নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৪:২৭ পিএম, ২২ এপ্রিল, ২০১৯
২০০৫ সালে সূচনাতে অনেক বাধার মুখে পড়েছিলো মেয়েদের ফুটবল। বন্ধ করতে উঠে পড়ে লেগে ছিলো একটি মহল। কিন্তু নানান প্রতিকুলতায় পেড়িয়ে এগিয়ে চলে সাবিনা-কৃষ্ণরা। তাই তো দেশের ফুটবল ইতিহাসের সবচেয়ে আন্তর্জাতিক সাফল্য এসেছে তাদের হাত ধরেই। সোমবার (২২ এপ্রিল) বঙ্গমাতা আন্তর্জাতিক গোল্ডকাপ ফুটবলে মাথা উচু করে মাঠে নামবে বাংলার মেয়েরা। শুরু হবে মেয়েদের ফুটবলের নতুন দিগন্ত।
সাফ ও এএফসি বাদে এর আগে বাংলাদেশে মেয়েদের কোন আন্তর্জাতিক ফুটবল টুর্নামেন্ট হয়নি। দেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো আয়োজিত হচ্ছে মেয়েদের আন্তর্জাতিক ফুটবল। এই টুর্নামেন্ট আয়োজনের দুটি লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে)।
আন্তর্জাতিক এই টুর্নামেন্টের মাধ্যমে বঙ্গমাতা বেগম শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতাসহ সকল আন্দোলনে তাঁর অবদান বহির্বিশ্বে তুলে ধরতে চায় আয়োজকরা। দেশের নারী ফুটবলের উন্নতি এবং ভালো মানের জাতীয় দল গড়ে তোলার লক্ষ্যও রয়েছে আয়োজকদের।
বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন বলেন, ‘ছেলেদের জন্য নিয়মিত ভাবে বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ আয়োজন করি। এখন মেয়েদের আন্তর্জাতিক টুনার্মেন্ট আয়োজনের মাধ্য দিয়ে বঙ্গমাতাকেও শ্রদ্ধা জানাতে চাই। আরেকটি কারণ হলো, আমাদের নারী ফুটবল অনেকখানি এগিয়েছে। কিন্তু আমাদের সিনিয়র জাতীয় দল এখনো ঠিকঠাক তৈরি না হয়নি। এজন্য আমরা অনূর্ধ্ব-১৯ আন্তর্জাতিক মহিলা ফুটবল আয়োজনের মাধ্যমে মেয়ে ফুটবলারদের স্পটলাইটে আনতে চাই। তাদের পারফরম্যান্স দেখে দেশের মানুষও বুঝবে, আমাদের নারী ফুটবল এখন কোন জায়গায় আছে। এ টুর্নামেন্টের মাধ্যমে মেয়েরাও বুঝতে পারবে, তারা কোন জায়গায় আছে।’
বঙ্গমাতার নামের টুর্নামেন্টে সাফল্য পেতে মরিয়া বাংলাদেশের কোচ গোলাম রব্বানী ছোটন। ঘরের মাঠে টুর্নামেন্টে শিরোপা জিততে চান তিনি, ‘যেহেতু দেশের মাটিতে খেলা। শ্রদ্ধেয় বঙ্গমাতার নামে আসর। বাফুফে এবং কোচিং স্টাফ সবারই চাওয়া প্রথম টুর্নামেন্ট স্মরণীয় করে রাখতে। মেয়ের লক্ষ্য ভালো ফুটবল খেলা এবং ম্যাচ বাই ম্যাচ জিতে চ্যাম্পিয়ন হওয়া।’
প্রতিপক্ষ দলগুলো সম্পর্কে বেশ ভালো ধারণা রয়েছে বাংলাদেশ কোচের। বয়সভিত্তিক টুর্নামেন্ট গুলোতে কয়েকটি দলের বিপক্ষে বড় ব্যবধানের জয় আছে লাল-সবুজদের। এরপরও মাটিতে পা রাখছেন গোলাম রব্বানী ছোটন, ‘অনূর্ধ্ব-১৬ ফুটবলে আমরা জিতেছি। কিন্তু এটা অনূর্ধ্ব-১৯ ফুটবলের টুর্নামেন্ট। এটাও মানতে হবে, আমাদের মতো অন্যরাও উন্নতি করছে। সুতরাং প্রথম ম্যাচ থেকেই আমাদের সিরিয়াস থাকতে হবে।’
কোচের সঙ্গে মিল রেখে ফেভারিট হিসেবে শুরু করতে চান বাংলাদেশের অধিনায়ক মিশরাত জাহান মৌসুমী, ‘বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের আয়োজনে এটা প্রথম নারী ফুটবল টুর্নামেন্ট। তা ছাড়া এটি হচ্ছে আমাদের প্রধানমন্ত্রীর মায়ের নামে। সুতরাং আমরা প্রত্যেক ম্যাচে নিজেদের সেরাটা দিয়ে চেষ্টা করব। শেষ পর্যন্ত টুর্নামেন্ট সেরার সম্মানটা যেন দেশেই রাখতে পারি।’
বাফুফের আয়োজনে প্রথম আন্তর্জাতিক নারী ফুটবল টুর্নামেন্ট, এজন্য মেয়েদের জন্য চ্যালেঞ্জটা পুরোপুরি নতুন। জিতলেই ছেলেদের পেছনে ফেলবে মেয়ে ফুটবলাররা। কারণ এখন পর্যন্ত বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপের শিরোপা জিততে পারেনি বাংলাদেশ। ফলে মেয়েদের ফুটবলে হবে নতুন দিগন্তের সূচনা।
বাংলা ইনসাইডার/আরইউ
মন্তব্য করুন
পিবিআই প্রধান বনজ কুমার মজুমদার হ্যালো পিওর গোল্ড
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
পবিত্র মাহে রমজানের আগে আবারও বাড়লো চিনির দাম। কেজিতে ২০ টাকা বাড়িয়ে প্রতিকেজি সরকারি মিলের চিনির সর্বোচ্চ খুচরা দাম ১৬০ টাকা নির্ধারণ করেছে বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প করপোরেশন (বিএসএফআইসি)।
বৃহস্পতিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) এক বিজ্ঞপ্তিতে চিনি ও খাদ্য শিল্প মন্ত্রণালয় জানায়, চিনির এ দাম অবিলম্বে কার্যকর হবে।
এতে বলা হয়, আন্তর্জাতিক ও দেশীয় চিনির বাজার মূল্যের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে বিএসএফআইসি কর্তৃক উৎপাদিত চিনির বিক্রয়মূল্য পুনর্নির্ধারণ করা হয়েছে। বাজারে রোজা উপলক্ষ্যে চিনির বাজার নিয়ন্ত্রণে সরকারের সহযোগিতা প্রয়োজন।
এখন থেকে করপোরেশনের ৫০ কেজি বস্তাজাত চিনির মিলগেট বিক্রয়মূল্য ১৫০ টাকা (এক কেজি) ও ডিলার পর্যায়ে বিক্রয়মূল্য ১৫৭ টাকা (এক কেজি) নির্ধারণ করা হয়েছে।
এ ছাড়া করপোরেশনের ১ কেজি প্যাকেটজাত চিনির মিলগেট বা করপোরেট সুপারশপ বিক্রয়মূল্য ১৫৫ টাকা ও বিভিন্ন সুপারশপ, চিনি শিল্প ভবনের বেজমেন্টে ও বাজারে সর্বোচ্চ খুচরা বিক্রয়মূল্য ১৬০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
বাজারে সরকারি চিনির নামে মোড়কজাত করে চড়া দামে বিক্রি করছে কিছু প্রতিষ্ঠান। সবশেষ কেজিপ্রতি ১৪০ টাকা চিনির মূল্য নির্ধারণ করে সংস্থাটি।
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশের জন্য ১ হাজার ৬৫০ টন পেঁয়াজ কিনছে ভারত। এই খবরে দেশের বাজারে ব্যাপক দরপতন শুরু হয়েছে। সরবরাহ বাড়তে থাকায় খুচরা বাজারে পেঁয়াজের দাম প্রতি কেজিতে অন্তত ৩০ টাকা কমেছে। অথচ রোজা শুরুর আগেও পেঁয়াজের দাম বাড়ছিল। বাজার নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে সরকার তখন ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি করার বিশেষ উদ্যোগও নিয়েছিল।