ইনসাইড গ্রাউন্ড

আইপিএল: ডিলার, সাব-ডিলারের সারাদেশে জুয়ার মহোৎসব

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৪:০০ পিএম, ১৪ এপ্রিল, ২০১৯


Thumbnail

ভারতে চলছে ফ্রাঞ্চাইজিভিত্তিক টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট টুর্নামেন্ট ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) ১২তম আসর। আর সারাদেশে চলছে জুয়ার উৎসব। কোথাও কোথাও সেই উৎসব রূপ নিয়েছে মহোৎসবে। শহর ছাপিয়ে ‘আইপিএল জুয়া’ পৌঁচ্ছে গেছে গ্রামগঞ্জে। আর বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় এই টুর্নামেন্টকে ঘিরে গড়ে উঠেছে এক ধরনের অসাধু চক্র। তারা প্রতিনিয়তই হাতিয়ে নিচ্ছে লাখ লাখ টাকা।

গত সপ্তাহে জুয়াচলাকালীন গ্রেপ্তার হন ভারতীয় নারী ক্রিকেট দলের সাবেক কোচ। আবার কলকাতা-দিল্লি ম্যাচে ঋষভ পান্তের একটি মন্তব্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়। এছাড়া আগে থেকে অভিযোগ আছে এই টুর্নামেন্টের ফিক্সিংয়ে মদদ দেয় ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড। এর সবই ভারতের ঘটনা। কিন্তু গত কয়েক বছর ধরে এ দেশে ব্যাপক ভাবে ছড়িয়ে পড়েছে জুয়া।

রাজধানীর কয়েকটি স্পট পরিদর্শন করে জানা গেছে, বিভিন্ন নামে ডাকা হয় একে। কেউ কেউ বলে ‘টাকা লাগানো।’ আবার ‘বাজি ধরা’ বলেন কেউ। নানা ধরনের হয়ে থাকে এই বাজি। যেমন, ম্যাচের ফল নিয়ে, ওভার নিয়ে, ওভারে কত রান আসবে, ওভারে কতগুলো চার ও ছয় হবে। বিভিন্ন ধরনের জুয়াবাজির ফাঁদে পড়ে নিঃস্ব হচ্ছেন অনেকে।

বাংলাদেশের প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) সময় বাজিরঘোড়া লাফিয়ে ওঠে দেশের আনাচে-কানাচে। ব্যবসা হয় রমরমা। পুরনো পরিসংখ্যানের মতে পার্শবর্তী দুই দেশ ভারত ও পাকিস্তানের স্পট ফিক্সিংসহ বাজির প্রভাব অনেক বেশি।

দেশের সর্বত্র চলছে ‘জুয়া’: স্পট গুলোতে আলাপ আলোচনায় জানা গেছে দেশের দক্ষিণাঞ্চলের জেলা থেকে নিয়ন্ত্রিত হয় এই বাজি। রাস্তার মোড়ের চা দোকানগুলোতে লক্ষ্য করলে দেখা যায় সেখানে চলছে বাজির দর কষাকষি। বাজি ধরাদের মধ্যে বেশিরভাগই বয়সে তরুণ। আবার যাদের বয়স বেশি, তারা বাজিকরদের সঙ্গে সরাসরি জড়িত। রাজধানীর মিরপুর, পুরান ঢাকা, টঙ্গী ও কামরাঙ্গীরচরে বাজিকরদের বিচরণ বেশি। তবে জুয়াড়িদের নতুন এই পন্থা থেকে বাদ যায়নি রাজধানীর অভিজাত এলাকাগুলো।

সরেজমিনে বাজির চিত্র: সরেজমিনে রাজধানী সেপাহীবাগ এলাকার একটি ছোট্ট চায়ের দোকানের ভিড় দেখে আগ্রহ হয় প্রতিবেদকের। টিভিতে চলছে আইপিএলের ম্যাচ মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স ও কিংস ইলেভেন পাঞ্জাবের ম্যাচ। ম্যাচের ১৪তম শুরু হবে। বল হাতে পাঞ্জাবের রবিচন্দ্র অশ্বিন। আর ব্যাট করছে মুম্বাইয়ের হার্দিক পান্ডিয়া ও কাইলন পোলার্ড। তখন একজন বলে উঠলো, ‘এ ওভারে ১৫ রান হবে।’ অন্য আরেক জন বললো, ‘না ১৫ রান হবে না।’

শুরু হলো হাঁকডাক। পরে ৩০০ করে ৬০০ টাকা জমা রাখলো উভয় পক্ষ। অশ্বিনের সেই ওভারে পান্ডিয়া আর পোলার্ড মিলে তুলে নের ১৯ রান। মূলত এভাবেই বেটিংয়ের মাধ্যমে চলে বাজি। পাশাপাশি ম্যাচের পাওয়ার প্লেতে (প্রথম ৬ ওভার) কত রান হবে, ৫ থেকে ১০ ওভারে কত রান হবে, মোট রান কত হবে, কোন প্লেয়ার বেশি রান করবে সবকিছু নিয়েই চলে বাজি।

আছে ডিলার, সাব-ডিলার: দু’দিন পুরো সময় বাজিকরদের সঙ্গে সময় কাটিয়ে খাতির জমানোর চেষ্টা করে প্রতিবেদক। আস্থা ও বিশ্বাস অর্জনের পর আলাপচারিতায় বেড়িয়ে আসে হাঁড়ির অনেক খবর। নগরে গড়ে উঠেছে জুয়ার বাজির ডিলার। এ ডিলাররাই মূলত বাজিকে নিয়ন্ত্রণ করে। একটি ম্যাচের জন্য একটি রেট ঠিক করে দেন জুয়ার ডিলাররা। একজন ডিলার যত বেশি ম্যাচের ডিল করে দিতে পারবেন তার লাভ তত বেশি। যারা আবার বেশি অঙ্কের ডিল করেন তাদের আছে সাব-ডিলার।

এক ডিলারে সঙ্গে কথা বলে জানান যায়, বর্তমানে জুয়ায় লাভ যেমন আছে, তেমন লোকসানও আছে। দুই পক্ষের টাকার দায়িত্ব ডিলারকে নিতে হয়। বাজিতে টাকা হাতবদল হওয়ার একটা নির্দিষ্ট সময় থাকে। ওই সময়ের মধ্যে হেরে যাওয়াদের মধ্যে কেউ টাকা পরিশোধ না করলে, সেই দায়িত্ব ডিলারকে নিতে হয়। এভাবেই খেলাধুলায় সারা দেশে ছড়িয়ে পড়েছে জুয়ার উৎসব।

নগদ টাকার বাজির সঙ্গে বাকিতে বাজি চলে। এর মেয়াদ থাকে ম্যাসব্যাপী। অনেক বাজিকর এটাকে মাসিক আয় হিসেবে দেখেন। মাসিক বাজির দরটা বেশি হলে তা মোবাইলে রেকর্ডিং করা থাকে। পরিচিত এক বাজিকর জানান, মাসিক বাজি ধরা করা হয় দীর্ঘদিনের পুরনো কারো সঙ্গে। তবে এক্ষেত্রে বিশ্বাসটা প্রধান্য দেওয়া হয়। তার সঙ্গে কথা বলে আরো জানা যায়, স্পেন, ইতালিসহ বিভিন্ন দেশের ফুটবল লিগের ম্যাচগুলোও বাদ যায় না মাসিক বাজি থেকে।

বাংলা ইনসাইডার/আরইউ



মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

লখনৌর মাঠে চেন্নাইয়ের লড়াকু সংগ্রহ

প্রকাশ: ১০:০৯ পিএম, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

লখনৌ এর বিপক্ষে চেন্নাইয়ের শুরুটা ছিল নড়বড়ে। যার জন্য শঙ্কা ছিল অল্পতেই গুটিয়ে যাওয়ার। তবে মাঝে অজিঙ্কা রাহানে ও রবীন্দ্র জাদেজার দায়িত্বশীলতা ও শেষদিকে মঈন আলি ও মহেন্দ্র সিং ধোনির ব্যাটের উপর ভর করে লড়াকু সংগ্রহ পেয়েছে মুস্তাফিজদের দল। 

শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) আইপিএলের খেলায় নির্ধারিত ওভার শেষে চেন্নাইয়ের সংগ্রহ ৬ উইকেটে ১৭৬ রান।

এদিন শুরুতেই লখনৌর মাঠ একানা স্টেডিয়ামে টস হেরে আগে ব্যাটিংয়ে নামে রুতুরাজ গায়কোয়াড়ের চেন্নাই। পিচ রিপোর্ট থেকে জানা যায়, এখানকার কন্ডিশন কিছুটা পেস-সহায়ক। তাই রানের গণ্ডি ন্যূনতম ১৭০–২০০ এর মধ্যে রাখতে হবে, তবে এটিকেও যথেষ্ট বলা যাবে না।

শেষপর্যন্ত সেই ন্যূনতম সীমানায় সফরকারীরা পা রেখেছে ধোনির ঝোড়ো ব্যাটিংয়ে। মাত্র ৯ বলের ইনিংসে তিনি ২৮ রান করেছেন।এছাড়া হলুদ শিবিরের হয়ে সর্বোচ্চ ৫৭ রান করেছেন জাদেজা। দুজনের জুটিতে শেষ ৪ ওভারে এসেছে ৬৩ রান।


আইপিএল   ক্রিকেট   খেলাধুলা  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

রিয়াল থেকে ক্যাসেমিরোর বিদায়ে কেঁদেছিলেন আনচেলত্তি

প্রকাশ: ০৭:৪১ পিএম, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

ব্রাজিলিয়ান তারকা ফুটবলার ক্যাসেমিরো। জাতীয় দলসহ ক্লাবের খেলায় যে দলেই খেলেছেন ডিফেন্ডিং মিডফিল্ডে সে দলেরই ভরসার অন্যতম প্রতীক হয়ে উঠেছেন। তবে ক্যাসেমিরোর ক্যারিয়ারে সেরা সময় কেটেছে লা লিগা এবং চ্যাম্পিয়ন্স লিগের অন্যতম সফল দল রিয়াল মাদ্রিদে। যেখানে প্রতিপক্ষের আক্রমণকে রুখে দিয়ে দলের আক্রমণেও বিশেষ ভূমিকা পালন করেছেন এই ব্রাজিলিয়ান তারকা।

ক্যাসেমিরো তার ক্লাব ক্যারিয়ারের ৯ বছরের দীর্ঘ সময় কাটিয়েছেন রিয়ালে। এরপর ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের ক্লাব ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে যোগ দেন তিনি। সম্প্রতি রিয়াল থেকে নিজের বিদায়ের মুহূর্তের কথা স্মরণ করে ক্যাসেমিরো জানিয়েছেন, তার ক্লাব ছাড়ার সিদ্ধান্তের কথা জানতে পেরে কেঁদেছিলেন রিয়ালের কোচ কার্লো আনচেলত্তি।

ক্যাসেমিরো বলেন, আমি এটি আগে কাউকে বলিনি। আমি শুধুমাত্র একবার ম্যানচেস্টারে যাওয়ার বিষয়ে ভাবছিলাম। আমার মনে আছে, এটা ছিল শুক্রবারের বিকেল এবং এটা (ইউনাইটেড ট্রান্সফার) আমার স্বাক্ষর ছাড়াই করা হয়েছিল। মানুষ জানতো যে, এটা (চুক্তি) সম্পন্ন করা হয়েছে।

তিনি বলেন, আমি আনচেলত্তির সঙ্গে কথা বলতে গিয়েছিলাম। তার অফিসে গিয়েছিলাম এবং সে ইতিমধ্যেই বিষয়টি জানতো। আমি দরজা খুললাম এবং যখন তার দিকে ঘুরে তাকালাম, দেখলাম আনচেলত্তি কাঁদছিলেন। আমি তাকে বলেছি, আপনি কাঁদতে পারেন না। অন্য কেউ কাঁদতে পারে কিন্তু আপনি কাঁদতে পারেন না।

সে সময় রিয়াল বস আনচেলত্তি ক্যাসেমিরোকে বলেছিলেন, আমি কেন কাঁদছি জানি না। তবে আমি তোমাকে খুব পছন্দ করি এবং আমি চাই না তুমি চলে যাও।

ক্যাসেমিরো আরও বলেন, সেই মুহূর্তে আমি বুঝতে পেরেছি, এখানে কত মানুষ আমাকে ভালোবাসে। কিন্তু আমি আগেই আমার কথা দিয়ে ফেলেছিলাম। আমার কথা অন্য যেকোনো কিছুর চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ।


ক্যাসেমিরো   ফুটবল   ব্রাজিল   রিয়াল মাদ্রিদ   কার্লো আনচেলত্তি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

বড় ধরনের নিষেধাজ্ঞার মুখে আর্জেন্টাইন গোলরক্ষক

প্রকাশ: ০৭:০৮ পিএম, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

এবার আর্জেন্টাইন গোলরক্ষক নাহুয়েল গুসমানকে ১১ ম্যাচের নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে মেক্সিকান ফুটবল ফেডারেশন (এফএমএফ)। ‘অনুপযুক্ত আচরণের’ কারণে গুসমানকে এমন নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।

জানা গেছে, গত রোববার মেক্সিকোর শীর্ষ প্রতিযোগিতা লিগা এমএক্সে টাইগ্রেস ইউএএনএল এবং মন্টেরি মুখোমুখি হয়েছিল। যেখানে টাইগ্রেস ক্লাবের আর্জেন্টাইন গোলরক্ষক গুসমান চোটের কারণে খেলতে পারেননি। তবে ড্রেসিংরুম থেকে তিনি মাঠে লেজার লাইট মারার কিছু ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এ নিয়ে তদন্তের পর তার বিরুদ্ধে বড় শাস্তি ঘোষণা করেছে এফএমএফ।

শেষ পর্যন্ত সেদিন দুই দলের ম্যাচটি ৩-৩ গোলে ড্র হয়েছিল। তবে পরবর্তীতে আলোচনা শুরু হয় গুসমানে লেজার ব্যবহার করা নিয়ে। তিনি মন্টেরি গোলরক্ষক এসটেবান আন্দ্রাদার দিকে লেজারের আলো ফেলেছিলেন এবং পরে সেটি নিয়ে সমালোচনা শুরু হলে ক্ষমাও চান এই টাইগ্রেস গোলরক্ষক।

গতকাল (বৃহস্পতিবার) এক বিবৃতিতে এফএমএফ জানায়, ম্যাচ চলাকালে অনুপযুক্ত আচরণের জন্য টাইগ্রেস ক্লাবের নাহুয়েল ইগনাসিও গুসমানকে ১১ ম্যাচের নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে ডিসিপ্লিনারি কমিটি। তার আচরণ ফেডারেশনের নীতিমালা ভঙ্গ করেছে। পরবর্তীতে টাইগ্রেস ক্লাবও নিজেদের অভ্যন্তরীণ নীতিমালা অনুসারে গুসমানকে শাস্তি দেওয়া হবে বলে ঘোষণা দিয়েছে।

এদিকে, শাস্তি পেয়েছেন মন্টেরির ফুটবলার আন্দ্রাদাও। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে গুসমানকে সমকামী বলে মন্তব্য করায় তাকে জরিমানা করেছে মেক্সিকান ফুটবল ফেডারেশন।

উল্লেখ্য, এখনও হাঁটুর ইনজুরির পুনর্বাসনে আছেন নিষিদ্ধ হওয়া গুসমান, যে কারণে ৯ মার্চের পর তিনি আর মাঠে নামতে পারেননি। চলমান নিয়মিত মৌসুমে তার দলের আর মাত্র দুই ম্যাচ বাকি, তবে ২০২৪ সালের পরবর্তী টুর্নামেন্টগুলোতে নিষেধাজ্ঞা প্রয়োগ হবে ৩৮ বছর বয়সী এই গোলরক্ষকের বিরুদ্ধে। এর আগেও পেনাল্টি শ্যুট আউটের সময় প্রতিপক্ষ ফুটবলারকে বিভ্রান্ত করার জন্য মুখ থেকে হঠাৎ ফিতা বের করেছিলেন গুসমান। গত আগস্টে লিগস কাপের ওই ঘটনার পর প্রথম তিনি আলোচনায় আসেন।


আর্জেন্টাইন   গোলরক্ষক   নাহুয়েল গুসমান  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

জার্সির রঙ বদলিয়ে ভাগ্য পরিবর্তন করতে চায় ব্যাঙ্গালুরু

প্রকাশ: ০৫:৫৫ পিএম, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

চলছে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের ১৭তম আসর। প্রতিবারের মতোই বেশ জাকজমকপূর্ণ আয়োজনের মধ্য দিয়েই শুরু হয়েছিল এবারের খেলা। যেখানে উদ্বোধনী ম্যাচেই নেমেছিল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরু ও গতবারের চ্যাম্পিয়ন চেন্নাই সুপার কিংস।

আইপিএল শুরু হয়েছে ২০০৮ সাল থেকে। সেই শুরু থেকে এখন পর্যন্ত সবগুলো আসর খেললেও এখন পর্যন্ত একবারও ট্রফি জিততে পারেনি রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরু। এবারের আসরেও সাতটি ম্যাচের মধ্যে ছয়টিতে হেরেছে দলটি।

বিশ্বসেরা তারকা ক্রিকেটারদের নিয়ে দল গড়েও আগের ১৬টি আসরের মতো এবারেও টেবিলের তলানিতে রয়েছে কোহিল-সিরাজরা। এমন পরিস্থিতিতে আগামী (রোববার) হাইভোল্টেজ ম্যাচে কলকাতা নাইট রাইডার্সের বিপক্ষে মাঠে নামবে কোহলিরা। ভাগ্য বদলাতে এই ম্যাচে জার্সি বদলে খেলবেন কোহলি-ফাফরা।

২০১১ সাল থেকে প্রতি বছর আইপিএলে একটি ম্যাচ সবুজ জার্সি পরে খেলে বেঙ্গালুরু। প্রকৃতির প্রতি যত্ন এবং আরও বেশি গাছ লাগানোর বার্তা দেওয়ার জন্যই সবুজ জার্সি পরে নামেন কোহলিরা। সাধারণত, ঘরের মাঠে এই জার্সি পরে নামে বেঙ্গালুরু। কিন্তু এবার অ্যাওয়ে ম্যাচে সবুজ জার্সি পরে খেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা।

নিজেদের ভেরিভায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে একটি ছবি দিয়েছে নতুন জার্সি পরে নামার কথা নিশ্চিত করেছে বেঙ্গালুরু। সেখানে নতুন জার্সিতে দেখা যাচ্ছে কোহলি, ডু প্লেসি এবং দিনেশ কার্তিককে।

পোস্টে বেঙ্গালুরু লিখেছেন, আশা করছি জার্সির রঙে বদল করায় ভাগ্যও বদলাবে। ২১ তারিখ দেখা হচ্ছে।

চলতি মৌসুমে বেঙ্গালুরুর ঘরের মাঠ চিন্নাস্বামীতে আরও ৩টি ম্যাচ খেলা বাকি রয়েছে। অন্যদিকে এই মৌসুমে কলকাতা বেশ ভালো ফর্মে রয়েছে। ৬ ম্যাচ খেলে তারা ইতিমধ্যেই ৮ পয়েন্ট নিয়ে লিগ তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে।

ঘরের মাঠে তিনটি ম্যাচ খেলে দুটিতেই জয় পেয়েছে কলকাতা। শেষ ম্যাচে রাজস্থান রয়্যালসের কাছে হারলেও শেষ বল পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে গিয়েছে তারা। এমন পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে বেঙ্গালুরুর ভাগ্যবদল বেশ কঠিনই হবে!


আইপিএল   বিরাট কোহলি   রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরু  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

রাউন্ড রবিন লিগ শেষে নিশ্চিত ডিপিএল সুপার ৬

প্রকাশ: ০৫:০৭ পিএম, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

রাউন্ড রবিন লিগ শেষে এবার নিশ্চিত হয়েছে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের (ডিপিএল) চলতি আসরের সুপার লিগ পর্বের ছয় দল। যার মধ্যে রয়েছে- আবাহনী লিমিটেড, শাইনপুকুর ক্রিকেট ক্লাব, মোহামেডান স্পোর্টিং, শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব, প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাব ও গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্স।

ইতোমধ্যেই নিশ্চিত হয়েছিল সুপার লিগের প্রথম পাঁচটি দল। বাকি ছিল একটি। আর সেই ষষ্ঠ দল হিসেবে লড়াইটা ছিল মূলত মাশরাফী বিন মোর্ত্তজার লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জ ও গাজী গ্রুপের মধ্যে।

বৃহস্পতিবার ‍(১৮ এপ্রিল) শেষ রাউন্ডে রূপগঞ্জ শাইনপুকুরের কাছে হেরে যাওয়ায় রান রেটেও পিছিয়ে পড়ে। তাতে গাজীর সুপার লিগ অনেকটাই নিশ্চিত হয়ে যায়। শেষ রাউন্ডে শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) সিটি ক্লাবকে বড় ব্যবধানে হারিয়ে সুপার লিগ নিশ্চিত করেছে গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্স।

আবাহনী একমাত্র অপরাজিত দল হিসেবে লিগ পর্ব শেষ করেছে। ১১ ম্যাচের সব কটিই জিতেছে তারা। আরেকটি শিরোপা থেকে খুব বেশি দূরে নেই ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নরা।


ডিপিএল   ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ   ক্রিকেট  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন