নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৬:০৯ পিএম, ০২ এপ্রিল, ২০২০
ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোকে সবথেকে বেশি ঘৃণা করে কারা? উত্তরটা সহজ। লিওনেল মেসির দেশের মানুষরা। যেমনটা রোনালদো সমর্থকরা ঘৃণা করেন মেসিকে। ব্যাপারটা স্বাভাবিক। বিশ্বসেরার লড়াইয়ে এরা একজন অন্যজনের প্রতিদ্বন্দ্বী, ঘৃণা আসাটা তাই সহজ এবং স্বাভাবিক। রোনালদো এখন স্পেন ছেড়ে পাড়ি জমিয়েছেন ইতালির জুভেন্টাসে। সেখানে পাওলো দিবালার সাথে তাঁর ফুটবল রসায়নটা জমে উঠেছে। বিপত্তিটা এখানেই, কারণ দিবালা আর্জেন্টাইন। আর আর্জেন্টাইনরা স্বভাবতই রোনালদো বিদ্বেষী।
এই ব্যাপারটা জানতেন খোদ দিবালাও। এমনকি জুভেন্টাসে আসার আগে রোনালদোকে ঘৃণা করতেন দিবালা নিজেও। তবে এখন প্রেক্ষাপট বদলছে। দিবালা-রোনালদো এখন কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে পরিকল্পনা করেন প্রতিপক্ষকে হারানোর। আর এতেই রোনালদোর প্রতি দৃষ্টিভঙ্গি বদলেছে এই আর্জেন্টাইনের। রোনালদোকে যেমন মনে করতেন, একদমই সেরকম না রোনালদো। পর্তুগীজ এই তারকা বিস্মিত করেছেন দিবালাকে।
দিবালা বলেন, ‘ব্যক্তিগতভাবে আমি আসলেই খুব বিস্মিত হয়েছিলাম। কারণ আমি তাকে (রোনালদো) চিনতাম না, আমাদের কেউই তার সম্পর্কে জানতো না। এমনকি এর আগে চ্যাম্পিয়নস লিগে আমরা যখন রিয়ালের কাছে হেরে বিদায় নেই, নেতিবাচক অনেক কিছু হয়েছিল। কিন্তু পরে আমরা অন্য কিছু দেখতে পাই। সে দারুণ একজন মানুষ। খুবই সামাজিক, বন্ধুভাবাপন্ন, ড্রেসিংরুমে ভেতরে বা বাইরে। সবসময় সে কথা বলতে চায়, এটা আমাকে বিস্মিত করে। তাঁর মতো এত গুরুত্বপূর্ণ মানুষরা তো সবসময় এটা করে না।’
দিবালা যোগ করেন, ‘একবার ভ্রমণের সময় আমি তার পাশে বসে যাচ্ছিলাম। আমি তাকে বলেছিলাম-দেখো, সত্যি বলতে দ্বিধা নেই। আর্জেন্টিনায় আমরা তোমাকে কিছুটা ঘৃণা করি। তোমার ব্যক্তিত্ব, তোমার আচরণ, তোমার হাঁটাচলা-সব কিছুই। তবে আমি খুব অবাক হয়েছি যে একদম আলাদা কিছু দেখছি। সে (রোনালদো) হেসে দিয়েছিল। বলেছিল-আমি জানি সেটা। তবে আমি জানি আমি কেমন, আর এটার জন্য আমি সমালোচিত হতে অভ্যস্ত।’
এর আগে জাতীয় দলের সতীর্থ লিওনেল মেসির সমালোচনা করে রোষানলে পড়েছিলেন এই জুভেন্টাস তারকা ফরোয়ার্ড। এ সম্পর্কে দিবালা বলেন, ‘আমি আসলে সমালোচনা করতে চাইনি। আমার উদ্দেশ্য কখনো কোনো সতীর্থকে সমালোচনা করা নয়। আমি এটা মেসির সঙ্গে অনেক কথা বলি কারণ আমরা অনেকটা একই রকম খেলি। আমি বিশ্বকাপে আর কোপা আমেরিকাতে খুব কম সময় খেলতে পেরেছি। কিন্তু আমি মনে করে জাতীয় দলের হয়ে খেলার সুযোগ পাওয়াটাই অনেক বড় সম্মানের।’
বাংলা ইনসাইডার/এসএম
মন্তব্য করুন
টি-টোয়েন্টিতে ধাক্কার পর ওয়ানডেতে ভালোভাবে ঘুরে দাঁড়ালেও সিলেট টেস্টে শ্রীলংকার বিপক্ষে পাত্তাই পায়নি বাংলাদেশ দল। তাই এবার স্বাভাবিকভাবেই টাইগারদের চোখ এখন সিরিজ সমতায়। অন্যদিকে দ্বিতীয় টেস্ট জিতে সিরিজ শিরোপা ঘরে তুলতে মুখিয়ে লঙ্কানরা।
এমন পরিস্থিতে শনিবার টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন শ্রীলংকা দলপতি ধনঞ্জয়া ডি সিলভা। এতে আগে ফিল্ডিং করবে স্বাগতিক বাংলাদেশ। চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরি স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ-শ্রীলংকা। ম্যাচটি শুরু হবে সকাল ১০টায়।
এই ম্যাচে দুই পরিবর্তন নিয়ে মাঠে নামবে বাংলাদেশ। দলে ফিরেছেন সাকিব আল হাসান ও অভিষেক হয়েছে হাসান মাহমুদের। দল থেকে বাদ পড়েছেন শরিফুল ইসলাম ও নাহিদ রানা।
অপরদিকে একাদশে এক পরিবর্তন এনেছে শ্রীলংকা। ইনজুরিতে ছিটকে যাওয়া কাসুন রাজিথার পরিবর্তে দলে এসেছেন আসিথা ফার্নান্দো।
শ্রীলংকা বাংলাদেশ টেস্ট ক্রিকেট
মন্তব্য করুন
বরাবরের মতোই নিজের ব্যাটিং নৈপুণ্যে দারুণ ইনিংস খেলে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরুকে ভালো সংগ্রহ এনে দেন বিরাট কোহলি। জবাব দিতে নেমে সল্ট-নারিনের দারুণ শুরুর পর ফিফটি হাঁকান ভেঙ্কাটেশ আইয়ার। সঙ্গে শ্রেয়াসের প্রচেষ্টায় আসরে দ্বিতীয় জয় তুলে নেয় কলকাতা নাইট রাইডার্স।
ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) দশম ম্যাচে কলকাতার জয় ৭ উইকেটে। বেঙ্গালুরুতে টস জিতে স্বাগতিকদের ব্যাটিংয়ে পাঠায় দলটি। আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৮২ রান সংগ্রহ করে বিরাট কোহলির দল। জবাবে ১৯ বল হাতে রেখেই লক্ষ্য তাড়া করে ফেলে কলকাতা।
আগে ব্যাট করতে নামা বেঙ্গালুরু শুরুতেই হারায় ফাফ ডু প্লেসিকে। ৮ রানে অধিনায়কের বিদায়ের পর বিরাট কোহলির সঙ্গে দারুণ এক জুটি গড়েন ক্যামেরুন গ্রিন। তাদের ৪২ বলে ৬৫ রানের জুটিটি ভেঙে দেন আন্দ্রে রাসেল। ২১ বলে ৩৩ রান করে বিদায় নেন গ্রিন। চারে নামা গ্লেন ম্যাক্সওয়েলও জ্বলে উঠতে পারেননি। ১৯ বলে ২৮ রান করেন তিনি।
বাকিদের আসা যাওয়ার মাঝে লড়ে গেছেন কোহলি। ৩৬ বলে পঞ্চাশ পূর্ণ করেন তিনি। অপরপ্রান্তে দিনেশ কার্তিক এসে ক্যামিও ইনিংস খেলে দলকে এনে দেন ভালো সংগ্রহ। ৮ বলে ৩ ছক্কায় ২০ রান করে বিদায় নেন তিনি। সেঞ্চুরির পথে এগোতে থাকলেও তা পূর্ণ করা হয়নি কোহলির। ৫৯ বলে ৪ চার ও ৪ ছক্কায় ৮৩ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি।
কলকাতার পক্ষে দুটি করে উইকেট পান হারশিত রানা ও রাসেল। একটি উইকেট নেন সুনিল নারিন। তবে দুই ম্যাচ শেষেও এখনও উইকেটহীন আইপিএল এর ইতিহাসে সবচেয়ে দামী খেলোয়াড় মিচেল স্টার্ক।
ভিরাট কোহলি কলকাতা ব্যাঙ্গালুরু আইপিএল
মন্তব্য করুন
শরফুদ্দৌলা ইবনে শহিদ সৈকত, বাইশগজে ক্যারিয়ার শুরু করেন ক্রিকেটার হিসেবে। তবে সেই ক্যারিয়ার খুব একটা বেশি সময় স্থায়ী হয়নি। ইনজুরিতে পড়ে শেষ হয় আইসিসি ট্রফি খেলা এই স্পিনারের ক্যারিয়ার। এরপরই শুরু করেন আম্পায়ারিং। যেখানে বাংলাদেশের হয়ে বেশ কয়েকবার ইতিহাস গড়েছেন সৈকত। তারই ধারাবাহিকতায় এবার আইসিসির এলিট প্যানেলে প্রথম কোন বাংলাদেশি আম্পায়ার হিসেবে জায়গা করে নিয়েছেন তিনি।
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডকে (বিসিবি) দেওয়া সাক্ষাৎকারে এলিট প্যানেলে জায়গা পাওয়ার ঘটনা জানিয়েছেন সৈকত। সেই সাথে আম্পায়ারিংয়ে ক্যারিয়ার গড়তে ইচ্ছুকদের দিয়েছেন পরামর্শও। এমনকি ক্রিকেট ছেড়ে আম্পায়ারের পেশা বেছে নেওয়ার স্মৃতিচারণও করেছেন সৈকত।
বাবার চাকরিসূত্রে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় স্কুলে পড়েন তিনি। সেখানকার ছাত্র থাকাবস্থায় সৈকত সূর্যতরুণের হয়ে ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগে খেলেন। ১৯৯২ সালে সুযোগ হয় সাফ গেমসের বাংলাদেশ দলে। একপর্যায়ে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দলের অধিনায়কও হন সৈকত। পরে কেনিয়ায় অনুষ্ঠিত ১৯৯৪ আইসিসি ট্রফিতে জায়গা হয় তার।
সেখানে দ্বিতীয় রাউন্ডের তিন ম্যাচে ৬ উইকেট শিকার করেন। তবে দেশের হয়ে আন্তর্জাতিক পর্যায়ের কোনো ম্যাচে প্রতিনিধিত্ব করার আগেই ব্যাকপেইন ইনজুরির কারণে ছিটকে পড়েন তিনি।
তাই পরবর্তীতে ক্রিকেট ক্যারিয়ারকে বিদায় জানালেও বাইশগজের মায়া ত্যাগ করতে পারেননি তিনি। বাংলাদেশের প্রতিনিধি হওয়ার অন্য উপায় হিসেবে তিনি বেছে নিয়েছেন আম্পায়ারিংকে। ১৪ বছর পর এলিট প্যানেলে জায়গা পেয়েছেন সৈকত। আর এটাকে ২০২৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপে প্রথম কোনো বাংলাদেশি হিসেবে দায়িত্ব পালনের পুরস্কার বলে মনে করেন তিনি।
