ইনসাইড গ্রাউন্ড

পাল্টা জবাব পাকিস্তানের

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৯:২২ পিএম, ১২ জুন, ২০১৯


Thumbnail

চাপ সামলিয়ে ঘুরে দাঁড়াচ্ছে পাকিস্তান। শুরুতে দুই উইকেট হারালেও মোহাম্মাদ হাফিজ আর ইমাম উল হকের ব্যাটে চড়ে প্রতিরোধ গড়ে তুলছে পাকিস্তান।

দুজনেই রয়েছে অর্ধশতক পূর্ণ করার অপেক্ষায়। আর ম্যাচ জিততে পাকিস্তানের প্রয়োজন ১৮২ রান ২৭ ওভারে।

এর আগে......  

শুরুতেই ধাক্কা খেল পাকিস্তান

দ্বিতীয় ওভারে মিশেল স্টার্কের গতির মুখে রান নিতেই পারেনি পাক ব্যাটসম্যানরা। সেই চাপ সামলাতেই কিনা প্যাট ক্যামিন্সের বলে মারতে গিয়েছিলেন ফাখার জামান। কিন্তু শেষমেশ নিজের উইকেট বিলিয়ে ধরতে হল প্যাভিলিয়নের পথ।

৩০৮ রানের টার্গেটে খেলতে নেমে উইকেট হারিয়ে তাই চাপটা বর্তমানে পাকিস্তানের উপরে। ক্রিজে এসেছে বাবর আজম।

স্কোরবোর্ড

পাকিস্তান  ১২৬/২

ওভার ২৩

আমির তাণ্ডবে পাকিস্তানের লক্ষ্য ৩০৮

মিডল অর্ডার শুধু স্বাভাবিক খেলাটা খেলতে পারলেই স্কোরবোর্ডটা হতো অন্যরকম। তবে ওয়ার্নারের বিদায় আর শেষের দিকে আমির-হাসানের লাইন টু লাইন বল অজিদের চাপে রেখছে ভীষণভাবে। তাই তো যেখানে একটা সময় মনে হচ্ছিলো রান হবে অন্তত ৩৫০,সেখানে রান হল মাত্র ৩০৭! সাথে ৫০ ওভারের পুরোটা  খেলতেই পারলো না অজিরা।    

ম্যাচের পুরোটা সময় কৃপণ বোলিংয়ের সাথে গতির তাণ্ডব চালিয়েছে পাক বোলার আমির। আজকের ম্যাচে পাঁচ উইকেট নিয়ে এই বিশ্বকাপের সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি বর্তমানে মোহাম্মাদ আমির। আজকের ম্যাচে দশ ওভারে রান খরচ করেছে মাত্র ৩০! গড় ৩.০০।  

 ‘আগ্রাসী’ উদযাপনের পর সাজঘরে ওয়ার্নার

নিজের শতক পূর্ণ করার পর বেশিক্ষণ স্থায়ী হতে পারেননি মাঠে। শাহিন আফ্রিদির বলেই সাজঘরে ফিরতে হয় ওয়ার্নারকে। ১১১ বলে ১০৭ রানের ইনিংসে ছয় ছিল একটি,চার ১১ টি। তাকে ফিরিয়ে শাহিন আফ্রিদি নিজের দ্বিতীয় উইকেট পুর্ণ করলেন।

স্মিথ ক্রিজে এসে স্থায়ী হতে পারেননি বেশিক্ষণ। হাফিজের বলে মাত্র ২০ রান করে সাজঘরে ফেরেন তিনি। তারপর ম্যাক্সওয়েল ক্রিজে আসলে তিনিও ব্যর্থ হন ওয়ার্নারকে সঙ্গ দিতে। শাহিনের বলে ক্লিন বোল্ড আউট হন এই অলরাউন্ডার। তবে সতীর্থদের আসা যাওয়ার মিছিলেও এক প্রান্তে অবিচল ডেভিড ওয়ার্নার।

নিজের শতক তুলে নিয়েছেন ১০১ বলে। উদযাপনটাও ছিল আগ্রাসী,কেন করবেন না? এক বছরের নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে ফেরার জন্য পোড়াতে হয়নি কম কাঠ-খড়। নিজের ক্যারিয়ারের ১৫তম শতক এটি।

পাকিস্তানের প্রথম সাফল্য  

অবশেষে সাফল্যটা আসলো আমিরের হাত ধরে। অজি অধিনায়ক ফিঞ্চকে ফেরালেন সাজঘরে। পাকিস্তান পেল প্রথম ব্রেকথ্রু।

আউট হওয়ার আগে বিপদজনক হয়ে উঠেছিল অ্যারোন ফিঞ্চ। ফিফটি তুলতে সময় নিলেও তারপরেই বেরিয়ে আসছিলেন খোলস থেকে।

চার ম্যাচে তিন

অধিনায়ক ফিঞ্চের পথ অনুসরণ করে অর্ধশতক তুলে নিলেন ওয়ার্নার। ৫১ বলে ৬ চারের মাধ্যমে নিজের অর্ধশতক পূর্ন করেন তিনি। বিশ্বকাপের চার ম্যাচে এটি তার তৃতীয় হাফ সেঞ্চুরি।

নতুন জীবন পেয়ে ফিঞ্চের অর্ধশতক

ইনিংসের ১৩তম ওভারে উইকেট পাওয়ার জন্য যতটুক ভালো ডেলিভারির প্রয়োজন ওয়াহাব রিয়াজ ঠিক ততটুকুই দিয়েছিলেন,স্লিপে দাঁড়ানো আসিফ আলী এমন মিস করলেন যে খোদ রিকি পন্টিং ও কমেন্ট্রি বক্সে বসে আফসোস না করে পারলেন না। এমন ক্যাচও কেউ ছাড়ে? তাও যদি হয় বিপক্ষ দলের অধিনায়ক।  

এমন জীবন পাওয়ার পরে কেউ কি আর ফিরে তাকায়? ধীরগতির ইনিংসে ৬৩ বলে পূর্ণ করেন অর্ধশতক। আজকে ফিঞ্চের বড় ইনিংস হয়তো আফসোসে পোড়াবে আসিফ আলীকে,তবে কি আর করার। আফসোস করে তো পিছনে যাওয়া যায় না। 

ফিঞ্চ-ওয়ার্নারে স্থিতিশীল শুরু অজিদের  

পাওয়ারপ্লের দশ ওভারে পাকিস্তান ব্যবহার করেছে চার পেসার। এর মধ্যে আমির বাদে কেউই তেমন ভোগাতে পারেনি ওয়ার্নার-ফিঞ্চকে। ওয়ার্নার বিশ্বকাপে নিজের ৫০০ রান পূর্ণ করেছে ইনিংসের প্রথম দিকেই। পড়ে দুই অজি ওপেনারই ধীরে-সাবধানে খেলেছে পাক বোলারদের। এর মধ্যে আজকে সুযোগ পাওয়া শাহিন আফ্রিদি ছিলেন ব্যয়বহুল। দুই ওভারে ২৪ রান দেয়ার পড়ে অধিনায়ক সরফরাজ আনেননি আর বল করাতে।

সবুজ উইকেটে বাদ পড়েছে স্পিনাররা 

টনটনের উইকেটে রয়েছে ঘাস। এই পিচে পেসাররা পাবে এক্সট্রা বাউন্স এবং গতি। এই জেনেই দুই দল তাদের লেগস্পিনারদের বসিয়ে দলে নিয়েছে একটা করে বাড়তি পেসার। পাকিস্তানের রিস্ট স্পিনার সাদাব খানকে বসিয়ে তরুণ গতিতারকা শাহিন আফ্রিদি সুযোগ পেয়েছে একাদশে।

অজিদের একমাত্র লেগি এডাম জাম্পাকেও রাখা হয়েছে দলের বাইরে। আগের ম্যাচে ভারতের বিপক্ষে সুবিধা করতে না পারা এবং সবুজ উইকেটে পেসারদের সুবিধার কথা চিন্তা করেই এমন বদল এনেছে অস্ট্রেলিয়া। অজিদের অন্য বদলটা হয়েছে ইনজুরির কারণে। স্টয়নিসের ইনজুরিতে দলে এসেছে শন মার্শ।   

স্কোরবোর্ড

অস্ট্রেলিয়া  ৩০৭/১০

ওভার ৫০  

বাংলা ইনসাইডার/এসএম 

 



মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

আইপিএলে সর্বোচ্চ উইকেট শিকারী ‍মুস্তাফিজ, জানালেন নিজের অনুভূতি

প্রকাশ: ১১:২২ এএম, ৩০ মার্চ, ২০২৪


Thumbnail

বিকল্প হিসেবে দলে ভিড়লেও এবারের আইপিএলের চলতি আসরের শুরুটা হয়েছে স্বপ্নের মতো। চেন্নাইয়ের জার্সিতে অভিষেকের ম্যাচেই বেঙ্গালুরুর বিপক্ষে প্রথম ম্যাচেই চার উইকেট নিয়ে দিয়েছেন সামর্থ্যের প্রমাণ, জিতেছেন ম্যাচসেরার পুরস্কার। এরপর দ্বিতীয় ম্যাচেও বল হাতে দুই উইকেট শিকার করেন তিনি। এতে ৬ উইকেট নিয়ে এখন পর্যন্ত টুর্নামেন্টের সেরা উইকেট শিকারি কাটারি মাস্টার। এজন্য পেয়েছেন আইপিএলের পার্পল ক্যাপ।

এবার সেই পার্পল ক্যাপ নিয়ে নিজের অনুভূতি জানিয়েছেন মুস্তাফিজ। শুক্রবার নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে আইপিএলের ঐতিহ্যবাহী পার্পল ক্যাপ মাথায় নিয়ে প্রথমবারের মতো খেলার পর অনুভূতির কথা জানিয়ে ফিজ লিখেন, ‘পার্পল ক্যাপ পরে খেলতে সত্যিই দারুণ লাগে। সতীর্থ ও ভক্তদের ভালোবাসায় আমি অভিভূত। এটা একটা বিশেষ অনুভূতি যা আমি ভাষায় প্রকাশ করতে পারব না। এটা লম্বা সময় নিজের কাছে ধরে রাখব। আপনাদের সমর্থন ও ভালোবাসার জন্য ধন্যবাদ, চির কৃতজ্ঞ।’

উল্লেখ্য, আইপিএলের সব দলের একটি করে ম্যাচ খেলা হয়েছে। অধিকাংশ দলই দুইটি করে ম্যাচ খেলেছে। আসরে এই পর্যন্ত উইকেট শিকারের দিক থেকে সবচেয়ে এগিয়ে আছেন মুস্তাফিজ। ৬ উইকেট নেয়া এই পেসারের গড় ৯.৮৩। ধরে রেখেছেন পার্পল ক্যাপ।

আইপিএলের বিশেষ এই ক্যাপের লড়াইয়ে ফিজের পরে আছেন কলকাতার হর্ষিত রানা। ৫টি উইকেট নিয়েছেন কলকাতা নাইট রাইডার্সের এই পেসার। এছাড়া ৪ উইকেট নিয়ে তালিকার তৃতীয় স্থান দখলে রেখেছেন আন্দ্রে রাসেল।


মুস্তাফিজ   চেন্নাই সুপার কিংস   আইপিএল  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

দুই স্প্যানিশ সাংবাদিকের বিরুদ্ধে বার্সা কোচ জাভির মামলা

প্রকাশ: ১১:০৩ এএম, ৩০ মার্চ, ২০২৪


Thumbnail

সম্প্রতি সময়ে স্প্যানিশ ফুটবল পাড়ার বড় গুঞ্জন বার্সালোনা ছাড়ছেন কোচ জাভি হার্নান্দেজ। ইতোমধ্যে এ নিয়ে বেশ তোলপাড় চলছে। সেই সাথে তিনি গেলে কে হবেন তার উত্তরসূরী সে নিয়েও চলছে জল্পনা-কল্পনা। তবে এরই মাঝে আরও এক কারণে সমালোচনায় এসেছেন জাভি। সাম্প্রতিক সময়ে নানা ধরণের ভুল তথ্য ছড়ানোর অভিযোগে দুই স্প্যানিশ সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন তিনি। খবর মাদ্রিদ ভিত্তিক সংবাদমাধ্যম মার্কার।

যে দুজন সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন জাভি, তারা হলেন-স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যম এল পাইসের সাংবাদিক ম্যানুয়েল হাবোইস এবং ফ্রিল্যান্সার সাংবাদিক হাভিয়ের মিগুয়েলক। তাদের দুজনকেই আইনি নোটিশ দিয়েছেন বার্সা কোচ।

সম্প্রতি রেডিও শো ‘এল লার্গেরো’তে হাবোইস দাবি করেন, জাভির সমালোচনা করে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করায় তাকে অপমান করেন জাভি।

তাকে দেওয়া বার্তাগুলো অনৈতিক এবং আচরণ ছিল অপমানজনক ছিল জানিয়ে সেই সাংবাদিক বলেন, ‘জাভি আমাকে কিছু বার্তা দিয়েছিল, কি সেগুলো আমি বলবো না কারণ এগুলো খুবই ব্যক্তিগত এবং কিছুটা নোংরা ছিল। আমি সেগুলো সবার সামনে বলতে পারবো না।’

সেই রেডিও শোতে জাভির সমালোচনা করে সেই হাবোইস বার্সেলোনাকে ‘চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ভাঁড়’ হিসেবে আখ্যা দিয়েছিলেন। নাপোলির বিপক্ষে জয়ের পর, সংবাদ সম্মেলনে এই সমালোচনার বিষয়গুলো তুলে ধরেছিলেন জাভি। তাকে মিডিয়ায় অন্যায্যভাবে চিত্রায়ন করা হচ্ছে বলে দাবি করেছিলেন এবং এ নিয়ে তখন অসন্তোষও প্রকাশ করেছিলেন।

এই মামলায় জাভিকে পূর্ণ সমর্থন দিচ্ছে তার ক্লাব বার্সেলোনা। ক্লাবটি বিশ্বাস করে জাভি সেই সাংবাদিকদের সঙ্গে কোনো ধরণের যোগাযোগ করেননি। তবে পরে হাবোইস স্বীকার করেছেন যে জাভি সরাসরি তার সঙ্গে যোগাযোগ করেননি, তবে তিনি এটা তৃতীয় পক্ষের মাধ্যমে করেছিলেন। এরপরই তার বিরুদ্ধে একটি মামলা করেছেন জাভি।


বার্সালোনা   চ্যাম্পিয়ন্স লিগ   জাভি হার্নান্দেজ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

সিরিজ সমতায় ফিরতে ফিল্ডিংয়ে বাংলাদেশ

প্রকাশ: ০৯:৪৩ এএম, ৩০ মার্চ, ২০২৪


Thumbnail

টি-টোয়েন্টিতে ধাক্কার পর ওয়ানডেতে ভালোভাবে ঘুরে দাঁড়ালেও সিলেট টেস্টে শ্রীলংকার বিপক্ষে পাত্তাই পায়নি বাংলাদেশ দল। তাই এবার স্বাভাবিকভাবেই টাইগারদের চোখ এখন সিরিজ সমতায়। অন্যদিকে দ্বিতীয় টেস্ট জিতে সিরিজ শিরোপা ঘরে তুলতে মুখিয়ে লঙ্কানরা।

এমন পরিস্থিতে শনিবার টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন শ্রীলংকা দলপতি ধনঞ্জয়া ডি সিলভা। এতে আগে ফিল্ডিং করবে স্বাগতিক বাংলাদেশ। চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরি স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ-শ্রীলংকা। ম্যাচটি শুরু হবে সকাল ১০টায়।

এই ম্যাচে দুই পরিবর্তন নিয়ে মাঠে নামবে বাংলাদেশ। দলে ফিরেছেন সাকিব আল হাসান ও অভিষেক হয়েছে হাসান মাহমুদের। দল থেকে বাদ পড়েছেন শরিফুল ইসলাম ও নাহিদ রানা।

অপরদিকে একাদশে এক পরিবর্তন এনেছে শ্রীলংকা। ইনজুরিতে ছিটকে যাওয়া কাসুন রাজিথার পরিবর্তে দলে এসেছেন আসিথা ফার্নান্দো।


শ্রীলংকা   বাংলাদেশ   টেস্ট ক্রিকেট  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

ব্যাঙ্গালুরুকে হারিয়ে কলকাতার দাপুটে জয়

প্রকাশ: ০৮:৫২ এএম, ৩০ মার্চ, ২০২৪


Thumbnail

বরাবরের মতোই নিজের ব্যাটিং নৈপুণ্যে দারুণ ইনিংস খেলে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরুকে ভালো সংগ্রহ এনে দেন বিরাট কোহলি। জবাব দিতে নেমে সল্ট-নারিনের দারুণ শুরুর পর ফিফটি হাঁকান ভেঙ্কাটেশ আইয়ার। সঙ্গে শ্রেয়াসের প্রচেষ্টায় আসরে দ্বিতীয় জয় তুলে নেয় কলকাতা নাইট রাইডার্স।

ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) দশম ম্যাচে কলকাতার জয় ৭ উইকেটে। বেঙ্গালুরুতে টস জিতে স্বাগতিকদের ব্যাটিংয়ে পাঠায় দলটি। আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৮২ রান সংগ্রহ করে বিরাট কোহলির দল। জবাবে ১৯ বল হাতে রেখেই লক্ষ্য তাড়া করে ফেলে কলকাতা।  

আগে ব্যাট করতে নামা বেঙ্গালুরু শুরুতেই হারায় ফাফ ডু প্লেসিকে। ৮ রানে অধিনায়কের বিদায়ের পর বিরাট কোহলির সঙ্গে দারুণ এক জুটি গড়েন ক্যামেরুন গ্রিন। তাদের ৪২ বলে ৬৫ রানের জুটিটি ভেঙে দেন আন্দ্রে রাসেল। ২১ বলে ৩৩ রান করে বিদায় নেন গ্রিন। চারে নামা গ্লেন ম্যাক্সওয়েলও জ্বলে উঠতে পারেননি। ১৯ বলে ২৮ রান করেন তিনি।  

বাকিদের আসা যাওয়ার মাঝে লড়ে গেছেন কোহলি। ৩৬ বলে পঞ্চাশ পূর্ণ করেন তিনি। অপরপ্রান্তে দিনেশ কার্তিক এসে ক্যামিও ইনিংস খেলে দলকে এনে দেন ভালো সংগ্রহ। ৮ বলে ৩ ছক্কায় ২০ রান করে বিদায় নেন তিনি। সেঞ্চুরির পথে এগোতে থাকলেও তা পূর্ণ করা হয়নি কোহলির। ৫৯ বলে ৪ চার ও ৪ ছক্কায় ৮৩ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি।  

কলকাতার পক্ষে দুটি করে উইকেট পান হারশিত রানা ও রাসেল। একটি উইকেট নেন সুনিল নারিন।  তবে দুই ম্যাচ শেষেও এখনও উইকেটহীন আইপিএল এর ইতিহাসে সবচেয়ে দামী খেলোয়াড় মিচেল স্টার্ক।


ভিরাট কোহলি   কলকাতা   ব্যাঙ্গালুরু   আইপিএল  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

ক্যারিয়ার শুরু ক্রিকেটার হিসেবে, এখন তিনি এলিট প্যানেলে

প্রকাশ: ০৯:০০ এএম, ৩০ মার্চ, ২০২৪


Thumbnail

শরফুদ্দৌলা ইবনে শহিদ সৈকত, বাইশগজে ক্যারিয়ার শুরু করেন ক্রিকেটার হিসেবে। তবে সেই ক্যারিয়ার খুব একটা বেশি সময় স্থায়ী হয়নি। ইনজুরিতে পড়ে শেষ হয় আইসিসি ট্রফি খেলা এই স্পিনারের ক্যারিয়ার। এরপরই শুরু করেন আম্পায়ারিং। যেখানে বাংলাদেশের হয়ে বেশ কয়েকবার ইতিহাস গড়েছেন সৈকত। তারই ধারাবাহিকতায় এবার আইসিসির এলিট প্যানেলে প্রথম কোন বাংলাদেশি আম্পায়ার হিসেবে জায়গা করে নিয়েছেন তিনি।

বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডকে (বিসিবি) দেওয়া সাক্ষাৎকারে এলিট প্যানেলে জায়গা পাওয়ার ঘটনা জানিয়েছেন সৈকত। সেই সাথে আম্পায়ারিংয়ে ক্যারিয়ার গড়তে ইচ্ছুকদের দিয়েছেন পরামর্শও। এমনকি ক্রিকেট ছেড়ে আম্পায়ারের পেশা বেছে নেওয়ার স্মৃতিচারণও করেছেন সৈকত।

বাবার চাকরিসূত্রে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় স্কুলে পড়েন তিনি। সেখানকার ছাত্র থাকাবস্থায় সৈকত সূর্যতরুণের হয়ে ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগে খেলেন। ১৯৯২ সালে সুযোগ হয় সাফ গেমসের বাংলাদেশ দলে। একপর্যায়ে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দলের অধিনায়কও হন সৈকত। পরে কেনিয়ায় অনুষ্ঠিত ১৯৯৪ আইসিসি ট্রফিতে জায়গা হয় তার।
 
সেখানে দ্বিতীয় রাউন্ডের তিন ম্যাচে ৬ উইকেট শিকার করেন। তবে দেশের হয়ে আন্তর্জাতিক পর্যায়ের কোনো ম্যাচে প্রতিনিধিত্ব করার আগেই ব্যাকপেইন ইনজুরির কারণে ছিটকে পড়েন তিনি।

তাই পরবর্তীতে ক্রিকেট ক্যারিয়ারকে বিদায় জানালেও বাইশগজের মায়া ত্যাগ করতে পারেননি তিনি। বাংলাদেশের প্রতিনিধি হওয়ার অন্য উপায় হিসেবে তিনি বেছে নিয়েছেন আম্পায়ারিংকে। ১৪ বছর পর এলিট প্যানেলে জায়গা পেয়েছেন সৈকত। আর এটাকে ২০২৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপে প্রথম কোনো বাংলাদেশি হিসেবে দায়িত্ব পালনের পুরস্কার বলে মনে করেন তিনি।
 
তিনি বলেন, 'প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে বিশ্বকাপে গিয়েও নার্ভাস ছিলাম না। আমার মনে হয় সেটিরই পুরস্কার আজকের এই অর্জন।’

প্রথম আন্তর্জাতিক ম্যাচ পরিচালনার স্মৃতি নিয়ে সৈকত বলেন, ‘আমার খুব পছন্দের আম্পায়ার ছিল সাইমন টোফেল। তখন আইসিসি আম্পায়ার অব দ্য ইয়ার হন তিনি। শ্রীলঙ্কার সঙ্গে (বাংলাদেশের) ম্যাচটা ছিল ২০১০ সালে, সম্ভবত ৮ জানুয়ারি। মিরপুরে আমার অভিষেক হয় (আম্পায়ারিংয়ে) শ্রীলঙ্কা-বাংলাদেশ-ভারত ত্রিদেশীয় সিরিজে। প্রথম দুইটা ম্যাচেই আমি সাইমন টোফেলের সঙ্গে আম্পায়ারিং করি।’

তিনি আরও বলেন, সেদিন উত্তেজনা কাজ করছিল প্রচুর। আমি যখন প্রথম আম্পায়ারিংয়ে দাঁড়ালাম, তখন দেখলাম বোলার অনেক জোরে বল করছে। ঘরোয়া ক্রিকেটে তো আমি এত জোরে বল ফেস করে অভ্যস্ত না। তাই মানিয়ে নিতে একটু সমস্যা হয়েছিল।’

সৈকতের মতে, বিদেশের চেয়ে দেশের মাটিতে আম্পায়ারিং করা কঠিন। তিনি বলেন, ‘বিদেশে ম্যাচ পরিচালনার চেয়ে দেশে করা অনেক কঠিন। সহজ মনে হলেও এটি কঠিন কাজ, এখানেও উত্থান-পতন আছে।’

সৈকতের এখন পর্যন্ত আন্তর্জাতিক অঙ্গনে পুরুষদের ক্রিকেটে ১০টি টেস্ট, ৬৩ ওয়ানডে এবং ৪৪ টি-টোয়েন্টি ম্যাচে আম্পায়ারিং করার অভিজ্ঞতা আছে। এছাড়া বাংলাদেশি আম্পায়ারিং ইতিহাসে একাধিক কীর্তি গড়া সৈকতের মেয়েদের ক্রিকেটেও ১৩টি ওয়ানডে এবং ২৮টি টি-টোয়েন্টি পরিচালনার রেকর্ড রয়েছে।


শরফুদ্দৌলা ইবনে শহিদ সৈকত   আইসিসি   আম্পায়ার  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন