ইনসাইড গ্রাউন্ড

বিশ্ব কাঁপিয়েও বিশ্বকাপ জোটেনি যাদের

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৯:০০ এএম, ১২ জুলাই, ২০১৯


Thumbnail

যুগে যুগে ক্রিকেট বিশ্ব শাসন করেছে অনেকে। কেউ ব্যাট হাতে, কেউ বল হাতে। কেউ ক্রিকেটকে বিদায় জানিয়েছে সব পেয়ে, কেউ বা বিদায় নিয়েছে খালি হাতে। বিশ্ব কাঁপিয়েও বিশ্বকাপের সান্নিধ্য পায়নি এমনও রয়েছেন অনেক। যাদের ছোঁয়া না পেয়ে অতৃপ্ত খোদ ট্রফি নিজেই।

ক্রিকেটের সর্বোচ্চ সম্মানের এই ট্রফি না পেয়েই ক্রিকেটকে বিদায় জানিয়েছেন অনেক কিংবদন্তি। ক্রিকেটবিশ্ব দাপিয়ে বিশ্বকাপ জোটেনি এমন কিছু ক্রিকেট কিংবদন্তিকে নিয়ে আজকের প্রতিবেদন। 

গ্রাহাম গুচ (ইংল্যান্ড)

১৯৭৬ থেকে ১৯৯৫ সাল পর্যন্ত ১২৫ ওয়ানডে খেলেছেন ইংল্যান্ডের ডানহাতি এই ব্যাটসম্যান। ইংল্যান্ডের হয়ে তিনটি বিশ্বকাপ ফাইনাল খেলেছেন তিনি। ১৯৯২ সালে দলের নেতৃত্বও দিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু প্রতিবারই পরাজয়ের মুখ দেখতে হয়েছে তাঁকে।

ইয়ান বোথাম (ইংল্যান্ড)

ইংল্যান্ডের হয়ে দুটি বিশ্বকাপ ফাইনাল খেলেছেন অলরাউন্ডার ইয়ান বোথাম। কিন্তু একবারও বিশ্বকাপ ছুঁয়ে দেখা হয়নি তাঁর। বল হাতে প্রতিপক্ষের ত্রস ছিলেন তিনি। ১৯৯২ বিশ্বকাপে ১০ ম্যাচে ১৬ উইকেট তুলে নিয়েছিলেন এই পেসার। লোয়ার মিডেল অর্ডারে ব্যাটিং করে দলকে বড় রান সংগ্রহে অবদান রাখতেন তিনি।

ওয়াকার ইউনিস (পাকিস্তান)
পাকিস্তান ক্রিকেটের অন্যতম সেরা বোলার ওয়াকার ইউনিস। বল হাতে ছিলেন দুর্দান্ত, ওয়ানডে ফরম্যাটে সবচেয়ে বেশি পাঁচ উইকেট পাওয়া একমাত্র বোলার তিনি। ১৯৯২ সালে পাকিস্তান দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। পাকিস্তান শিরোপা ঘরে তুললেও ফাইনালে ম্যাচের আগে ইনজুরিতে পড়ে দল থেকে ছিটকে পড়েন ওয়াকার। বিশ্বকাপ জেতা হয়নি তাঁর। ১৯৯৯ সালে আবারও ফাইনালে পাকিস্তান জায়গা করে নিলেও অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে পরাজিত হতে হয় তাদের।

সৌরভ গাঙ্গুলি (ভারত)

১৯৯৯-২০০৭ পর্যন্ত ভারতের হয়ে তিনটি বিশ্বকাপ খেলেছিলেন ভারতের সাবেক এই অধিনায়ক। ২০০৩ সালে দলের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন তিনি। বিশ্বকাপের সেই আসরে একাই তিনটি শতক হাঁকিয়েছিলেন এই বাঁহাতি। সেইবার তাঁর অধীনে ভারত ফাইনালে উঠলেও শিরোপা ঘরে তুলতে পারেনি।

ব্রায়ান লারা (উইন্ডিজ)

টেস্ট ক্রিকেটে উইন্ডিজ সাবেক অধিনায়ক ব্রায়ান লারার রেকর্ড সকলেই জানা। তবে উইন্ডিজ এই কিংবদন্তী ওয়ানডে ফরম্যাটেও ছিলেন দুর্দান্ত ব্যাটসম্যান। একদিনের ক্রিকেটে দশ হাজারেরও বেশি রান রয়েছে তাঁর। উইন্ডিজের হয়ে ২৯৯ ওয়ানডে খেলেছেন তিনি। ক্রিকেট ক্যারিয়ারে পাঁচবার বিশ্বকাপে অংশ নিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু একবারও ট্রফি ছুঁয়ে দেখা হয়নি তাঁর।

ল্যান্স ক্লুজনার (দক্ষিণ আফ্রিকা)

আফ্রিকান ক্রিকেটের অন্যতম সেরা অলরাউন্ডার ছিলেন ল্যান্স ক্লুজনার। ব্যাটে বলে দুর্দান্ত এই ক্রিকেটার বিশ্বকাপ জিততে পারেননি একবারও। ১৯৯৯ সালের বিশ্বকাপে তাঁর সামর্থ্য দেখেছিল ক্রিকেট বিশ্ব। কিন্তু সেমিফাইনালে গিয়ে বাদ পড়তে হয়েছে তাঁদের। ১৭১ ওয়ানডে খেলা এই অলরাউন্ডার ব্যাট হাতে রান নিয়েছেন ৪১ গড়ে সাড়ে তিন হাজারের ওপর রান। বল হাতে ২৯ গড়ে তাঁর উইকেট সংখ্যা ১৯২টি।

জ্যাক ক্যালিস (দক্ষিণ আফ্রিকা)

ল্যান্স ক্লুজনারের পরে আসে আরেক দক্ষিণ আফ্রিকান অলরাউন্ডার জ্যাক ক্যালিসের নাম। ওয়ানডে ক্রিকেটে ২৭৩ উইকেট এবং ১১ হাজার রান রয়েছে তাঁর। ওয়ানডে ক্রিকেট ইতিহাসে সানাথ জয়সুরিয়ার পর একমাত্র অলরাউন্ডার ক্যালিস যিনি কিনা দশ হাজার রান এবং ২৫০ উইকেটের মালিক। কিন্তু বিশ্বকাপ শিরোপা একবারও জিততে পারেননি তিনিও।

কুমার সাঙ্গাকারা (শ্রীলঙ্কা)

২০১৫ সালের বিশ্বকাপেই নিজের ব্যাটিং সামর্থ্যর প্রমাণ দিয়েছিলেন শ্রীলঙ্কার উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান কুমার সাঙ্গাকারা। গত বিশ্বকাপে আসরে চারটি শতক হাঁকিয়েছিলেন তিনি। এছাড়া ওয়ানডে ক্রিকেটে শচিন টেন্ডুলকারের পর সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহকও তিনি। কিন্তু এই বাঁহাতি ব্যাটসম্যান একবারও বিশ্বকাপের শিরোপা ছুঁয়ে দেখতে পারেননি।

এবি ডি ভিলিয়ার্স (দক্ষিণ আফ্রিকা)

দক্ষিণ আফ্রিকার সাবেক অধিনায়ক এবি ডি ভিলিয়ার্সও জিততে পারেননি কোন। ওয়ানডে ক্যারিয়ারে ৫৩.৫০ গড়ে রান সংগ্রহ করেছেন এই ব্যাটসম্যান। ৩১ বলে উইন্ডিজদের বিপক্ষে ক্রিকেট ইতিহাসের সবচেয়ে দ্রুততম শতকটি হাঁকিয়েছেন তিনি।

শহীদ আফ্রিদি (পাকিস্তান)

পাকিস্তানের কিংবদন্তী শহীদ আফ্রিদি দলের হয়ে ৩৯৮ ওয়ানডে খেলেছেন। ১৯৯৯ সালে দ্রুততম শতকের রেকর্ড গড়েছিলেন তিনি। তাঁর গড়া ৩৭ বলের সেই শতকটি ভেঙ্গেছেন ভিলিয়ার্স। ব্যাট হাতে আট হাজারের বেশি রান সংগ্রহ করেছিলেন আফ্রিদি। লেগ স্পিন দিয়ে প্রতিপক্ষকে কাবু করতে বেশ পটু ছিলেন তিনি। তাঁর নামের পাশে রয়েছে ৩৯৫টি উইকেট। বিশ্বকাপের শিরোপা ছুঁয়ে দেখা হয়নি তাঁরও।

বাংলা ইনসাইডার/এসএম



মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

রোনালদোর পাওনা ১১৩ কোটি টাকা দিতে জুভেন্টাসকে নির্দেশ

প্রকাশ: ১০:১২ এএম, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

২০১৮ সাল থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত ইতালিয়ান ক্লাব জুভেন্টাসে খেলেছিলেন বিশ্ব ফুটবলের শ্রেষ্ঠ তারকাদের একজন ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। এরপর তিনি যোগ দিয়েছিলেন ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে। কিন্তু জুভেন্টাসে তার বকেয়া রয়ে গিয়েছিল ৯৭ লাখ ইউরো। সেটা ফিরে পেতে তিনি গেল বছরের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত অপেক্ষা করেছিলেন। কিন্তু না পাওয়ায় এরপর আইনি সহায়তা নিয়েছিলেন। দ্বারস্থ হয়েছিলেন আন্তর্জাতিক ক্রীড়া আদালতের।

রোনালদোর বিশাল সম্পদের পাহাড়ে সেই অর্থযোগ অবশ্য তেমন কিছু নয়। তবে রোনালদোর ব্যাংক হিসাবে এই অর্থযোগ হবে পর্তুগিজ তারকার একটি অন্য রকম বিজয়।

কোর্ট অব আরবিট্রেশন রোনালদোর সেই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে জুভেন্টাসকে ৯৭ লাখ ইউরো দেওয়ার আদেশ দিয়েছেন। বাংলাদেশি মুদ্রায় যা প্রায় ১১৩ কোটি ২৮ লাখ টাকা। রোনালদোর প্রাপ্য বেতন থেকে কর ও অন্যান্য খরচ বাদ দিয়ে এই অর্থ নির্ধারণ করা হয়েছে। ৯৭ লাখ ইউরোর সঙ্গে মুনাফা ও বিচারিক প্রক্রিয়ার খরচও দিতে হবে জুভেন্টাসকে।

এর আগে ২০১৮ সালের আগস্টে রিয়াল ছেড়ে জুভেন্টাসে যোগ দেন রোনালদো। ক্লাবটির হয়ে দুটি সিরি আ, সুপার কাপ ও একটি ইতালিয়ান কাপ জেতেন তিনি।


রোনালদো   জুভেন্টাস   বকেয়া বেতন  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

টিভিতে আজকের খেলা

প্রকাশ: ০৯:১৫ এএম, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

আইপিএলে আজ লক্ষ্ণৌ সুপার জায়ান্টসের মুখোমুখি হবে মোস্তাফিজুর রহমানের চেন্নাই সুপার কিংস।

ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ

মোহামেডান-ব্রাদার্স
সকাল ৯টা, ইউটিউব/বিসিবি

গাজী গ্রুপ-সিটি ক্লাব
সকাল ৯টা, ইউটিউব/বিসিবি

রূপগঞ্জ টাইগার্স-পারটেক্স
সকাল ৯টা, ইউটিউব/বিসিবি

বাংলাদেশ প্রিমিয়ার ফুটবল

আবাহনী-শেখ জামাল
বেলা ৩-৪৫ মি., টি স্পোর্টস

আইপিএল

লক্ষ্ণৌ-চেন্নাই
রাত ৮টা, টি স্পোর্টস ও গাজী টিভি

সৌদি প্রো লিগ

আল নাসর-আল ফায়হা
রাত ৯টা, সনি স্পোর্টস ২

বুন্দেসলিগা

ফ্রাঙ্কফুর্ট-অগসবুর্গ
রাত ১২-৩০ মি., সনি স্পোর্টস ৫



মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

কার হাতে উঠবে এবারের চ্যাম্পিয়ন্স লিগ শিরোপা?

প্রকাশ: ০৯:০০ এএম, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগ। ক্লাব ফুটবলের শ্রেষ্ঠত্ব মাপার সেরা টুর্নামেন্ট এটি। যার জন্য বছরজুড়ে চলা এই টুর্নামেন্টের ম্যাচগুলোর উপর বিশেষ নজর থাকে পুরো ফুটবল দুনিয়ার। এবারও তার ব্যতিক্রম কিছু ঘটেনি। চ্যাম্পিয়ন্স লিগের এবারের আসরেও নজর ছিল পুরো ফুটবল বিশ্বের। যেখানে চলেছে দীর্ঘ নাটকীয়তা।

আর সেই দীর্ঘ নাটকীয়তার পর অবশেষে নিশ্চিত হয়েছে এবারের চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ চার। যেখানে স্থান করে নিয়েছে তিন দেশের চার দল।

টুর্নামেন্টের কোয়ার্টার ফাইনালের দ্বিতীয় লেগে বুধবার (১৭ এপ্রিল) গতবারের চ্যাম্পিয়ন ম্যানসিটিকে টাইব্রেকারে হারিয়ে সেমিতে পা দিয়েছে রিয়াল মাদ্রিদ। আর অন্য ম্যাচে আর্সেনালকে হারিয়ে সেমিফাইনালে উঠেছে বায়ার্ন মিউনিখ। তার আগে মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) বার্সেলোনাকে বিদায় করে দেয় পিএসজি। আর অ্যাতলেটিকোকে হারিয়ে ১১ বছর পর চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিফাইনালে ওঠে বরুশিয়া ডর্টমুন্ড।

চ্যাম্পিয়ন্স লিগের লড়াই এখন শেষের দিকে। ৩২ দলের টুর্নামেন্ট এখন নেমে এসেছে ৪ দলে। আর দুই ধাপ পেরোলেই একটি দলের হাতে উঠবে ইউরোপিয়ান শ্রেষ্ঠত্বের ট্রফি। যেখানে শেষ চারের টিকিট পাওয়া প্রতিটি দলের আছে শিরোপা জয়ের দারুণ সম্ভাবনা। নিজেদের সেরাটা দিতে পারলে বাজিমাত করতে পারে যে কেউ।

এবারের চ্যাম্পিয়ন হওয়ার দৌড়ে সবচেয়ে এগিয়ে রয়েছে টুর্নামেন্টটি সবচেয়ে সফল দল রিয়াল মাদ্রিদ। কারণ চ্যাম্পিয়নস লিগের রাজা কারা এমন প্রশ্নের উত্তরে রিয়াল মাদ্রিদের নামটাই বলতে হবে সবার আগে। ইউরোপিয়ান শ্রেষ্ঠত্বের ১৪টি শিরোপা তাদের দখলে। এমনকি দ্বিতীয় স্থানে থাকা এসি মিলানের চেয়ে দ্বিগুণ (৭টি) শিরোপা রিয়ালের দখলে।

শুধু তাই নয়, এবার সেমিতে রিয়ালের প্রতিপক্ষ বায়ার্ন মিউনিখও নেই তাদের ধারে কাছে। কারণ বায়ার্ন এ পর্যন্ত শ্রেষ্ঠত্বের এ টুর্নামেন্ট জিতেছে ৬ বার। এছাড়া অন্য দুই সেমি ফাইনালিস্টের মধ্যে ডটমুন্ড শিরোপা জিতেছে একবার। আর ফ্রান্সের পিএসজির নেই সেই অর্জনও।

এছাড়াও ১৯৯২ সালে চ্যাম্পিয়নস লিগের নতুন সংস্করণ শুরু হওয়ার পর থেকে হিসাব করলেও রিয়ালেরই জয়জয়কার। সে সময় থেকে রিয়াল শিরোপা জিতেছে ৮টি। যেখানে নতুন সংস্করণ দূরে থাক, সব মিলিয়েও ৮টি শিরোপা জিততে পারেনি অন্য কোনো ক্লাব।

আর তাই সবদিক হিসাব করতে গেলে রিয়াল মাদ্রিদকেই এগিয়ে রাখছেন সংশ্লিষ্টরা। এমনকি ফুটবলের তথ্য–পরিসংখ্যান বিশ্লেষণী ওয়েবসাইট ‘অপ্টা’–এর সুপারকম্পিউটারও জানাচ্ছে একই তথ্য। এবারের চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ চার নিশ্চিতের পর কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করে বানানো অপ্টার বাছাইয়ে দেখা গেছে এবার শিরোপা জয়ের সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি স্প্যানিশ জায়ান্ট রিয়াল মাদ্রিদের।

তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণের মাধ্যমে অপ্টার দেয়া তথ্যমতে, এবারের চ্যাম্পিয়ন্স লিগে রিয়ালের শিরোপা জয়ের সম্ভাবনা ৩৯.৩১ শতাংশ। দ্বিতীয় স্থানে থাকা টুর্নামেন্টে কখনও চ্যাম্পিয়ন না হওয়া প্যারিস সেইন্ট জার্মেই’র (পিএসপজি) সম্ভাবনা ২৭.৪১ শতাংশ।

শুধু তাই নয়, অপ্টার তথ্য অনুযায়ী শিরোপা জয়ের ক্ষেত্রে তৃতীয় ফেভারিট দল টুর্নামেন্টের ৬ বারের চ্যাম্পিয়ন বায়ার্ন মিউনিখ। এই দলের সম্ভাবনা ১৬.৯০ শতাংশ। আর লম্বা সময় ধরে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শিরোপা প্রত্যাশী বরুশিয়া ডর্টমুন্ডের সম্ভাবনা ১৬.৩৮ শতাংশ।

উল্লেখ্য, চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিফাইনালের লড়াই শুরু হবে আগামী ৩০ এপ্রিল থেকে। সেমিফাইনালের দ্বিতীয় লেগের খেলা অনুষ্ঠিত হবে ৭ মে।


চ্যাম্পিয়ন্স লিগ   শিরোপা   ফুটবল  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

শেষ পর্যন্ত লড়েও মুম্বাইয়ের বিপক্ষে ৯ রানে হারল পাঞ্জাব

প্রকাশ: ০১:৪৩ এএম, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

আইপিএলের ১৭তম আসরে শুরু থেকে খুব একটা ছন্দে ছিল না টুর্নামেন্টটির সফলতম দলের একটি মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স। তবে টেবিলের তলানি থেকে উপরের দিকে উঠতে চাইছে হার্দিক পান্ডিয়ার দল। আর সেই ধারাবাহিকতায বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) মহারাজা যাদাবিন্দ্র সিং আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে পাঞ্জাব কিংসকে হারিয়েছে মুম্বাই। 

এদিন জমজমাট এক ম্যাচই উপহার দিয়েছে দুই দল। যদিও হৃদয় ভেঙেছে পাঞ্জাবের! আশুতোষ শর্মার ঝড়ো ব্যাটিংয়ের পরও ৯ রানে হেরেছে পাঞ্জাব। 

রোমাঞ্চকর ম্যাচটা পরিণতি দেখে শেষ ওভারে! শেষ ৬ বলে পাঞ্জাবের প্রয়োজন ছিল ১২ রান। হাতে এক উইকেট! প্রথম বলে দ্বিতীয় রান নিতে গিয়ে রাবাদা রান আউট হলে সেখানেই শেষ হয়েছে পাঞ্জাবের লড়াই! এই জয়ে নয় নম্বর থেকে সাত নম্বরে উঠে গেছে মুম্বাই। অন্যদিকে হেরে ৮ নম্বর থেকে নয় নম্বরে নেমে গেছে পাঞ্জাব।

আগে ব্যাটিং করে মুম্বাই ১৯৩ রানের লক্ষ্য দিয়েছিল। জবাবে জেরাল্ড কোয়েটজে ও জসপ্রীত বুমরার গতির কাছে পরাস্ত হয় পাঞ্জাব। মাত্র ৪৯ রানে টপ অর্ডারের ৫ উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়ে শুরুতেই। এরপর শশাঙ্ক সিং কিছুটা প্রতিরোধ গড়লেও দলীয় ১১১ রানের মাথায় আউট হন তিনি। তার আউটের পর দ্রুত অলআউট হওয়ার শঙ্কায় ছিল পাঞ্জাব। কিন্তু সাত নম্বরে নেমে আশুতোষ শর্মা যেভাবে ব্যাটিং করেছেন, তাতে অবিশ্বাস্যভাবে জয়ের সম্ভাবনাও তৈরি করে তারা। ২ চার ও ৭ ছক্কায় খেলা তার ২৮ বলে ৬১ রানের ইনিংসের কারণে পাঞ্জাবের শেষ দুই ওভারে জয়ের জন্য প্রয়োজন পড়ে ২৩ রানের। 

১৯তম ওভারে ১১ রান নিয়ে ব্যবধান কমিয়েও আনে পাঞ্জাব। এই সময় হারায় একটি উইকেট। ফলে শেষ ওভারে বাকি ১ উইকেটে ১২ রান করতে হতো তাদের। আকাশ মাধুওয়াল প্রথম বলে হোয়াইট দিলে প্রয়োজন পড়ে ১১ রানের। তবে মাধুওয়ালের দ্বিতীয় বলে রাবাদা রান আউট হতেই ১৮৩ রানে থামে পাঞ্জাবের ইনিংস।  

মুম্বাইয়ের বোলারদের মধ্যে জেরাল্ড কোয়েটজে ও জসপ্রীত বুমরার প্রত্যেকে তিনটি করে উইকেট নিয়েছেন।

এর আগে টস হেরে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ পায় মুম্বাই। শুরুতেই ওপেনার ইশান কিষানকে হারায় তারা। সেখান থেকে রোহিত শর্মা ও সূর্যকুমার প্রতিরোধ গড়ে দলকে এগিয়ে নিয়েছেন। দ্বিতীয় উইকেটে এই দুইজনের ব্যাট থেকে আসে ৮১ রান! ২ চার ও ৩ ছক্কায় ৩৬ রানের ইনিংস খেলে আউট হন রোহিত। 

রোহিতের আউটের পর তিলক বর্মাকে নিয়ে সূর্যকুমার গড়েন আরও ৪৯ রানের জুটি। এই দুই ব্যাটার ২৮ বলে এই জুটি গড়েন। সূর্যকুমার হাফ সেঞ্চুরি করে আউট হলে জুটি ভাঙে তাদের। সূর্য ৫৩ বলে ৭টি চার ও ৩ ছক্কায় ৭৮ রানের ইনিংস খেলেছেন। এরপর তিলকের ১৮ বলে ২ চার ও ২ ছক্কায় ৩৪ রানে অপরাজিত ইনিংসে মুম্বাই স্কোরবোর্ডে ১৯২ রান তুলতে পারে। 

বল হাতে পাঞ্জাবের হার্শাল প্যাটেল ৪ ওভারে ৩১ রান দিয়ে ৩টি উইকেট নেন। ৪ ওভারে ৪১ রান দিয়ে ২টি উইকেট নেন স্যাম কারান। কাগিসো রাবাদা ৪ ওভারে ৪২ রান দিয়ে নেন ১টি উইকেট।


আইপিএল   ক্রিকেট   খেলাধুলা  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

মেসির বাংলাদেশে আগমন নিয়ে যা বললেন ক্রীড়ামন্ত্রী

প্রকাশ: ০৮:৪৫ পিএম, ১৮ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

আন্তর্জাতিক শিরোপাখরায় থাকা আর্জেন্টিনা দীর্ঘ সময় পর একসাথে জিতেছে তিনটি আন্তর্জাতিক শিরোপা। যার মধ্যে সর্বোচ্চ শিরোপা হচ্ছে বিশ্বকাপ। টানা ৩৬ বছর পর এ শিরোপা ছুঁয়ে দেখেছে আলবিসেলেস্তেরা।

তবে আর্জেন্টিনার এ সাফল্যের পেছনে সবচেয়ে বড় অবদান ছিল লিওনেল মেসির। এবার সেই ফুটবল জাদুকর লিও মেসির বাংলাদেশ সফর নিয়ে গুঞ্জন উঠেছে। গত বছরের ১২-২০ জুন ফিফা উইন্ডোতে লিওনেল মেসিদের বাংলাদেশে আনার চেষ্টা করছিল বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে)। তবে এই সময়ে ম্যাচ আয়োজন করা সম্ভব না হওয়ায় শেষ পর্যন্ত বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের ঢাকায় আসা হয়নি।

এটাই প্রথম নয়, এর আগে-পরেও অনেকবার আকাশি-নীল শিবিরের ঢাকায় আসার গুঞ্জন উঠেছিল। তবে নানান কারণে বাস্তবে রূপ নেয়নি সেসব উদ্যোগ ও পরিকল্পনা। যদিও বিশ্বকাপজয়ী আর্জেন্টাইন অধিনায়কের বাংলাদেশে আগমনের সম্ভাবনা দেখছেন যুব ও ক্রীড়ামন্ত্রী নাজমুল হাসান পাপন।

আর্জেন্টিনার রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ শেষে নিজ মন্ত্রণালয়ে এমনটাই জানিয়েছেন তিনি। এ সময়ে আর্জেন্টিনার রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে ভারতের ক্রীড়া উদ্যোক্তা শতদ্রু দত্তও ছিলেন। তিনি (শতদ্রু) মূলত মেসিকে ঢাকায় আনার বিষয়টি উত্থাপন করেছেন।

মেসি প্রসঙ্গে ক্রীড়ামন্ত্রীর দাবি, ‘তারা বলেছে মেসিকেও আনতে পারে।’ পাপনের ভাষ্যমতে, ‘তারা বলেছে; যেহেতু অন্যরা আসছে, মেসিও আসতে পারে। তবে অনেক বিষয় থাকে এখানে।’

এদিকে ঢাকায় মার্টিনেজ-রোনালদিনহোর আগমনে অনেক বিচ্যুতি ছিল। তবে ডি মারিয়ার সফরে এমনটা হবে না বলে দাবি পাপনের।

মন্ত্রীর ভাষ্যমতে, ‘আগের বিষয় নিয়ে আর মন্তব্য নেই। তবে এখন যেহেতু তারা মন্ত্রণালয়ে এসেছে, তাই আমরা তাদের প্রস্তাবনা দিতে বলেছি। দেখি তারা কি দেয়; এরপর আমরাও কিছু কন্ডিশন দিতে পারি, যেহেতু আমাদের সহযোগিতা চেয়েছে।’

পাপন বলেন, ‘এখানে বাণিজ্যের একটি বিষয় রয়েছে। আর্থিক বিষয় ছাড়া এ রকম সফর সম্ভব নয়। আগের দুইবার যে ভুল-ত্রুটি ছিল, এবার সেটা হবে না।’

উল্লেখ্য, ২০১১ সালে মেসিসহ পুরো আর্জেন্টিনা দল বাংলাদেশে এসেছিল। সেবার বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে নাইজেরিয়ার বিপক্ষে প্রীতি ম্যাচ খেলেছিল তারা।


নাজমুল হাসান পাপন   লিওনেল মেসি   শতদ্রু দত্ত  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন