ইনসাইড গ্রাউন্ড

টাইগারদের জ্বলে উঠার মঞ্চ আইসিসি টুর্নামেন্ট

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১১:০৮ পিএম, ১২ জুন, ২০১৭


Thumbnail

চার, দুই, এক যাই হোক ব্যাটে-বলে সংযোগ হলেই করতালি আর সাবাস টাইগার সাবাস বলে গ্যালারিতে আনন্দ-উল্লাস। এভাবেই বাংলাদেশ ক্রিকেট দলকে উৎসাহ যোগায় ১৬ কোটি টাইগার সমর্থকরা। আর সাম্প্রতিক সময়ের বাংলাদেশ ক্রিকেট দল তাদের এই সমর্থনের প্রতিদান খুব ভালোভাবেই দিয়ে যাচ্ছে। যার বড় প্রমাণ ২০১৭ আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফির সেমিতে টিম টাইগার।

অথচ সেরা আটের জায়গা না হওয়ায় এই টুর্নামেন্টের গত দুই আসরে খেলারই সুযোগ পায়নি বাংলাদেশ। কিন্ত এবার র‌্যাংকিংয়ের সেরা আট দলের এই টুর্নামেন্টে সেই বাংলাদেশ সেরা চার দলের একটি। সেমির ম্যাচটি দিচ্ছে চ্যাম্পিয়ন বা রানার্সআপ হওয়ার হাতছানিও! তিন দশকের ওয়ানডে-যাত্রায় বড় কোনো শিরোপার এতটা কাছাকাছি এই প্রথম বাংলাদেশ। তবে আইসিসির টুর্নামেন্টে এটিই সর্বোচ্চ হলেও এশিয়া কাপে বাংলাদেশ দল ফাইনালও খেলেছে। দ্বিপক্ষীয় সিরিজ বাদ দিলে ত্রিদেশীয় টুর্নামেন্টেও সাফল্য আছে বাংলাদেশের। সেই সাফল্যের স্মৃতি রোমন্থন হোক এই আনন্দক্ষণে। 

আইসিসি ট্রফি-১৯৯৭
আইসিসি আয়োজিত টুর্নামেন্টে এটিই বাংলাদেশের প্রথম সাফল্য, এই আসরে চ্যাম্পিয়ন হয়ে বাংলাদেশ ১৯৯৯ বিশ্বকাপে খেলার সুযোগ পায়। `আইসিসি ট্রফি` নামের এ টুর্নামেন্টটি আয়োজিত হতো শুধু সহযোগী দেশগুলোকে নিয়ে। ফাইনালে কেনিয়াকে হারায় বাংলাদেশ। ওই ট্রফি জয়ের পর বাংলাদেশের ক্রিকেটযাত্রা বড় ধরনের গতি পায়। যার ধারাবাহিকতায় আসে টেস্ট স্ট্যাটাস এবং আজকের বাংলাদেশ  হয়ে ওঠা।



আইসিসি ক্রিকেট বিশ্বকাপ-১৯৯৯
তিনটি আসর পর বিশ্বকাপ আবারও ফিরে আসলো ইংল্যান্ডে। তবে, বাংলাদেশ বিশ্বকাপকে মনে রাখে অন্য একটা কারণে। সেবারই যে প্রথম বিশ্বকাপের মত বড় আসরে অনশগ্রহন করে টাইগাররা।

প্রথম অংশগ্রহণে কিন্তু হতাশ করেনি বাংলাদেশ। প্রথম দুই খেলায় নিউ জিল্যান্ড ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে হারে আমিনুল ইসলাম বুলবুলের দল। তবে তৃতীয় ম্যাচে আইসিসির সহযোগী সদস্য হিসেবে তখনকার সতীর্থ স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে পায় প্রত্যাশিত জয়। আগে ব্যাটিং করে ৫০ ওভারে ৯ উইকেটে ১৮৫ রান তোলে বাংলাদেশ। মিনহাজুল আবেদীনের অপরাজিত ৬৮ রান বাংলাদেশের ইনিংসটি টেনে নেয় অতদূর। এরপর স্কটল্যান্ডকে ১৬৩ রানে অলআউট করে ২২ রানের জয় পায় বাংলাদেশ। বিশ্বকাপের প্রথম জয়।

দ্বিতীয় জয়টি আরো বিখ্যাত। গ্রুপের শেষ ম্যাচে তখনও পর্যন্ত অপরাজিত পাকিস্তানকে যে হারিয়ে দেয় বাংলাদেশ! নিজেরা ৯ উইকেট ২২৩ রান তোলার পর পাকিস্তানকে ১৬১ রানে অলআউট করে ৬২ রানের সেই ঐতিহাসিক জয়। ১০ ওভারে ৩১ রান দিয়ে তিন উইকেট নেওয়ায় ম্যান অব দ্য ম্যাচ খালেদ মাহমুদ সুজন।

আইসিসি ক্রিকেট বিশ্বকাপ-২০০৭
২০০৭ বিশ্বকাপে ক্রিকেটের বিস্ময় হয়ে আবির্ভূত হয় বাংলাদেশ। প্রথম ম্যাচেই সৌরভ গাঙ্গুলীর ভারতকে ৫ উইকেটে হারিয়ে দেয় হাবিবুল বাশার সুমনের দল। ভারতের ১৯১ রান তাড়া করার পথে তিনটি ফিফটি করেন তিন তরুণ। সে তিনজনই এখন বাংলাদেশের ক্রিকেটে বড় ভরসা- সাকিব আল হাসান, তামিম ইকবাল আর মুশফিকুর রহিম।



গ্রুপের পর্বে ভারতের পাশাপাশি বারমুডাকে হারিয়ে বাংলাদেশ উঠে যায় সুপার এইট পর্বে। এ পর্যায়ে বাংলাদেশ আবারও ক্রিকেট বিশ্বকে চমকে দেয়। শন পোলক, জ্যাক ক্যালিস আর গ্রায়েম স্মিথদের দক্ষিণ আফ্রিকা হেরে যায় ৬৭ রানে। বাংলাদেশের ২৫১ রানের জবাবে প্রোটিয়ারা অলআউট হয় ১৮৪ রানে।



আইসিসি ক্রিকেট বিশ্বকাপ ২০১১
বিশ্বকাপ নিয়ে এবার অনেক আগে থেকেই আলোচনা শুরু হয়। লাহোরে ২০০৯ সালে শ্রীলঙ্কার ক্রিকেটারদের উপর বোমা হামলার জের ধরে পাকিস্তান হারায় তাদের আয়োজক হওয়া যোগ্যতা। তাদের যে ১৪ টি ম্যাচ আয়োজনের কথা ছিল সেসব পরে ভাগাভাগি হয়ে যায় বাংলাদেশ, ভারত ও শ্রীলঙ্কার মধ্যে। মনোরম উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে বঙ্গবন্ধু জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে পর্দা উঠে বিশ্বকাপে।

বাংলাদেশের জন্য টুর্নামেন্টটা হয়ে আছে হতাশার এক ইতিহাস হয়ে। দেশের মাটিতে বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্বের ছয়টি ম্যাচের মধ্যে তিনটিতে জিতেছিল সাকিব আল হাসানের দল। সমান ম্যাচ জিতেছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজও।



কিন্তু কোয়ার্টার ফাইনালে যাওয়ার জন্য বাংলাদেশের সামনে দেয়াল হয়ে দাঁড়ায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে যথাক্রমে ৫৮ ও ৭৮ রানে অল আউট হওয়ার স্মৃতি। নেট রান রেটে এগিয়ে থেকে শেষ আটে চলে যায় ক্যারিবিয়রা।

আইসিসি ক্রিকেট বিশ্বকাপ ২০১৫
শুধু ঘরের মাটিতে নয়, ওয়ানডে ফরম্যাটে বাংলাদেশ যে বিদেশের প্রতিকূল কন্ডিশনেও যে কাউকে হারিয়ে দিতে পারে তা প্রমাণের বড় মঞ্চ ছিল অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ডের মাটিতে হওয়া ২০১৫ বিশ্বকাপ। সেই আসরে বাংলাদেশের গ্রুপে ছিল ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড, শ্রীলংকা, আফগানিস্তান আর স্কটল্যান্ড। গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচ ছিল কিউইদের বিপক্ষে। মাহমুদুল্লাহর সেঞ্চুরিতে ম্যাচে বেশ ভালোমতোই ছিল বাংলাদেশ। তবে শেষ পর্যন্ত ৩ উইকেটে হেরে যেতে হয়। তাতে অবশ্য সমস্যা হয়নি।



কিউইদের বিপক্ষে ম্যাচের আগে অ্যাডিলেডে ইংল্যান্ডকে হারিয়ে দেয় মাশরাফির দল। মাহমুদুল্লাহর সেঞ্চুরি আর শেষদিকে রুবেল হোসেনের পেসে ভর করে বাংলাদেশ জয় পায় ১৫ রানে, নিশ্চিত করে ফেলে প্রথমবারের মতো কোয়ার্টার ফাইনাল। এ পর্যন্ত খেলা পাঁচ ক্রিকেট বিশ্বকাপের মধ্যে এটিই বাংলাদেশের সর্বোচ্চ সাফল্য। বাংলাদেশ যেভাবে খেলছিল, সেমিফাইনালও সম্ভব ছিল। কিন্তু কোয়ার্টারে ভারতের বিপক্ষে বাজে আম্পায়ারিংয়ের শিকার হয়ে ম্যাচ হেরে যায় বাংলাদেশ। শেষটা মনমতো না হলেও মাথা উঁচু করেই বিশ্বকাপ শেষ করেছিল মাশরাফির দল।

চ্যাম্পিয়নস ট্রফি-২০১৭
এবারের আসরে বাংলাদেশ দল র‌্যাংকিংয়ের ছয় নম্বর দল হয়ে খেলতে নেমেছে ঠিকই; কিন্তু অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড আর নিউজিল্যান্ডের গ্রুপ থেকে রানার্সআপ হয়ে যাবে- এমনটা অনেকেই ভাবতে পারেনি। কিন্তু সেমিফাইনালে খেলাটা অসম্ভবও ছিল না। এই গ্রুপকে বলা হচ্ছিল `গ্রুপ অব ডেথ`।



এই গ্রুপ থেকে বিদায় নিল অস্ট্রেলিয়া আর নিউজিল্যান্ড। এর মধ্যে নিউজিল্যান্ডকে ৫ উইকেটে হারিয়েই সেমির পথে এগিয়েছে বাংলাদেশ। তার আগে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ম্যাচটি পরিত্যক্ত হয়েছিল বৃষ্টিতে। তবে বৃষ্টি নয়, বাংলাদেশ সেমিতে জায়গা করেছে নিজের কৃতিত্বেই। `এ` গ্রুপে ইংল্যান্ডের ৬ পয়েন্টের পর বাংলাদেশের পয়েন্ট। অজি আর কিউইদের অর্জন ছিল মোটে ২ আর ১ পয়েন্ট।

এই হচ্ছে আইসিসি আয়োজিত টুর্নামেন্টগুলোতে আমাদের ক্রিকেটের সাফল্যগাথা। আমরা পরাজয়ে মুষড়ে পড়ি না, তা থেকে সাহস ও শক্তি সঞ্চয় করি, ফিরে আসি অগ্নিমূর্তি ধারণ করে।

আমরা কোটি সমর্থক বাংলাদেশের কাছে থেকে ভালো খেলাটা পেতে চাই। জয়টা আমাদের উপরি পাওনা। আর জয় কি সত্যিই কি আমাদের সমর্থনে ভাটা দেয়। বাংলাদেশ হারুক কিংবা জিতুক, এটা তো আমার বাংলাদেশ। জিতলে উল্লাসে ফেটে পড়ি আমরা। আর হেরে গেলে মন খারাপ হয়ে যায় আমাদের। কিন্তু তারপরেও আমরা টাইগারদের সাপোর্ট করা বন্ধ করি না, বরং আমরা পরাজয়ে ভুলে সামনে এগুবে টাইগাররা। কারণ এইটা তো আমার দেশ, আমার দেশের ছেলেরাই খেলছে। আর নিজের দেশকে না ভালবেসে কোথায় যাব আমারা। এ যে আমার প্রিয় জন্মভূমি, আমার প্রাণের বাংলা। ক্রিকেট-ফুটবল কিংবা অন্য যে কোন পর্যায়ে, যেখানেই বাংলাদেশ সেখানেই লাল-সবুজ পতাকা হাতে আমরা। খেলায় জয় যেমন প্রত্যাশিত, তেমনি পরাজয়কেও মেনে নেওয়াটাও প্রকৃত সমর্থকের কাজ।


বাংলা ইন্সাইডার/ডিআর



মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

ধোনির মুগ্ধতা ও মুস্তাফিজের ব্রেকথ্রুর পরও লখনৌয়ের কাছে চেন্নাইয়ের হার

প্রকাশ: ১২:৪১ এএম, ২০ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

এদিন চিরযৌবনা মহেন্দ্র সিং ধোনি ব্যাট হাতে মুগ্ধতা ছড়ালেন তরুণ বয়সের সেই ক্যাপ্টেন কুলের মতোই। সেই সাথে বোলিংয়ে মুস্তাফিজ-পাথিরানা বল হাতে চালালেন আপ্রাণ চেষ্টা। তবুও লখনৌ সুপার জায়ান্টসের কাছে চেন্নাইকে মানতে হল হার। 

শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) লখনৌয়ের ঘরের মাঠে আগে ব্যাট করতে নেমে ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে চেন্নাই। ৮ নম্বরে নেমে মাত্র ৯ বলে ২৮ রানের ক্যামিওতে ধোনি দলীয় সংগ্রহকে  নিয়ে যান ১৭৬ রানে।

এছাড়া আজিংকিয়া রাহানে ২৪ বলে ৩৬, রবীন্দ্র জাদেজা ৪০ বলে অপরাজিত ৫৭, মঈন আলী ২০ বলে ৩০ রানের ইনিংস খেলেন। লখনৌয়ের পক্ষে জোড়া উইকেট শিকার করেন ক্রুনাল পান্ডিয়া।

জবাব দিতে নেমে লখনৌয়ের দুই ওপেনারই ম্যাচ ছিনিয়ে নেন চেন্নাইয়ের হাত থেকে। মুস্তাফিজ অবশ্য এদিনও বল হাতে আস্থার প্রতিদান দিয়েছেন। অধিনায়কের চাওয়া অনুযায়ী বল হাতে নিয়ে প্রথম ওভারে ৮ ও দ্বিতীয় ওভারে ৭ রান খরচ করেন।

রুতুরাজ গাইকোয়াদ শেষদিকের জন্য মুস্তাফিজকে মজুত করে রাখলেও ততক্ষণে ম্যাচ চলে গেছে নিয়ন্ত্রণের বাইরে। ১৫তম ওভারে নিজের তৃতীয় ওভার করতে এসে বাংলাদেশি পেসারের তাই তেমন কিছু করার ছিল না। তারপরও মুস্তাফিজই দলকে এনে দেন কাঙ্ক্ষিত ব্রেক থ্রু। ওভারের শেষ বলে কুইন্টন ডি কককে পরিণত করেন ধোনির ক্যাচে। ৪৩ বলে ৫৪ রান করে ফিজের শিকার হয়ে বিদায় নেন প্রোটিয়া তারকা। 

তবে সহজ ম্যাচটা আর কঠিন হয়নি লক্ষ্ণৌয়ের জন্য। অধিনায়ক লোকেশ রাহুলের ৫৩ বলে গড়া ৮২ রানের ইনিংসে ভর করে হেসেখেলেই পা ফেলে জয়ের বন্দরে, তাও ৬ বল ও ৮ উইকেট হাতে রেখে। চেন্নাইয়ের হয়ে অপর উইকেটটি শিকার করেন মাথিশ পাথিরানা।


মুস্তাফিজ   বাংলাদেশ   চেন্নাই   আইপিএল  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

লখনৌর মাঠে চেন্নাইয়ের লড়াকু সংগ্রহ

প্রকাশ: ১০:০৯ পিএম, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

লখনৌ এর বিপক্ষে চেন্নাইয়ের শুরুটা ছিল নড়বড়ে। যার জন্য শঙ্কা ছিল অল্পতেই গুটিয়ে যাওয়ার। তবে মাঝে অজিঙ্কা রাহানে ও রবীন্দ্র জাদেজার দায়িত্বশীলতা ও শেষদিকে মঈন আলি ও মহেন্দ্র সিং ধোনির ব্যাটের উপর ভর করে লড়াকু সংগ্রহ পেয়েছে মুস্তাফিজদের দল। 

শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) আইপিএলের খেলায় নির্ধারিত ওভার শেষে চেন্নাইয়ের সংগ্রহ ৬ উইকেটে ১৭৬ রান।

এদিন শুরুতেই লখনৌর মাঠ একানা স্টেডিয়ামে টস হেরে আগে ব্যাটিংয়ে নামে রুতুরাজ গায়কোয়াড়ের চেন্নাই। পিচ রিপোর্ট থেকে জানা যায়, এখানকার কন্ডিশন কিছুটা পেস-সহায়ক। তাই রানের গণ্ডি ন্যূনতম ১৭০–২০০ এর মধ্যে রাখতে হবে, তবে এটিকেও যথেষ্ট বলা যাবে না।

শেষপর্যন্ত সেই ন্যূনতম সীমানায় সফরকারীরা পা রেখেছে ধোনির ঝোড়ো ব্যাটিংয়ে। মাত্র ৯ বলের ইনিংসে তিনি ২৮ রান করেছেন।এছাড়া হলুদ শিবিরের হয়ে সর্বোচ্চ ৫৭ রান করেছেন জাদেজা। দুজনের জুটিতে শেষ ৪ ওভারে এসেছে ৬৩ রান।


আইপিএল   ক্রিকেট   খেলাধুলা  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

রিয়াল থেকে ক্যাসেমিরোর বিদায়ে কেঁদেছিলেন আনচেলত্তি

প্রকাশ: ০৭:৪১ পিএম, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

ব্রাজিলিয়ান তারকা ফুটবলার ক্যাসেমিরো। জাতীয় দলসহ ক্লাবের খেলায় যে দলেই খেলেছেন ডিফেন্ডিং মিডফিল্ডে সে দলেরই ভরসার অন্যতম প্রতীক হয়ে উঠেছেন। তবে ক্যাসেমিরোর ক্যারিয়ারে সেরা সময় কেটেছে লা লিগা এবং চ্যাম্পিয়ন্স লিগের অন্যতম সফল দল রিয়াল মাদ্রিদে। যেখানে প্রতিপক্ষের আক্রমণকে রুখে দিয়ে দলের আক্রমণেও বিশেষ ভূমিকা পালন করেছেন এই ব্রাজিলিয়ান তারকা।

ক্যাসেমিরো তার ক্লাব ক্যারিয়ারের ৯ বছরের দীর্ঘ সময় কাটিয়েছেন রিয়ালে। এরপর ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের ক্লাব ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে যোগ দেন তিনি। সম্প্রতি রিয়াল থেকে নিজের বিদায়ের মুহূর্তের কথা স্মরণ করে ক্যাসেমিরো জানিয়েছেন, তার ক্লাব ছাড়ার সিদ্ধান্তের কথা জানতে পেরে কেঁদেছিলেন রিয়ালের কোচ কার্লো আনচেলত্তি।

ক্যাসেমিরো বলেন, আমি এটি আগে কাউকে বলিনি। আমি শুধুমাত্র একবার ম্যানচেস্টারে যাওয়ার বিষয়ে ভাবছিলাম। আমার মনে আছে, এটা ছিল শুক্রবারের বিকেল এবং এটা (ইউনাইটেড ট্রান্সফার) আমার স্বাক্ষর ছাড়াই করা হয়েছিল। মানুষ জানতো যে, এটা (চুক্তি) সম্পন্ন করা হয়েছে।

তিনি বলেন, আমি আনচেলত্তির সঙ্গে কথা বলতে গিয়েছিলাম। তার অফিসে গিয়েছিলাম এবং সে ইতিমধ্যেই বিষয়টি জানতো। আমি দরজা খুললাম এবং যখন তার দিকে ঘুরে তাকালাম, দেখলাম আনচেলত্তি কাঁদছিলেন। আমি তাকে বলেছি, আপনি কাঁদতে পারেন না। অন্য কেউ কাঁদতে পারে কিন্তু আপনি কাঁদতে পারেন না।

সে সময় রিয়াল বস আনচেলত্তি ক্যাসেমিরোকে বলেছিলেন, আমি কেন কাঁদছি জানি না। তবে আমি তোমাকে খুব পছন্দ করি এবং আমি চাই না তুমি চলে যাও।

ক্যাসেমিরো আরও বলেন, সেই মুহূর্তে আমি বুঝতে পেরেছি, এখানে কত মানুষ আমাকে ভালোবাসে। কিন্তু আমি আগেই আমার কথা দিয়ে ফেলেছিলাম। আমার কথা অন্য যেকোনো কিছুর চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ।


ক্যাসেমিরো   ফুটবল   ব্রাজিল   রিয়াল মাদ্রিদ   কার্লো আনচেলত্তি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

বড় ধরনের নিষেধাজ্ঞার মুখে আর্জেন্টাইন গোলরক্ষক

প্রকাশ: ০৭:০৮ পিএম, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

এবার আর্জেন্টাইন গোলরক্ষক নাহুয়েল গুসমানকে ১১ ম্যাচের নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে মেক্সিকান ফুটবল ফেডারেশন (এফএমএফ)। ‘অনুপযুক্ত আচরণের’ কারণে গুসমানকে এমন নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।

জানা গেছে, গত রোববার মেক্সিকোর শীর্ষ প্রতিযোগিতা লিগা এমএক্সে টাইগ্রেস ইউএএনএল এবং মন্টেরি মুখোমুখি হয়েছিল। যেখানে টাইগ্রেস ক্লাবের আর্জেন্টাইন গোলরক্ষক গুসমান চোটের কারণে খেলতে পারেননি। তবে ড্রেসিংরুম থেকে তিনি মাঠে লেজার লাইট মারার কিছু ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এ নিয়ে তদন্তের পর তার বিরুদ্ধে বড় শাস্তি ঘোষণা করেছে এফএমএফ।

শেষ পর্যন্ত সেদিন দুই দলের ম্যাচটি ৩-৩ গোলে ড্র হয়েছিল। তবে পরবর্তীতে আলোচনা শুরু হয় গুসমানে লেজার ব্যবহার করা নিয়ে। তিনি মন্টেরি গোলরক্ষক এসটেবান আন্দ্রাদার দিকে লেজারের আলো ফেলেছিলেন এবং পরে সেটি নিয়ে সমালোচনা শুরু হলে ক্ষমাও চান এই টাইগ্রেস গোলরক্ষক।

গতকাল (বৃহস্পতিবার) এক বিবৃতিতে এফএমএফ জানায়, ম্যাচ চলাকালে অনুপযুক্ত আচরণের জন্য টাইগ্রেস ক্লাবের নাহুয়েল ইগনাসিও গুসমানকে ১১ ম্যাচের নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে ডিসিপ্লিনারি কমিটি। তার আচরণ ফেডারেশনের নীতিমালা ভঙ্গ করেছে। পরবর্তীতে টাইগ্রেস ক্লাবও নিজেদের অভ্যন্তরীণ নীতিমালা অনুসারে গুসমানকে শাস্তি দেওয়া হবে বলে ঘোষণা দিয়েছে।

এদিকে, শাস্তি পেয়েছেন মন্টেরির ফুটবলার আন্দ্রাদাও। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে গুসমানকে সমকামী বলে মন্তব্য করায় তাকে জরিমানা করেছে মেক্সিকান ফুটবল ফেডারেশন।

উল্লেখ্য, এখনও হাঁটুর ইনজুরির পুনর্বাসনে আছেন নিষিদ্ধ হওয়া গুসমান, যে কারণে ৯ মার্চের পর তিনি আর মাঠে নামতে পারেননি। চলমান নিয়মিত মৌসুমে তার দলের আর মাত্র দুই ম্যাচ বাকি, তবে ২০২৪ সালের পরবর্তী টুর্নামেন্টগুলোতে নিষেধাজ্ঞা প্রয়োগ হবে ৩৮ বছর বয়সী এই গোলরক্ষকের বিরুদ্ধে। এর আগেও পেনাল্টি শ্যুট আউটের সময় প্রতিপক্ষ ফুটবলারকে বিভ্রান্ত করার জন্য মুখ থেকে হঠাৎ ফিতা বের করেছিলেন গুসমান। গত আগস্টে লিগস কাপের ওই ঘটনার পর প্রথম তিনি আলোচনায় আসেন।


আর্জেন্টাইন   গোলরক্ষক   নাহুয়েল গুসমান  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

জার্সির রঙ বদলিয়ে ভাগ্য পরিবর্তন করতে চায় ব্যাঙ্গালুরু

প্রকাশ: ০৫:৫৫ পিএম, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

চলছে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের ১৭তম আসর। প্রতিবারের মতোই বেশ জাকজমকপূর্ণ আয়োজনের মধ্য দিয়েই শুরু হয়েছিল এবারের খেলা। যেখানে উদ্বোধনী ম্যাচেই নেমেছিল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরু ও গতবারের চ্যাম্পিয়ন চেন্নাই সুপার কিংস।

আইপিএল শুরু হয়েছে ২০০৮ সাল থেকে। সেই শুরু থেকে এখন পর্যন্ত সবগুলো আসর খেললেও এখন পর্যন্ত একবারও ট্রফি জিততে পারেনি রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরু। এবারের আসরেও সাতটি ম্যাচের মধ্যে ছয়টিতে হেরেছে দলটি।

বিশ্বসেরা তারকা ক্রিকেটারদের নিয়ে দল গড়েও আগের ১৬টি আসরের মতো এবারেও টেবিলের তলানিতে রয়েছে কোহিল-সিরাজরা। এমন পরিস্থিতিতে আগামী (রোববার) হাইভোল্টেজ ম্যাচে কলকাতা নাইট রাইডার্সের বিপক্ষে মাঠে নামবে কোহলিরা। ভাগ্য বদলাতে এই ম্যাচে জার্সি বদলে খেলবেন কোহলি-ফাফরা।

২০১১ সাল থেকে প্রতি বছর আইপিএলে একটি ম্যাচ সবুজ জার্সি পরে খেলে বেঙ্গালুরু। প্রকৃতির প্রতি যত্ন এবং আরও বেশি গাছ লাগানোর বার্তা দেওয়ার জন্যই সবুজ জার্সি পরে নামেন কোহলিরা। সাধারণত, ঘরের মাঠে এই জার্সি পরে নামে বেঙ্গালুরু। কিন্তু এবার অ্যাওয়ে ম্যাচে সবুজ জার্সি পরে খেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা।

নিজেদের ভেরিভায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে একটি ছবি দিয়েছে নতুন জার্সি পরে নামার কথা নিশ্চিত করেছে বেঙ্গালুরু। সেখানে নতুন জার্সিতে দেখা যাচ্ছে কোহলি, ডু প্লেসি এবং দিনেশ কার্তিককে।

পোস্টে বেঙ্গালুরু লিখেছেন, আশা করছি জার্সির রঙে বদল করায় ভাগ্যও বদলাবে। ২১ তারিখ দেখা হচ্ছে।

চলতি মৌসুমে বেঙ্গালুরুর ঘরের মাঠ চিন্নাস্বামীতে আরও ৩টি ম্যাচ খেলা বাকি রয়েছে। অন্যদিকে এই মৌসুমে কলকাতা বেশ ভালো ফর্মে রয়েছে। ৬ ম্যাচ খেলে তারা ইতিমধ্যেই ৮ পয়েন্ট নিয়ে লিগ তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে।

ঘরের মাঠে তিনটি ম্যাচ খেলে দুটিতেই জয় পেয়েছে কলকাতা। শেষ ম্যাচে রাজস্থান রয়্যালসের কাছে হারলেও শেষ বল পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে গিয়েছে তারা। এমন পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে বেঙ্গালুরুর ভাগ্যবদল বেশ কঠিনই হবে!


আইপিএল   বিরাট কোহলি   রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরু  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন