ইনসাইড গ্রাউন্ড

পতিত হওয়া এক নক্ষত্রের জন্মদিন আজ

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১০:০৭ এএম, ০৭ জুলাই, ২০২০


Thumbnail

বলবয় থেকে একটি দেশের ক্রিকেটের পোস্টার বয় হয়ে ওঠার গল্পটা আমরা সিনেমাতে দেখতে পারি, কিংবা কোন গল্পের জন্যেও মানানসইও। তবে বাস্তবতা কতটুকু? বাস্তবতা সম্পূর্ণ। বাউন্ডারি লাইনের পাশে বল কুড়িয়ে ফেরত দেওয়া ছেলেটাই উইলো হাতে একটি দেশের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। তাঁর ব্যাটেই নির্ভর করেছে টাইগারদের ম্যাচ জয়ের সম্ভাবনা। কট্টর সমালোচকরাও বিশ্বাস করতেন ২২ গজে সে টিকে গেলে সম্ভব যে কোন কিছু। উজ্জ্বল সম্ভাবনা নিয়ে আবির্ভূত সেই ক্রিকেটারের নাম মোহাম্মদ আশরাফুল। বাংলাদেশের ক্রিকেটের প্রথম তারকার জন্মদিন আজ। শুভ জন্মদিন আশরাফুল।

১৯৮৪ সালের ৭ই জুলাই ঢাকায় জন্মগ্রহণ করেন আশরাফুল। তার ডাকনাম মতিন। তবে ভক্তদের নিকট এই নামটি অপরিচিতই বটে। অ্যাশ নামেই সমধিক পরিচিত তিনি। ২০০০ সালে প্রথম শ্রেনীর ক্রিকেটে অভিষেক হওয়া এই ডানহাতি ব্যাটসম্যান ঠিক পরের বছরে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে পা রাখেন আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে। শুরু থেকেই কিশোর আশরাফুলের তারকাখ্যাতি দর্শক-সমর্থকদের প্রত্যাশার পরিমাণটা বাড়িয়ে দিলেও বাংলাদেশ ক্রিকেটের প্রথম তারকা নিজের জাত চেনাতে সময় নেন খানিকটা।

শ্রীলংকার বিপক্ষে ২০০১ সালে কলম্বো টেস্টে ১১৪ রানের এক ঝলমলে ইনিংস খেলেন আশরাফুল। যদিও সেই ম্যাচে বাংলাদেশ হেরেছিল ইনিংস ও ১১৫ রানের বিশাল ব্যবধানে, আশরাফুল কিন্তু ঠিকই তার প্রতিভার জানান দিয়েছিলেন। এরপর আবার এক দীর্ঘ অপেক্ষা। ২০০৪ সালে ঢাকায় ভারতের বিপক্ষে টেস্টে ১৯৪ বলে ১৫৮ রানের এক বিস্ময়কর ইনিংস খেলে পুরো ক্রিকেট বিশ্বকেই তাক লাগিয়ে দেন অ্যাশ। তৎকালীন ভারতীয় অধিনায়ক সৌরভ গাঙ্গুলি আশরাফুলের সেই ইনিংসটিকে তাঁর দেখা ‘অন্যতম সেরা ইনিংস’ বলে অভিহিত করেন।

পরের বছর ২০০৫ সালে আশরাফুল তার ক্যারিয়ারের তো বটেই, সম্ভবত বাংলাদেশের ক্রিকেট ইতিহাসেরই অন্যতম সেরা ইনিংসটি খেলে ফেলেন। ১৮ জুন কার্ডিফে ন্যাটওয়েস্ট সিরিজে রিকি পন্টিংয়ের নেতৃত্বে হেইডেন, গিলক্রিস্ট, ম্যাকগ্রা, ব্রেট লি আর গিলেস্পিদের নিয়ে গড়া সেই অস্ট্রেলিয়া দলটিকে ক্রিকেট ইতিহাসেরই অন্যতম সফল দল বলা হয়। একের পর এক সিরিজ জিতে উড়তে থাকা অস্ট্রেলিয়াকেই ন্যাটওয়েস্ট সিরিজের সেই ঐতিহাসিক ম্যাচে মাটিতে নামিয়ে আনে বাংলাদেশ দল। আর এই দুঃসাধ্য সাধনে যিনি সামনে থেকে নেতৃত্ব দেন তিনি মোহাম্মদ আশরাফুল।

তারকাখচিত ব্যাটিং লাইনআপ নিয়েও সেদিন বাংলাদেশ এর মিতব্যয়ী বোলিং এর বিপক্ষে ২৫০ এর বেশি রান করতে পারেনি অস্ট্রেলিয়া। জবাবে শুরুটা একেবারেই জয়সুলভ ছিল না বাংলাদেশের। কিন্তু অধিনায়ক হাবিবুল বাশারের সাথে ১৩০ রানের জুটি গড়ে দলকে জয়ের বন্দরে পৌছে দেন আশরাফুল। তার ১০১ বলে ১০০ রানের মহাকাব্যিক ইনিংসে ভর করেই অজিদের হারিয়ে দেয় টাইগাররা। আজও ক্রিকেটপ্রেমীদের চোখে ভাসে অ্যাশের সেই অনবদ্য ইনিংসটি।

ন্যাটওয়েস্ট সিরিজটি স্মরণীয় করে রাখতে কার্ডিফের ইনিংসটিই যথেষ্ট ছিল। কিন্তু অ্যাশ তা মানবেন কেন? তাই তো পরের ম্যাচেই ইংল্যান্ডের বিপক্ষে আবার জ্বলে ওঠে তার ব্যাট। ইংলিশ বোলারদের নাস্তানাবুদ করে ৫২ বলে ৯৪ রানের এক অতিমানবীয় ইনিংস খেলেন বাংলাদেশের লিটল মাস্টার। ১৬৮ রানের বিশাল ব্যবধানে সেদিন টাইগাররা হারলেও ব্যাক্তিগতভাবে অ্যাশ সফল ছিলেন পুরোপুরি। ন্যাটওয়েস্ট সিরিজের পর তার ব্যাটে আবার একটি আশরাফুলীয় ইনিংস দেখতে অপেক্ষা করতে হয় ২০০৭ সাল পর্যন্ত।

২০০৭ সালের একদিনের ক্রিকেট বিশ্বকাপের কথা। ভারতকে হারিয়ে অঘটনের জন্ম দিয়ে সুপার এইটে বাংলাদেশ। প্রত্যাশা সেখানেই পূরণ হয়ে গিয়েছিল বাংলাদেশের। কেবল যেন অপেক্ষা ছিল একটি আশরাফুলীয় ইনিংসের। ৭ এপ্রিলে গায়ানার প্রভিডেন্স স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ বনাম দক্ষিণ আফ্রিকার ম্যাচটি যেন ছিল শুধু আশরাফুলের একটি অসাধারণ ইনিংসেরই জন্যই। আশরাফুলের ৮৩ বলে ৮৭ রানের চোখ ধাঁধানো ইনিংসে সব ধারণা পাল্টে গেলো। একের পর এক অসাধারণ সব শট খেলে বাংলাদেশের স্কোরকার্ড সচল রাখেন তিনি একাই। সেঞ্চুরি না করতে পারলেও বাংলাদেশকে এনে দেন ২৫১ রানের লড়াকু এক স্কোর। জবাবে ১৮৪ রানেই অলআউট হয় দক্ষিণ আফ্রিকা। বাংলাদেশ পায় ৬৭ রানের এক ঐতিহাসিক জয়।

মূলত ২০১০ থেকেই দলে অনিয়মিত হয়ে পড়েন আশরাফুল। বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের ‘আশার ফুল’ খ্যাত এই ক্রিকেটারের গড় ছিল দৃষ্টিকটু। বাজেভাবে উইকেট দিয়ে আসা কিংবা উইকেটে থিতু না হতা পারার মানসিকতা কখনো কখনো তাঁকে খলনায়কে পরিণত করেছে। কিন্তু তার মধ্যে যে আরো কিছু দেবার মতো বাকি ছিল সেটা তিনি প্রমাণ করেন ২০১৩ এর শ্রীলংকা সফরে। গল টেস্টে ৪১৭ বলের ১৯০ রানের চোখ ধাঁধানো ইনিংসটি খুব সহজেই তার টেস্ট ক্যারিয়ারের সেরা ইনিংস হয়ে থাকবে।

গল টেস্টে অ্যাশের সেই ইনিংসটি থেকে তার পুনরুত্থানের স্বপ্ন দেখছিলেন অনেকেই। কিন্তু সেটাই যে তার শেষ সুখস্মৃতি হবে তা কে জানত? ২০০১ সালে শুরু করেছিলেন যে ক্যারিয়ার, ২০১৩ সালের এপ্রিলে জিম্বাবুয়ে সিরিজেই অঘোষিতভাবে তার ইতি টানেন অ্যাশ। কেননা সে বছরই তিনি নিজেকে জড়িয়ে ফেলেন স্পট ফিক্সিং কেলেঙ্কারিতে। বাংলাদেশ ক্রিকেটের উজ্জ্বল এক তারকার পতন ঘটে হুট করে, সবাইকে হতবাক করে দিয়ে।

ঢাকা গ্লাডিয়েটরসের হয়ে খেলা আশরাফুলের বিরুদ্ধে ম্যাচ গড়াপেটার অভিযোগ ওঠে ২০১৩ বিপিএলের আসর শেষ হবার পরপরই। আকসুর তথ্য ও আশরাফুলের সহজ স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে আগস্ট মাস থেকেই তাকে সবধরণের ক্রিকেট থেকে তাকে সাময়িকভাবে নির্বাসিত করে বিসিবি। ২০১৪ এর জুলাই মাসে বিসিবির দুর্নীতি দমন ট্রাইব্যুনাল তার উপর ১০ লাখ টাকা জরিমানা সহ ৮ বছরের নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। পরে অবশ্য আশরাফুলের আবেদনের ভিত্তিতে সাজা কমিয়ে ৫ বছর করা হয়। সেই নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে আশরাফুল ঘরোয়া ক্রিকেট খেলছেন। খেলেছেন বিপিএলও। নিজেকে ফিট রাখার প্রাণান্ত চেষ্টা করে এখনো অপেক্ষায় আছেন জাতীয় দলে ফেরার। তবে সময় কি মানুষকে দ্বিতীয় সুযোগ দেয়? বাংলাদেশ ক্রিকেটের প্রথম তারকাকেও দেয়নি। এখন আশরাফুক মানেই এক সোনালি অতীত, এক হতাশা, এক আক্ষেপের নাম।



মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

ধোনির মুগ্ধতা ও মুস্তাফিজের ব্রেকথ্রুর পরও লখনৌয়ের কাছে চেন্নাইয়ের হার

প্রকাশ: ১২:৪১ এএম, ২০ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

এদিন চিরযৌবনা মহেন্দ্র সিং ধোনি ব্যাট হাতে মুগ্ধতা ছড়ালেন তরুণ বয়সের সেই ক্যাপ্টেন কুলের মতোই। সেই সাথে বোলিংয়ে মুস্তাফিজ-পাথিরানা বল হাতে চালালেন আপ্রাণ চেষ্টা। তবুও লখনৌ সুপার জায়ান্টসের কাছে চেন্নাইকে মানতে হল হার। 

শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) লখনৌয়ের ঘরের মাঠে আগে ব্যাট করতে নেমে ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে চেন্নাই। ৮ নম্বরে নেমে মাত্র ৯ বলে ২৮ রানের ক্যামিওতে ধোনি দলীয় সংগ্রহকে  নিয়ে যান ১৭৬ রানে।

এছাড়া আজিংকিয়া রাহানে ২৪ বলে ৩৬, রবীন্দ্র জাদেজা ৪০ বলে অপরাজিত ৫৭, মঈন আলী ২০ বলে ৩০ রানের ইনিংস খেলেন। লখনৌয়ের পক্ষে জোড়া উইকেট শিকার করেন ক্রুনাল পান্ডিয়া।

জবাব দিতে নেমে লখনৌয়ের দুই ওপেনারই ম্যাচ ছিনিয়ে নেন চেন্নাইয়ের হাত থেকে। মুস্তাফিজ অবশ্য এদিনও বল হাতে আস্থার প্রতিদান দিয়েছেন। অধিনায়কের চাওয়া অনুযায়ী বল হাতে নিয়ে প্রথম ওভারে ৮ ও দ্বিতীয় ওভারে ৭ রান খরচ করেন।

রুতুরাজ গাইকোয়াদ শেষদিকের জন্য মুস্তাফিজকে মজুত করে রাখলেও ততক্ষণে ম্যাচ চলে গেছে নিয়ন্ত্রণের বাইরে। ১৫তম ওভারে নিজের তৃতীয় ওভার করতে এসে বাংলাদেশি পেসারের তাই তেমন কিছু করার ছিল না। তারপরও মুস্তাফিজই দলকে এনে দেন কাঙ্ক্ষিত ব্রেক থ্রু। ওভারের শেষ বলে কুইন্টন ডি কককে পরিণত করেন ধোনির ক্যাচে। ৪৩ বলে ৫৪ রান করে ফিজের শিকার হয়ে বিদায় নেন প্রোটিয়া তারকা। 

তবে সহজ ম্যাচটা আর কঠিন হয়নি লক্ষ্ণৌয়ের জন্য। অধিনায়ক লোকেশ রাহুলের ৫৩ বলে গড়া ৮২ রানের ইনিংসে ভর করে হেসেখেলেই পা ফেলে জয়ের বন্দরে, তাও ৬ বল ও ৮ উইকেট হাতে রেখে। চেন্নাইয়ের হয়ে অপর উইকেটটি শিকার করেন মাথিশ পাথিরানা।


মুস্তাফিজ   বাংলাদেশ   চেন্নাই   আইপিএল  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

লখনৌর মাঠে চেন্নাইয়ের লড়াকু সংগ্রহ

প্রকাশ: ১০:০৯ পিএম, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

লখনৌ এর বিপক্ষে চেন্নাইয়ের শুরুটা ছিল নড়বড়ে। যার জন্য শঙ্কা ছিল অল্পতেই গুটিয়ে যাওয়ার। তবে মাঝে অজিঙ্কা রাহানে ও রবীন্দ্র জাদেজার দায়িত্বশীলতা ও শেষদিকে মঈন আলি ও মহেন্দ্র সিং ধোনির ব্যাটের উপর ভর করে লড়াকু সংগ্রহ পেয়েছে মুস্তাফিজদের দল। 

শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) আইপিএলের খেলায় নির্ধারিত ওভার শেষে চেন্নাইয়ের সংগ্রহ ৬ উইকেটে ১৭৬ রান।

এদিন শুরুতেই লখনৌর মাঠ একানা স্টেডিয়ামে টস হেরে আগে ব্যাটিংয়ে নামে রুতুরাজ গায়কোয়াড়ের চেন্নাই। পিচ রিপোর্ট থেকে জানা যায়, এখানকার কন্ডিশন কিছুটা পেস-সহায়ক। তাই রানের গণ্ডি ন্যূনতম ১৭০–২০০ এর মধ্যে রাখতে হবে, তবে এটিকেও যথেষ্ট বলা যাবে না।

শেষপর্যন্ত সেই ন্যূনতম সীমানায় সফরকারীরা পা রেখেছে ধোনির ঝোড়ো ব্যাটিংয়ে। মাত্র ৯ বলের ইনিংসে তিনি ২৮ রান করেছেন।এছাড়া হলুদ শিবিরের হয়ে সর্বোচ্চ ৫৭ রান করেছেন জাদেজা। দুজনের জুটিতে শেষ ৪ ওভারে এসেছে ৬৩ রান।


আইপিএল   ক্রিকেট   খেলাধুলা  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

রিয়াল থেকে ক্যাসেমিরোর বিদায়ে কেঁদেছিলেন আনচেলত্তি

প্রকাশ: ০৭:৪১ পিএম, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

ব্রাজিলিয়ান তারকা ফুটবলার ক্যাসেমিরো। জাতীয় দলসহ ক্লাবের খেলায় যে দলেই খেলেছেন ডিফেন্ডিং মিডফিল্ডে সে দলেরই ভরসার অন্যতম প্রতীক হয়ে উঠেছেন। তবে ক্যাসেমিরোর ক্যারিয়ারে সেরা সময় কেটেছে লা লিগা এবং চ্যাম্পিয়ন্স লিগের অন্যতম সফল দল রিয়াল মাদ্রিদে। যেখানে প্রতিপক্ষের আক্রমণকে রুখে দিয়ে দলের আক্রমণেও বিশেষ ভূমিকা পালন করেছেন এই ব্রাজিলিয়ান তারকা।

ক্যাসেমিরো তার ক্লাব ক্যারিয়ারের ৯ বছরের দীর্ঘ সময় কাটিয়েছেন রিয়ালে। এরপর ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের ক্লাব ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে যোগ দেন তিনি। সম্প্রতি রিয়াল থেকে নিজের বিদায়ের মুহূর্তের কথা স্মরণ করে ক্যাসেমিরো জানিয়েছেন, তার ক্লাব ছাড়ার সিদ্ধান্তের কথা জানতে পেরে কেঁদেছিলেন রিয়ালের কোচ কার্লো আনচেলত্তি।

ক্যাসেমিরো বলেন, আমি এটি আগে কাউকে বলিনি। আমি শুধুমাত্র একবার ম্যানচেস্টারে যাওয়ার বিষয়ে ভাবছিলাম। আমার মনে আছে, এটা ছিল শুক্রবারের বিকেল এবং এটা (ইউনাইটেড ট্রান্সফার) আমার স্বাক্ষর ছাড়াই করা হয়েছিল। মানুষ জানতো যে, এটা (চুক্তি) সম্পন্ন করা হয়েছে।

তিনি বলেন, আমি আনচেলত্তির সঙ্গে কথা বলতে গিয়েছিলাম। তার অফিসে গিয়েছিলাম এবং সে ইতিমধ্যেই বিষয়টি জানতো। আমি দরজা খুললাম এবং যখন তার দিকে ঘুরে তাকালাম, দেখলাম আনচেলত্তি কাঁদছিলেন। আমি তাকে বলেছি, আপনি কাঁদতে পারেন না। অন্য কেউ কাঁদতে পারে কিন্তু আপনি কাঁদতে পারেন না।

সে সময় রিয়াল বস আনচেলত্তি ক্যাসেমিরোকে বলেছিলেন, আমি কেন কাঁদছি জানি না। তবে আমি তোমাকে খুব পছন্দ করি এবং আমি চাই না তুমি চলে যাও।

ক্যাসেমিরো আরও বলেন, সেই মুহূর্তে আমি বুঝতে পেরেছি, এখানে কত মানুষ আমাকে ভালোবাসে। কিন্তু আমি আগেই আমার কথা দিয়ে ফেলেছিলাম। আমার কথা অন্য যেকোনো কিছুর চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ।


ক্যাসেমিরো   ফুটবল   ব্রাজিল   রিয়াল মাদ্রিদ   কার্লো আনচেলত্তি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

বড় ধরনের নিষেধাজ্ঞার মুখে আর্জেন্টাইন গোলরক্ষক

প্রকাশ: ০৭:০৮ পিএম, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

এবার আর্জেন্টাইন গোলরক্ষক নাহুয়েল গুসমানকে ১১ ম্যাচের নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে মেক্সিকান ফুটবল ফেডারেশন (এফএমএফ)। ‘অনুপযুক্ত আচরণের’ কারণে গুসমানকে এমন নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।

জানা গেছে, গত রোববার মেক্সিকোর শীর্ষ প্রতিযোগিতা লিগা এমএক্সে টাইগ্রেস ইউএএনএল এবং মন্টেরি মুখোমুখি হয়েছিল। যেখানে টাইগ্রেস ক্লাবের আর্জেন্টাইন গোলরক্ষক গুসমান চোটের কারণে খেলতে পারেননি। তবে ড্রেসিংরুম থেকে তিনি মাঠে লেজার লাইট মারার কিছু ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এ নিয়ে তদন্তের পর তার বিরুদ্ধে বড় শাস্তি ঘোষণা করেছে এফএমএফ।

শেষ পর্যন্ত সেদিন দুই দলের ম্যাচটি ৩-৩ গোলে ড্র হয়েছিল। তবে পরবর্তীতে আলোচনা শুরু হয় গুসমানে লেজার ব্যবহার করা নিয়ে। তিনি মন্টেরি গোলরক্ষক এসটেবান আন্দ্রাদার দিকে লেজারের আলো ফেলেছিলেন এবং পরে সেটি নিয়ে সমালোচনা শুরু হলে ক্ষমাও চান এই টাইগ্রেস গোলরক্ষক।

গতকাল (বৃহস্পতিবার) এক বিবৃতিতে এফএমএফ জানায়, ম্যাচ চলাকালে অনুপযুক্ত আচরণের জন্য টাইগ্রেস ক্লাবের নাহুয়েল ইগনাসিও গুসমানকে ১১ ম্যাচের নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে ডিসিপ্লিনারি কমিটি। তার আচরণ ফেডারেশনের নীতিমালা ভঙ্গ করেছে। পরবর্তীতে টাইগ্রেস ক্লাবও নিজেদের অভ্যন্তরীণ নীতিমালা অনুসারে গুসমানকে শাস্তি দেওয়া হবে বলে ঘোষণা দিয়েছে।

এদিকে, শাস্তি পেয়েছেন মন্টেরির ফুটবলার আন্দ্রাদাও। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে গুসমানকে সমকামী বলে মন্তব্য করায় তাকে জরিমানা করেছে মেক্সিকান ফুটবল ফেডারেশন।

উল্লেখ্য, এখনও হাঁটুর ইনজুরির পুনর্বাসনে আছেন নিষিদ্ধ হওয়া গুসমান, যে কারণে ৯ মার্চের পর তিনি আর মাঠে নামতে পারেননি। চলমান নিয়মিত মৌসুমে তার দলের আর মাত্র দুই ম্যাচ বাকি, তবে ২০২৪ সালের পরবর্তী টুর্নামেন্টগুলোতে নিষেধাজ্ঞা প্রয়োগ হবে ৩৮ বছর বয়সী এই গোলরক্ষকের বিরুদ্ধে। এর আগেও পেনাল্টি শ্যুট আউটের সময় প্রতিপক্ষ ফুটবলারকে বিভ্রান্ত করার জন্য মুখ থেকে হঠাৎ ফিতা বের করেছিলেন গুসমান। গত আগস্টে লিগস কাপের ওই ঘটনার পর প্রথম তিনি আলোচনায় আসেন।


আর্জেন্টাইন   গোলরক্ষক   নাহুয়েল গুসমান  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

জার্সির রঙ বদলিয়ে ভাগ্য পরিবর্তন করতে চায় ব্যাঙ্গালুরু

প্রকাশ: ০৫:৫৫ পিএম, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

চলছে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের ১৭তম আসর। প্রতিবারের মতোই বেশ জাকজমকপূর্ণ আয়োজনের মধ্য দিয়েই শুরু হয়েছিল এবারের খেলা। যেখানে উদ্বোধনী ম্যাচেই নেমেছিল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরু ও গতবারের চ্যাম্পিয়ন চেন্নাই সুপার কিংস।

আইপিএল শুরু হয়েছে ২০০৮ সাল থেকে। সেই শুরু থেকে এখন পর্যন্ত সবগুলো আসর খেললেও এখন পর্যন্ত একবারও ট্রফি জিততে পারেনি রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরু। এবারের আসরেও সাতটি ম্যাচের মধ্যে ছয়টিতে হেরেছে দলটি।

বিশ্বসেরা তারকা ক্রিকেটারদের নিয়ে দল গড়েও আগের ১৬টি আসরের মতো এবারেও টেবিলের তলানিতে রয়েছে কোহিল-সিরাজরা। এমন পরিস্থিতিতে আগামী (রোববার) হাইভোল্টেজ ম্যাচে কলকাতা নাইট রাইডার্সের বিপক্ষে মাঠে নামবে কোহলিরা। ভাগ্য বদলাতে এই ম্যাচে জার্সি বদলে খেলবেন কোহলি-ফাফরা।

২০১১ সাল থেকে প্রতি বছর আইপিএলে একটি ম্যাচ সবুজ জার্সি পরে খেলে বেঙ্গালুরু। প্রকৃতির প্রতি যত্ন এবং আরও বেশি গাছ লাগানোর বার্তা দেওয়ার জন্যই সবুজ জার্সি পরে নামেন কোহলিরা। সাধারণত, ঘরের মাঠে এই জার্সি পরে নামে বেঙ্গালুরু। কিন্তু এবার অ্যাওয়ে ম্যাচে সবুজ জার্সি পরে খেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা।

নিজেদের ভেরিভায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে একটি ছবি দিয়েছে নতুন জার্সি পরে নামার কথা নিশ্চিত করেছে বেঙ্গালুরু। সেখানে নতুন জার্সিতে দেখা যাচ্ছে কোহলি, ডু প্লেসি এবং দিনেশ কার্তিককে।

পোস্টে বেঙ্গালুরু লিখেছেন, আশা করছি জার্সির রঙে বদল করায় ভাগ্যও বদলাবে। ২১ তারিখ দেখা হচ্ছে।

চলতি মৌসুমে বেঙ্গালুরুর ঘরের মাঠ চিন্নাস্বামীতে আরও ৩টি ম্যাচ খেলা বাকি রয়েছে। অন্যদিকে এই মৌসুমে কলকাতা বেশ ভালো ফর্মে রয়েছে। ৬ ম্যাচ খেলে তারা ইতিমধ্যেই ৮ পয়েন্ট নিয়ে লিগ তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে।

ঘরের মাঠে তিনটি ম্যাচ খেলে দুটিতেই জয় পেয়েছে কলকাতা। শেষ ম্যাচে রাজস্থান রয়্যালসের কাছে হারলেও শেষ বল পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে গিয়েছে তারা। এমন পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে বেঙ্গালুরুর ভাগ্যবদল বেশ কঠিনই হবে!


আইপিএল   বিরাট কোহলি   রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরু  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন