলেট টেস্টে খেলতে গিয়ে পিঠের ইনজুরিতে পড়েন রাজিথা। তার পরিবর্তে যেই আসিথাকে দলে নিয়েছে শ্রীলঙ্কা, তিনি হ্যামস্ট্রিং ইনজুরিতে সিলেট টেস্ট থেকে ছিটকে গিয়েছিলেন। তবে দ্রুত ফিরে এসে যোগ দিচ্ছেন দ্বিতীয় টেস্টে।

সিলেট টেস্টে দুই ইনিংস মিলিয়ে লঙ্কানদের হয়ে সর্বোচ্চ ৮ উইকেট শিকার করেছেন রাজিথা। এর মধ্যে প্রথম ইনিংসে ৩ আর দ্বিতীয় ইনিংসে নিয়েছেন ৫ উইকেট।


শ্রীলংকা   বাংলাদেশ   টেস্ট ক্রিকেট  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

কবে অবসরে যাচ্ছেন মেসি, জানালেন নিজেই

প্রকাশ: ১১:২৪ এএম, ২৮ মার্চ, ২০২৪


Thumbnail

ফুটবল জাদুকর লিওনেল মেসি। ক্যারিয়ারে এমন কিছু নেই যা তার অধরা। এমনকি ক্যারিয়ারের গোধূলি লগ্নে এসে নিজের আজন্ম স্বপ্ন পূরণ করেছেন তিনি। প্রথমবার বিশ্বকাপ জয়ের স্বাদ পেয়েছেন ৩৫ বছর বয়সে এসে।

বর্তমানে বয়স ৩৬ হলেও খেলার মাঠে যেন বয়সের কোনো চাপ নেই তার। জাতীয় দল কিংবা ক্লাব দুই জায়গায় ২০ বছরের তরুণের চেয়েও মাঠে এখনও দুর্দান্ত মেসি। এমন তারকা ফুটবলার অবসরে চলে যাক, তা হয়তো কোনো ভক্তই চান না। না চাইলেও অনেক ভক্তের মনে প্রশ্ন, মেসি তো অবসর নেবেন একটা সময়; আর সেটা কখন?

যুক্তরাষ্ট্রের মেজর সকার (এমএলএস) লিগের ক্লাব ইন্টার মিয়ামির সঙ্গে মেসির চুক্তির মেয়াদ শেষ হবে আগামী ২০২৫ সালের ডিসেম্বরে। এরপর মেসি অবসর নেবেন কিনা, সেই প্রশ্নই অনেকের মনে ঘুরপাক খাচ্ছে।

অবসর নিয়ে ভাবনা আছে মেসিরও। বিষয়টি নিয়ে খোলাখুলি কথাও বলেছেন আর্জেন্টাইন ব্শ্বিকাপজয়ী তারকা। তবে সেটা বয়স বিবেচনায় নয়। ৮ বারের ব্যালন ডি'অর জয়ী এই তারকার অবসরের সিদ্ধান্ত আসবে পারফরম্যান্স বিবেচনায়।

মেসি এমবিসির বিগ টাইম পডকাস্টকে বলেন, ‘যে মুহূর্তে বুঝতে পারবো যে, আমি পারফর্ম করছি না, নিজেকে (খেলায়) উপভোগ করছি না এবং আমি আমার সতীর্থদের সাহায্য করতে পারছি না (তখন অবসরের সিদ্ধান্ত আসবে)।’

আর্জেন্টাইন তারকা আরও বলেন, ‘আমি খুব আত্মসমালোচক। আমি জানি কখন ভালো খেলি, কখন খারাপ খেলি। যখন আমি অনুভব করবো, এই (অবসর) পদক্ষেপ নেওয়ার সময় এসেছে, তখন বয়স নিয়ে চিন্তা না করেই এটি গ্রহণ করব। যদি আমি ভাল বোধ করি, আমি সর্বদা প্রতিযোগিতা চালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করবো। কারণ এটি আমি পছন্দ করি এবং সেটি কিভাবে করতে হবে সেটাও জানি।’

কাতার বিশ্বকাপে যদি শিরোপা জিততে না পারতেন, তাহলে ওই আসরের পরই অবসর নিয়ে নিতেন, এমনটিই বলেছেন মেসি।

ফুটবলে বর্ণাঢ্য এক ক্যারিয়ার তৈরি করেছেন মেসি। এখন পর্যন্ত ৪৪টি শিরোপা জিতেছেন তিনি। এখনো যেভাবে খেলছেন, তাতে বেশ কিছু শিরোপা জেতার সম্ভাবনা তো আছেই।

বর্তমানে হ্যামস্ট্রিং চোটে ভুগছেন মেসি। যে কারণে এল-সালভেদর ও কোস্টারিকার বিপক্ষে আর্জেন্টিনা হয়ে দুটি ম্যাচে খেলতে পারেননি তিনি।


লিওনেল মেসি   আর্জেন্টিনা   ইন্টার মায়ামি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

দি মারিয়াকে হুমকিদাতা গ্রেপ্তার

প্রকাশ: ১০:১৪ এএম, ২৮ মার্চ, ২০২৪


Thumbnail

আর্জেন্টিনার রোসারিও শহরের খ্যাতির কারণ জিজ্ঞেস করলে লোকে বলবে দুই বিশ্বজয়ী ফুটবলারের নাম- লিওনেল মেসি ও এঞ্জেল ডি মারিয়া। ৩৬ বছর পর আর্জেন্টিনাকে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন করার অন্যতম বড় কাণ্ডারি তো তারাই। এর মধ্যে ক্যারিয়ারের শেষ সময়ে চলে এসেছেন প্রতিভাবান উইঙ্গার এঞ্জেল ডি মারিয়া। জানিয়েছেন, এবারের কোপা আমেরিকার পরেই জার্সিটা তুলে রাখতে চান তিনি। কিন্তু পুরো আর্জেন্টিনায় ব্যাপক জনপ্রিয় এই ফুটবলারই কদিন আগেই নিজের দেশে পেয়েছিলেন মৃত্যুর হুমকি। আর এবার সেই হুমকিদাতাদের গ্রেপ্তার করেছে আর্জেন্টিনার ফেডারেল পুলিশ এবং তদন্ত ও অপরাধীদের তথ্য সংগ্রহে পুলিশের বিশেষায়িত ইউনিট পিডিআই।

৩৬ বছর বয়সী দি মারিয়া বর্তমানে খেলছেন পর্তুগিজ ক্লাব বেনফিকায়। গত সপ্তাহে দি মারিয়া জানিয়েছিলেন, শৈশবের ক্লাব রোজারিও সেন্ট্রালে খেলেই ফুটবল ক্যারিয়ারের ইতি টানতে চান। সেই ঘোষণার পরই হুমকি পান দি মারিয়া। মাদকসংক্রান্ত সহিংসতার জন্য কুখ্যাতি আছে সান্তা ফে প্রদেশের শহর রোজারিওর। এই শহরেরই নিরাপত্তাবেষ্টিত আবাসিক এলাকায় দি মারিয়ার বাড়ি। সেখানেই সোমবার ভোরে হুমকিসংবলিত কাগজ ছুড়ে ফেলে যায় কজন অচেনা ব্যক্তি। একটি ধূসর গাড়ি থেকে ছুড়ে ফেলা সেই কাগজে দি মারিয়ার পরিবারের উদ্দেশে লেখা ছিল, আর্জেন্টাইন তারকা যদি শহরে ফেরেন, তাহলে প্রাদেশিক গভর্নর মাক্সিমিলিয়ানো পুয়ারোও দি মারিয়াদের নিরাপদে রাখার নিশ্চয়তা দিতে পারবেন না।

আর্জেন্টিনার জাতীয় নিরাপত্তামন্ত্রী পাত্রিসিয়া বুলরিখ জানিয়েছেন, এই হুমকি দেওয়ার মূল হোতার নাম পাবলো আকোত্তো। মাদক চোরাচালানের ব্যাপারে তাঁর বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে। হুমকি দেওয়ায় তাঁকে সহযোগিতা করেছেন সারা বেলেন গুতিরেজ ও গ্যাব্রিয়েল ইসমায়েল পাস্তোরে। পাবলো আকোত্তো হুমকি দেওয়ার কথা স্বীকার করেছেন।

আর্জেন্টিনার সংবাদমাধ্যম টিওয়াইসি স্পোর্টস জানিয়েছে, নিজ নিজ বাসা থেকে পালানোর সময় এই তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। সান্তা ফে প্রদেশের দুই সরকারি কৌঁসুলি হাভিয়ের আরজুবি ও পাবলো সোক্কা এই অভিযানে জোরদার ভূমিকা পালন করেন।

টিওয়াইসি স্পোর্টস আরও জানিয়েছে, গত ২৫ মার্চ সোমবার রাত আড়াইটায় অপরাধীরা গাড়িতে করে ফুনেস হিলস মিরাফ্লোরেস কান্ট্রি হাউসের সামনে হুমকিবার্তা ফেলে রেখে যান। দি মারিয়া আর্জেন্টিনায় ফিরলে সেখানেই থাকেন।

দি মারিয়ার বাবার প্রতি লেখা হুমকিবার্তায় যা লেখা ছিল, সেটা প্রকাশ করেছে আর্জেন্টিনার নিউজ পোর্টাল ইনফোবে, ‘তোমাদের ছেলে আনহেলকে বলো রোজারিওতে না ফিরতে। যদি ফেরে, তোমাদের পরিবারের যেকোনো একজন সদস্যকে আমরা খুন করব। পুয়ারোও তোমাদের বাঁচাতে পারবে না। আমরা শুধু কাগুজে বার্তাই ফেলে যাই না, আমরা বুলেট আর লাশও ফেলে যাই।’ তখন ওই অঞ্চলে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা ব্যক্তিরা জানিয়েছেন, গাড়িটি দ্রুতবেগে বেরিয়ে যাওয়ার সময় চারবার গুলির আওয়াজ তাঁরা শুনেছেন। ধূসর রঙের রেনাল্ট মডেলের সেই গাড়ি পরে সান্তা ফে পুলিশ রাস্তায় পরিত্যক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে।

আর্জেন্টিনার সংবাদমাধ্যম লা কাপিতালকে বুলরিখ বলেছেন, ‘আমরা মনে করি সমর্থকদের মধ্যে ঝামেলার সঙ্গে এটার (হুমকি) সম্পর্ক আছে। কারণ তিনি (দি মারিয়া) বলেছেন, রোজারিও সেন্ট্রালের হয়ে আবারও খেলতে চান।’ রোজারিওতে রোজারিও সেন্ট্রাল ক্লাবের চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী নিওয়েলস ওল্ড বয়েজ।

দি মারিয়ার সঙ্গে বেনফিকার চুক্তির মেয়াদ ফুরোবে এ বছরের ৩০ জুন। যুক্তরাষ্ট্রে কোপা আমেরিকা শুরু হয়ে যাবে এর আগেই, ২০ জুন। টুর্নামেন্টটি খেলে দি মারিয়া আর্জেন্টিনায় ফিরবেন কি না, সেটি এখনো নিশ্চিত নয়।

আর্জেন্টিনা   ডি মারিয়া   রোসারিও  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন