নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৯:২৬ পিএম, ১৯ অক্টোবর, ২০১৯
শেখ কামাল আন্তর্জাতিক ক্লাব কাপে দারুণ সূচনা আয়োজক চট্টগ্রাম আবাহনীর। ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন মালদ্বীপের টিসি স্পোর্টসকে ৪-১ গোলে উড়িয়ে টুর্নামেন্টের যাত্রা শুরু করলো কোচ মারুফুল হকের শিষ্যরা।
টুর্নামেন্টের ৮ মিনিটে প্রথম গোলটি করেন আবাহনীর চিনিদু মেথিউ। ১১ মিনিটে দূরপাল্লা থেকে অসাধারণ গোলে ব্যবধান বাড়ান সম্প্রতি জাতীয় দলে ডাক পাওয়া ১৯ বছর বয়সী ইয়াসিন আরাফাত। ৪০ মিনিটে তৃতীয় গোল করেন চিনিদু। দ্বিতীয় অর্ধে চট্টগ্রাম আবাহনীর হয়ে চতুর্থ গোল করে লুকা। গতবারের শেখ কামাল ক্লাব টুর্নামেন্টের চ্যাম্পিয়ন টিসি স্পোর্টস এর হয়ে ম্যাচের ৮৭তম মিনিটে একমাত্র গোল করে ইসমাঈল।
আগামীকাল ২০ সেপ্টেম্বর গ্রুপের অন্য ম্যাচে খেলবে ভারতের মোহনবাগান ও লাওসের ইয়াং এলিফ্যান্টস।
‘এ’ গ্রুপে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে মালদ্বীপের টিসি স্পোর্টস ক্লাব, ভারতের মোহনবাগান এ্যাথলেটিক ক্লাব, লাওসের ইয়ং এলিফেন্ট ও বাংলাদেশের চট্টগ্রাম আবাহনী লিমিটেড। প্রথমে ‘বি’ গ্রুপের দলগুলো ছিল বাংলাদেশের বসুন্ধরা কিংস, ভারতের চেন্নাই এফসি, মালয়েশিয়ার তেরাঙ্গানো এফসি ও বাংলাদেশের ঢাকা আবাহনী। কিন্তু শেষক্ষণে ঢাকা আবাহনী নাম প্রত্যাহার করলে তাদের বদলে নেয়া হয়েছে ভারতের আরেক ক্লাব গকুলাম কেরালাকে।
দুই গ্রুপের শীর্ষ দু’টি করে দল সেমিফাইনালের টিকেট পাবে। ফাইনালের টিকেট পাওয়ার লড়াইয়ে সেমিফাইনালে মুখোমুখি হবে ‘এ’ গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন-‘বি’ গ্রুপ রানার্সআপ এবং ‘বি’ গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন-‘এ’ গ্রুপ রানার্সআপ। দু’টি সেমিফাইনাল হবে ২৭ ও ২৮ অক্টোবর। আর শিরোপা নির্ধারণী ফাইনাল হবে ৩০ অক্টোবর।
বাংলা ইনসাইডারে/এসএম
মন্তব্য করুন
দীর্ঘ ১৭ বছরের ক্যারিয়ারের অবসান ঘটিয়ে অবশেষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসরের ঘোষণা দিয়েছেন পাকিস্তান নারী ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক বিসমাহ মারুফ। বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে মারুফের অবসরের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)।
ক্যারিয়ারে ২৭৬টি ম্যাচে ৬২৬২ রান করেছেন তিনি। একই সঙ্গে বোলিং করে ৮০টি উইকেট শিকার করেন সাবেক এই ক্রিকেটার।
নিজের অবসরের ঘোষণায় বিসমাহ মারুফ বলেন, ‘আমি যে খেলাটিকে সবচেয়ে বেশি ভালোবাসি তা থেকে অবসর নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এটি আমার জন্য একটি অবিশ্বাস্য যাত্রা ছিল, চ্যালেঞ্জ, বিজয় এবং অবিস্মরণীয় অনেক স্মৃতিতে ভরা।’
বিবৃতিতে পরিবার, সতীর্থ থেকে শুরু করে সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন বিসমাহ, ‘আমি আমার পরিবারের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে চাই, যারা আমার ক্রিকেট যাত্রায় শুরু থেকে এখন পর্যন্ত আমাকে সমর্থন করেছে। আমি আমার সতীর্থ খেলোয়াড়দের ধন্যবাদ জানাতে চাই, যারা আমার কাছে পরিবারের মতো হয়ে উঠেছে। মাঠে এবং মাঠের বাইরে আমাদের যে বন্ধুত্ব হয়েছে, তা আমি চিরকাল লালন করব।’
সর্বশেষ নারী টি-২০ বিশ্বকাপে নিজে ভালো ছন্দে থাকলেও অধিনায়ক হিসেবে দলকে সাফল্য এনে দিতে পারেননি বিসমাহ। পরে নতুনদের সুযোগ করে দিতে নেতৃত্ব থেকে সরে দাঁড়িয়েছিলেন।
উল্লেখ্য, ২০০৬ সালে ভারতের বিপক্ষে ওয়ানডে এবং ২০০৯ সালে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে টি-২০ ফরম্যাটে অভিষেক হয়েছিল বিসমাহ মারুফের। দীর্ঘ ক্যারিয়ারে পাকিস্তানকে ৯৬টি ম্যাচে নেতৃত্ব দিয়েছেন এই অলরাউন্ডার।
পাকিস্তান নারী ক্রিকেট বিসমাহ মারুফ
মন্তব্য করুন
ইতালিয়ান কাপের সেমিফাইনালের প্রথম লেগে আটালান্টা ইতোমধ্যেই ১-০ গোলে পরাজিত হয়ে পিছিয়ে পড়েছিল। তবে ফিরতি লেগে ফিওরেন্টিনাকে ৪-১ গোলের ব্যবধানে পরাজিত করে দুই লেগ মিলিয়ে ৪-২ ব্যবধানে এগিয়ে ফাইনালের টিকেট কেটেছে আটালান্টা।
এদিন ঘরের মাঠ জিউইস স্টেডিয়ামে ৮ মিনিটে টিয়ান কুপমেইনার্সের গোলে সমতা ফিরিয়েছিল আটালান্টা। ৬৮ মিনিটে লুকাস মার্টিনেজ কুয়ারটাস আবারও ফিওরেন্টিনাকে এগিয়ে দেয়। ৭৫ মিনিটে গিয়ানলুকা সামাকা স্বাগতিকদের পক্ষে আবারো সমতা ফেরান। এ সময়ে ধরেই নেয়া হয়েছিল ম্যাচটি অতিরিক্ত সময়ে গড়াচ্ছে।
নিকোলা মিলেনকোভিচের লাল কার্ডে ফিওরেন্টিনা দ্বিতীয়ার্ধের প্রায় বেশিরভাগ সময়ই ১০ জন নিয়ে খেলেছে। আডেমোলা লুকম্যান ও মারিও পাসালিচের ইনজুরি টাইমের গোলে ৪-১ ব্যবধানের লিড নেয় আটালান্টা। লিভারপুলকে বিদায় করে ইউরোপা লিগের সেমিফাইনালও নিশ্চিত করেছে আটালান্টা।
এর আগে, ১৯৬৩ সালে তারা ইতালিয়ান কাপে একবার বিজয়ী হয়েছিল। চারবার ফাইনালে খেলেও প্রতিবারই তাদের রানার্স-আপ শিরোপা নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছে। এর মধ্যে তিন বছর তারা জুভেন্টাসের কাছে ফাইনালে ২-১ ব্যবধানে পরাজিত হয়েছে। এবারের ইতালিয়ান কাপের ফাইনাল আগামী ১৫ মে রোমের স্তাদিও অলিম্পিকোতে অনুষ্ঠিত হবে।
আটালান্টা ফিওরেন্টিনা ইতালিয়ান কাপ
মন্তব্য করুন
ক্রীড়াঙ্গনে সবচেয়ে জনপ্রিয় খেলা হচ্ছে ফুটবল। আর এই ফুটবলের বিভিন্ন লিগগুলোই যেন আরও প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ এবং জনপ্রিয় করে তোলে এই খেলাকে। তবে বেশ কিছুদিন যাবত ক্লাব ফুটবলের খেলায় দেখা মিলেছে বড় কয়েকটি অঘটনের। যেখানে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ থেকে শুরু করে প্রিমিয়ার লিগ সবখানেই যেন ফেভারিট দলগুলো ধাক্কা খাচ্ছে বড় ধরনের।
তেমনই প্রিমিয়ার লিগ শিরোপা পুনরুদ্ধার স্বপ্নে এভারটনের কাছে বড় ধাক্কা খেয়েছে লিভারপুল। মার্সিসাইড ডার্বি জিতে নিয়েছে ২-০ গোলে। সমর্থকদের কাছে ক্ষমা চেয়েছেন কোচ য়্যুর্গেন ক্লপ। ম্যান ইউ অবশ্য ৪-২ গোলে জিতেছে শেফিল্ডের বিপক্ষে। ফ্রান্সে পিএসজির লিগ শিরোপার অপেক্ষা আরও এক ম্যাচ বেড়েছে।
রোলার কোস্টারের মত উত্থান আর পতন প্রিমিয়ার লিগে। ইউরোপিয়ান শীর্ষ পাঁচ লিগের মধ্যে এখনো অজানা কোন দল জিতবে। কার হাত উঠবে রুপালি ট্রফিটি।
মার্সিসাইড ডার্বিতে অবনমনের শঙ্কায় থাকা এভারটন যখন হাসে, কাঁদে তখন লিগ শিরোপার কাছে থেকেও দূরে সরে যাওয়া লিভারপুল। ফুটবলের প্রাণ, ক্লাবের শক্তি সমর্থকদের কাছে ক্ষমা চাইতে বাধ্য হন কোচ।
লিভারপুল কোচ বলেন, আমি খুবই হতাশ, বিরক্ত। সমর্থকদের অবস্থা বুঝতে পারছি। তাদের জন্য সত্যিই দুঃখিত। আমি ক্ষমা চাইছি। যা হওয়ার হয়ে গেছে। পরিস্থিতি বদলাতে পারবো না। কিন্তু দ্রুত সেখান থেকে বের হয়ে আসতে চাই।
গুডিসন পার্ক যেন অলরেডদের রক্তাক্ত করতেই জেগে উঠেছিলো। জারাড ব্র্যান্থওয়েট ও ডমিনিক কালভার্ট লুইন দুই অর্ধে দুই গোল দিয়ে এভারটনের অবিশ্বাস্য জয়ের নায়ক।
১৪ বছর পর ঘরের মাঠে মার্সিসাইড ডার্বি জিততে পারলো এভারটন। আর লিভারপুলের লিগ জয়ের সুযোগ হারের স্লোগানে মুখর তখন গুডিসন পার্ক। সিটির চেয়ে দু ম্যাচ বেশি খেলে মাত্র এক পয়েন্টের লিড মোটেও স্বস্তি দিচ্ছে না অলরেডদের। সেই অর্থে ম্যান ইউর জন্য চাপমুক্ত ম্যাচ। শিরোপার মত সেরা চারে থাকাও অসম্ভব। তবে ওল্ড ট্রাফোর্ডে দর্শকদের আনন্দ দিয়েছে রেড ডেভিলরা।
শেফিল্ডের বিপক্ষে জোড়া গোল করেছেন ব্রুনো ফার্নান্দেজ। বাকি দুটি হ্যারি ম্যাগুয়ার ও রাসমস হজলান্ডের। অবশ্য দুবার ম্যাচে এগিয়ে গিয়েছিলো তলানীর দল শেফিল্ড।
ফ্রান্সে অবশ্য একপেশে লিগ। অপেক্ষা শুধুই পিএসজির শিরোপা উৎসবের। আর এমবাপ্পের বিদায়ের। বিদায়ী মৌসুমে জ্বলে ওঠা ফরাসী তারকা জোড়া গোল করেছেন লঁরিয়ের সাথে। ২৫ গোল টানা চার মৌসুমে। ওসমান দেম্বেলেও পিছিয়ে নেই। তারও জোড়া গোল। এদিনই ১২তম শিরোপা নিশ্চিত হতে পারতো পিএসজির। তবে হয়নি আরেক ম্যাচে মোনাকোর জয়ে। শনিবার ঘরের মাঠে উৎসবের অপেক্ষা।
লিভারপুল এভারটন প্রিমিয়ার লিগ ফুটবল
মন্তব্য করুন
চলতি বছরের জুনে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতে শুরু হতে যাচ্ছে এবারের টি-২০ বিশ্বকাপের মহারণ। বাকি নেই দেড় মাসও। যার জন্য ইতোমধ্যেই বেশ জোরেশোরে প্রস্তুতি চলছে প্রতিটি দলেই। সেই সাথে প্রতিটি দল শুরু করেছে স্কোয়াড তৈরির কাজ। সেই তালিকায় রয়েছে বাংলাদেশও।
যার জন্য ইতোমধ্যেই বিশ্বকাপের পূর্ব প্রস্তুতি হিসেবে ঘরের মাঠে জিম্বাবুয়ের সঙ্গে পাঁচ ম্যাচের টি-২০ সিরিজের দিনক্ষণ ঠিক করেছে বিসিবি। আর কয়েকদিন পরেই শুরু হবে এই সিরিজ। ইতোমধ্যে এই সিরিজের প্রস্তুতি ক্যাম্পের দলও ঘোষিত হয়েছে। মূলত বিশ্বকাপের সম্ভাব্য ক্রিকেটারদের নিয়েই এই স্কোয়াড দিয়েছে বিসিবি।
যদিও বিসিবির ঘোষিত সেই স্কোয়াডে নেই অভিজ্ঞ ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান। জানা গেছে, পরিবারের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রে আছেন সাকিব। কয়েকদিনের মধ্যে তার দেশে ফেরার কথা রয়েছে। দেশে ফিরে শেখ জামালের হয়ে ডিপিএলের সুপার লিগের কয়েকটি ম্যাচ খেলবেন তিনি।
ঘরের মাঠে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে প্রথম দুই টি-২০তে না খেললেও সিরিজের শেষ তিন ম্যাচ খেলার কথা রয়েছে সাকিবের। এর আগে বুধবার যুক্তরাষ্ট্রে এক অনুষ্ঠানে আসন্ন টি-২০ বিশ্বকাপে বাংলাদেশের সম্ভাবনা নিয়ে আশার কথাই শুনিয়েছেন এই অলরাউন্ডার।
সাকিব বলেন, ‘আমাদের প্রস্তুতিটা আশা করি বেশ ভালো হবে। এর আগে যখন আমরা এখানে (যুক্তরাষ্ট্র) খেলেছি প্রচুর সমর্থন পেয়েছি। আমরা ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ওই সময় সিরিজ জিতেছিলাম। আশা করি এবারও ওরকম ভালো কিছু করতে পারব আমরা।’
তিনি আরো বলেন, ‘গত টি-২০ বিশ্বকাপে আমাদের পারফরম্যান্স অনেক ভালো ছিল। ওখান থেকে যদি আরেকটু উন্নতি করতে পারি, আমার মনে হয় এবার আমাদের আরো ভালো করার সম্ভাবনা আছে।’
শ্রীলংকা ও দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে বাংলাদেশের প্রথম দুই ম্যাচ ডালাস ও নিউইয়র্কে। সেন্ট ভিনসেন্টে নেদারল্যান্ডস ও নেপালের বিপক্ষে শেষ দুই ম্যাচ। বিশ্বকাপের ‘গ্রুপ অব ডেথ’ বলা হচ্ছে এটিকে। সাকিব নিজেও সেটি মানছেন। তবু তাকে আশাবাদী করে তুলছে দুই দেশের কন্ডিশন।
টাইগারদের সাবেক এই অধিনায়ক বলেন, ‘আমার মনে হয় কন্ডিশন যেমন হবে, সেটা আমাদের সহায়তা করবে। ওয়েস্ট ইন্ডিজ আমাদের (খেলার) সঙ্গে বেশ মানানসই। সেখানে একই ধরনের পিচ (বাংলাদেশের মতো) আমরা পেতে পারি। ডালাসেও আমাদের সহায়ক পিচ হতে পারে। তবে আমি জানি না নিউইয়র্কের পিচ কেমন হবে।’
সাকিব আল হাসান জিম্বাবুয়ে বাংলাদেশ টি-২০ বিশ্বকাপ
মন্তব্য করুন
তিন বছর পূর্বে ২০২১ সালের নভেম্বরে হতাশায় ডুবতে থাকা বার্সেলোনার দায়িত্ব নিয়েছিলেন জাভি হার্নান্দেজ। দায়িত্ব নেয়ার পর গত মৌসুমে ক্লাবকে এনে দিয়েছিলেন লিগ শিরোপাও। এরপর হঠাৎ চলতি বছরের শুরুতে কাতালান ছাড়ার ঘোষণা দেন জাভি। এই কিংবদন্তি ফুটবলার জানিয়ে দিয়েছেন, চলমান মৌসুম শেষে বার্সার ডাগআউটে আর থাকবেন না। এরপর থেকে অন্য রূপে বার্সা। নিয়মিত পারফর্ম করতে থাকে তারা। দলের এই পরিবর্তনে খুশি কাতালান প্রশাসন। আর যার জন্য ক্লাবকর্তারা অনুরোধ করেছেন জাভিকে থেকে যাওয়ার জন্য।
আর ক্লাবকর্তাদের অনুরোধে এবার সিদ্ধান্ত বদল করে বার্সাতেই থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন জাভি। তিনি জানিয়েছেন, ২০২৫ সাল পর্যন্ত বার্সাতেই থাকবেন।
স্প্যানিশ গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, বার্সেলোনা সভাপতি হুয়ান লাপোর্তা ও স্পোর্টিং ডিরেক্টর ডেকোর সঙ্গে বৈঠকের পর নিজের সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করেন জাভি। বার্সা সভাপতির বাড়িতে তাদের এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে ক্লাবের পক্ষ থেকে জাভিকে থেকে যাওয়ার জন্য চাপ দেওয়া হয়েছে।
জাভি দায়িত্ব ছাড়ার ঘোষণা দেওয়ার পর বেশ কিছু কোচের সঙ্গেই আলোচনা করেছিল বার্সা কর্তৃপক্ষ। সাবেক জার্মানি কোচ হ্যান্সি ফ্লিক ও ব্রাইটন কোচ রবার্তো ডি জারবির সঙ্গে বিবেচনায় ছিলেন বার্সেলোনা বি দলের কোচ রাফায়েল মারকুয়েজও। কিন্তু জাভিকেই কোচ হিসেবে রেখে দেওয়ার পক্ষে ছিলেন লাপোর্তা। অবশেষে বার্সা সভাপতির ইচ্ছেই পূরণ হতে চলেছে।
উল্লেখ্য, ২০২১ সালের নভেম্বরে বার্সেলোনার দায়িত্ব নিয়েছিলেন জাভি। গত মৌসুমে দারুণ পারফরম্যান্সের মধ্য দিয়ে ক্লাবকে এনে দিয়েছিলেন লিগ শিরোপাও। কিন্তু এ মৌসুমে ব্যর্থতার বৃত্তেই ঘুরপাক খাচ্ছে বার্সা। এরই মধ্যে লা লিগায় রিয়াল মাদ্রিদের চেয়ে ১১ পয়েন্ট পিছিয়ে কাতালান ক্লাবটি।
বার্সালোনা চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জাভি হার্নান্দেজ লা লিগা
মন্তব্য করুন
ক্রীড়াঙ্গনে সবচেয়ে জনপ্রিয় খেলা হচ্ছে ফুটবল। আর এই ফুটবলের বিভিন্ন লিগগুলোই যেন আরও প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ এবং জনপ্রিয় করে তোলে এই খেলাকে। তবে বেশ কিছুদিন যাবত ক্লাব ফুটবলের খেলায় দেখা মিলেছে বড় কয়েকটি অঘটনের। যেখানে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ থেকে শুরু করে প্রিমিয়ার লিগ সবখানেই যেন ফেভারিট দলগুলো ধাক্কা খাচ্ছে বড় ধরনের।
তিন বছর পূর্বে ২০২১ সালের নভেম্বরে হতাশায় ডুবতে থাকা বার্সেলোনার দায়িত্ব নিয়েছিলেন জাভি হার্নান্দেজ। দায়িত্ব নেয়ার পর গত মৌসুমে ক্লাবকে এনে দিয়েছিলেন লিগ শিরোপাও। এরপর হঠাৎ চলতি বছরের শুরুতে কাতালান ছাড়ার ঘোষণা দেন জাভি। এই কিংবদন্তি ফুটবলার জানিয়ে দিয়েছেন, চলমান মৌসুম শেষে বার্সার ডাগআউটে আর থাকবেন না। এরপর থেকে অন্য রূপে বার্সা। নিয়মিত পারফর্ম করতে থাকে তারা। দলের এই পরিবর্তনে খুশি কাতালান প্রশাসন। আর যার জন্য ক্লাবকর্তারা অনুরোধ করেছেন জাভিকে থেকে যাওয়ার জন্য।