তিনি বলেন, 'প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে বিশ্বকাপে গিয়েও নার্ভাস ছিলাম না। আমার মনে হয় সেটিরই পুরস্কার আজকের এই অর্জন।’
প্রথম আন্তর্জাতিক ম্যাচ পরিচালনার স্মৃতি নিয়ে সৈকত বলেন, ‘আমার খুব পছন্দের আম্পায়ার ছিল সাইমন টোফেল। তখন আইসিসি আম্পায়ার অব দ্য ইয়ার হন তিনি। শ্রীলঙ্কার সঙ্গে (বাংলাদেশের) ম্যাচটা ছিল ২০১০ সালে, সম্ভবত ৮ জানুয়ারি। মিরপুরে আমার অভিষেক হয় (আম্পায়ারিংয়ে) শ্রীলঙ্কা-বাংলাদেশ-ভারত ত্রিদেশীয় সিরিজে। প্রথম দুইটা ম্যাচেই আমি সাইমন টোফেলের সঙ্গে আম্পায়ারিং করি।’
তিনি আরও বলেন, সেদিন উত্তেজনা কাজ করছিল প্রচুর। আমি যখন প্রথম আম্পায়ারিংয়ে দাঁড়ালাম, তখন দেখলাম বোলার অনেক জোরে বল করছে। ঘরোয়া ক্রিকেটে তো আমি এত জোরে বল ফেস করে অভ্যস্ত না। তাই মানিয়ে নিতে একটু সমস্যা হয়েছিল।’
সৈকতের মতে, বিদেশের চেয়ে দেশের মাটিতে আম্পায়ারিং করা কঠিন। তিনি বলেন, ‘বিদেশে ম্যাচ পরিচালনার চেয়ে দেশে করা অনেক কঠিন। সহজ মনে হলেও এটি কঠিন কাজ, এখানেও উত্থান-পতন আছে।’
সৈকতের এখন পর্যন্ত আন্তর্জাতিক অঙ্গনে পুরুষদের ক্রিকেটে ১০টি টেস্ট, ৬৩ ওয়ানডে এবং ৪৪ টি-টোয়েন্টি ম্যাচে আম্পায়ারিং করার অভিজ্ঞতা আছে। এছাড়া বাংলাদেশি আম্পায়ারিং ইতিহাসে একাধিক কীর্তি গড়া সৈকতের মেয়েদের ক্রিকেটেও ১৩টি ওয়ানডে এবং ২৮টি টি-টোয়েন্টি পরিচালনার রেকর্ড রয়েছে।
শরফুদ্দৌলা ইবনে শহিদ সৈকত আইসিসি আম্পায়ার
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
ক্রীড়াঙ্গনে জনপ্রিয়তার শীর্ষে ফুটবল। আর সেই ফুটবলের দ্বৈরথের শীর্ষে ব্রাজিল-আর্জেন্টিনা। মাঠের খেলায় দুই দল খেললেও তাদের সমর্থকদের মধ্যে উত্তেজনাটা একটু বেশি থাকে। সেই সাথে সেরাদের তালিকা নিয়েও চলে যুদ্ধ। নানা তর্কযুদ্ধের মধ্যে সেরার তালিকায় বরাবরই নিজেদের পছন্দের তারকাদের এগিয়ে রাখেন ফুটবলের একনিষ্ঠ ভক্তরা।
গত শতাব্দীর মাঝামাঝি থেকে সত্তর দশক পর্যন্ত ফুটবলের মাঠ দখলে রেখেছিলেন ব্রাজিল কিংবদন্তি পেলে। এর পরবর্তী সময়ে নিজ দক্ষতায় সমর্থকদের বুঁদ করে রেখেছিলেন আর্জেন্টিনার ডিয়েগো আরমান্দো ম্যারাডোনা। এভাবে তালিকা করলে রোনালদো নাজারিও, জিনেদিন জিদান, গারিঞ্চা কিংবা জিকোদের নাম আসবে।
সম্প্রতি ফুটবলের মাঠে সর্বকালের সেরা ৫০ ফুটবলারের তালিকা প্রকাশ করেছে ব্রিটিশ গণমাধ্যম ডেইলি মেইল। যেখানে শীর্ষ দশে জায়গা পেয়েছেন পর্তুগিজ কিংবদন্তি ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। এই তালিকার কোথাও জায়গা হয়নি ব্রাজিলিয়ান তারকা নেইমার জুনিয়রের। তবে সবাইকে টপকে এ তালিকায় শীর্ষস্থান দখল করেছেন আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক লিওনেল মেসি।
বর্তমান সময়ের অন্যতম সেরা ফুটবলার ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো, তাতে কোনো সন্দেহ নেই। জাতীয় দলের জার্সিতে বিশ্ব জয়ের স্বাদ না পেলেও ক্লাবের হয়ে জিতেছেন সবকিছুই। ক্যারিয়ারে পাঁচটি ব্যালন ডি’অর জিতেছেন এই পর্তুগিজ তারকা।
ডেইলি মেইলের সর্বকালের সেরার তালিকায় আশ্চর্যজনকভাবে ১০ নম্বরে জায়গা করে নিয়েছেন তিনি। দেশের জার্সিতে ১২৮ গোল করে সর্বকালের সর্বোচ্চ আন্তর্জাতিক গোলের রেকর্ড গড়েছেন ৩৯ বছর বয়সী এই ফুটবলার।
সর্বকালের সেরাদের তালিকায় নবম স্থানে রয়েছেন ব্রাজিলিয়ান কিংবদন্তি জিকো। ক্যারিয়ারে কখনো বিশ্বকাপ জয়ের স্বাদ না পেলেও ব্রাজিলের অনেক খেলোয়াড়ের চেয়ে বড় নায়ক হিসেবে বিবেচিত হন তিনি। ডেড-বল দক্ষতার জন্য পরিচিত ছিলেন এবং ১৯৮২ সালের ব্রাজিল বিশ্বকাপ স্কোয়াডের তারকা ফুটবলার ছিলেন।
সেরাদের মধ্যে অষ্টম স্থান দখলে রেখেছেন আরেক ব্রাজিলিয়ান কিংবদন্তি গারিঞ্চা। ব্রাজিলের ১৯৫৮ বিশ্বকাপ জয়ের নায়ক হিসাবে ধরা হয় তাকে। পরের আসরেই অর্থাৎ ১৯৬২ সালে টুর্নামেন্টের সেরা খেলোয়াড়ের মুকুট অর্জন করেছিলেন এই তারকা।
পর্তুগিজ তারকার ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোকে ছাপিয়ে বিতর্কিতভাবে এগিয়ে আছেন সপ্তম স্থানে থাকা ব্রাজিলের রোনালদো নাজারিও। তাকে অনেকে আসল রোনালদো বলেও ডাকেন। ক্যারিয়ারে বিশ্বকাপ জেতার পাশাপাশি দুটি ব্যালন ডি’অর জিতেছিলেন এই সেলেসাও তারকা।
ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর পর রিয়াল মাদ্রিদের সর্বকালের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ গোলদাতা ডি স্টেফানো এমন একজন মানুষ ছিলেন যিনি গ্যালাকটিকো হওয়ার অর্থ কী তা সংজ্ঞায়িত করেছিলেন। ডি স্টেফানো পাঁচটি ইউরোপিয়ান কাপ জিতেছিলেন এবং ১৯৬০ সালের ফাইনালে একটি উত্তেজনাপূর্ণ হ্যাটট্রিক করে স্কোরবোর্ডে নাম তুলেছিলেন।
ফ্রান্সের কিংবদন্তি জিনেদিন জিদান। জাতীয় দল তো বটেই, ক্লাব ক্যারিয়ারেও সফল ছিলেন তিনি। বড়সড় শরীর হওয়া সত্ত্বেও বল নিয়ে সারা মাঠ চষে বেড়াতেন তিনি। মূলত, ফুটবল নৈপুণ্যের কারণেই সর্বকালের সেরাদের তালিকায় জায়গা পেয়েছেন এই ফরাসি তারকা।
‘টোটাল ফুটবল’ ধারণার জনক বলা হয় ডাচ কিংবদন্তি ইয়োহান ক্রুইফ। তার ফুটবল কারিকুরি পেপ গার্দিওলা এবং মিকেল আর্তেতার মতো কোচদের মাধ্যমে আজকের খেলায় এখনো দৃশ্যমান। আয়াক্সের হয়ে টানা তিনটি ইউরোপীয় কাপ জেতেন তিনি। ১৯৭৪ বিশ্বকাপে ফুটবলের অন্যতম আইকনিক দক্ষতার প্রদর্শন করেছিলেন।
বিশ্ব ফুটবলের অন্যতম সেরা তারকাদের একজন ডিয়েগো আরমান্দো ম্যারাডোনা। আলবিসেলেস্তে ফুটবলকে অনন্য উচ্চতায় পৌঁছানোর পেছনে তার অবদান অসামান্য। ১৯৮৬ সালে ইংল্যান্ডকে হারিয়ে বিশ্বকাপ জেতে আর্জেন্টিনা। সেই আসরে অনবদ্য ছিলেন তিনি। একই সঙ্গে নাপোলির হয়েও অসংখ্য স্মৃতির জন্ম দিয়েছিলেন এই মহাতারকা।
বিশ্ব ফুটবলের মহাতারকা হিসেবে বিবেচিত হন ব্রাজিলিয়ান কিংবদন্তি পেলে। ক্যারিয়ারে সর্বোচ্চ তিনবার বিশ্বকাপ জয়ের স্বাদ পেয়েছেন তিনি। ১৯৫৮ সালে কিশোর বয়সে তিনি প্রথম বিশ্ব আসরের শিরোপা জিতেন। এরপর ১৯৬২ এবং পরবর্তীতে ১৯৭০ বিশ্বকাপজয়ী ব্রাজিল দলের আইকনিক নেতা হয়ে ওঠেন এই ‘কালো মানিক’।
ডেইলি মেইলের সর্বকালের সেরা ৫০ ফুটবলারের তালিকায় সবার উপরে লিওনেল মেসি। জাতীয় দল থেকে ক্লাব ক্যারিয়ারে সম্ভাব্য সবধরনের পুরস্কারেই উঁচিয়ে ধরেছেন তিনি। জাতীয় দলের হয়ে বিশ্বকাপ, কোপা আমেরিকা, অলিম্পিকে স্বর্ণপদক এবং রেকর্ড ৮বার ব্যালন ডি’অর জিতেছেন এই আলবিসেলেস্তে নায়ক।
এছাড়াও বার্সেলোনার হয়ে অসংখ্য শিরোপা জিতেছেন মেসি। সবমিলিয়ে সর্বকালের সেরাদের তালিকায় শীর্ষস্থানে জায়গা পেয়েছেন তিনি।
লিওনেল মেসি আর্জেন্টিনা ইন্টার মায়ামি
মন্তব্য করুন
শরফুদ্দৌলা ইবনে শহিদ সৈকত, বাইশগজে ক্যারিয়ার শুরু করেন ক্রিকেটার হিসেবে। তবে সেই ক্যারিয়ার খুব একটা বেশি সময় স্থায়ী হয়নি। ইনজুরিতে পড়ে শেষ হয় আইসিসি ট্রফি খেলা এই স্পিনারের ক্যারিয়ার। এরপরই শুরু করেন আম্পায়ারিং। যেখানে বাংলাদেশের হয়ে বেশ কয়েকবার ইতিহাস গড়েছেন সৈকত। তারই ধারাবাহিকতায় এবার আইসিসির এলিট প্যানেলে প্রথম কোন বাংলাদেশি আম্পায়ার হিসেবে জায়গা করে নিয়েছেন তিনি।
ক্রীড়াঙ্গনে জনপ্রিয়তার শীর্ষে ফুটবল। আর সেই ফুটবলের দ্বৈরথের শীর্ষে ব্রাজিল-আর্জেন্টিনা। মাঠের খেলায় দুই দল খেললেও তাদের সমর্থকদের মধ্যে উত্তেজনাটা একটু বেশি থাকে। সেই সাথে সেরাদের তালিকা নিয়েও চলে যুদ্ধ। নানা তর্কযুদ্ধের মধ্যে সেরার তালিকায় বরাবরই নিজেদের পছন্দের তারকাদের এগিয়ে রাখেন ফুটবলের একনিষ্ঠ ভক্তরা।