ইনসাইড গ্রাউন্ড

অভিষেকেই শতক, এরপর করুণ পরিণতি

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৯:০২ এএম, ১৮ অগাস্ট, ২০১৯


Thumbnail

ওয়ানডে ক্রিকেটের শুরুটা হয় ১৯৭১ সালের ৫ জানুয়ারি। ইংল্যান্ড-অস্ট্রেলিয়ার ওই ম্যাচের পর থেকে এক দিনের ক্রিকেটের বয়স আজ ৪৮ বছরের কিছু বেশি। এত বছরের পথচলায় মাত্র ১৫ জন ব্যাটসম্যান অভিষেকেই শতক হাঁকানোর বিরল কৃতিত্ব গড়তে পেরেছেন। তবে এর মধ্যে অনেকেই দুর্দান্ত অভিষেকের পর বরণ করে নিয়েছেন করুণ পরিণতি।

যেখানে নিজের ক্যারিয়ারের প্রথম শতকের দেখা পেতেই অনেক ক্রিকেটারের লেগে যায় বছরের পর বছর, সেখানে নিজের প্রথম ম্যাচেই শতক করে চমকে দেয়া ক্রিকেটারদের উপর বাড়তি আশা থাকবে সেটাই স্বাভাবিক। তবে শতক দিয়ে শুরু করেও অনেকেই বরণ করে নিয়েছেন করুণ পরিণতি।

করুণ পরিণতি বরণ করে নেয়া এমন ক্রিকেটারদের নিয়েই আজকের প্রতিবেদন।    

টেম্বা বাভুমা (দক্ষিণ আফ্রিকা)

ওয়ানডে অভিষেকেই ইতিহাস গড়েছিলেন টেম্বা বাভুমা। দক্ষিণ আফ্রিকান প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ ব্যাটসম্যান হিসেবে অভিষেকেই সেঞ্চুরি করেছিলেন তিনি। ২০১৬ সালের সেপ্টেম্বরে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে এক ম্যাচের সিরিজে ১১৩ রানের ইনিংস খেলেছিলেন বাভুমা।

বাভুমার আগে প্রোটিয়াদের জার্সিতে প্রথম ম্যাচে একজনই সেঞ্চুরি করেছিলেন। তার সেঞ্চুরির ওপর দাঁড়িয়ে আইরিশদের কাঁধে ৩৫৪ রানের পাহাড় চাপিয়ে প্রোটিয়ারা জিতেছিল রেকর্ড ২০৬ রানের ব্যবধানে। অথচ ওয়ানডে অভিষেকের পর আর মাত্র একটা ওয়ানডে ম্যাচই খেলার সৌভাগ্য হয়েছিল বাভুমার।

গত বছরের অক্টোবরে বাংলাদেশের বিপক্ষে দ্বিতীয় ও শেষ ওয়ানডে ম্যাচটা খেলেছেন তিনি। তবে ওয়ানডে ক্যারিয়ারে ধুঁকলেও দক্ষিণ আফ্রিকার টেস্ট দলের নিয়মিত খেলোয়াড় হয়ে উঠেছেন বাভুমা। সাদা পোশাকে ইতোমধ্যে ৩১টি ম্যাচ খেলে ফেলেছেন তিনি।

মার্ক চ্যাপমান (হংকং)

২০১৫ সালের নভেম্বরে সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে অভিষেক ম্যাচেই ব্যক্তিগত সংগ্রহে তিন অংক ছুঁয়েছিলেন মার্ক চ্যাপম্যান। দুবাইয়ে অনুষ্ঠিত আইসিসি বিশ্ব ক্রিকেট লিগে ১১৫ বলে ১২৪ রানের রাজসিক ইনিংস খেলেছিলেন হংকংয়ের ব্যাটসম্যান। চার নাম্বারে ব্যাট করতে এসে শেষ পর্যন্ত অজেয় ছিলেন তিনি।

হংকংয়ের ইতিহাসে সেদিন প্রথম সেঞ্চুরিয়ান হিসেবে রেকর্ড গড়েন চ্যাপম্যান। শুধু তাই নয়, আইসিসি সহযোগী দেশগুলোর মধ্যে অভিষেকেই সেঞ্চুরি করা প্রথম এবং একমাত্র ব্যাটসম্যান তিনি। তার দুর্দান্ত ব্যাটিং নৈপুণ্যের সুবাদে সেদিন আরব আমিরাতকে ৮৯ রানে হারিয়েছিল হংকং। হংকংয়ের ২৯৮ রানের জবাব দিতে নেমে স্বাগতিক দল অলআউট হয়েছিল ২০৯ রানে।

অবশ্য হংকংয়ের হয়ে রাজসিক সূচনা করলেও এই জার্সিতে নিয়মিত হননি চ্যাপম্যান। তিনি এখন নিউজিল্যান্ডের ক্রিকেটার। গেল ১৩ ফেব্রুয়ারিতে কিউইদের জার্সিতে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে তার অভিষেকও হয়ে গেছে। এরই সঙ্গে দুই দেশের হয়ে খেলা দশম ক্রিকেটার হিসেবে নাম লিখিয়েছেন চ্যাপম্যান। টি-টোয়েন্টি অভিষেকের ঠিক দুই সপ্তাহ পরই নিউজিল্যান্ডের জার্সিতে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়ানডেতে প্রথম ম্যাচটি খেলেন তিনি।

রব নিকোল (নিউজিল্যান্ড)

২০১১ সালের অক্টোবরে নিউজিল্যান্ডের পক্ষে অভিষেক ম্যাচেই সেঞ্চুরি তুলে নেন রব নিকোল। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথমটিতে ১০৮ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি। কিন্তু সেদিন টেলরের ১২৮ রানের ইনিংসের কারণে অনেকটা আড়ালে থেকে গেছেন অভিষিক্ত নিকোল।

তবে দারুণ শুরুর পরও আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারটা লম্বা করতে পারেননি এই ব্যাটসম্যান। ব্ল্যাক ক্যাপসদের হয়ে ২২টি ওয়ানডে, ২১টি টি-টোয়েন্টি এবং দুটি টেস্ট খেলেন নিকোল। গেল জুনে সবধরণের ক্রিকেটকে বিদায় জানিয়ে দেন তিনি।

কলিন ইনগ্রাম (দক্ষিণ আফ্রিকা)

দক্ষিণ আফ্রিকার প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে অভিষেক ওয়ানডে ম্যাচে তিন অংকের ম্যাজিক ফিগার স্পর্শ করেন কোলিন ইনগ্রাম। ২০১০ সালের অক্টোবরে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ১২৪ রানের দারুণ ইনিংস খেলেন এই টপ অর্ডার ব্যাটসম্যান। সেদিন শতক হাঁকিয়েছিলেন ওপেনার হাশিম আমলাও। তাদের দুজনের সেঞ্চুরির সুবাদে ৩৫১ রান করেছিল দক্ষিণ আফ্রিকা।

সেদিন সেঞ্চুরি হয়েছিল আরো একটি। প্রোটিয়াদের ছুড়ে দেওয়া সাড়ে তিনশোর্ধ রানের জবাব দিতে নেমে ১৪৫ রানে অপরাজিত থাকেন ওপেনার ব্রেন্ডন টেলর। তবু দলকে জেতাতে পারেননি তিনি। তার দল জিম্বাবুয়েকে হারতে হয়েছিল ৬৪ রানে। তবে দলের জয়ে অবদান রাখলেও এরপর থেকেই হারাতে শুরু করেন ইনগ্রাম। আপাতত ইংলিশ কাউন্টি দল গ্লামারগানকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন তিনি।

ফিল হিউজ (অস্ট্রেলিয়া)

ক্রিকেট ইতিহাসের সম্ভবত সবচেয়ে মর্মান্তিক দুর্ঘটনার শিকার হয়েছিলেন ফিল হিউজ। মস্কিষ্কে রক্তক্ষরণে মৃত্যু হয় তার। স্বদেশি পেসার শন অ্যাবটের ভয়ঙ্কর একটা বাউন্সার কেড়ে নেয় হিউজের জীবন। মাত্র ২৫ বছর বয়সে ক্রিকেট দুনিয়াকে কাঁদিয়ে ওপারে পাড়ি জমান অস্ট্রেলিয়ান এই খেলোয়াড়। ২০১৪ সালে হিউজের মৃত্যুকে দৃষ্টান্ত হিসেবে দাঁড় করিয়ে এখন অবধি হেলমেট ব্যবহারে সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করা হচ্ছে।

অথচ অস্ট্রেলিয়ার জার্সিতে ক্যারিয়ারের শুরুটা কী দুর্দান্তই না করেছিলেন হিউজ। ২০১৩ সালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে অভিষেক ম্যাচেই সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছিলেন তিনি। হিউজের ১১২ রানের সুবাদে লঙ্কানদের ৩০৫ রানের চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছিল অস্ট্রেলিয়া। জবাব দিতে নেমে আশা জাগিয়েও অবিশ্বাস্য ব্যাটিং ধসে ১০৭ রানে হেরে যায় লঙ্কানরা। ৮৮ রানের মধ্যে শেষ আট উইকেট হারায় এশিয়ার দলটি।

কিন্তু অভিষেকে ম্যাচ সেরার পুরস্কার পাওয়া হিউজ দলে জায়গা হারান এরপরই। ফেরার লড়াইয়ে অনেকদূর এগিয়ে ছিলেন তিনি। অস্ট্রেলিয়ান ঘরোয়া ক্রিকেটে ৬৩ রানে অপরাজিত থেকে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন হিউজ। মাঠে অপ্রতিরোধ্য হয়ে ওঠা অ্যাবট দুইদিন জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে থাকার পর হারিয়ে যান চিরতরে।

বাংলা ইনসাইডার/এসএম



মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

ইউরোপা লিগের সেমির পূর্বে নিষেধাজ্ঞায় মার্টিনেজ

প্রকাশ: ০২:৩৯ পিএম, ২০ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

এমিলিয়ানো মার্টিনেজ। আর্জেন্টিনার আন্তর্জাতিক শিরোপাখরা কাটানোর অন্যতম নায়ক তিনি। তবে শুধুমাত্র আন্তর্জাতিক খেলায় নয়, ক্লাব ফুটবলেও দিনের পর দিন ভয়ংকর হয়ে উঠছেন এমি।

দুইদিন পূর্বেই উয়েফা ইউরোপা কনফারেন্স লিগের কোয়ার্টার ফাইনালে লিলের বিপক্ষে দ্বিতীয় লেগের ম্যাচটিতে অ্যাস্টন ভিলার জয়ের নায়ক ছিলেন এমি। টাইব্রেকারে গড়ানো ম্যাচে দুটি পেনাল্টি ঠেকিয়ে দলের জয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল এই অর্জেন্টাইনের।

যার দুর্দান্ত পারফরম্যান্সে সেমি ফাইনালের টিকিট পেয়েছিল অ্যাস্টন ভিলা, গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে তাকেই পাচ্ছে না দলটি। আগামী ২ মে গ্রিসের ক্লাব অলিম্পিয়াকোসের বিপক্ষে প্রথম লেগের ম্যাচটিতে খেলতে পারবেন না মার্টিনেজ।

আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপজয়ী এই গোলকিপারকে এক ম্যাচের জন্য নিষিদ্ধ করেছে উয়েফা। কারণ, কনফারেন্স লিগের কোয়ার্টার ফাইনালের দুই লেগ মিলিয়ে তিনটি হলুদ কার্ড দেখেছেন তিনি।

গতকাল কোয়ার্টার ফাইনালের দ্বিতীয় লেগের ম্যাচে দুবার হলুদ কার্ড দেখেন মার্টিনেজ। প্রথমবার ম্যাচের ৩৯ তম মিনিটে তাকে হলুদ কার্ড দেন রেফারি। এরপর ম্যাচ ট্রাইব্রেকারে গড়ালে সেখানেও হলুদ কার্ড পান মার্টিনেজ।

সবমিলিয়ে মার্টিনেজ ম্যাচে দুটি হলুদ কার্ড দেখার পরও লাল কার্ড দেখাননি রেফারি। কারণ উয়েফার নিয়ম অনুযায়ী, ম্যাচের নিয়মিত সময়ে দেখা হলুদ কার্ড টাইব্রেকারের সময়ের দেখা হলুদ কার্ডের সঙ্গে যোগ হয় না। তবে এটা আবার সামগ্রিক কার্ড দেখার হিসেবে যোগ হয়। তাই লাল কার্ড না পেলেও, ঠিকই নিষেধাজ্ঞায় পড়েছেন।

সেমি ফাইনালের প্রথম লেগের ম্যাচে খেলতে না পারলেও দ্বিতীয় লেগের ম্যাচে মাঠে নামতে পারবেন মার্টিনেজ।


এমি মার্টিনেজ   আর্জেন্টিনা   ফুটবল   ইউরোপা লিগ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

গুঞ্জন উড়িয়ে জার্মানির সাথে নাগলসমানের চুক্তি নবায়ন

প্রকাশ: ০১:৫৯ পিএম, ২০ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

বেশ কিছুদিন ধরেই ফুটবল পাড়ায় গুঞ্জন চলছে যে, আসন্ন ইউরো শেষেই জার্মানির প্রধান কোচের দায়িত্ব ছাড়ছেন ইউলিয়ান নাগলসমান। শুধু তাই নয়, এমনও শোনা যাচ্ছিল যে, তিনি আবারও ফিরবেন তার পুরোনো ঠিকানায়। তবে এবার সব জল্পনা-কল্পনা শেষে আবারও জার্মান ফুটবল ফেডারেশনের (ডিএফবি) সঙ্গে ২০২৬ বিশ্বকাপ পর্যন্ত চুক্তির মেয়াদ বাড়িয়েছেন ৩৬ বছর বয়সী এ কোচ।

জাতীয় দলের সঙ্গে চুক্তির মেয়াদ বাড়িয়ে বেশ উচ্ছ্বসিত নাগলসমান। জাতোয় দলের সঙ্গে কাজ করাটা কতটা উপভোগ করেন তিনি, তা বুঝাতে গিয়ে এই কোচ বলেছেন—সিদ্ধান্তটা মাথা দিয়ে নয়, হৃদয় থেকে নিয়েছেন।

ডিএফবির সঙ্গে চুক্তি নবায়নের পর নাগলসমান বলেছেন, ‘সিদ্ধান্তটা হৃদয় থেকে নিয়েছি। জাতীয় দলকে প্রশিক্ষণ দিতে পারা এবং দেশের সেরা খেলোয়াড়দের সঙ্গে কাজ করতে পারা আমার জন্য অনেক বড় সম্মানের। দারুণ পারফর্ম করে সাফল্য পাওয়ার মাধ্যমে পুরো দেশকে অনুপ্রাণিত করার সুযোগ আমাদের আছে।’

গত বছরের সেপ্টেম্বরে হানসি ফ্লিককে বরখাস্ত করে নাগলসমানকে দায়িত্ব দেয় ডিএফবি। প্রাথমিকভাবে ফেডারেশনের সঙ্গে ২০২৪ ইউরো পর্যন্ত চুক্তি ছিল। তার অধীনে এখন পর্যন্ত ৬টি ম্যাচ খেলেছে জার্মানি। জিতেছে ৩টি, হেরেছে ২টি ও ড্র করেছে ১টি ম্যাচ। ৩ জয়ের মধ্যে সর্বশেষ ২টি আবার দুই পরাশক্তি নেদারল্যান্ডস ও ফ্রান্সের বিপক্ষে।

শিষ্যদের এমন পারফরম্যান্স মুগ্ধ করেছে কোচকে। নাগলসমান বলেন, ‘মার্চে ফ্রান্স ও নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে জয় দুটি সত্যিই আমাকে ছুঁয়ে গেছে। আমরা নিজেদের মাঠে সাফল্যমণ্ডিত ইউরো খেলতে চাই। আমি এখন সেদিকেই তাকিয়ে আছি এবং (এরপর) আমার কোচিং দলকে নিয়ে বিশ্বকাপ চ্যালেঞ্জ নেওয়ার অপেক্ষায় থাকব।’


নাগালসমান   জার্মানি ফুটবল ফেডারেশন   ২০২৬ ফিফা বিশ্বকাপ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

মুস্তাফিজসহ চেন্নাইয়ের বোলারদের প্রতি হতাশ হার্শা-মুডি

প্রকাশ: ০১:২৭ পিএম, ২০ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

গতকাল রাতে লখনৌয়ের বিপক্ষে চেন্নাই সুপার কিংস যেন শুরু থেকেই ছিল নড়বড়ে। তবুও ব্যাটিংয়ে আজিঙ্কা রাহানে, রবিন্দ্র জাদেজা ও মহেন্দ্র সিং ধোনির মুগ্ধতায় লড়াকু সংগ্রহে পৌঁছেছিল তারা। কিন্তু পরবর্তীতে বোলাররা আপ্রাণ চেষ্টা করেও আটকাতে পারেনি লখনৌয়ের ব্যাটারদের।

এদিন মুস্তাফিজকেও দেখা যায়নি তার চেনা ফর্মে। একটি উইকেট নিলেও ওভারপ্রতি দশের উপরে রান দিয়েছেন তিনি। যা ইনফর্ম এই পেসারের থেকে খানিকটা অপ্রত্যাশিতই। ফিজের এমন পারফরম্যান্সের সমালোচনা করেছেন হার্শা ভোগলে ও টম মুডি।

মুডি বলেন, 'মুস্তাফিজুর, দেশপান্ডে, জাদেজা তারা সবাই ওভারপ্রতি দশের বেশি রান দিয়েছে। এমন বোলারদের কাছে আপনি কখনই এমনটা প্রত্যাশা করবেন না। এটা চেন্নাইয়ের জন্য অপ্রত্যাশিত ছিল।'

আসরের শুরু থেকেই দুর্দান্ত ফর্মে আছেন মুস্তাফিজ। একাধিক ম্যাচে দলের জয়ে বড় ভূমিকা ছিল এই বাঁহাতি পেসারের। তবে গত রাতে তার এমন পারফরম্যান্সের কারণ হিসেবে উইকেটকে কিছুটা দায় দিলেন হার্শা।

তিনি বলেন, 'চেন্নাই যখন ব্যাটিং করছিল তখন বল খানিকটা গ্রিপ করছিলো। আমার মনে হয়েছিল এই উইকেটে ফিজ দুর্দান্ত বোলিং করবে। আমি জানি না উইকেটের ব্যাপারটা কি ছিল। তবে দেখে মনে হয়েছে পরের দিকে ব্যাটিং করাটা সহজ হয়ে গিয়েছিল।'

লক্ষ্ণৌতে টস হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৭৬ রান করে চেন্নাই। জবাবে খেলতে নেমে ১৯ ওভারে ২ উইকেট হারিয়েই জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে যায় লক্ষ্ণৌ।


মুস্তাফিজ   চেন্নাই সুপার কিংস   আইপিএল  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

মুস্তাফিজ খুবই ভালো মনের মানুষ: পাথিরানা

প্রকাশ: ১১:২৬ এএম, ২০ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

ক্রিকেটে বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা ম্যাচ মানেই বর্তমানে বাড়তি উত্তেজনা। গত বছরে অনুষ্ঠিত বিশ্বকাপ ও এশিয়া কাপে এ দুই দলের মধ্যকার দ্বৈরথ পেয়েছে ভিন্নমাত্রা। বিশেষ করে বিশ্বকাপে অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউসের ‘টাইমড আউট’ নিয়ে তো বেশ সরব ছিল ক্রিকেট পাড়া। সবশেষে বাংলাদেশের মাটিতে হওয়া সিরিজেও এই উত্তেজনা লক্ষ্য করা গেছে।

তবে মাঠের উত্তেজনা ছাপিয়ে মাঠের বাইরে ক্রিকেটারদের বন্ধুত্বের সম্পর্কও রয়েছে দুই দলের ক্রিকেটারদের মধ্যে। সম্প্রতি এমনই একটি সম্পর্ক লক্ষ্য করা গেছে মুস্তাফিজ ও মাথিশা পাথিরানার মধ্যে। যা নিয়ে গণমাধ্যমে কথা বলেছেন লঙ্কান তরুণ পেসার পাথিরানা।

আইপিএলের গত আসরে চেন্নাইয়ের শিরোপা জয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন মাথিশা পাথিরানা। আর গত বছর ডিসেম্বরে হওয়া নিলামে ২ কোটি টাকা ভিত্তিমূল্যে চেন্নাইতে যোগ দেন বাংলাদেশের কাটার মাস্টার।

আইপিএলের চলতি আসরের আগে বাজে ফর্মে থাকলেও পাথিরানার ইনজুরিতে সুযোগ পেয়ে শতভাগ কাজে লাগান ‘দ্য ফিজ’। উদ্বোধনী ম্যাচে বল হাতে ৪ উইকেট নিয়ে হন ম্যাচসেরা। এলে দলে নিজের জায়গা পাকাপোক্ত করেন তিনি। ৬ ম্যাচে ১১ উইকেট নিয়ে তিনি আছেন সেরা উইকেট শিকারী তালিকার ৪ নম্বরে।  

মুস্তাফিজ ও পাথিরানার উপস্থিতিতে শক্তি বেড়েছে চেন্নাইয়ের বোলিং লাইন আপের। সম্প্রতিক এক অনুষ্ঠানে অংশ নেন চেন্নাইয়ের বেশ কয়েকজন ক্রিকেটার। সেই অনুষ্ঠানে পাথিরানার সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন তরুণ অলরাউন্ডার শিভম দুবে ও অধিনায়ক ঋতুরাজ গায়কোয়াড়।

সেই অনুষ্ঠানে মোস্তাফিজের সম্পর্ক নিয়ে প্রশ্ন করা হয় লঙ্কান পেসার পাথিরানাকে। জবাবে ডানহাতি এই ফাস্ট বোলার জানান, ‘কাছ থেকে দেখার পর মনে হচ্ছে মোস্তাফিজ একজন খুবই ভালো মনের মানুষ।’

পাথিরানা আরও বলেন, ‘চেন্নাই দলে আসার আগে আমি তাকে চিনতাম না। আমি তার সঙ্গে কখনো কথা বলিনি। এখানে আসার পর এবং তাকে চেনার পর আমার মনে হচ্ছে সে দারুণ একজন মানুষ।’

মোস্তাফিজুর রহমান   আইপিএল   মাথিশা পাথিরানা   চেন্নাই সুপার কিংস  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

বঙ্গবন্ধু ও বঙ্গমাতা গোল্ডকাপের ফাইনাল আজ

প্রকাশ: ১১:২২ এএম, ২০ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

বঙ্গবন্ধু ও বঙ্গমাতা গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনাল আজ। এতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন।

শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় এ তথ্য জানিয়েছে। 

ম্যাচ দুটি হবে বনানীর আর্মি স্টেডিয়ামে। খেলা শেষে বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপের ফাইনালে জামালপুরের মাদারগঞ্জ চরগোলাবাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মুখোমুখি হবে রংপুরের মিঠাপুকুর তালিমগঞ্জ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। বঙ্গমাতা গোল্ডকাপের ফাইনালে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রতিপক্ষ লালমনিরহাটের পাটগ্রাম টেপুরগাড়ি বি কে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। 

এরআগে, বুধবার (১৭ এপ্রিল) বাংলাদেশ আর্মি স্টেডিয়ামের হলরুমে টুর্নামেন্ট উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে প্রতিমন্ত্রী রুমান আলী জানান, শনিবার বাংলাদেশ আর্মি স্টেডিয়ামে এ টুর্নামেন্ট দুটির ২০২৩ এর ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত হবার কথা জানান। 


বঙ্গবন্ধু   বঙ্গমাতা   গোল্ডকাপ   ফাইনাল  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন