ইনসাইড গ্রাউন্ড

কি জন্য খেলবেন ইমরুল!

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৪:০০ পিএম, ১৫ এপ্রিল, ২০১৯


Thumbnail

অন্যরা যখন বিশ্বকাপের প্রস্তুতি ব্যস্ত ইমরুল কায়েসের তখন অখন্ড অবসর। শেষ হয়েছে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ। সুপার লিগের খেলা বাকি থাকলেও বাদ পড়েছে ইমরুলের দল গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্স। ফলে আপাতত লম্বা ছুটি পেয়েছেন তিনি। যদিও এই ছুটি কোন ক্রিকেটারের কাম্য নয়। বিশ্বকাপ কিংবা আয়ারল্যান্ড সিরিজ খেলা না হলে, টানা পাঁচ-ছয় মাস খেলার বাইরে থাকতে হবে তাঁকে। ভালো খেলেও সুযোগ না পাওয়ায় হঠাৎ করে তাঁর মাথা একটা প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে খেলে কি হবে?

মাত্র ছয় মাস আগের ঘটনা। গত বছর অক্টোবরে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজে দুই সেঞ্চুরি সহ ৩৪৯ রান করেন ইমরুল। কিন্তু পরের ওয়ানডে সিরিজে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে প্রথম দুই ম্যাচে হয় ব্যর্থ। তৃতীয় ম্যাচে সুযোগ পেয়ে ৮০ রানের ইনিংস খেলেন সৌম্য। ফল স্বরূপ নিউজিল্যান্ড সফরে ছিটকে পড়েন দল থেকে। কিন্তু এর আগে নিউজিল্যান্ড সফরে ওয়ানডে সিরিজের বাংলাদেশের সর্বোচ্চ রান সংগ্রহক ছিলেন ইমরুল। 

সে সময় সান্ত্বনার বাণী শুনিয়ে প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন বলেছিলেন নিউজিল্যান্ড সফরে না থাকলেও বিশ্বকাপের স্কোয়াডের ভাবনায় আছে সে। কিন্তু সেখানে পানি ঢেলে দেন বিসিবির সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন। গত ২৬ মার্চ মিরপুরের শেরে বাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে স্বাধীনতা দিবস ক্রিকেট দেখতে এসে তিনি বলেন, ‘তামিম আর দুই ওপেনার। আমি ধরে নিচ্ছি সৌম্য, লিটন যদি খেলে তাহলে তো ওপেনার কোটা শেষ। আমি তো আর কোন জায়গা দেখছি না’

ইমরুল নিজেই সবচেয়ে দুর্ভাগা ক্রিকেটার হিসেবে দেখেন। গত দু’বছরে ধরে লড়াই করতে হচ্ছে তাকে। ২০১৭ সালে দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে বাংলাদেশি ব্যাটসম্যানদের মধ্যে রান পেয়েছিলেন মুশফিকুর রহিম আর ইমরুল কায়েস। সেই তিনি ২০১৮ সালের জানুয়ারিতে পরের ওয়ানডে সিরিজের (ত্রিদেশীয়) স্কোয়াডে নেই। বাদ পড়লেন এশিয়া কাপের দল থেকেও। টুর্নামেন্টের মাঝপথে হঠাৎ করে উড়িয়ে নেওয়া হলো তাঁকে। আফগানিস্তানের বিপক্ষে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে খেললেন অপরাজিত ৭২ রানের দুর্দান্ত ইনিংস। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম ম্যাচে তাঁকে খেলানো নিয়ে ভীষণ আপত্তি টিম ম্যানেজমেন্টের। মাশরাফি সহ বেশ কয়েকজন সিনিয়র ক্রিকেটারের দাবির মুখে একাদশে থাকেন ইমরুল। প্রথম ম্যাচে করলেন ১৪০ রান। এতোটাই ভালো খেললেন চাইলো ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজে বাদ দেওয়া গেলো না তাঁকে। কিন্তু দুই ম্যাচে ৪ ও ০ রান করায় আবারো বাদ পড়লেন তিনি।

১১ বছর আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারের এমন উত্থান-পতন আর কারো নেই। এভাবে ধাক্কা খেতে খেতে ইমরুল ভীষণ ক্লান্ত। আলাপচারিতায় জানিয়েছেন এভাবে না খেলে ক্রিকেটকে বিদায় জানিয়ে দেওয়াই ভালো! কিন্তু এখনই আবেগের কাছে হার মানতে চাইছেন না তিনি, ‘ক্রিকেটটা তো রক্তে মিশে গেছে। খেলাটাকে অনেক ভালোবাসি। এছাড়া বয়স আছে। এর বাইরে অন্য কিছু চিন্তাও করতে পারি না। কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে পারছি না’। 

এই পরই ছুঁড়ে দেন সেই ভয়ঙ্কর প্রশ্নটি, ‘ক্রিকেটার হিসেবে লক্ষ্য কি থাকবে? জাতীয় দলের খেলা। আর সেখানেই যদি কোনো আশা না থাকে, তবে খেলবে কেন?’

এই কথাতে পরিষ্কার অনেক ভেঙে পড়েছেন ইমরুল। প্রভাব পড়েছে খেলাতেও। তাই তো সবশেষ দুটি ঘরোয়া লিগে রান পাননি। চ্যালেঞ্জ নিয়ে ফিরে আসার শক্তিটুকু হারিয়ে ফেলেছেন তিনি। মনস্তাত্ত্বিকভাবে এতটাই পিছিয়ে পড়ছেন যে, লড়াই করার ইচ্ছেটাও মরে গেছে তাঁর।

বাংলা ইনসাইডার/আরইউ



মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

আর্সেনালকে বিদায় জানিয়ে সেমিতে বায়ার্ন

প্রকাশ: ০৯:০০ এএম, ১৮ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

প্রথম লেগে ২-২ তে ড্র করায় ফিরতি লেগে ছিল একমাত্র ভরসা। যেখানে শুরু থেকে আর্সেনাল ও বায়ার্নের লড়াইটাও জমেছিল বেশ। তবে বিরতির পর যেন বায়ার্নের খেলার ধরণ বদলায়, বাড়ে গতি। আর সেই ধারাবাহিকতায় মিকেল আর্তেতার দলকে শেষ পর্যন্ত ১-০ গোলে হারায় টমাস টুখেলের দল। আর এতে করেই গানারদের বিদায় করে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমি-ফাইনালে জায়গা করে নিয়েছে বায়ার্ন।

আগের লেগে আর্সেনালের মাঠে ২-২ গোলে ড্র করে বুধবার (১৭ এপ্রিল) আলিয়াঞ্জ এরিনায় মুখোমুখি হয় দুদল। প্রথম লেগে সার্জ নাব্রি ও হ্যারি কেনের গোলে ড্র করেছিল বায়ার্ন। আর্সেনালের হয়ে গোল দুটি করেছিলেন বুকায়ো সাকা ও লেয়ান্দ্রো ট্রোসার্ড।

এদিন শুরু থেকে উভয় পক্ষ আক্রমণাত্মক খেলতে থাকলেও প্রথমার্ধে কোনো গোল না হওয়ায় গোলশূন্য রেখেই বিরতিতে যায় দুদল। দ্বিতীয়ার্ধে ৬৩ মিনিটে দুর্দান্ত এক হেডে গোল করে বায়ার্নকে লিড এনে দেয় জশুয়া কিমিখ। তার একমাত্র গোলেই শেষ চারের টিকিট পায় বাভারিয়ানরা। আর সব ধরনের প্রতিযোগিতা মিলিয়ে টানা দুই ম্যাচে জয়শূন্য থাকল আর্সেনাল।

বায়ার্নের বিপক্ষে ড্রয়ের পর গত রোববার ঘরের মাঠে প্রিমিয়ার লিগের ম্যাচে অ্যাস্টন ভিলার বিপক্ষে হারে তারা।

একটু ধীমেতালে শুরু হওয়া ম্যাচে দুই দলই ছিল সাবধানী। আগে রক্ষণ সামালানো পরে গোলের চেষ্টা- নিয়েছিল এই কৌশল। কোনো দলই ছিল না খুব একটা গতিময়।

উল্লেখ্য, অপর ম্যাচে ম্যানসিটিকে হারিয়ে সেমিতে পা রাখে রিয়াল মাদ্রিদ। সেমিফাইনালে মুখোমুখি হবে বায়ার্ন ও রিয়াল।


চ্যাম্পিয়ন্স লিগ   বায়ার্ন   আর্সেনাল  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

অগ্নিপরীক্ষায় উত্তীর্ণ রিয়াল, চ্যাম্পিয়ন্স লিগ থেকে বিদায় ম্যানসিটির

প্রকাশ: ০৯:০০ এএম, ১৮ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

ইতিহাদে টানা দেড় বছর হারেনি পেপ গার্দিওলার দল। যার জন্য রিয়াল মাদ্রিদের জয় এক প্রকার অগ্নিপরীক্ষাই ছিল গতকাল রাতের ম্যাচ। যেখানে নির্ধারিত ও এক্সট্রা সময়েও ফলাফল নিজেদের দখলে নিতে পারেনি রিয়াল। তবে শেষমেষ খেলা ট্রাইব্রেকারে গড়ালে অগ্নিপরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয় বেলিংহামরা।

বুধবার রাতে ইতিহাদে নির্ধারিত সময়ের ১-১ স্কোরলাইন অতিরিক্ত সময়েও ধরে রেখে ভাগ্য পরীক্ষায় যায় দুই দল। সেখানে ৪-৩ গোলে সিটিকে হারিয়ে শেষ চারে জায়গা করে নেয় দলটি। এ নিয়ে আগের বারের চ্যাম্পিয়নদের বিদায় করলো রিয়াল মাদ্রিদ।

এদিন ম্যাচে ১২ মিনিটেই রড্রিগোর গোল এগিয়ে দেয় রিয়াল মাদ্রিদকে। এরপর ম্যানসিটি শুধু আক্রমণ করে গেছে, আর অ্যান্টোনিও রুডিগারের নেতৃত্বে রিয়ালের রক্ষণভাগ তা সাফল্যের সঙ্গে সামাল দিয়েছে।

৭২ মিনিটে গ্রিলিশকে পাল্টে পেপ গার্দিওলা জেরেমি ডকুকে নামালে সমতাসূচক গোল করার সুযোগ পায় সিটি। চার মিনিট পর ডকুর বাড়ানো বল নিয়ে ৬ গজের মধ্য থেকে গতির শটে রিয়াল গোলরক্ষক লুনিনকে পরাস্ত করে সিটিকে খাদের কিনারা থেকে বাচান কেভিন ডি ব্রুইন। কিন্তু এই ব্রুইনই এরপর দুবার গোল করার মতো অবস্থায় থেকেও লক্ষ্য মিস করেন।

ডকুর অ্যাসিসেন্ট গোল করে ৭৬ মিনিটে গোল করে ১-১ সমতা ফিরিয়ে ছিলেন ড্র ব্রুইন। এর খেসারত শেষপর্যন্ত দিতে হয়েছে ম্যানসিটিতে। সিটির ১৮১টি আক্রমণ সামাল দিয়ে ম্যাচকে টাইব্রেকারে নিয়ে যান আনচেলত্তির শিষ্যরা।

সেমিফাইনালে বায়ার্ন মিউনিখের সঙ্গে খেলবে রিয়াল মাদ্রিদ। অন্য সেমিফাইনালটি হবে পিএসজি ও বরুসিয়া ডর্টমুন্ডের মধ্যে।


রিয়াল মাদ্রিদ   ম্যানসিটি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

গুজরাটের লজ্জার রেকর্ড, দিল্লির সহজ জয়

প্রকাশ: ১২:৪৬ এএম, ১৮ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের ১৫তম আসরে অভিষেক হয়েছিল গুজরাট টাইটান্সের। যেবার সব চড়াই উৎরাই পেরিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল তারাই। এরপর ১৬তম আসরেও বেশ শক্ত পোক্তভাবেই লড়াই করে ফাইনালে উঠেছিল তারা। তবে শিরোপা ছুঁয়ে দেখতে পারেনি সেবার। 

তবে হার্দিক পান্ডিয়ার নেতৃত্বে আধিপত্য বিস্তার করা দলটি এবার শুবমান গিলের অধীনে সুবিধা করতে পারছে না। টুর্নামেন্টের ইতিহাসে তৃতীয়বার অলআউট হলো গুজরাট, তাও আবার লজ্জার রেকর্ড গড়লো সর্বনিম্ন রানে অলআউট হয়ে।

প্রথমবার একশর নিচেই ১০ ব্যাটারের সবাই আউট হয়ে গেছে। আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে ৮৯ রানে তাদের থামিয়ে ৬ উইকেটের দাপুটে জয় পেয়েছে দিল্লি ক্যাপিটালস। এই আসরে প্রথমবার টানা দ্বিতীয় জয় পেলো তারা।

এর আগে গুজরাটের সর্বনিম্ন ইনিংস ছিল গত বছর এই দিল্লির কাছেই। ১২৫ রান করেছিল তারা ৬ উইকেট হারিয়ে। এবার তিন অঙ্কের ঘরেও যেতে পারলো না একুশের চ্যাম্পিয়নরা।

রশিদ খান শেষ দিকে ২৪ বলে সর্বোচ্চ ৩১ রান না করলে আরও বড় লজ্জা পেতো গুজরাট। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১২ রান করেন সাই সুদর্শন। ১০ রান আসে রাহুল তেওয়াতিয়ার ব্যাটে। ইনিংসের ১৫ বল বাকি থাকতে অলআউট তারা।

মুকেশ কুমার ২.৩ ওভারে ১৪ রান দিয়ে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নেন। দুটি করে উইকেট দখল করেন ইশান্ত শর্মা ও ট্রিস্টান স্টাবস।

লক্ষ্যে নেমে ২ ওভারে ২৫ রান তুলে ভাঙে উদ্বোধনী জুটি। জেক ফ্রেসার-ম্যাকগার্ক ১০ বলে ২০ রানে থামেন। অল্প স্কোরে জয়ের পথে এটাই ছিল ব্যক্তিগত সেরা ইনিংস। 

শাই হোপ ১০ বলে করেন ১৯ রান। অভিষেক পোরেলের ব্যাটে আসে ১৫ রান। শেষ দিকে রিশাভ পান্ত ও সুমিত কুমার ২৫ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটিতে নবম ওভারেই ম্যাচ জেতে দিল্লি। 

৮.৫ ওভারে ৪ উইকেটে ৯২ রান করে তারা। ১৬ রানে পান্ত ও ৯ রানে সুমিত খেলছিলেন।


আইপিএল   ক্রিকেট   খেলাধুলা  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

এক ম্যাচে ৩১ গোল হজম, অনুভূতিতে যা জানালেন সেই গোলকিপার

প্রকাশ: ০৮:৫০ পিএম, ১৭ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

সালটা ২০০১। বিশ্বকাপ বাছাইয়ে ওশেনিয়া অঞ্চলের ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার মুখোমুখি হয়েছিল আমেরিকান সামোয়া। কফস হারবারে অনুষ্ঠিত হওয়া সেই ম্যাচে ঘটেছিল ফুটবল বিশ্বের অনন্য এক ইতিহাস। কারণ সেই ম্যাচে আমেরিকান সামোয়া হেরেছিল ৩১-০ গোলে। যা আন্তর্জাতিক ফুটবলে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বড় ব্যবধানে হার।

ইতিহাসের সেই ম্যাচে আমেরিকান সামোয়ার গোলকিপার ছিলেন নিকি সালাপু। লোকে এখনো নাকি তাকে ম্যাচটি নিয়ে জিজ্ঞেস করে। বিবিসির ‘স্পোর্টিং উইটনেস’ পডকাস্টে সেই ম্যাচ নিয়েই কথা বলেছেন সালাপু।

অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ম্যাচটির জন্য খুব দ্রুত দল গড়তে হয়েছিল আমেরিকান সামোয়াকে। বেশিরভাগই ছিলেন কিশোর বয়সি। আমেরিকান সামোয়ার ফুটবল ফেডারেশন (এফএফএএস) ফিফায় অন্তর্ভুক্তি পেয়েছিল ম্যাচটি খেলার মাত্র তিন বছর আগে। সেই সময় ১ কোটি ৯০ লাখ অধিবাসীর অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে মাত্র ৫৮ হাজার জনসংখ্যার আমেরিকান সামোয়া এমনিতেই পুঁচকে ছিল।

আর ২০০২ বিশ্বকাপ বাছাইয়ের আগে ফিফা জানিয়ে দেয়, শুধু আমেরিকান পাসপোর্টধারীরাই প্রশান্ত মহাসাগরের দেশটির জাতীয় দলের প্রতিনিধিত্ব করতে পারবেন। প্রাথমিকভাবে ঘোষিত ২০ জনের স্কোয়াডে যোগ্য খেলোয়াড় বাছতে দল উজাড়, টিকেছিলেন শুধু সালাপু। তিনি বলেন, মাত্র দুই সপ্তাহের মধ্যে যে কাউকে খুঁজে বের করতে হতো। আমরা হাইস্কুলের ছেলেদের বাছাই করেছিলাম।

সালাপুর এ কথার ব্যাখ্যা দেবে পরিসংখ্যান। আমেরিকান সামোয়ার দলে ১৫ বছর বয়সী খেলোয়াড় ছিলেন তিনজন। দলের খেলোয়াড়দের গড় বয়স ছিল ১৮ বছর। সালাপু সেই দলে সবচেয়ে অভিজ্ঞ; তার বয়সই ছিল মাত্র ২০ বছর।

ফলে এই দল নিয়ে প্রথম রাউন্ডে ফিজির কাছে ১৩-০ গোলের ব্যবধানে হেরেছিল আমেরিকান সামোয়া। পরের ম্যাচে সামোয়ার কাছে হার ৮-০ গোলে। তৃতীয় ম্যাচে হারের ব্যবধান তো ছাড়িয়ে গেল সবকিছুকে ৩১-০! ওই ৩ ম্যাচে ৫২ গোল খাওয়ার পর টোঙ্গার কাছে ৫-০ গোলের হার আমেরিকান সামোয়ার কাছে জয়ের সমান হওয়ার কথা!

খুব কাছে গিয়েও ১৯৯৮ বিশ্বকাপের চূড়ান্ত পর্বে উঠতে ব্যর্থ হওয়া অস্ট্রেলিয়া ২০০২ বিশ্বকাপে জায়গা পেতে মুখিয়ে ছিল। নিজেদের প্রমাণে জিদ কাজ করছিল অস্ট্রেলীয়দের মনে। আমেরিকান সামোয়ার আগে অস্ট্রেলীয়দের সেই জিদের অনলে পুড়েছিল টোঙ্গাও। পলিনেশিয়ান দেশটিকে ২২-০ গোলে গুঁড়িয়ে আমেরিকান সামোয়ার মুখোমুখি হয়েছিল অস্ট্রেলিয়া। সালাপু জানিয়েছেন, তার প্রাথমিক লক্ষ্য ছিল কোনোভাবেই ২২-০ ব্যবধানের হার অতিক্রম করা যাবে না।

গোল বন্যার ‘ফটক’ খুলেছিল ম্যাচের ৮ মিনিটে। অস্ট্রেলিয়ার ২২ বছর বয়সী স্ট্রাইকার আর্চি থম্পসন একাই করেছিলেন ১৩ গোল। ৮ গোল করেন ডেভিড জিদ্রিলিক। সালাপু জানিয়েছেন, পুরো ম্যাচে তিনি সতীর্থদের ‘সামনে এগোতে’ বলেছেন। কারণ তার সতীর্থরা বেশিরভাগ সময়েই রক্ষণভাগে জড়সড় হয়েছিলেন। এ কারণে বল দেখতে খুব সমস্যা হচ্ছিল সালাপুর।

৮৬ মিনিটে অস্ট্রেলিয়ার পোস্টে একবারই আক্রমণ করতে পেরেছিল আমেরিকান সামোয়া। অস্ট্রেলিয়ার গোলকিপার মাইকেল পেটকোভিচের ম্যাচে সেটাই একমাত্র সেভ। সালাপু মনে করেন, অস্ট্রেলিয়া যেভাবে খেলেছে, সেটি অখেলোয়াড় সুলভ।

সালাপু জানিয়েছেন, তিনি অস্ট্রেলিয়ার কোচ হলে দল ২০ গোল করার পর খেলোয়াড়দের ‘ম্যাচ শেষ হওয়ার আগপর্যন্ত বলের দখল ধরে রেখে খেলতে’ বলতেন। হারের সেই স্মৃতি মনে সইয়ে নিতে সালাপুর প্রায় ১০ বছর লেগেছে। এ সময়ের ব্যবধানে আমেরিকান সামোয়া টানা ৩৮ ম্যাচ হেরেছে ২১৭ গোল ব্যবধানে। ফিফা র‌্যাঙ্কিংয়ে নেমেছে ২০৪তম স্থানেও (বর্তমানে ১৮৯)।

২০১০ সালে ডাচ বংশোদ্ভূত কোচ টমাস রনজেনকে কোচ করে আনে আমেরিকান সামোয়া। পরিস্থিতি এর পর ধীরে ধীরে পাল্টাতে থাকে। ২০১৪ বিশ্বকাপ বাছাইয়ের ম্যাচে ২০১১ সালের ২৩ নভেম্বর টোঙ্গার মুখোমুখি হয় আমেরিকান সামোয়া।

সালাপু জানিয়েছেন, সে ম্যাচে ‘আমাদের পুরো দল জয়ের ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী ছিল’। শেষ বাঁশি বাজার পর পূরণ হলো সেই প্রত্যাশাও। টোঙ্গাকে ২-১ গোলে হারায় আমেরিকান সামোয়া—ফিফা স্বীকৃত ম্যাচে সেটাই প্রথম জয় দলটির। সালাপুকে সেদিনও আবেগ সংবরণ করতে হয়েছিল। তিনি বলেন, খুবই ভালো লাগছিল। বারবার মনকে প্রবোধ দিয়েছি, ম্যাচে মনোযোগ ধরে রাখতে আবেগ সামলে রাখতে হবে।’


ফুটবল   বিশ্বকাপ   আমেরিকান সামোয়া   অস্ট্রেলিয়া  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

দিল্লির বিপক্ষে ব্যাটিংয়ে গুজরাট

প্রকাশ: ০৮:১৩ পিএম, ১৭ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) ১৭তম আসরে খুব একটা ছন্দে নেই গতবারের রানার্স আপ গুজরাট টাইটান্স। ছয় ম্যাচ খেলে মাত্র তিনটি জয় পেয়ে শুভমান গিলের দল।

অন্যদিকে গুজরাটের সমান ম্যাচ থেকে দুটিতে জয় পেয়েছে দিল্লি ক্যাপিটালস। নিজেদের সপ্তম ম্যাচে মাঠে নামছে এই দুই দল।

বুধবার ( ১৭ এপ্রিল) আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদি ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে গুজরাটকে ব্যাটিংয়ে আমন্ত্রণ জানিয়েছে দিল্লি।

গুজরাট টাইটান্সের একাদশ: ঋদ্ধিমান সাহা (উইকেটকিপার), শুভমান গিল (অধিনায়ক), সাই সুদর্শন, ডেভিড মিলার, স্পেন্সার জনসন, অভিনাভ মোনোহার, রাহুল তেওয়াটিয়া, রশিদ খান, নূর আহমেদ, মোহিত শর্মা ও সানদীপ ওয়ারিয়ার।

দিল্লির একাদশ: ঋষভ পান্ত (অধিনায়ক), জ্যাক ফ্রেসার, পৃথ্বী শা, ত্রিস্তান স্টাবস, মুকেশ কুমার, অক্ষর প্যাটেল, সাই হোপ, এনরিখ নরকিয়া, ইশান্ত শর্মা, সুমিত কুমার ও খলিল আহমেদ।


আইপিএল   গুজরাট   দিল্লি  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন