ইনসাইড গ্রাউন্ড

লাল-সবুজ জার্সিতে ফেরার আশায় বিজয়

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৮:৫৯ এএম, ১৮ জুলাই, ২০১৭


Thumbnail

বাংলাদেশের জন্য আশীর্বাদ ছিল ২০১৫ সালের বিশ্বকাপ। সেবার কোয়ার্টার ফাইনালে জায়গা করে নেওয়ার পর থেকেই দারুণভাবে বদলে গেছে টাইগাররা। একের পর এক জয় তুলে বিশ্ব ক্রিকেটে আজ প্রতিষ্ঠিত একটি দল বাংলাদেশ। কিন্তু ওই আসরটা যেন অভিশাপ হয়েই এসেছিল এক টাইগারের জন্য। বিশ্বকাপের মধ্যেই ইনজুরিতে পড়ে দেশে ফিরতে হয় তাঁকে। এরপর তার জায়গায় খেলতে নেমে একাদশে দারুণ পারফরম্যান্স করে যাচ্ছেন সৌম্য সরকার-ইমরুল কায়েসরা। তাই টিম কম্বিনেশনের কারণে দলে আর জায়গাটা ফেরত পাননি। মাঝে টি-টুয়েন্টিতে সুযোগ পেলেও মেলে ধরতে না পারায় একরকম ব্রাত্যই হয়ে আছেন এ উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান।

তিনি বিজয়, এনামুল হক বিজয়। অনুর্ধ্ব-১৯ দলের হয়ে বিশ্বকাপে নিউজিল্যান্ডের মাটিতে অনবদ্য পারফর্মেন্সের কারণেই নজর কাড়েন তিনি। এরপর ২০১২ সালে ওয়েস্ট-ইন্ডিজ এর সঙ্গে দলে চান্স পান তিনি। বাংলাদেশ পেয়ে যায় পারফেক্ট ওপেনার।

বিজয় এক সময় বাংলাদেশের নির্ভরশীল ব্যাটসম্যান ছিলেন। এই ডানহাতি ব্যাটসম্যান এবং উইকেটরক্ষক অনূর্ধ্ব-১৯ দলের অধিনায়ক ছিলেন। আইসিসি ২০১২ অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে ৬০.৮৩ গড়ে টুনার্মেন্টের সর্বোচ্চ রান (৩৬৫) করেন এনামুল। জাতীয় দলে ঢোকার আগেই তিন মৌসুমে সব ধরনের ক্রিকেটে করেছিলেন ১৩টি সেঞ্চুরি। এরপর ২০১২-১৩ মৌসুমের ওয়েস্ট-ইন্ডিজ ও বাংলাদেশের মধ্যকার ওয়ানডে সিরিজের মাধ্যমে তার ওডিআই অভিষেক হয়।

ওয়ানডে ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় ম্যাচেই তিনি পূর্ণ করেছেন আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি। তারপর থেকেই এনামুলের যাত্রা শুরু। এনামুল হক গ্রামীণফোন-প্রথম আলো বর্ষসেরা উদীয়মান ক্রীড়া পুরস্কারে পেয়েছিলেন। বাংলাদেশের হয়ে টেস্ট, ওয়ানডে এবং টি২০ খেলেছেন তিনি। তামিমের সাথে অনেকদিন ওপেনিং ব্যাটসম্যান হিসাবে খেলেছিলেন।

২০১৪ টি২০ বিশ্বকাপে এবং এশিয়া কাপে এনামুল হক বিজয় ছিলেন বাংলাদেশিদের মধ্যে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক । তিনি টি২০ বিশ্বকাপ ২০১৪ তে ৭ টি ম্যাচ খেলেছেন । ৭ ম্যাচে তিনি ১৮৪ রান করেন ৩০.৬৬ গড়ে । সর্বোচ্চ রান ৪৪* । স্ট্রাইক রেট ১১৮.৭০ এশিয়া কাপে তিনি ৪ ম্যাচে ২২৭ রান করেছিলেন ৫৬.৭৫ গড়ে । সর্বোচ্চ রান ১০০ । স্ট্রাইক রেট ৬৮.১৬ ।

তবে ২০১৫ সালে অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ড বিশ্বকাপে দুর্ভাগ্য সঙ্গী হওয়ার পর থেকেই কক্ষপথ থেকে ছিটকে পড়েন তরুণ এই টাইগার ওপেনার। জাতীয় দলের জার্সিতে সর্বশেষ ম্যাচ খেলেছেন জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে গত বছর নভেম্বরে, টি-টোয়েন্টি। ওয়ানডে খেলেছেন অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ড বিশ্বকাপে স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে। টেস্টতো খেলেছেন আরও আগে। সবমিলিয়ে তাই এনামুলের অপেক্ষার প্রহর বেড়েই চলছে। তবে তিনি অপেক্ষাটা আর বাড়াতে চান না। নিজের ব্যাটিং প্রতিভার প্রমাণ আবারও রাখতে চান তিনি।

৩০ ওয়ানডেতে ৩৫.১৮ গড়ে ৯৫০ রান করা এনামুলকে আর সুযোগ দেওয়া হয়নি। বাংলাদেশি ক্রিকেটারদের মধ্যে সর্বোচ্চ গড় তার, তারপরও একরকম হারিয়েই গেলেন তিনি। তবে আগের জায়গাটা পুনরুদ্ধার করতে চান এনামুল। এ জন্য কঠোর পরিশ্রমও করছেন।

এনামুলের পারফরম্যান্সের চেয়ে তার ব্যাটিংয়ের ধরন নিয়েই প্রশ্ন উঠেছিল বেশি। দলের সিনিয়র এক ক্রিকেটারের অভিযোগ, এনামুল দলের জন্য `নিঃস্বার্থভাবে` খেলেন না। কিছুটা `ব্যক্তিগত স্বার্থ` নিয়েই মাঠে নামেন তিনি। সব মিলিয়ে তাই এনামুল অনেকটাই নিঃসঙ্গ হয়ে পড়েন! তবে বিষয়টি নিয়ে খুব সিরিয়াস এনামুল। আসন্ন প্রিমিয়ার লিগে ‘নিজের জন্য খেলে’ এমন অভিযোগ থেকে রেহাই পেতে চান তিনি। জানালেন, প্রিমিয়ার লিগে নতুন এক বিজয়কে দেখা যাবে। ভক্ত থেকে শুরু করে সমালোচকদের জন্য নতুন চমক হয়ে আসবেন তিনি।

এনামুলের টেস্ট ক্যারিয়ার ভাল না হলেও ওয়ানডেতে মাত্র ৩০ ম্যাচে ৩৫.১৮ গড়ে করেছেন ৯৫০ রান। যেখানে ৩ টি অর্ধশতক এবং ৩টি শতক রয়েছে। স্ট্রাইক রেট ৭০। সেরা ১২০ রান। আর টি২০ ক্যারিয়ারে ১৩ ম্যাচে ৩২.২৭ গড়ে করেছেন ৩৫৫ রান। স্ট্রাইক রেট ১১৭.৯৪। সেরা ৫৮ রান।

প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে এনামুল ৬২ ম্যাচে ১১০ ইনিংসে, ৪০.৯১ গড়ে করেছেন ৪১৭৩ রান। স্ট্রাইক রেট ৫৬.০৮। শতক ১২টি ও অর্ধশতক ২২টি। সেরা ১৯৩ রান। লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে ১০০ ম্যাচ খেলে ৩২.৪২ গড়ে করেছেন ২৯৫১ রান। স্ট্রাইক রেট ৭৬.৫৩। সেরা ১৫০* রান। শতক ৭টি ও অর্ধশতক ১৪টি।

সম্প্রতি শেষ হওয়া ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগেও দুর্দান্ত পারফর্ম করেছেন বিজয়। তার দল `গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্স` টুর্নামেন্টে প্রথমবারের মত চ্যাম্পিয়ন হয়। এনামুল তার দলের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক। পুরো আসরে ১৬ ম্যাচে ৩৭.২৫ গড়ে করেছেন ৫৯৬ রান। স্ট্রাইক রেট ৯০.৭১। সেরা ৯৭ রান।

পরিসংখ্যান হয়তো বিজয়কে উৎসাহ দিতে পারে। তবে ঘিরে ধরা সমস্যার জাল ফুঁড়ে বেরোতে খুব একটা সাহায্য করবে না। সেটা জানেন বলেই হতাশার ভেতর আশার আলো খুঁজছেন এনামুল।

গণমাধ্যমকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে বিজয় বলেন, ‘ভালো খেললে নিশ্চয়ই সুযোগ আসবে। এখন আমার কাজ পারফর্ম করা। ভালো ব্যাটিং করতে পারি, হয়তো সামনে সুযোগ আসবে। সবচেয়ে বড় কথা হচ্ছে, আমার দায়িত্ব মাঠে পারফরম্যান্স করা, দলে সুযোগ দেওয়ার দায়িত্ব নির্বাচকদের। আমি আসলে জাতীয় দল নিয়ে আপাতত কিছু ভাবছি না। আমার ভাবনা এখন প্রিমিয়ার লিগ নিয়ে। ভবিষ্যতে জাতীয় দলে সুযোগ পেলে; আর যেন দল থেকে বাদ পড়তে না হয় সেভাবেই নিজেকে তৈরি করছি। আমার বিশ্বাস, আমি পারবো।’

সম্প্রতি বিজয় আবার ডাক পেয়েছেন জাতীয় দলের ক্যাম্পে। এদিকে ওপেনিংয়ে খেলা সৌম্য’র পারফরম্যান্সও খারাপ। আর তাই এই মুহূর্তে বাংলাদেশ দলে প্রয়োজন ভালো শুরু করতে পারা এক জুটির। তামিম তো আছেই, তাই বিজয় হতে পারে সৌম্য’র যোগ্য রিপ্লেসমেন্ট।


বাংলা ইনসাইডার/ডিআর




মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

ধোনির মুগ্ধতা ও মুস্তাফিজের ব্রেকথ্রুর পরও লখনৌয়ের কাছে চেন্নাইয়ের হার

প্রকাশ: ১২:৪১ এএম, ২০ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

এদিন চিরযৌবনা মহেন্দ্র সিং ধোনি ব্যাট হাতে মুগ্ধতা ছড়ালেন তরুণ বয়সের সেই ক্যাপ্টেন কুলের মতোই। সেই সাথে বোলিংয়ে মুস্তাফিজ-পাথিরানা বল হাতে চালালেন আপ্রাণ চেষ্টা। তবুও লখনৌ সুপার জায়ান্টসের কাছে চেন্নাইকে মানতে হল হার। 

শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) লখনৌয়ের ঘরের মাঠে আগে ব্যাট করতে নেমে ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে চেন্নাই। ৮ নম্বরে নেমে মাত্র ৯ বলে ২৮ রানের ক্যামিওতে ধোনি দলীয় সংগ্রহকে  নিয়ে যান ১৭৬ রানে।

এছাড়া আজিংকিয়া রাহানে ২৪ বলে ৩৬, রবীন্দ্র জাদেজা ৪০ বলে অপরাজিত ৫৭, মঈন আলী ২০ বলে ৩০ রানের ইনিংস খেলেন। লখনৌয়ের পক্ষে জোড়া উইকেট শিকার করেন ক্রুনাল পান্ডিয়া।

জবাব দিতে নেমে লখনৌয়ের দুই ওপেনারই ম্যাচ ছিনিয়ে নেন চেন্নাইয়ের হাত থেকে। মুস্তাফিজ অবশ্য এদিনও বল হাতে আস্থার প্রতিদান দিয়েছেন। অধিনায়কের চাওয়া অনুযায়ী বল হাতে নিয়ে প্রথম ওভারে ৮ ও দ্বিতীয় ওভারে ৭ রান খরচ করেন।

রুতুরাজ গাইকোয়াদ শেষদিকের জন্য মুস্তাফিজকে মজুত করে রাখলেও ততক্ষণে ম্যাচ চলে গেছে নিয়ন্ত্রণের বাইরে। ১৫তম ওভারে নিজের তৃতীয় ওভার করতে এসে বাংলাদেশি পেসারের তাই তেমন কিছু করার ছিল না। তারপরও মুস্তাফিজই দলকে এনে দেন কাঙ্ক্ষিত ব্রেক থ্রু। ওভারের শেষ বলে কুইন্টন ডি কককে পরিণত করেন ধোনির ক্যাচে। ৪৩ বলে ৫৪ রান করে ফিজের শিকার হয়ে বিদায় নেন প্রোটিয়া তারকা। 

তবে সহজ ম্যাচটা আর কঠিন হয়নি লক্ষ্ণৌয়ের জন্য। অধিনায়ক লোকেশ রাহুলের ৫৩ বলে গড়া ৮২ রানের ইনিংসে ভর করে হেসেখেলেই পা ফেলে জয়ের বন্দরে, তাও ৬ বল ও ৮ উইকেট হাতে রেখে। চেন্নাইয়ের হয়ে অপর উইকেটটি শিকার করেন মাথিশ পাথিরানা।


মুস্তাফিজ   বাংলাদেশ   চেন্নাই   আইপিএল  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

লখনৌর মাঠে চেন্নাইয়ের লড়াকু সংগ্রহ

প্রকাশ: ১০:০৯ পিএম, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

লখনৌ এর বিপক্ষে চেন্নাইয়ের শুরুটা ছিল নড়বড়ে। যার জন্য শঙ্কা ছিল অল্পতেই গুটিয়ে যাওয়ার। তবে মাঝে অজিঙ্কা রাহানে ও রবীন্দ্র জাদেজার দায়িত্বশীলতা ও শেষদিকে মঈন আলি ও মহেন্দ্র সিং ধোনির ব্যাটের উপর ভর করে লড়াকু সংগ্রহ পেয়েছে মুস্তাফিজদের দল। 

শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) আইপিএলের খেলায় নির্ধারিত ওভার শেষে চেন্নাইয়ের সংগ্রহ ৬ উইকেটে ১৭৬ রান।

এদিন শুরুতেই লখনৌর মাঠ একানা স্টেডিয়ামে টস হেরে আগে ব্যাটিংয়ে নামে রুতুরাজ গায়কোয়াড়ের চেন্নাই। পিচ রিপোর্ট থেকে জানা যায়, এখানকার কন্ডিশন কিছুটা পেস-সহায়ক। তাই রানের গণ্ডি ন্যূনতম ১৭০–২০০ এর মধ্যে রাখতে হবে, তবে এটিকেও যথেষ্ট বলা যাবে না।

শেষপর্যন্ত সেই ন্যূনতম সীমানায় সফরকারীরা পা রেখেছে ধোনির ঝোড়ো ব্যাটিংয়ে। মাত্র ৯ বলের ইনিংসে তিনি ২৮ রান করেছেন।এছাড়া হলুদ শিবিরের হয়ে সর্বোচ্চ ৫৭ রান করেছেন জাদেজা। দুজনের জুটিতে শেষ ৪ ওভারে এসেছে ৬৩ রান।


আইপিএল   ক্রিকেট   খেলাধুলা  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

রিয়াল থেকে ক্যাসেমিরোর বিদায়ে কেঁদেছিলেন আনচেলত্তি

প্রকাশ: ০৭:৪১ পিএম, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

ব্রাজিলিয়ান তারকা ফুটবলার ক্যাসেমিরো। জাতীয় দলসহ ক্লাবের খেলায় যে দলেই খেলেছেন ডিফেন্ডিং মিডফিল্ডে সে দলেরই ভরসার অন্যতম প্রতীক হয়ে উঠেছেন। তবে ক্যাসেমিরোর ক্যারিয়ারে সেরা সময় কেটেছে লা লিগা এবং চ্যাম্পিয়ন্স লিগের অন্যতম সফল দল রিয়াল মাদ্রিদে। যেখানে প্রতিপক্ষের আক্রমণকে রুখে দিয়ে দলের আক্রমণেও বিশেষ ভূমিকা পালন করেছেন এই ব্রাজিলিয়ান তারকা।

ক্যাসেমিরো তার ক্লাব ক্যারিয়ারের ৯ বছরের দীর্ঘ সময় কাটিয়েছেন রিয়ালে। এরপর ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের ক্লাব ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে যোগ দেন তিনি। সম্প্রতি রিয়াল থেকে নিজের বিদায়ের মুহূর্তের কথা স্মরণ করে ক্যাসেমিরো জানিয়েছেন, তার ক্লাব ছাড়ার সিদ্ধান্তের কথা জানতে পেরে কেঁদেছিলেন রিয়ালের কোচ কার্লো আনচেলত্তি।

ক্যাসেমিরো বলেন, আমি এটি আগে কাউকে বলিনি। আমি শুধুমাত্র একবার ম্যানচেস্টারে যাওয়ার বিষয়ে ভাবছিলাম। আমার মনে আছে, এটা ছিল শুক্রবারের বিকেল এবং এটা (ইউনাইটেড ট্রান্সফার) আমার স্বাক্ষর ছাড়াই করা হয়েছিল। মানুষ জানতো যে, এটা (চুক্তি) সম্পন্ন করা হয়েছে।

তিনি বলেন, আমি আনচেলত্তির সঙ্গে কথা বলতে গিয়েছিলাম। তার অফিসে গিয়েছিলাম এবং সে ইতিমধ্যেই বিষয়টি জানতো। আমি দরজা খুললাম এবং যখন তার দিকে ঘুরে তাকালাম, দেখলাম আনচেলত্তি কাঁদছিলেন। আমি তাকে বলেছি, আপনি কাঁদতে পারেন না। অন্য কেউ কাঁদতে পারে কিন্তু আপনি কাঁদতে পারেন না।

সে সময় রিয়াল বস আনচেলত্তি ক্যাসেমিরোকে বলেছিলেন, আমি কেন কাঁদছি জানি না। তবে আমি তোমাকে খুব পছন্দ করি এবং আমি চাই না তুমি চলে যাও।

ক্যাসেমিরো আরও বলেন, সেই মুহূর্তে আমি বুঝতে পেরেছি, এখানে কত মানুষ আমাকে ভালোবাসে। কিন্তু আমি আগেই আমার কথা দিয়ে ফেলেছিলাম। আমার কথা অন্য যেকোনো কিছুর চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ।


ক্যাসেমিরো   ফুটবল   ব্রাজিল   রিয়াল মাদ্রিদ   কার্লো আনচেলত্তি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

বড় ধরনের নিষেধাজ্ঞার মুখে আর্জেন্টাইন গোলরক্ষক

প্রকাশ: ০৭:০৮ পিএম, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

এবার আর্জেন্টাইন গোলরক্ষক নাহুয়েল গুসমানকে ১১ ম্যাচের নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে মেক্সিকান ফুটবল ফেডারেশন (এফএমএফ)। ‘অনুপযুক্ত আচরণের’ কারণে গুসমানকে এমন নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।

জানা গেছে, গত রোববার মেক্সিকোর শীর্ষ প্রতিযোগিতা লিগা এমএক্সে টাইগ্রেস ইউএএনএল এবং মন্টেরি মুখোমুখি হয়েছিল। যেখানে টাইগ্রেস ক্লাবের আর্জেন্টাইন গোলরক্ষক গুসমান চোটের কারণে খেলতে পারেননি। তবে ড্রেসিংরুম থেকে তিনি মাঠে লেজার লাইট মারার কিছু ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এ নিয়ে তদন্তের পর তার বিরুদ্ধে বড় শাস্তি ঘোষণা করেছে এফএমএফ।

শেষ পর্যন্ত সেদিন দুই দলের ম্যাচটি ৩-৩ গোলে ড্র হয়েছিল। তবে পরবর্তীতে আলোচনা শুরু হয় গুসমানে লেজার ব্যবহার করা নিয়ে। তিনি মন্টেরি গোলরক্ষক এসটেবান আন্দ্রাদার দিকে লেজারের আলো ফেলেছিলেন এবং পরে সেটি নিয়ে সমালোচনা শুরু হলে ক্ষমাও চান এই টাইগ্রেস গোলরক্ষক।

গতকাল (বৃহস্পতিবার) এক বিবৃতিতে এফএমএফ জানায়, ম্যাচ চলাকালে অনুপযুক্ত আচরণের জন্য টাইগ্রেস ক্লাবের নাহুয়েল ইগনাসিও গুসমানকে ১১ ম্যাচের নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে ডিসিপ্লিনারি কমিটি। তার আচরণ ফেডারেশনের নীতিমালা ভঙ্গ করেছে। পরবর্তীতে টাইগ্রেস ক্লাবও নিজেদের অভ্যন্তরীণ নীতিমালা অনুসারে গুসমানকে শাস্তি দেওয়া হবে বলে ঘোষণা দিয়েছে।

এদিকে, শাস্তি পেয়েছেন মন্টেরির ফুটবলার আন্দ্রাদাও। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে গুসমানকে সমকামী বলে মন্তব্য করায় তাকে জরিমানা করেছে মেক্সিকান ফুটবল ফেডারেশন।

উল্লেখ্য, এখনও হাঁটুর ইনজুরির পুনর্বাসনে আছেন নিষিদ্ধ হওয়া গুসমান, যে কারণে ৯ মার্চের পর তিনি আর মাঠে নামতে পারেননি। চলমান নিয়মিত মৌসুমে তার দলের আর মাত্র দুই ম্যাচ বাকি, তবে ২০২৪ সালের পরবর্তী টুর্নামেন্টগুলোতে নিষেধাজ্ঞা প্রয়োগ হবে ৩৮ বছর বয়সী এই গোলরক্ষকের বিরুদ্ধে। এর আগেও পেনাল্টি শ্যুট আউটের সময় প্রতিপক্ষ ফুটবলারকে বিভ্রান্ত করার জন্য মুখ থেকে হঠাৎ ফিতা বের করেছিলেন গুসমান। গত আগস্টে লিগস কাপের ওই ঘটনার পর প্রথম তিনি আলোচনায় আসেন।


আর্জেন্টাইন   গোলরক্ষক   নাহুয়েল গুসমান  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

জার্সির রঙ বদলিয়ে ভাগ্য পরিবর্তন করতে চায় ব্যাঙ্গালুরু

প্রকাশ: ০৫:৫৫ পিএম, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

চলছে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের ১৭তম আসর। প্রতিবারের মতোই বেশ জাকজমকপূর্ণ আয়োজনের মধ্য দিয়েই শুরু হয়েছিল এবারের খেলা। যেখানে উদ্বোধনী ম্যাচেই নেমেছিল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরু ও গতবারের চ্যাম্পিয়ন চেন্নাই সুপার কিংস।

আইপিএল শুরু হয়েছে ২০০৮ সাল থেকে। সেই শুরু থেকে এখন পর্যন্ত সবগুলো আসর খেললেও এখন পর্যন্ত একবারও ট্রফি জিততে পারেনি রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরু। এবারের আসরেও সাতটি ম্যাচের মধ্যে ছয়টিতে হেরেছে দলটি।

বিশ্বসেরা তারকা ক্রিকেটারদের নিয়ে দল গড়েও আগের ১৬টি আসরের মতো এবারেও টেবিলের তলানিতে রয়েছে কোহিল-সিরাজরা। এমন পরিস্থিতিতে আগামী (রোববার) হাইভোল্টেজ ম্যাচে কলকাতা নাইট রাইডার্সের বিপক্ষে মাঠে নামবে কোহলিরা। ভাগ্য বদলাতে এই ম্যাচে জার্সি বদলে খেলবেন কোহলি-ফাফরা।

২০১১ সাল থেকে প্রতি বছর আইপিএলে একটি ম্যাচ সবুজ জার্সি পরে খেলে বেঙ্গালুরু। প্রকৃতির প্রতি যত্ন এবং আরও বেশি গাছ লাগানোর বার্তা দেওয়ার জন্যই সবুজ জার্সি পরে নামেন কোহলিরা। সাধারণত, ঘরের মাঠে এই জার্সি পরে নামে বেঙ্গালুরু। কিন্তু এবার অ্যাওয়ে ম্যাচে সবুজ জার্সি পরে খেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা।

নিজেদের ভেরিভায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে একটি ছবি দিয়েছে নতুন জার্সি পরে নামার কথা নিশ্চিত করেছে বেঙ্গালুরু। সেখানে নতুন জার্সিতে দেখা যাচ্ছে কোহলি, ডু প্লেসি এবং দিনেশ কার্তিককে।

পোস্টে বেঙ্গালুরু লিখেছেন, আশা করছি জার্সির রঙে বদল করায় ভাগ্যও বদলাবে। ২১ তারিখ দেখা হচ্ছে।

চলতি মৌসুমে বেঙ্গালুরুর ঘরের মাঠ চিন্নাস্বামীতে আরও ৩টি ম্যাচ খেলা বাকি রয়েছে। অন্যদিকে এই মৌসুমে কলকাতা বেশ ভালো ফর্মে রয়েছে। ৬ ম্যাচ খেলে তারা ইতিমধ্যেই ৮ পয়েন্ট নিয়ে লিগ তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে।

ঘরের মাঠে তিনটি ম্যাচ খেলে দুটিতেই জয় পেয়েছে কলকাতা। শেষ ম্যাচে রাজস্থান রয়্যালসের কাছে হারলেও শেষ বল পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে গিয়েছে তারা। এমন পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে বেঙ্গালুরুর ভাগ্যবদল বেশ কঠিনই হবে!


আইপিএল   বিরাট কোহলি   রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরু  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন