ইনসাইড গ্রাউন্ড

সম্পদের পাহাড় গড়েছেন যে ফুটবলাররা

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৯:০১ এএম, ২২ জুলাই, ২০১৯


Thumbnail

ফুটবলারদের বিলাসী জীবনযাপন সম্পর্কে কে না জানে? দামি গাড়ি, দামী বাড়ি থেকে শুরু করে ছুটির দিনে স্বপ্নের অবকাশ যাপন! ইউরোপিয়ান ফুটবলের সাথে বিশ্বের সব লিগেই ফুটবলার কেনা-বেচা হচ্ছে রেকর্ড দামে। আগে যেখানে ৭০ মিলিয়নে পাওয়া যেত হালের সবথেকে সেরা খেলোয়াড় রোনালদোকে, এখন বেঞ্চ গরম করা একজন ডিফেন্ডারের দামই তার থেকে বেশি।

ফুটবলারদের এই আকাশচুম্বী দাম বেড়ে যাওয়ায় একেকজনের সম্পদের পরিমাণও হয়েছে অবিশ্বাস্য। মেসি-রোনালদোসহ বিশ্বের সেরা ফুটবলারদের মোট সম্পদের পরিমাণ শুনলে মাথা ঘুরে যেতে বাধ্য যে কারো।

১০. রিকার্ডো কাকা

নিট সম্পদ: ৯৫ মিলিয়ন ইউএস ডলার

কাকা ব্রাজিলিয়ান মিডফুটবলার যিনি সাও পাওলো এফসিতে খেলেন। তিনি কলেগিও বাতিস্তা ব্রাজিলিয়োতে পড়াশোনা করেছেন এবং মাত্র আট বছর বয়সেই তিনি তার ফুটবল ক্যারিয়ারের যাত্রা শুরু করেন। এই তারকা ফুটবলার টেনিসও খেলতেন। ১৫ বছর বয়সে তিনি সাও পাওলো এফসি ক্লাবের সাথে চুক্তিবদ্ধ হন। কাকার নিট সম্পদ ৯৫ মিলিয়ন ডলার, যা এই তালিকার ১০ নম্বরে স্থান করে নিয়েছে।

৯. ইডেন হ্যাজার্ড

নিট সম্পদ: ১০০ মিলিয়ন ইউএস ডলার

ইডেন হ্যাজার্ড একজন বেলজিয়াম ফুটবল প্লেয়ার যিনি মাত্র ৪ বয়সে তার ফুটবল ক্যারিয়ারের সূচনা করেন। তিনি ৮ বছর রয়াল স্টেড ব্রাইনয়িসে ছিলেন, তারপর তিনি টুবিজে যোগ দেন। ২০১৯ সালে ইডেন হ্যাজার্ডের নিট সম্পদ ১০০ মিলিয়ন ডলারে এসে দাঁড়ায়, যা তাকে এই তালিকার ৯ নম্বরে রেখেছে।

৮. পেলে

নিট সম্পদ: ১০০ মিলিয়ন ইউএস ডলার

পেলে একজন অবসরপ্রাপ্ত ফুটবল প্লেয়ার যিনি অবিশ্বাস্য সম্পদের মালিক। অগণিত ফ্যান, খেলোয়াড় এবং বিশেষজ্ঞদের মতে তিনি সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ ফুটবলার। পেলের নিট সম্পদ প্রায় ১০০ মিলিয়ন ডলার।

৭. ফ্রাঞ্চেস্কো টট্টি

নিট সম্পদ: ১০১.৬ মিলিয়ন ইউএস ডলার

ফ্রাঞ্চেস্কো টট্টি একজন ইতালিয়ান ফুটবল প্লেয়ার যিনি তার ক্যারিয়ারের সূচনা করেন ফরটিটুডো ফুটবল ইয়ুথ টিমে যোগদানের মাধ্যমে। ১৯৯৮-৯৯ এর দিকে তিনি তরুণ খেলোয়াড় হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করেন। এক বছর পর তিনি ‘Italian Footballer of the year’ হিসেবে আখ্যায়িত হন এবং ব্যালন ডি’ওরের জন্য নমিনেশন গ্রহন করেন। ২০১৯ সালে ফ্রাঞ্চেস্কো টট্টির নিট সম্পদ ১০১.৬ মিলিয়ন ডলারে এসে দাঁড়ায়, যা তাকে এই তালিকার ৭ নম্বরে রেখেছে।

৬. ওয়েন রুনি

নিট সম্পদ: ১৪৫ মিলিয়ন ইউএস ডলার

ওয়েন রুনি একজন ইংরেজ ফুটবলার যিনি স্ট্রাইকার হিসেবে প্রিমিয়ার লীগ ক্লাব: ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে এবং ইংল্যান্ড জাতীয় দলে খেলেন। ফ্রান্স ফুটবল জরিপ ২০১২ অনুসারে, রুনি ছিলো বিশ্বের পঞ্চম এবং ইংল্যান্ডের এক নম্বর বেস্ট পেইড প্লেয়ার। ওয়ানি রুনির নিট সম্পদ ১৪৫ মিলিয়ন ডলার।

৫. আলেক্সজান্দ্রে প্যাটো

নিট সম্পদ: ১৪৫ মিলিয়ন ইউএস ডলার

১৬ বছর বয়সে আলেক্সজান্দ্রে প্যাটো তার ক্যারিয়ারের সূচনা করেন এবং পরবর্তীতে তিনি ক্যাম্পিন্যাটো ব্রাজিলিরো সাব ২০ তে প্রতিযোগিতা করার জন্য স্পোর্টস ক্লাব ইন্টারন্যাসিওনালে যোগদান করেন। ২০০৬ সালে তিনি ফিফা ক্লাব ওয়ার্ল্ড ক্লাব জয়ে উদ্বুদ্ধ করার জন্য তিনি তার দলকে নেতৃত্ব দেন। ২০১৯ সালে আলেক্সজান্দ্রে প্যাটোর নিট সম্পদ ১৪৫ মিলিয়ন ডলারে এসে দাঁড়ায়, যা তাকে এই তালিকার ৫ নম্বর অবস্থানে রেখেছে।

৪. ডেভ ওইলান

নিট সম্পদ: ২২০ মিলিয়ন ইউএস ডলার

ডেভ ওইলান সাবেক ইংরেজ ফুটবলার। ক্যারিয়ার জীবনে তিনি ব্ল্যাকবার্ণ রোভার্স ও ক্রিউই আলেক্সজান্দ্রার হয়ে খেলেন। উইলান ফুটবল লীগ চ্যাম্পিয়নশীপ ক্লাব উইলান এথলেটিকের স্বত্বাধিকারী। ডেভ উইলানের নিট সম্পদ ২২০ মিলিয়ন ডলার।

৩. লিওনেল মেসি

নিট সম্পদ: ৪০০ মিলিয়ন ইউএস ডলার

বার্সেলোনার প্রাণভোমরা। বিশ্বের অন্যতম সেরা প্লেয়ার হিসেবে তাকে বিবেচনা করা হয়। বিগত দুই সিজনে তাকে প্লেয়ার অব দ্য ইয়ার হিসেবে নির্বাচিত করা হয়। ২০১৯ সালে লিওনেল মেসির নিট সম্পদ ৪০০ মিলিয়ন ডলারে (বাংলাদেশী টাকায় ৩ হাজার ৩ শত ২৮ কোটি টাকা) এসে দাঁড়ায়, যা তাকে এই তালিকার ৩ নম্বর অবস্থানে রেখেছে।

২. ডেভিড ব্যেকহাম

নিট সম্পদ: ৪৫০ মিলিয়ন ইউএস ডলার

ডেভিড ব্যেকহাম অবসরপ্রাপ্ত একজন ফুটবলার। তিনিই প্রথম ইংরেজ ফুটবলার যিনি ৪ টি ভিন্ন দেশের লীগ টাইটেল হোল্ডার হয়েছেন। কুঁড়ি বছর তিনি ফুটবলের পেছনে কাটিয়েছেন এবং ২০০৪ সালে তিনি ছিলেন সবচেয়ে পেইড প্লেয়ার। ড্যাভিড ব্যাকহামের নিট সম্পদ প্রায় ৪৫০ মিলিয়ন ডলার ( বাংলাদেশী টাকায় ৩ হাজার ৪ শত ৪৪ কোটি টাকা )।

১. ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো

নিট সম্পদ: ৪৫০ মিলিয়ন ইউএস ডলার

ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো একজন পর্তুগিজ প্লেয়ার এবং তিনি সর্বকালের সেরা প্লেয়ার হিসেবে পরিচিত। ২০০৯ সালে ১৩২ মিলিয়ন ইউএস ডলার দিয়ে রিয়েল মাদ্রিদ তাকে কিনে নেয় যা ফুটবল জগতের ইতিহাসে তাকে সবচেয়ে দামি প্লেয়ার হিসেবে পরিচিত করে এবং পরে তিনি ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ছেড়ে দেন। ২০১৯ সালে ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডর নিট সম্পদ ৪৫০ মিলিয়ন ডলারে ( বাংলাদেশী টাকায় ৩ হাজার ৪ শত ৪৪ কোটি টাকা) এসে দাঁড়ায়, যা তাকে এই তালিকার ১ নম্বর অবস্থানে রেখেছে।

বাংলা ইনসাইডার/এসএম



মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

আইপিএলে এক ম্যাচে দুই দলের অধিনায়কেরই জরিমানা

প্রকাশ: ০৩:০৫ পিএম, ২০ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

জমে উঠেছে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) ১৭তম আসর। মাঝ পর্যায়ে এসে সব দলের লড়াই চলছে হাড্ডাহাড্ডি। কেউ কাউকে ছাড় দিয়ে কথা বলছে না।

আইপিএলে এবারের আসরে শুরু থেকে বেশ ভালো অবস্থানে ছিল চেন্নাই সুপার কিংস। ব্যাটিং-বোলিং সবদিক থেকেই বেশ ব্যালেন্সড টিম গঠন করেছিল এবার তারা। তবে গতকাল প্রতিপক্ষ লখনৌ সুপার জায়ান্টসের মাঠে খেলতে নেমে কোনো পাত্তাই পায়নি ধোনি-মুস্তাফিজরা। তার ওপর ‘বাড়তি পাওনা’ হিসেবে অধিনায়ক রুতুরাজ গায়কোয়াড় পেয়েছেন আর্থিক শাস্তি।

অবশ্য কেবল চেন্নাই নয়, ম্যাচজয়ী লখনৌও একই জরিমানার অধীনে পড়েছে। স্লো ওভার রেটের কারণে স্বাগতিক অধিনায়ক লোকেশ রাহুলকেও জরিমানা করেছে আইপিএল কর্তৃপক্ষ। অর্থাৎ নির্ধারিত সময়ে ওভার শেষ করতে না পারায় একই ম্যাচের দুই অধিনায়কই জরিমানা গুনলেন।

এদিন লখনৌর একানা স্টেডিয়ামে স্বাগতিকরা চেন্নাইয়ের বিপক্ষে ব্যাপক দাপট দেখিয়ে জিতেছে। শুরুতে ব্যাট করে মুস্তাফিজুর রহমানের চেন্নাই ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৭৬ রান তোলে। রানতাড়ায় ব্যাট করতে নেমে লখনৌ ১৯ ওভারে মাত্র ২ উইকেট হারিয়ে ম্যাচটি জিতে নেয়। অধিনায়ক রাহুল দারুণ ব্যাটিংয়ে দলকে সামনে থেকে জয় উপহার দিয়েছেন। সর্বোচ্চ ৮২ রানের ইনিংস খেলেন রাহুল।

তবে ঘরের মাঠে জয় পেলেও, স্লো ওভার রেটের কারণে জরিমানার মুখে পড়তে হচ্ছে এই লখনৌ অধিনায়ককে। আইপিএলের কোড অফ কন্ডাক্ট লঙ্ঘন করেছে লখনৌ ও চেন্নাই উভয় শিবিরই। এক্ষেত্রে দলগত অপরাধের শাস্তি পেতে হয় দুই অধিনায়ক রাহুল ও গায়কোয়াড়কে। কারণ মাঠে দল পরিচালনার ক্ষেত্রে অধিনায়কদের ভূমিকাই প্রধান হয়ে থাকে। এক বিবৃতিতে দুজনের শাস্তির কথা নিশ্চিত করেছে আইপিএল কর্তৃপক্ষ।

প্রথমবার আইপিএলের আচরণবিধি ভঙ্গের জন্য রাহুল ও গায়কোয়াড়কে ভারতীয় মুদ্রায় ১২ লাখ রুপি করে জরিমানা করা হয়েছে। সেই সঙ্গে হুঁশিয়ারিও পেয়েছেন তারা। টুর্নামেন্টের বাকি অংশে একই ভুলের পুনরাবৃত্তি হলে এই শাস্তির পরিমাণ বেড়ে দ্বিগুণ হবে।

আইপিএলের আচরণবিধি অনুযায়ী, প্রথমবার স্লো ওভার রেটের দায়ে পড়লে শুধুমাত্র অধিনায়কের ১২ লাখ রুপি জরিমানা হয়। এক মৌসুমে দ্বিতীয়বার এই ভুলের জন্য দলনেতাকে ২৪ লাখ রুপি জরিমানা দিতে হয় এবং ইমপ্যাক্ট খেলোয়াড়সহ দলের বাকিদের জরিমানা হয় ৬ লাখ রুপি করে অথবা ম্যাচ ফির ২৫ শতাংশ অর্থ। তৃতীয়বার একই অপরাধ করলে অধিনায়ককে ৩০ লাখ রুপি জরিমানার পাশাপাশি এক ম্যাচেও নিষিদ্ধ হতে হবে। সেই সঙ্গে দলের বাকিদের জরিমানা হয় ১২ লাখ রুপি করে বা ম্যাচ ফির ৫০ শতাংশ অর্থ।


আইপিএল   চেন্নাই সুপার কিংস   লখনৌ সুপার জায়ান্টস   ঋতুরাজ   লোকেশ রাহুল  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

ইউরোপা লিগের সেমির পূর্বে নিষেধাজ্ঞায় মার্টিনেজ

প্রকাশ: ০২:৩৯ পিএম, ২০ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

এমিলিয়ানো মার্টিনেজ। আর্জেন্টিনার আন্তর্জাতিক শিরোপাখরা কাটানোর অন্যতম নায়ক তিনি। তবে শুধুমাত্র আন্তর্জাতিক খেলায় নয়, ক্লাব ফুটবলেও দিনের পর দিন ভয়ংকর হয়ে উঠছেন এমি।

দুইদিন পূর্বেই উয়েফা ইউরোপা কনফারেন্স লিগের কোয়ার্টার ফাইনালে লিলের বিপক্ষে দ্বিতীয় লেগের ম্যাচটিতে অ্যাস্টন ভিলার জয়ের নায়ক ছিলেন এমি। টাইব্রেকারে গড়ানো ম্যাচে দুটি পেনাল্টি ঠেকিয়ে দলের জয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল এই অর্জেন্টাইনের।

যার দুর্দান্ত পারফরম্যান্সে সেমি ফাইনালের টিকিট পেয়েছিল অ্যাস্টন ভিলা, গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে তাকেই পাচ্ছে না দলটি। আগামী ২ মে গ্রিসের ক্লাব অলিম্পিয়াকোসের বিপক্ষে প্রথম লেগের ম্যাচটিতে খেলতে পারবেন না মার্টিনেজ।

আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপজয়ী এই গোলকিপারকে এক ম্যাচের জন্য নিষিদ্ধ করেছে উয়েফা। কারণ, কনফারেন্স লিগের কোয়ার্টার ফাইনালের দুই লেগ মিলিয়ে তিনটি হলুদ কার্ড দেখেছেন তিনি।

গতকাল কোয়ার্টার ফাইনালের দ্বিতীয় লেগের ম্যাচে দুবার হলুদ কার্ড দেখেন মার্টিনেজ। প্রথমবার ম্যাচের ৩৯ তম মিনিটে তাকে হলুদ কার্ড দেন রেফারি। এরপর ম্যাচ ট্রাইব্রেকারে গড়ালে সেখানেও হলুদ কার্ড পান মার্টিনেজ।

সবমিলিয়ে মার্টিনেজ ম্যাচে দুটি হলুদ কার্ড দেখার পরও লাল কার্ড দেখাননি রেফারি। কারণ উয়েফার নিয়ম অনুযায়ী, ম্যাচের নিয়মিত সময়ে দেখা হলুদ কার্ড টাইব্রেকারের সময়ের দেখা হলুদ কার্ডের সঙ্গে যোগ হয় না। তবে এটা আবার সামগ্রিক কার্ড দেখার হিসেবে যোগ হয়। তাই লাল কার্ড না পেলেও, ঠিকই নিষেধাজ্ঞায় পড়েছেন।

সেমি ফাইনালের প্রথম লেগের ম্যাচে খেলতে না পারলেও দ্বিতীয় লেগের ম্যাচে মাঠে নামতে পারবেন মার্টিনেজ।


এমি মার্টিনেজ   আর্জেন্টিনা   ফুটবল   ইউরোপা লিগ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

গুঞ্জন উড়িয়ে জার্মানির সাথে নাগলসমানের চুক্তি নবায়ন

প্রকাশ: ০১:৫৯ পিএম, ২০ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

বেশ কিছুদিন ধরেই ফুটবল পাড়ায় গুঞ্জন চলছে যে, আসন্ন ইউরো শেষেই জার্মানির প্রধান কোচের দায়িত্ব ছাড়ছেন ইউলিয়ান নাগলসমান। শুধু তাই নয়, এমনও শোনা যাচ্ছিল যে, তিনি আবারও ফিরবেন তার পুরোনো ঠিকানায়। তবে এবার সব জল্পনা-কল্পনা শেষে আবারও জার্মান ফুটবল ফেডারেশনের (ডিএফবি) সঙ্গে ২০২৬ বিশ্বকাপ পর্যন্ত চুক্তির মেয়াদ বাড়িয়েছেন ৩৬ বছর বয়সী এ কোচ।

জাতীয় দলের সঙ্গে চুক্তির মেয়াদ বাড়িয়ে বেশ উচ্ছ্বসিত নাগলসমান। জাতোয় দলের সঙ্গে কাজ করাটা কতটা উপভোগ করেন তিনি, তা বুঝাতে গিয়ে এই কোচ বলেছেন—সিদ্ধান্তটা মাথা দিয়ে নয়, হৃদয় থেকে নিয়েছেন।

ডিএফবির সঙ্গে চুক্তি নবায়নের পর নাগলসমান বলেছেন, ‘সিদ্ধান্তটা হৃদয় থেকে নিয়েছি। জাতীয় দলকে প্রশিক্ষণ দিতে পারা এবং দেশের সেরা খেলোয়াড়দের সঙ্গে কাজ করতে পারা আমার জন্য অনেক বড় সম্মানের। দারুণ পারফর্ম করে সাফল্য পাওয়ার মাধ্যমে পুরো দেশকে অনুপ্রাণিত করার সুযোগ আমাদের আছে।’

গত বছরের সেপ্টেম্বরে হানসি ফ্লিককে বরখাস্ত করে নাগলসমানকে দায়িত্ব দেয় ডিএফবি। প্রাথমিকভাবে ফেডারেশনের সঙ্গে ২০২৪ ইউরো পর্যন্ত চুক্তি ছিল। তার অধীনে এখন পর্যন্ত ৬টি ম্যাচ খেলেছে জার্মানি। জিতেছে ৩টি, হেরেছে ২টি ও ড্র করেছে ১টি ম্যাচ। ৩ জয়ের মধ্যে সর্বশেষ ২টি আবার দুই পরাশক্তি নেদারল্যান্ডস ও ফ্রান্সের বিপক্ষে।

শিষ্যদের এমন পারফরম্যান্স মুগ্ধ করেছে কোচকে। নাগলসমান বলেন, ‘মার্চে ফ্রান্স ও নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে জয় দুটি সত্যিই আমাকে ছুঁয়ে গেছে। আমরা নিজেদের মাঠে সাফল্যমণ্ডিত ইউরো খেলতে চাই। আমি এখন সেদিকেই তাকিয়ে আছি এবং (এরপর) আমার কোচিং দলকে নিয়ে বিশ্বকাপ চ্যালেঞ্জ নেওয়ার অপেক্ষায় থাকব।’


নাগালসমান   জার্মানি ফুটবল ফেডারেশন   ২০২৬ ফিফা বিশ্বকাপ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

মুস্তাফিজসহ চেন্নাইয়ের বোলারদের প্রতি হতাশ হার্শা-মুডি

প্রকাশ: ০১:২৭ পিএম, ২০ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

গতকাল রাতে লখনৌয়ের বিপক্ষে চেন্নাই সুপার কিংস যেন শুরু থেকেই ছিল নড়বড়ে। তবুও ব্যাটিংয়ে আজিঙ্কা রাহানে, রবিন্দ্র জাদেজা ও মহেন্দ্র সিং ধোনির মুগ্ধতায় লড়াকু সংগ্রহে পৌঁছেছিল তারা। কিন্তু পরবর্তীতে বোলাররা আপ্রাণ চেষ্টা করেও আটকাতে পারেনি লখনৌয়ের ব্যাটারদের।

এদিন মুস্তাফিজকেও দেখা যায়নি তার চেনা ফর্মে। একটি উইকেট নিলেও ওভারপ্রতি দশের উপরে রান দিয়েছেন তিনি। যা ইনফর্ম এই পেসারের থেকে খানিকটা অপ্রত্যাশিতই। ফিজের এমন পারফরম্যান্সের সমালোচনা করেছেন হার্শা ভোগলে ও টম মুডি।

মুডি বলেন, 'মুস্তাফিজুর, দেশপান্ডে, জাদেজা তারা সবাই ওভারপ্রতি দশের বেশি রান দিয়েছে। এমন বোলারদের কাছে আপনি কখনই এমনটা প্রত্যাশা করবেন না। এটা চেন্নাইয়ের জন্য অপ্রত্যাশিত ছিল।'

আসরের শুরু থেকেই দুর্দান্ত ফর্মে আছেন মুস্তাফিজ। একাধিক ম্যাচে দলের জয়ে বড় ভূমিকা ছিল এই বাঁহাতি পেসারের। তবে গত রাতে তার এমন পারফরম্যান্সের কারণ হিসেবে উইকেটকে কিছুটা দায় দিলেন হার্শা।

তিনি বলেন, 'চেন্নাই যখন ব্যাটিং করছিল তখন বল খানিকটা গ্রিপ করছিলো। আমার মনে হয়েছিল এই উইকেটে ফিজ দুর্দান্ত বোলিং করবে। আমি জানি না উইকেটের ব্যাপারটা কি ছিল। তবে দেখে মনে হয়েছে পরের দিকে ব্যাটিং করাটা সহজ হয়ে গিয়েছিল।'

লক্ষ্ণৌতে টস হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৭৬ রান করে চেন্নাই। জবাবে খেলতে নেমে ১৯ ওভারে ২ উইকেট হারিয়েই জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে যায় লক্ষ্ণৌ।


মুস্তাফিজ   চেন্নাই সুপার কিংস   আইপিএল  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

মুস্তাফিজ খুবই ভালো মনের মানুষ: পাথিরানা

প্রকাশ: ১১:২৬ এএম, ২০ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

ক্রিকেটে বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা ম্যাচ মানেই বর্তমানে বাড়তি উত্তেজনা। গত বছরে অনুষ্ঠিত বিশ্বকাপ ও এশিয়া কাপে এ দুই দলের মধ্যকার দ্বৈরথ পেয়েছে ভিন্নমাত্রা। বিশেষ করে বিশ্বকাপে অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউসের ‘টাইমড আউট’ নিয়ে তো বেশ সরব ছিল ক্রিকেট পাড়া। সবশেষে বাংলাদেশের মাটিতে হওয়া সিরিজেও এই উত্তেজনা লক্ষ্য করা গেছে।

তবে মাঠের উত্তেজনা ছাপিয়ে মাঠের বাইরে ক্রিকেটারদের বন্ধুত্বের সম্পর্কও রয়েছে দুই দলের ক্রিকেটারদের মধ্যে। সম্প্রতি এমনই একটি সম্পর্ক লক্ষ্য করা গেছে মুস্তাফিজ ও মাথিশা পাথিরানার মধ্যে। যা নিয়ে গণমাধ্যমে কথা বলেছেন লঙ্কান তরুণ পেসার পাথিরানা।

আইপিএলের গত আসরে চেন্নাইয়ের শিরোপা জয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন মাথিশা পাথিরানা। আর গত বছর ডিসেম্বরে হওয়া নিলামে ২ কোটি টাকা ভিত্তিমূল্যে চেন্নাইতে যোগ দেন বাংলাদেশের কাটার মাস্টার।

আইপিএলের চলতি আসরের আগে বাজে ফর্মে থাকলেও পাথিরানার ইনজুরিতে সুযোগ পেয়ে শতভাগ কাজে লাগান ‘দ্য ফিজ’। উদ্বোধনী ম্যাচে বল হাতে ৪ উইকেট নিয়ে হন ম্যাচসেরা। এলে দলে নিজের জায়গা পাকাপোক্ত করেন তিনি। ৬ ম্যাচে ১১ উইকেট নিয়ে তিনি আছেন সেরা উইকেট শিকারী তালিকার ৪ নম্বরে।  

মুস্তাফিজ ও পাথিরানার উপস্থিতিতে শক্তি বেড়েছে চেন্নাইয়ের বোলিং লাইন আপের। সম্প্রতিক এক অনুষ্ঠানে অংশ নেন চেন্নাইয়ের বেশ কয়েকজন ক্রিকেটার। সেই অনুষ্ঠানে পাথিরানার সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন তরুণ অলরাউন্ডার শিভম দুবে ও অধিনায়ক ঋতুরাজ গায়কোয়াড়।

সেই অনুষ্ঠানে মোস্তাফিজের সম্পর্ক নিয়ে প্রশ্ন করা হয় লঙ্কান পেসার পাথিরানাকে। জবাবে ডানহাতি এই ফাস্ট বোলার জানান, ‘কাছ থেকে দেখার পর মনে হচ্ছে মোস্তাফিজ একজন খুবই ভালো মনের মানুষ।’

পাথিরানা আরও বলেন, ‘চেন্নাই দলে আসার আগে আমি তাকে চিনতাম না। আমি তার সঙ্গে কখনো কথা বলিনি। এখানে আসার পর এবং তাকে চেনার পর আমার মনে হচ্ছে সে দারুণ একজন মানুষ।’

মোস্তাফিজুর রহমান   আইপিএল   মাথিশা পাথিরানা   চেন্নাই সুপার কিংস  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন