ইনসাইড গ্রাউন্ড

অভিষেকেই শতক, এরপর করুণ পরিণতি

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৯:০২ এএম, ১৮ অগাস্ট, ২০১৯


Thumbnail

ওয়ানডে ক্রিকেটের শুরুটা হয় ১৯৭১ সালের ৫ জানুয়ারি। ইংল্যান্ড-অস্ট্রেলিয়ার ওই ম্যাচের পর থেকে এক দিনের ক্রিকেটের বয়স আজ ৪৮ বছরের কিছু বেশি। এত বছরের পথচলায় মাত্র ১৫ জন ব্যাটসম্যান অভিষেকেই শতক হাঁকানোর বিরল কৃতিত্ব গড়তে পেরেছেন। তবে এর মধ্যে অনেকেই দুর্দান্ত অভিষেকের পর বরণ করে নিয়েছেন করুণ পরিণতি।

যেখানে নিজের ক্যারিয়ারের প্রথম শতকের দেখা পেতেই অনেক ক্রিকেটারের লেগে যায় বছরের পর বছর, সেখানে নিজের প্রথম ম্যাচেই শতক করে চমকে দেয়া ক্রিকেটারদের উপর বাড়তি আশা থাকবে সেটাই স্বাভাবিক। তবে শতক দিয়ে শুরু করেও অনেকেই বরণ করে নিয়েছেন করুণ পরিণতি।

করুণ পরিণতি বরণ করে নেয়া এমন ক্রিকেটারদের নিয়েই আজকের প্রতিবেদন।    

টেম্বা বাভুমা (দক্ষিণ আফ্রিকা)

ওয়ানডে অভিষেকেই ইতিহাস গড়েছিলেন টেম্বা বাভুমা। দক্ষিণ আফ্রিকান প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ ব্যাটসম্যান হিসেবে অভিষেকেই সেঞ্চুরি করেছিলেন তিনি। ২০১৬ সালের সেপ্টেম্বরে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে এক ম্যাচের সিরিজে ১১৩ রানের ইনিংস খেলেছিলেন বাভুমা।

বাভুমার আগে প্রোটিয়াদের জার্সিতে প্রথম ম্যাচে একজনই সেঞ্চুরি করেছিলেন। তার সেঞ্চুরির ওপর দাঁড়িয়ে আইরিশদের কাঁধে ৩৫৪ রানের পাহাড় চাপিয়ে প্রোটিয়ারা জিতেছিল রেকর্ড ২০৬ রানের ব্যবধানে। অথচ ওয়ানডে অভিষেকের পর আর মাত্র একটা ওয়ানডে ম্যাচই খেলার সৌভাগ্য হয়েছিল বাভুমার।

গত বছরের অক্টোবরে বাংলাদেশের বিপক্ষে দ্বিতীয় ও শেষ ওয়ানডে ম্যাচটা খেলেছেন তিনি। তবে ওয়ানডে ক্যারিয়ারে ধুঁকলেও দক্ষিণ আফ্রিকার টেস্ট দলের নিয়মিত খেলোয়াড় হয়ে উঠেছেন বাভুমা। সাদা পোশাকে ইতোমধ্যে ৩১টি ম্যাচ খেলে ফেলেছেন তিনি।

মার্ক চ্যাপমান (হংকং)

২০১৫ সালের নভেম্বরে সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে অভিষেক ম্যাচেই ব্যক্তিগত সংগ্রহে তিন অংক ছুঁয়েছিলেন মার্ক চ্যাপম্যান। দুবাইয়ে অনুষ্ঠিত আইসিসি বিশ্ব ক্রিকেট লিগে ১১৫ বলে ১২৪ রানের রাজসিক ইনিংস খেলেছিলেন হংকংয়ের ব্যাটসম্যান। চার নাম্বারে ব্যাট করতে এসে শেষ পর্যন্ত অজেয় ছিলেন তিনি।

হংকংয়ের ইতিহাসে সেদিন প্রথম সেঞ্চুরিয়ান হিসেবে রেকর্ড গড়েন চ্যাপম্যান। শুধু তাই নয়, আইসিসি সহযোগী দেশগুলোর মধ্যে অভিষেকেই সেঞ্চুরি করা প্রথম এবং একমাত্র ব্যাটসম্যান তিনি। তার দুর্দান্ত ব্যাটিং নৈপুণ্যের সুবাদে সেদিন আরব আমিরাতকে ৮৯ রানে হারিয়েছিল হংকং। হংকংয়ের ২৯৮ রানের জবাব দিতে নেমে স্বাগতিক দল অলআউট হয়েছিল ২০৯ রানে।

অবশ্য হংকংয়ের হয়ে রাজসিক সূচনা করলেও এই জার্সিতে নিয়মিত হননি চ্যাপম্যান। তিনি এখন নিউজিল্যান্ডের ক্রিকেটার। গেল ১৩ ফেব্রুয়ারিতে কিউইদের জার্সিতে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে তার অভিষেকও হয়ে গেছে। এরই সঙ্গে দুই দেশের হয়ে খেলা দশম ক্রিকেটার হিসেবে নাম লিখিয়েছেন চ্যাপম্যান। টি-টোয়েন্টি অভিষেকের ঠিক দুই সপ্তাহ পরই নিউজিল্যান্ডের জার্সিতে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়ানডেতে প্রথম ম্যাচটি খেলেন তিনি।

রব নিকোল (নিউজিল্যান্ড)

২০১১ সালের অক্টোবরে নিউজিল্যান্ডের পক্ষে অভিষেক ম্যাচেই সেঞ্চুরি তুলে নেন রব নিকোল। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথমটিতে ১০৮ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি। কিন্তু সেদিন টেলরের ১২৮ রানের ইনিংসের কারণে অনেকটা আড়ালে থেকে গেছেন অভিষিক্ত নিকোল।

তবে দারুণ শুরুর পরও আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারটা লম্বা করতে পারেননি এই ব্যাটসম্যান। ব্ল্যাক ক্যাপসদের হয়ে ২২টি ওয়ানডে, ২১টি টি-টোয়েন্টি এবং দুটি টেস্ট খেলেন নিকোল। গেল জুনে সবধরণের ক্রিকেটকে বিদায় জানিয়ে দেন তিনি।

কলিন ইনগ্রাম (দক্ষিণ আফ্রিকা)

দক্ষিণ আফ্রিকার প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে অভিষেক ওয়ানডে ম্যাচে তিন অংকের ম্যাজিক ফিগার স্পর্শ করেন কোলিন ইনগ্রাম। ২০১০ সালের অক্টোবরে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ১২৪ রানের দারুণ ইনিংস খেলেন এই টপ অর্ডার ব্যাটসম্যান। সেদিন শতক হাঁকিয়েছিলেন ওপেনার হাশিম আমলাও। তাদের দুজনের সেঞ্চুরির সুবাদে ৩৫১ রান করেছিল দক্ষিণ আফ্রিকা।

সেদিন সেঞ্চুরি হয়েছিল আরো একটি। প্রোটিয়াদের ছুড়ে দেওয়া সাড়ে তিনশোর্ধ রানের জবাব দিতে নেমে ১৪৫ রানে অপরাজিত থাকেন ওপেনার ব্রেন্ডন টেলর। তবু দলকে জেতাতে পারেননি তিনি। তার দল জিম্বাবুয়েকে হারতে হয়েছিল ৬৪ রানে। তবে দলের জয়ে অবদান রাখলেও এরপর থেকেই হারাতে শুরু করেন ইনগ্রাম। আপাতত ইংলিশ কাউন্টি দল গ্লামারগানকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন তিনি।

ফিল হিউজ (অস্ট্রেলিয়া)

ক্রিকেট ইতিহাসের সম্ভবত সবচেয়ে মর্মান্তিক দুর্ঘটনার শিকার হয়েছিলেন ফিল হিউজ। মস্কিষ্কে রক্তক্ষরণে মৃত্যু হয় তার। স্বদেশি পেসার শন অ্যাবটের ভয়ঙ্কর একটা বাউন্সার কেড়ে নেয় হিউজের জীবন। মাত্র ২৫ বছর বয়সে ক্রিকেট দুনিয়াকে কাঁদিয়ে ওপারে পাড়ি জমান অস্ট্রেলিয়ান এই খেলোয়াড়। ২০১৪ সালে হিউজের মৃত্যুকে দৃষ্টান্ত হিসেবে দাঁড় করিয়ে এখন অবধি হেলমেট ব্যবহারে সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করা হচ্ছে।

অথচ অস্ট্রেলিয়ার জার্সিতে ক্যারিয়ারের শুরুটা কী দুর্দান্তই না করেছিলেন হিউজ। ২০১৩ সালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে অভিষেক ম্যাচেই সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছিলেন তিনি। হিউজের ১১২ রানের সুবাদে লঙ্কানদের ৩০৫ রানের চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছিল অস্ট্রেলিয়া। জবাব দিতে নেমে আশা জাগিয়েও অবিশ্বাস্য ব্যাটিং ধসে ১০৭ রানে হেরে যায় লঙ্কানরা। ৮৮ রানের মধ্যে শেষ আট উইকেট হারায় এশিয়ার দলটি।

কিন্তু অভিষেকে ম্যাচ সেরার পুরস্কার পাওয়া হিউজ দলে জায়গা হারান এরপরই। ফেরার লড়াইয়ে অনেকদূর এগিয়ে ছিলেন তিনি। অস্ট্রেলিয়ান ঘরোয়া ক্রিকেটে ৬৩ রানে অপরাজিত থেকে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন হিউজ। মাঠে অপ্রতিরোধ্য হয়ে ওঠা অ্যাবট দুইদিন জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে থাকার পর হারিয়ে যান চিরতরে।

বাংলা ইনসাইডার/এসএম



মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

বিশ্বকাপ নিয়ে নিজের প্রত্যাশা জানালেন সাকিব

প্রকাশ: ০২:৫৪ পিএম, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail সাকিব আল হাসান

চলতি বছরের জুনে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতে শুরু হতে যাচ্ছে এবারের টি-২০ বিশ্বকাপের মহারণ। বাকি নেই দেড় মাসও। যার জন্য ইতোমধ্যেই বেশ জোরেশোরে প্রস্তুতি চলছে প্রতিটি দলেই। সেই সাথে প্রতিটি দল শুরু করেছে স্কোয়াড তৈরির কাজ। সেই তালিকায় রয়েছে বাংলাদেশও।

যার জন্য ইতোমধ্যেই বিশ্বকাপের পূর্ব প্রস্তুতি হিসেবে ঘরের মাঠে জিম্বাবুয়ের সঙ্গে পাঁচ ম্যাচের টি-২০ সিরিজের দিনক্ষণ ঠিক করেছে বিসিবি। আর কয়েকদিন পরেই শুরু হবে এই সিরিজ। ইতোমধ্যে এই সিরিজের প্রস্তুতি ক্যাম্পের দলও ঘোষিত হয়েছে। মূলত বিশ্বকাপের সম্ভাব্য ক্রিকেটারদের নিয়েই এই স্কোয়াড দিয়েছে বিসিবি।

যদিও বিসিবির ঘোষিত সেই স্কোয়াডে নেই অভিজ্ঞ ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান। জানা গেছে, পরিবারের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রে আছেন সাকিব। কয়েকদিনের মধ্যে তার দেশে ফেরার কথা রয়েছে। দেশে ফিরে শেখ জামালের হয়ে ডিপিএলের সুপার লিগের কয়েকটি ম্যাচ খেলবেন তিনি।

ঘরের মাঠে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে প্রথম দুই টি-২০তে না খেললেও সিরিজের শেষ তিন ম্যাচ খেলার কথা রয়েছে সাকিবের। এর আগে বুধবার যুক্তরাষ্ট্রে এক অনুষ্ঠানে আসন্ন টি-২০ বিশ্বকাপে বাংলাদেশের সম্ভাবনা নিয়ে আশার কথাই শুনিয়েছেন এই অলরাউন্ডার।

সাকিব বলেন, ‘আমাদের প্রস্তুতিটা আশা করি বেশ ভালো হবে। এর আগে যখন আমরা এখানে (যুক্তরাষ্ট্র) খেলেছি প্রচুর সমর্থন পেয়েছি। আমরা ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ওই সময় সিরিজ জিতেছিলাম। আশা করি এবারও ওরকম ভালো কিছু করতে পারব আমরা।’

তিনি আরো বলেন, ‘গত টি-২০ বিশ্বকাপে আমাদের পারফরম্যান্স অনেক ভালো ছিল। ওখান থেকে যদি আরেকটু উন্নতি করতে পারি, আমার মনে হয় এবার আমাদের আরো ভালো করার সম্ভাবনা আছে।’

শ্রীলংকা ও দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে বাংলাদেশের প্রথম দুই ম্যাচ ডালাস ও নিউইয়র্কে। সেন্ট ভিনসেন্টে নেদারল্যান্ডস ও নেপালের বিপক্ষে শেষ দুই ম্যাচ। বিশ্বকাপের ‘গ্রুপ অব ডেথ’ বলা হচ্ছে এটিকে। সাকিব নিজেও সেটি মানছেন। তবু তাকে আশাবাদী করে তুলছে দুই দেশের কন্ডিশন।

টাইগারদের সাবেক এই অধিনায়ক বলেন, ‘আমার মনে হয় কন্ডিশন যেমন হবে, সেটা আমাদের সহায়তা করবে। ওয়েস্ট ইন্ডিজ আমাদের (খেলার) সঙ্গে বেশ মানানসই। সেখানে একই ধরনের পিচ (বাংলাদেশের মতো) আমরা পেতে পারি। ডালাসেও আমাদের সহায়ক পিচ হতে পারে। তবে আমি জানি না নিউইয়র্কের পিচ কেমন হবে।’


সাকিব আল হাসান   জিম্বাবুয়ে   বাংলাদেশ   টি-২০ বিশ্বকাপ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

২০২৫ পর্যন্ত বার্সাতেই থাকার ঘোষণা জাভির

প্রকাশ: ০২:০৪ পিএম, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

তিন বছর পূর্বে ২০২১ সালের নভেম্বরে হতাশায় ডুবতে থাকা বার্সেলোনার দায়িত্ব নিয়েছিলেন জাভি হার্নান্দেজ। দায়িত্ব নেয়ার পর গত মৌসুমে ক্লাবকে এনে দিয়েছিলেন লিগ শিরোপাও। এরপর হঠাৎ চলতি বছরের শুরুতে কাতালান ছাড়ার ঘোষণা দেন জাভি। এই কিংবদন্তি ফুটবলার জানিয়ে দিয়েছেন, চলমান মৌসুম শেষে বার্সার ডাগআউটে আর থাকবেন না। এরপর থেকে অন্য রূপে বার্সা। নিয়মিত পারফর্ম করতে থাকে তারা। দলের এই পরিবর্তনে খুশি কাতালান প্রশাসন। আর যার জন্য ক্লাবকর্তারা অনুরোধ করেছেন জাভিকে থেকে যাওয়ার জন্য।

আর ক্লাবকর্তাদের অনুরোধে এবার সিদ্ধান্ত বদল করে বার্সাতেই থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন জাভি। তিনি জানিয়েছেন, ২০২৫ সাল পর্যন্ত বার্সাতেই থাকবেন।

স্প্যানিশ গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, বার্সেলোনা সভাপতি হুয়ান লাপোর্তা ও স্পোর্টিং ডিরেক্টর ডেকোর সঙ্গে বৈঠকের পর নিজের সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করেন জাভি। বার্সা সভাপতির বাড়িতে তাদের এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে ক্লাবের পক্ষ থেকে জাভিকে থেকে যাওয়ার জন্য চাপ দেওয়া হয়েছে।

জাভি দায়িত্ব ছাড়ার ঘোষণা দেওয়ার পর বেশ কিছু কোচের সঙ্গেই আলোচনা করেছিল বার্সা কর্তৃপক্ষ। সাবেক জার্মানি কোচ হ্যান্সি ফ্লিক ও ব্রাইটন কোচ রবার্তো ডি জারবির সঙ্গে বিবেচনায় ছিলেন বার্সেলোনা বি দলের কোচ রাফায়েল মারকুয়েজও। কিন্তু জাভিকেই কোচ হিসেবে রেখে দেওয়ার পক্ষে ছিলেন লাপোর্তা। অবশেষে বার্সা সভাপতির ইচ্ছেই পূরণ হতে চলেছে।

উল্লেখ্য, ২০২১ সালের নভেম্বরে বার্সেলোনার দায়িত্ব নিয়েছিলেন জাভি। গত মৌসুমে দারুণ পারফরম্যান্সের মধ্য দিয়ে ক্লাবকে এনে দিয়েছিলেন লিগ শিরোপাও। কিন্তু এ মৌসুমে ব্যর্থতার বৃত্তেই ঘুরপাক খাচ্ছে বার্সা। এরই মধ্যে লা লিগায় রিয়াল মাদ্রিদের চেয়ে ১১ পয়েন্ট পিছিয়ে কাতালান ক্লাবটি।


বার্সালোনা   চ্যাম্পিয়ন্স লিগ   জাভি হার্নান্দেজ   লা লিগা  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

টাইগারদের জন্য হাথুরুর বিশেষ অনুশীলন পরিকল্পনা

প্রকাশ: ০১:৪২ পিএম, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

আর কিছুদিন পরেই ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতে শুরু হতে যাচ্ছে এবারের টি-২০ বিশ্বকাপের মহারণ। যার জন্য ইতোমধ্যেই বেশ জোরেশোরে প্রস্তুতি চলছে প্রতিটি দলেই। সেই তালিকায় রয়েছে বাংলাদেশও। যার জন্য ফিটনেস ট্রেনিং থেকে শুরু করে ঘরের মাঠে সিরিজ সবক্ষেত্রেই ভালো করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে টাইগাররা।

আসন্ন বিশ্বকাপকে সামনে রেখে ক্রিকেটারদের বিশেষ পরিকল্পনা দিয়েছেন হেড কোচ হাথুরুসিংহে। জানা গেছে, মুমিনুল-মিরাজদের সঙ্গে আলাদা বৈঠক করে অনুশীলন পরিকল্পনা দিয়েছেন চন্ডিকা হাথুরুসিংহে। পাকিস্তান ও ভারতের বিপক্ষে বিশ্ব টেস্ট সিরিজ জন্য ব্যাটারদের ভালোভাবে প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে।

হাথুরুসিংহের সঙ্গে আলাদা বৈঠকে কী নিয়ে কথা হয়েছে-এমন প্রশ্নের জবাবে মুমিনুল বলেন, ‘খেলা না থাকলে খেলোয়াড়দের সঙ্গে মিটিং করে কিছু নির্দেশনা দেন কোচ। সে রকম একটা মিটিং ছিল। অবশ্য এবারের মিটিংটা একটু আলাদা। লিগ শেষ হলে টেস্ট ক্রিকেটারদের অনুশীলনে থাকতে বলা হয়েছে। বিসিবি থেকেই অনুশীলনের ব্যবস্থা করা হবে।’

হাথুরুসিংহের বিশেষ পরিকল্পনায় কারা অনুশীলন করবে জানতে চাওয়া হলে ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের চেয়ারম্যান জালাল ইউনুস বলেন, ‘জাতীয় দলের পুলের ক্রিকেটারদের অনুশীলনে রাখার একটা পরিকল্পনা করা হয়েছে। কোচ টেস্ট খেলোয়াড়দের সঙ্গে মিটিং করে পরিকল্পনা দিয়েছেন। বিসিবি এখন কোচের পরিকল্পনা অনুযায়ী অনুশীলনের ব্যবস্থা করবে। কারণ, বিশ্বকাপ শেষে পরপর দুটি টেস্ট সিরিজ খেলা হবে।’


হাথুরুসিংহে   বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড   বিসিবি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

টি-২০ বিশ্বকাপের শুভেচ্ছাদূত হলেন বোল্ট

প্রকাশ: ০১:১৪ পিএম, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

চলতি বছরের জুনে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতে শুরু হতে যাচ্ছে এবারের টি-২০ বিশ্বকাপের মহারণ। যার জন্য ইতোমধ্যেই বেশ জোরেশোরে প্রস্তুতি চলছে প্রতিটি দলেই। ক্রিকেটের সংক্ষিপ্ততম এই সংস্করণের বৈশ্বিক টুর্নামেন্ট এবার আয়োজিত হচ্ছে কিছুটা ভিন্নরূপে। যেখানে অংশ নিচ্ছে ২০টি দল।

এই আসরে বাড়তি মাত্রা যোগ করবেন ট্র্যাক অ্যান্ড ফিল্ডের সর্বকালের অন্যতম সেরা অ্যাথলেট উসাইন বোল্ট। আসন্ন টি-২০ বিশ্বকাপের শুভেচ্ছাদূত হয়েছেন তিনি। তাকে এই টুর্নামেন্টে যুক্ত করেছে বিশ্ব ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইসিসি।

এ বিষয়ে দ্রুত গতির মানব বলেন, ‘টি-২০ বিশ্বকাপের শুভেচ্ছাদূত হতে পেরে আমি আনন্দিত। ক্যারীবিয়ান থেকে উঠে আসা মানুষ আমি। ক্রিকেট জীবনেরই একটি অংশ। এই খেলাটি সবসময় আমার হৃদয়ে বিশেষ জায়গা নিয়ে আছে। বিশ্বকাপের মতো এমন মর্যাদাপূর্ণ টুর্নামেন্টের অংশ হতে পেরে আমি সম্মানিত বোধ করছি। বৈশ্বিকভাবে ক্রিকেটের উন্নতিতে অবদান রাখতে এবং বিশ্বকাপে নিজের শক্তি ও উৎসাহ দিয়ে কাজ করতে মুখিয়ে আছি আমি।’

দেশটিতে ক্রিকেটের ভবিষ্যৎ নিয়েও আশাবাদী বোল্ট। তার মতে, ‘আমেরিকা খেলায় এবং এর তীব্রতায় বিশ্বাস করে। এমন বাজারে ঢোকা আমার কাছে বড় ব্যাপার বলে মনে হয়। যদি তারা এদিকে ঝোঁকে, তাহলে তারা ঠিকঠাকভাবেই এগোবে। টি-২০ বিশ্বকাপে যেমন উৎসাহ থাকবে, তেমন কিছু হলে দারুণ হবে।’

এবারই প্রথম যুক্তরাষ্ট্র কোনো আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ইভেন্ট আয়োজন করতে যাচ্ছে। বোল্ট মনে করেন,  ক্রিকেটের প্রতি দ্রুতই আরো মনোনিবেশ করবে আমেরিকা।


অ্যাথলেট   উসাইন বোল্ট   টি-২০ বিশ্বকাপ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

ঘরের মাঠেও দিল্লির কাছে হারল গুজরাট

প্রকাশ: ১১:২১ এএম, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

চলতি আইপএলের ৩২ তম ম্যাচে প্রথমবার মুখোমুখি হয়েছিল গুজরাট টাইটানস্ ও দিল্লি ক্যাপিটালস। সেই দেখাই গুজরাটকে তাদের ঘরের মাঠে এ আসরের সব থেকে কম ৮৯ রানে অলআউট করেছিল দিল্লি। সেই ম্যাচে ৬ উকেটের দুর্দান্ত জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে ঋষভ পন্তের দল। গতকাল বুধবার (২৪ এপ্রিল) দিনের একমাত্র ম্যাচে মুখোমুখি হয় এই দুই দল। এই ম্যাচে গুজরাটকে ৪ রানে হারিয়ে ব্যাক টু ব্যাক জয় তুলে নেয় দিল্লি ক্যাপিটালস।  

চলতি আইপিএলের ৪০ তম এই ম্যাচে আগে ব্যাট করতে নেমে গুজরাটকে ২২৫ রানের টার্গেট দেয় দিল্লি ক্যাপিটালস। জবাবে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ২২০ রান তুলতে পারে গুজরাট। এতে ৪ রানের জয় পায় দিল্লি। 

এই জয়ের মাধ্যমে গুজরাটকে পিছনে ফেলে পয়েন্ট টেবিলের ৬ নম্বরে উঠে গেল দিল্লি।

বড় লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুতেই হোঁচট খায় গুজরাট। ৫ বলে ৬ রান করে সাজ ঘরে ফেরেন অধিনায়ক শুভমান গিল। এরপর সাই সুদর্শনকে সঙ্গে নিয়ে রান তুলতে থাকেন ঋদ্ধিমান শাহা। ২৫ বলে ৩৯ রান করে ঋদ্ধিমান আউট হলেও ২৯ বলে ফিফটি তুলে নেন এই সুদর্শন।

এরপর একপ্রান্ত আগলে রেখে ডেভিড মিলার লড়াই জারি রাখলেও বাকিদের চলে আসা যাওয়ার মিছিল। শেষ দিকে রশিদ খান ও সাই কিশোরের শেষ ১০ বলে ২১ রানের ক্যামিও ইনিংস থাকলেও হার এড়াতে পারেনি গুজরাট। 

এদিন দিল্লি ক্যাপিটালসের হয়ে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট শিকার করেন রাসিখ সালাম। এছাড়াও কুলদ্বীপ যাদব ২টি, এনরিখ নরকিয়া, মুকেশ কুমার ও অক্ষর প্যাটেল ১টি করে উইকেট নেন।

এর আগে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে দুর্দান্ত শুরু করে দিল্লির দুই ওপেনার পৃথ্বী শাহ এবং জ্যাক ফ্রেজার। তবে ইনিংস বড় করেতে পারেননি দুজনের কেউই। ১৪ বলে ২৩ রান করে ফ্রেজার আউট হলে ৭ বলে ১১ রান করে সাজ ঘরে ফিরেন পৃথ্বী। এদিন ব্যাট হাতে আলো ছড়াতে পারেননি শাই হোপ। ৬ বলে ৫ রান করেন এই ক্যারিবিয়ান।

এরপর দিল্লি শিবিরের হাল ধরেন অক্ষর প্যাটেল এবং ঋষভ পান্থ। ৩৭ বলে ফিফটি তুলে নেন অক্ষর প্যাটেল। এরপর দ্রুত গতিতে রান তুলতে থাকেন এই বাঁহাতি ব্যাটার। ৪৩ বলে ৬৬ রান করে সাজ ঘরে ফিরেন তিনি। এরপর স্টাবসের ৭ বলে ২৬ রান এবং পান্থের ৪৩ বলে ৮৮ রানের বিধ্বংসী ইনিংসে ভর করে ২২৪ রানের বড় পুঁজি পায় দিল্লি।


আইপিএল   গুজরাট টাইটানস্   দিল্লি ক্যাপিটালস  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন