নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৪:০০ পিএম, ০৪ মে, ২০১৯
ইতিহাস তৈরিতে কয়েক মুহূর্তে দূরে ছিলো বাংলাদেশের মেয়েরা। ঘরের মাঠে প্রথম আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টের শিরোপা জিততে বাকি শুরু একটি ম্যাচ। প্রতিযোগিতার সবচেয়ে আকর্ষনীয় ফাইনালে ম্যাচের জন্য বৈরি আবহওয়া উপেক্ষা করে গ্যালারিতে হাজির হাজার চারের ফুটবলপাগল সমর্থক। উদ্দেশ্য মেয়েদের সঙ্গে ইতিহাসের সাক্ষী হওয়ার। কিন্তু সব আয়োজনে পানি ঢেলে দেয় বাফুফে। ম্যাচ শুরুর নির্ধারিত সময়ের আধঘণ্টা আগে গুঞ্জন ওঠে বাতিল হচ্ছে বঙ্গমাতা অনূর্ধ্ব-১৯ আন্তর্জাতিক গোল্ডকাপের ফাইনাল। কিছুক্ষণ পর সত্যি হয় সেটাই। প্রশ্নবিদ্ধ ভাবে সমাপ্তি ঘটলো সফল এবং সুন্দর একটি আয়োজনের। কিন্তু শুধুমাত্র মানবতার কারণে উতরে গেল বাফুফের প্রশ্নবিদ্ধ সিদ্ধান্তটি।
বঙ্গমাতা গোল্ডকাপের ফাইনাল ও মানবতাকে একবিন্দুতে মিলিয়েছে বাফুফে। কিন্তু গ্রশ্ন উঠেছে মাঠ খেলার উপযোগী থাকলেও ফাইনাল শুরুর আধঘণ্টা আগে কেন বাতিলের সিদ্ধান্ত? পরিস্থিতি এমনটা হবে, সেটা দুই দিন আগেই জানিয়ে ছিলো আবহওয়া অফিস। সে গুলো আমলে নিয়ে চাইলেই কি সূচি সময় পরির্বতন করা যেতো না? এমন প্রশ্নের জবাবে বাফুফের সিনিয়র সহ-সভাপতি আব্দুস সালাম মুর্শেদী বলেন, ‘আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টে লোকাল টুর্নামেন্টের মতো ম্যাচ বাতিল করে অন্য দিন নেওয়া যায় না। সব দলেরই একটা সূচি থাকে। তাই ইচ্ছা করলেই ম্যাচ বাতিল করা যায় না।’
যদিও সূচির দোহাই থাকবে তাহলে এর আগে দু’বার কিভাবে সূচি পরির্বতন করা হয়। টুর্নামেন্ট শুরুর সময় ফাইনালের তারিখ নির্ধাতি ছিলো ৩ মে। কিন্তু সেটি পরিবর্তন ৪ মে নিয়ে যাওয়ার কথা বলেছিলো বাফুফে। পরে যদিও সেই সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসে আবার ৩ মে ফাইনালের দিন নির্ধারণ হয়। এখন প্রশ্ন হলো এতবার তারিখ পরির্বতন হলো তখন কি ফিফা ও এএফসির নিয়মের ব্যাঘাত ঘটেনি?
বাফুফে বলছে এএফসির নিয়মানুযায়ী ম্যাচ বাতিলের সিদ্ধান্ত দেন রেফারি-ম্যাচ কমিশনার। কিন্তু ইতিহাস বলছে এর আগে অনেক বৃষ্টির মধ্যেও বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে আন্তর্জাতিক ম্যাচ হয়েছে। গত বছর এএফসি কাপে আবাহনী লিমিটেড ও মোহনবাগানের মধ্যকার ম্যাচে বৃষ্টির বাধা সাময়িকভাবে বন্ধ ছিলো। কিন্তু পরে একই দিনে সেই ম্যাচটি ভালো ভাবে শেষ হয়। ফিফার আইনে রয়েছে বল মাঠের পানিতে ভাসলেই খেলা বাতিল হবে। কিন্তু পরিস্থিতি এমন ছিলো না। চাইলেই খেলা পরিচালনা করা যেতো। এরপরও কেন ম্যাচ বাতিলের সিদ্ধান্ত, সে প্রশ্ন এড়িয়ে গেছেন বাফুফের অন্যতম শীর্ষ কর্তা আব্দুস সালাম মুশের্দী।
এ সময় মানবতাকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করেন টুর্নামেন্টের স্বত্বাধিকারী প্রতিষ্ঠান কে স্পোর্টসের প্রধান নির্বাহী ফাহাদ করিম। তিনি বলেন, ‘মাঠের পরিস্থিতির সঙ্গে টুর্নামেন্টের সমাপ্তির সম্পর্ক নেই। টুর্নামেন্টের এমন সমাপ্তি অবশ্যই কাম্য না। দেশের ১৯টি জেলা ঘূর্ণিঝড় ফণীর প্রভাবে পড়ে। সবাই দুর্যোগ মোকাবিলায় প্রার্থনারত। এমন অবস্থায় রাজধানীতে ফুটবল ম্যাচ খেলাটা শোভনীয় নয়।’
তাহলে দর্শকদের কথা চিন্তা করে কেন আগে বাতিল করা হলো না? এমনিতে দর্শক খরায় ভুগেছে দেশের ফুটবল। তবে অনূর্ধ্ব-১৯ বঙ্গমাতা আন্তর্জাতিক গোল্ডকাপের ম্যাচ এবং মেয়েদের পারফরম্যান্স, নতুন করে অনেক দর্শককে নিয়ে এসেছে মাঠে। বৈরি আবহওয়া, প্রতিকূল পরিস্থিতি ও ঝড়বৃষ্টি উপেক্ষা করে ফাইনাল দেখতে বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে হাজির হন প্রায় হাজার চারেক দর্শক। কিন্তু ফাইনালটি বাতিল হওয়ায় হতাশা নিয়ে স্টেডিয়াম ছেড়ে যান তাঁরা।
সূত্র বলছে ফাইনাল খেলার আগ্রহ ছিলো দু’দলের। জমজমাট এক ফাইনালের প্রত্যাশা ছিল চারদিকে। কিন্তু এই ফাইনালে পড়েছে ফণীর পরোক্ষ থাবা। ঢাকায় এই ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব তেমন টের পাওয়া না গেলেও উপকূলীয় অঞ্চলের মানুষ ছিলো ভীষণ আতঙ্কে। অনেকে ঘর ছেড়ে আশ্রয় নেন আশ্রয়কেন্দ্রে। এমন বিপন্নতার মধ্যে বঙ্গমাতার ফাইনাল হলে মানবতাকেই উপহাস করা হতো। তাই বাফুফের সিদ্ধান্তগুলো প্রশ্নবিদ্ধ হলেও এখানে জয় হয়েছে মানবতার।
বাংলা ইনসাইডার/আরইউ
মন্তব্য করুন
আইপিএলে এবার বিকল্প হিসেবে দল পেলেও সুযোগ পেয়েই দারুণ ছন্দে আছেন বাংলাদেশি কাটার মাস্টার মুস্তাফিজুর রহমান। চেন্নাইয়ের হয়ে এখন পর্যন্ত ৫ ম্যাচ খেলে ১০ উইকেট শিকার করেছেন তিনি। তারই ধারাবাহিকতায় এবারের আসরে সর্বোচ্চ উইকেট শিকারীর তালিকাতেও শীর্ষের দিকে রয়েছেন তিনি।
তবে আইপিএলের এবারের আসরের শেষ পর্যন্ত খেলা হবে না মুস্তাফিজের। আর মাত্র কয়েক দিন পরই জিম্বাবুয়ে সিরিজের জন্য দেশে ফিরতে হবে দ্য ফিজকে। তাই স্বাভাবিকভাবেই টাইগার এই পেসারের জায়গা কে পূরণ করবে, তা নিয়ে প্রশ্ন ছিল। এবার সেই উত্তরই দিলো আইপিএলের সফলতম ফ্র্যাঞ্চাইজিটি!
আইপিএলের বাকি অংশের জন্য চেন্নাইয়ে যোগ দিয়েছেন ইংলিশ পেসার রিচার্ড গ্লিসন। প্রথমবারের মতো আইপিএলে খেলবেন তিনি। নিউজিল্যান্ডের ওপেনার ডেভন কনওয়ের বদলি হিসেবে তাকে দলে নেওয়ার কথা জানিয়েছে এম এস ধোনির দল।
বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় এই ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্টের শুরু থেকেই কিউই ওপেনারকে নিয়ে শঙ্কা ছিল। বাঁ-পায়ের চোটে এবার পুরো আসর থেকেই ছিটকে গেছেন কনওয়ে। গত ফেব্রুয়ারিতে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজে চোটে পড়েছিলেন তিনি। ধারণা করা হচ্ছিল, মে’র মাঝামাঝিতে ফিরতে পারেন কনওয়ে। তবে তা আর হচ্ছে না। আর ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নদের লাইনআপ যথেষ্ট শক্তিশালী বিবেচনায় পেসার গ্লিসনকে দিয়ে স্লটটি পূরণ করেছে তারা।
এদিকে জিম্বাবুয়ে সিরিজের জন্য মে’র প্রথম সপ্তাহে দেশে ফিরবেন দ্য ফিজ। তাকে ১ মে পর্যন্ত এনওসি (অনাপত্তিপত্র) দিয়েছিল বিসিবি। তাই নিশ্চিতভাবেই তাকে এবারের আইপিএলে আর পাচ্ছে না চেন্নাই। চলতি আইপিএলে এখন পর্যন্ত পাঁচ ম্যাচে ১০ উইকেট শিকার করেছেন ফিজ। এতে টুর্নামেন্টের সেরা উইকেট শিকারির তালিকাতেও আছেন তিনি।
কনওয়ের পরিবর্তে ৫০ লাখ রুপি ভিত্তিমূল্যে গ্লিসনকে দলভুক্ত করেছে চেন্নাই। ইংলিশদের হয়ে টি-টোয়েন্টি খেললেও এখনও এই পেসারের টেস্ট-ওয়ানডে খেলা হয়নি।
৬টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচে ২০ দশমিক ৭৮ গড় ও ৮ দশমিক ৯ ইকোনমিতে ৯ উইকেট শিকার করেছেন ৩৬ বছর বয়সী পেসার। ভারতের বিপক্ষে নিজের অভিষেকে রোহিত শর্মা, বিরাট কোহলি ও রিশাভ পান্তের উইকেট শিকার করেছিলেন গ্লিসন।
বিশ্বব্যাপী ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগে খেলেছেন ডানহাতি এই পেসার। টি-টোয়েন্টিতে পাঁচ উইকেটসহ ১০০-এর বেশি উইকেট শিকার করেছেন তিনি। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটেও দুর্দান্ত রেকর্ডের মালিক এই পেসার। ৩৪টি প্রথম শ্রেণির ম্যাচে ১৪৩ উইকেট রয়েছে গ্লিসনের।
মুস্তাফিজ চেন্নাই সুপার কিংস আইপিএল
মন্তব্য করুন
চলছে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের ১৭তম আসর। যেখানে খুব একটা ভালো অবস্থানে নেই রয়েল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু। তবে দল হারলেও ব্যাট হাতে চার-ছক্কার ঝড় তুলে যাচ্ছেন সাবেক অধিনায়ক ভিরাট কোহলি।
কোহলি সচরাচর তিনে ব্যাট করতে নামলেও এবার অবশ্য নতুন পজিশনে দেখা গেছে তাকে। এবার দলের হয়ে ওপেনিং করছেন তিনি। যেখানে বেশ ভালোভাবেই নতুন দায়িত্বেও জ্বলে উঠেছেন কোহলি। আর তাই এবার টি-২০ বিশ্বকাপেও কোহলিকে দিয়ে ওপেন করানোর কথা ভাবছেন নির্বাচকরা।
এমন তথ্য জানিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে ভারতের জনপ্রিয় সংবাদ মাধ্যম দৈনিক জাগরণ। তারা জানিয়েছে, রোহিত শর্মার সঙ্গে ওপেনিংয়ে কোহলিকে চান ভারতের নির্বাচকরা।
চলতি আসরে ৭ ম্যাচ খেলে ১ সেঞ্চুরি ও ২ অর্ধশতকে ৭৯.৩৪ গড়ে ৩৬১ রান করেছেন তিনি। স্ট্রাইক রেটও ১৪৭.৩৪। তারপরও ভারতের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দলে কোহলির জায়গা হবে কিনা তা নিয়ে শঙ্কা কাটছে না।
আইপিএলে বিরাট কোহলি প্রায় প্রতি ম্যাচেই রান করলেও হেরেই চলেছে তার দল বেঙ্গালুরু। শতক হাঁকিয়েও স্ট্রাইক রেটের জন্য তিরস্কার শুনতে হয়েছে এই কিংবদন্তিকে। জুনে শুরু হতে যাওয়া টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে কোহলির জায়গাটা অনিশ্চিত হওয়ার পেছনে স্ট্রাইকরেটকেই দায়ী করছেন বিশ্লেষকরা।
তবে জাগরণের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ব্যাক আপ ওপেনার হিসেবে বিশ্বকাপে যেতে পারেন শুভমান গিল। এদিকে কোহলি ওপেনিং করলে তিনে দেখা যেতে পারে সূর্যকুমার যাদবকে।
‘মিডল অর্ডারে বিবেচনা করা হতে পারে রিঙ্কু সিং, রাইয়ান পরাগ কিংবা শিভাম দুবেদের। জায়গা নড়বড়ে হয়ে আছে অলরাউন্ডার হার্দিক পান্ডিয়ার। পুরো দমে বোলিং করতে পারলেই কেবল তাকে বিশ্বকাপে নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন নির্বাচকরা।’
আইপিএলে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর হয়ে নিয়মিতই ইনিংসের উদ্বোধন করেন কোহলি। তবে জাতীয় দলে তার পছন্দের জায়গা তিন বা চার নম্বরে। ২০০৮ সালে ওপেনার হিসেবেই শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ওয়ানডে অভিষেক হয় কোহলির।
এরপর সময়ের সঙ্গে নিজেকে তিন নম্বরে থিতু করেন বিরাট। অথচ ওপেনার হিসেবেও রেকর্ড দুর্দান্ত তার। ৯টি টি-টোয়েন্টিতে ওপেনার হিসেবে নেমে ৫৭ গড়ে ৪০০ রান করেছেন তিনি। যা তার ক্যারিয়ার গড়ের চেয়ে (৫১) বেশি। ওপেনার হিসেবে স্ট্রাইকরেট ১৬১, অথচ তিন নম্বরে তার স্ট্রাইকরেট মাত্র ১৩৮!
বর্তমান অধিনায়ক রোহিত শর্মার সঙ্গে একবারই ওপেনিং করেছিলেন কোহলি। সেই ম্যাচে কোহলির ৫২ বলে ৯৪ রানে ভর করে ভারত ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ২২৪ রান তোলে। সেদিন ভারত প্রথম ৯ ওভারে তোলে ৯৪ রান।
তাই বিশ্বকাপের জন্য রোহিতের পার্টনার হিসেবে কোহলিকে বিচার করা হচ্ছে। সে লক্ষ্যে গত সপ্তাহে মুম্বাইয়ে রোহিত, রাহুল দ্রাবিড় এবং প্রধান নির্বাচক অজিত আগারকার বৈঠকও করেছেন। এমনটাই দাবি জাগরণের।
তবে এই বৈঠকের কথা অস্বীকার করেছেন ভারতীয় অধিনায়ক রোহিত শর্মা। তিনি বলেছেন, আমি কারও সঙ্গে দেখা করিনি। অজিত আগরকার দুবাইয়ের কোথাও একটা গলফ খেলছে এবং রাহুল দ্রাবিড় বেঙ্গালুরুতে বসে তার বাচ্চাদের খেলা দেখছে। দ্রাবিড় মুম্বাইয়ে এসেছিল।
‘কারণ, সে তার ছেলেকে সিসিআই-এ লাল মাটির উইকেটে খেলতে নিয়ে এসেছিল। সত্যি বলতে, আমাদের দেখা হয়নি। আমরা কোনও বৈঠকও করিনি।’
তিনি আরও বলেন, আজকের দিনে দাঁড়িয়ে যতক্ষণ না আমি, রাহুল, অজিত বা বিসিসিআই-এর কেউ এসে ক্যামেরার সামনে কোনও কথা বলছে, তার আগে পর্যন্ত কোনও খবরের বিশ্বাসযোগ্যতা নেই। সবটাই ভুয়ো।
ভিরাট কোহলি টি-২০ বিশ্বকাপ ব্যাঙ্গালুরু আইপিএল
মন্তব্য করুন
আগামী মে মাসের শেষের দিকে বাংলাদেশে আসার কথা ছিল আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপজয়ী ফুটবলার আনহেল ডি মারিয়ার। তবে ভারতের নির্বাচনের কারণে পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে সেই সফর। নতুন করে মাস দুয়েক পর আগামী জুলাইয়ের শেষ অথবা আগস্টের প্রথম সপ্তাহে বাংলাদেশ সফরে আসতে পারেন এই আর্জেন্টাইন তারকা।
বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ে ক্রীড়ামন্ত্রী নাজমুল হাসান পাপনের সঙ্গে সৌজন্যে সাক্ষাতের পর ভারতীয় ক্রীড়া উদ্যোক্তা শতদ্রু দত্ত এমন তথ্য জানান।
ডি মারিয়ার সফর পেছানোর কারণ নিয়ে শতদ্রু বলেন, ‘বাংলাদেশের পাশাপাশি ভারতেও আসার কথা ছিল। ভারতে ওই সময় নির্বাচন, তাই বাংলাদেশের সফরটিও পিছিয়েছে।’ নতুন সময় জুলাইয়ের শেষ সপ্তাহে প্যারিস অলিম্পিক শুরু হবে। তবে সেই সময় সফর আদৌ সম্ভব কিনা এই প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘ওই সময়টি তিনিই দিয়েছেন। আমি যতটুকু জানি সে কোপা খেলবে, এরপর অবসর নেওয়ার কথা।’
আগস্ট মাস বাংলাদেশের শোকের। তাই যুব ও ক্রীড়ামন্ত্রী নাজমুল হাসান জুলাইয়ের শেষ সপ্তাহে আনার অনুরোধ করেছেন। শতদ্রু সেই চেষ্টা করবেন বলেও জানিয়েছেন, ‘আগস্ট বাংলাদেশের শোকের মাস। মন্ত্রী বিষয়টি জানিয়েছেন। জুলাইয়ের শেষ সপ্তাহে আনতে সমস্যা হবে না মনে করি।’
ভারতীয় এই ক্রীড়া উদ্যোক্তা গত বছর আর্জেন্টিনার গোলরক্ষক এমিলিয়ানো মার্টিনেজ ও ব্রাজিল কিংবদন্তি রোনালদিনহোকে এনেছিলেন। দুটি সফরই ছিল অব্যবস্থাপনায় ভরপুর ও নানা প্রশ্নবিদ্ধ। এবার সেই রকম না হওয়ার অঙ্গীকারও শোনা গেল শতদ্রু দত্তের কণ্ঠে, ‘এবার ফুটবলার ও মিডিয়া সবার জন্য আলাদা ব্যবস্থা থাকবে। অনুষ্ঠান থাকবে দর্শকদের জন্যও।’
ডি মারিয়া আর্জেন্টিনা খেলাধুলা
মন্তব্য করুন
আর মাত্র কিছুদিন পরেই স্বপ্নের শহর প্যারিসে বসতে যাচ্ছে ২০২৪ বিশ্ব অলিম্পিকের আসর। ইতোমধ্যেই শুরু হয়েছে ১০০ দিনের ‘ক্ষণগণনা’। আর এবার অলিম্পিকের জন্য নতুন রূপে সাজতে শুরু করেছে সাহিত্য, সংস্কৃতি আর ঐতিহ্যের শহর প্যারিস। আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দুতে থাকছে ঐতিহাসিক আইফেল টাওয়ার। শুধু তাই নয়, মেগা এই ইভেন্টকে সামনে রেখে সংস্কার চলছে নটরডেম ক্যাথেড্রালের।
অলিম্পিককে সামনে রেখে এরই মধ্যে নতুন রূপে সাজতে শুরু করেছে পুরনো ঐতিহ্যবাহী এই শহর। মেগা ইভেন্টের আয়োজন থাকছে স্মৃতিস্তম্ভগুলোতে। আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দুতে থাকছে ঐতিহাসিক আইফেল টাওয়ারও। সাইক্লিং, অ্যাথলেটিক্স ও তীরন্দাজের মতো আয়োজন থাকছে হোটেল ডেস ইনভালাইডসে।
১৬৮৭ সালে নির্মিত এই হোটেলটি একসময় ব্যবহৃত হতো সামরিক হাসপাতাল ও যুদ্ধের প্রবীণ সৈনিকদের অবসর কাটানোর জন্য। ফরাসী বিপ্লবের নায়ক সম্রাট নেপোলিয়ন বেনাপোর্টের সমাধিও রয়েছে এই স্থানটিতে। সেইন নদীর অপর প্রান্তে, উনিশ শতকে নির্মিত গ্র্যান্ড প্যালেসে উপভোগ করা যাবে তায়কোয়ান্দো ইভেন্ট। অলিম্পিককে সামনে রেখে সংস্কার চলছে ২০১৯ সালে অগ্নিকান্ডে ক্ষতিগ্রস্ত নটরডেম ক্যাথেড্রালের। কিছুদিনের মধ্যেই এর দরজা আবারো খুলে যাবে পর্যটকদের জন্য।
দ্যা গ্রেটেস্ট ক্রীড়া ইভেন্ট অলিম্পিক ও প্যারা অলিম্পিক মিলিয়ে ৫টি মহাদেশের প্রায় ১৫ হাজার ক্রীড়াবিদ একত্রিত হবেন প্যারিসে। শহরটিতে বসবাস রয়েছে প্রায় ২১ লাখ মানুষের। সব মিলিয়ে পর্যটনসমাগমে ভরে উঠবে প্যারিস শহর এমনটিই আশা করা হচ্ছে।
প্যারিস নটরডেম ক্যাথেড্রাল অলিম্পিক
মন্তব্য করুন
চলমান আইপিএলে দল পাওয়া নিয়ে ছিল শঙ্কা। পরবর্তীতে বিকল্প হিসেবে দল পেলেও একাদশে সুযোগ পাওয়ার সম্ভাবনা ছিল কম। তবে পাথিরানার ইঞ্জুরি যেন ভাগ্যের চাকা ঘোরায় বাংলাদেশের কাটার মাস্টার মুস্তাফিজুর রহমানের। একাদশে সুযোগ পেয়েই চলতি আসরের শুরু থেকেই বল হাতে দ্যুতি ছড়াচ্ছেন দ্য ফিজ। তারই ধারাবাহিকতায় এবারের আসরে সর্বোচ্চ উইকেট শিকারীর তালিকাতেও শীর্ষের দিকে রয়েছেন তিনি। এখন পর্যন্ত ৫ ম্যাচ খেলে ১০ উইকেট শিকার করেছেন তিনি।
মুস্তাফিজকে আইপিএল খেলার জন্য বিসিবি থেকে ছুটি দেওয়া হয়েছিল ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত। তবে পরে আরও একদিন বাড়িয়ে সেই ছুটি করা হয় ১ মে পর্যন্ত। অর্থাৎ আগামী ২ মে জিম্বাবুয়ে সিরিজের জন্য দেশে ফিরবেন কাটার মাস্টার। তবে বিশ্বকাপের প্রস্তুতিতে খর্বশক্তির জিম্বাবুয়ে নাকি আইপিএল ভালো- এ নিয়ে নেট দুনিয়ায় চলছে বিতর্ক।
আগেভাগে চলে আসায় অনেক ক্রিকেটভক্তের মনেই প্রশ্ন, অর্ধেক আইপিএল খেলে কত টাকা পাবেন মুস্তাফিজ। এই টাইগার পেসার যত টাকাই পান না কেন, আইপিএলের পুরো মৌসুম খেলতে না পারায় আর্থিকভাবে বড় ক্ষতির মুখে পড়বেন তিনি।
এবারের আইপিএলে ভিত্তিমূল্য দুই কোটি রুপিতে মুস্তাফিজকে দলে ভেড়ায় চেন্নাই সুপার কিংস। চলমান ১৭তম আসরে বাংলাদেশের একমাত্র প্রতিনিধি তিনি। আর চেন্নাইয়ের জার্সিতে তিনি রয়েছেন দুর্দান্ত ফর্মে। ৫ ম্যাচে শিকার করেছেন ১০ উইকেট। সর্বোচ্চ উইকেট শিকারির তালিকায় রয়েছেন ৩ নম্বরে।
এমন দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের পরও বাঁহাতি এ টাইগার পেসারকে ফিরতে হচ্ছে দেশে। আগামী ১ মে পর্যন্ত তাকে আইপিএলে খেলার অনুমতি দিয়েছে বিসিবি। তাকে দ্রুত ফেরানোর উদ্দেশ্যে হচ্ছে ঘরের মাঠে আসন্ন জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টি-২০ সিরিজ।
পুরো মৌসুমে না খেলায় স্বাভাবিকভাবেই নিলামের পুরো টাকা পাবেন না টাইগার পেসার। আইপিএলের পারিশ্রমিকের নিয়ম অনুযায়ী গ্রুপ পর্বের ১৪টি ম্যাচ খেলার মতো অবস্থায় থাকলে পুরো টাকাটাই পেতেন তিনি। আর ম্যাচ কম খেললে আনুপাতিক হারে পাবেন পারিশ্রমিক।
সেই হারে প্রতি ম্যাচে মুস্তাফিজ ১৮ লাখ ৭২ হাজার টাকার কিছু বেশি পারিশ্রমিক পাচ্ছেন। একই সঙ্গে দৈনিক ভাতা, ব্যক্তিগত ম্যাচসেরার পুরস্কার, উইনিং বোনাসসহ আইপিএলে আরো অর্থ আয়ের উৎস রয়েছে। গ্রুপপর্বের শেষ চার ম্যাচ খেলতে না পারায় এক কোটি ২৮ লাখের কিছু বেশি অর্থ পাবেন দ্য ফিজ।
অর্থ্যাৎ এবারের আইপিএল থেকে ভিত্তিমূল্য ২ কোটি রুপি থেকে প্রায় ৭২ লাখ রুপি পাবেন না মুস্তাফিজ। এ সময়টায় জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজের ৫ ম্যাচ খেললে তার আয় হবে ১২ লাখ ৫০ হাজার টাকা, যা আইপিএলের এক ম্যাচের চেয়েও অনেক কম।
মুস্তাফিজ চেন্নাই সুপার কিংস আইপিএল
মন্তব্য করুন
আর মাত্র কিছুদিন পরেই স্বপ্নের শহর প্যারিসে বসতে যাচ্ছে ২০২৪ বিশ্ব অলিম্পিকের আসর। ইতোমধ্যেই শুরু হয়েছে ১০০ দিনের ‘ক্ষণগণনা’। আর এবার অলিম্পিকের জন্য নতুন রূপে সাজতে শুরু করেছে সাহিত্য, সংস্কৃতি আর ঐতিহ্যের শহর প্যারিস। আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দুতে থাকছে ঐতিহাসিক আইফেল টাওয়ার। শুধু তাই নয়, মেগা এই ইভেন্টকে সামনে রেখে সংস্কার চলছে নটরডেম ক্যাথেড্রালের।
চলমান আইপিএলে দল পাওয়া নিয়ে ছিল শঙ্কা। পরবর্তীতে বিকল্প হিসেবে দল পেলেও একাদশে সুযোগ পাওয়ার সম্ভাবনা ছিল কম। তবে পাথিরানার ইঞ্জুরি যেন ভাগ্যের চাকা ঘোরায় বাংলাদেশের কাটার মাস্টার মুস্তাফিজুর রহমানের। একাদশে সুযোগ পেয়েই চলতি আসরের শুরু থেকেই বল হাতে দ্যুতি ছড়াচ্ছেন দ্য ফিজ। তারই ধারাবাহিকতায় এবারের আসরে সর্বোচ্চ উইকেট শিকারীর তালিকাতেও শীর্ষের দিকে রয়েছেন তিনি। এখন পর্যন্ত ৫ ম্যাচ খেলে ১০ উইকেট শিকার করেছেন তিনি।