নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৯:০৯ এএম, ২৬ সেপ্টেম্বর, ২০২০
ছোট বেলার খেলার সঙ্গী ভাইকে যদি পেশাদারিত্বের খেলায় পাশে পাওয়া যায় তাহলে এরচেয়ে আনন্দের কিছু বোধহয় আর হয়না। আর দর্শক হিসেবে আপন দুই ভাইকে যখন আমরা খেলতে দেখি তখন তাদের প্রতি ভালোবাসার মাত্রাটা যেন একটু দ্বিগুন হয়ে যায়। নিজের ভাইয়ের সাথে ড্রেসিংরুম ভাগাভাগি উপভোগ করার মুহূর্তটা নিঃসন্দেহে অসাধারণ। ক্রিকেট ইতিহাসে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন খেলোয়াড়দের ব্রাদার্স গ্রুপের কথা জানাচ্ছি।
লি ব্রাদার্স (অস্ট্রেলিয়া)
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের অন্যতম সেরা ফাস্ট বোলার ব্রেট লি আর শেন লি দুই ভাই। তবে শেন লি অল রাউন্ডার হিসেবে খেলতেন দলে। ১৯৯৬ ও ১৯৯৯ সালের ক্রিকেট বিশ্বকাপে দুই ভাই একসাথে অংশ নিয়েছিলেন। কিন্তু মাত্র ২৯ বছর বয়সে ২০০২ সালে শেন লির হাঁটুর আঘাতের কারণে তাকে ক্রিকেট অঙ্গন থেকে অবসর নিতে হয়।
হাসি ব্রাদার্স (অস্ট্রেলিয়া)
অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেটের আরও আপন দুইভাই হচ্ছে মাইকেল হাসি এবং ডেভিড হাসি। ডেভিড হাসি মূলত ছিলেন ডানহাতি ব্যাটসম্যান এবং তার ভাই মাইক হাসি ছিল বাহাতি ব্যাটসম্যান। খেলোয়াড় জীবনের শুরুর দিকে মাইক হাসি ডানহাতি ব্যাটসম্যান ছিলেন কিন্তু পরে বামহাতে ব্যাটিং করে সফলতা পান।
ওয়াহ ব্রাদার্স(অস্ট্রেলিয়া)
মার্ক ওয়াহ এবং স্টিভ ওয়াহ যমজ দুই ভাই। তবে মার্ক ওয়াহ থেকে মাত্র চার মিনিটের ছোট ছিলেন স্টিভ ওয়াহ। প্রায় এক যুগ স্টিভ ও মার্ক ছিলেন অস্ট্রেলিয়া টেস্ট দলের অবিচ্ছেদ্য অংশ। একসঙ্গে ১০৮ টেস্ট খেলেছেন। ডানহাতে ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি মিডিয়াম-পেস বোলিংয়েও সফলতা পেয়েছেন স্টিভ ওয়াহ এবং ডানহাতি মিডিয়াম / অফ-ব্রেক বোলার এবং ব্যাটসম্যান ছিলেন মার্ক ওয়াহ। তিনি ১৯৯১ থেকে ২০০২ সালের শেষভাগ পর্যন্ত টেস্ট ম্যাচে অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট দলকে নেতৃত্ব দেন।
পোলক ব্রাদার্স (অস্ট্রেলিয়া)
গ্রায়েম পোলককে দক্ষিণ আফ্রিকার অন্যতম সেরা ক্রিকেটার এবং সর্বকালের অন্যতম সেরা টেস্ট ব্যাটসম্যান মানা হয়। ২৩ টেস্ট ম্যাচে ৬০ গড়ে ৭ শতকের সাহায্যে ২,২৫৬ রান করেন গ্রায়েম পোলক। ১৯৯৯ সালে তিনি বিংশ শতাব্দীর সেরা দক্ষিণ আফ্রিকান ক্রিকেটার নির্বাচিত হন। ২০০৯ সালে আইসিসির হল অফ ফেমেও জায়গা পান গ্রায়েম।
তার বড় ভাই পিটার পোলক ছিলেন একজন ফাস্ট বোলার। দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে ২৮ টেস্টে প্রতিনিধিত্ব করে উইকেট পেয়েছেন ১১৬টি।
ম্যাককালাম ব্রাদার্স (নিউজিল্যান্ড)
ব্রেন্ডন ম্যাককুলাম ও নাথান ম্যাককুলাম আপন দুই ভাই। ব্রেন্ডন ম্যাককুলাম দলের উইকেট কীপারের দায়িত্ব পালন করা ছাড়াও দলের উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান হিসেবে খেলেন। নাথান ম্যাককুলাম ডানহাতে ব্যাটিংয়ে অভ্যস্ত নিম্নসারির ব্যাটসম্যান এবং ডানহাতে অফ ব্রেক বোলিং করতেন।
মরকেল ব্রাদার্স (সাউথ আফ্রিকা)
৬ ফুট ৫ ইঞ্চি উচ্চতার দানবীয় ফাস্ট বোলার মরনে মরকেল ও আলবি মরকেল দুই ভাই। তবে মরনে মরকেলের ছোট ভাই আলবি মরকেল পরিবারের ২য় সন্তান হিসেবে খেলেছে দক্ষিণ আফ্রিকা দলের অন্যতম খেলোয়াড় হয়ে। আলবি মরকেল মিডল অর্ডারে বিধ্বংসী ব্যাটিং এবং ডানহাতি ফাস্ট বোলিংয়ের জন্য পরিচিত ছিল।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে আরো অনেক জুটি রয়েছে যাদের নাম হয়তো এক গল্পে বলা যাবেনা। দর্শক হিসেবে আমাদের চাওয়া ভাই ভাইয়ের এমন জুটি যুগে যুগে ফিরে আসুক আমাদের মাঝে।
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশি আম্পায়ার আইসিসি শরফুদ্দৌলা ইবনে সৈকত
মন্তব্য করুন
ভারত ও পাকিস্তানের বিপক্ষে ভিন্ন সিরিজের পূর্ণাঙ্গ সূচি ঘোষণা করেছে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া (সিএ)। আগামী নভেম্বরে ঘরের মাঠে পাকিস্তানের বিপক্ষে ওয়ানডে ও টি-২০ সিরিজ খেলবে অস্ট্রেলিয়া। এরপরেই ভারতের বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচের টেস্ট সিরিজ খেলবে অজিরা। দীর্ঘ ৩৩ বছর পর পাঁচ ম্যাচের টেস্ট সিরিজ খেলতে যাচ্ছে ভারত-অস্ট্রেলিয়া।
সবশেষ ১৯৯৯ সালে ভারতের বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচের টেস্ট সিরিজ খেলেছিল অস্ট্রেলিয়া। এরপর হোম-অ্যাওয়েতে ১১টি চার ম্যাচের, তিনটি তিন ম্যাচের এবং একটি করে এক ও দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ খেলেছে ভারত-অস্ট্রেলিয়া।
পার্থের নতুন ভেন্যুতে আগামী ২২ নভেম্বর থেকে বোর্ডার-গাভাস্কার টেস্ট সিরিজ শুরু করবে ভারত ও অস্ট্রেলিয়া। আগামী ৬ ডিসেম্বর গোলাপি বলে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্ট খেলবে ভারত ও অস্ট্রেলিয়া।
এরপর ব্রিজবেনে ১৪ ডিসেম্বর থেকে তৃতীয় খেলতে নামবে ভারত ও অস্ট্রেলিয়া। ২৬ ডিসেম্বর বক্সিং ডে’তে সিরিজে চতুর্থ টেস্ট খেলবে দু’দল। ঐতিহ্যবাহী বক্সিং ডে টেস্ট অনুষ্ঠিত হবে মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ডে। আগামী বছরের শুরুতে ৩ জানুয়ারি সিডনি ক্রিকেট গ্রাউন্ডে সিরিজের পঞ্চম ও শেষ টেস্টে লড়বে দু’দল।
অস্ট্রেলিয়া ভারত পাকিস্তান ক্রিকেট
মন্তব্য করুন
ক্রিকেটে কখনও ব্যক্তিগত লক্ষ্য বা অর্জন নিয়ে কখনও ভাবিনি বলে মন্তব্য করেছেন সাকিব আল হাসান। বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) রূপায়ণ সিটি উত্তরার সঙ্গে ঢাকায় একটি চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে এ কথা জানান বিশ্বের অন্যতম সেরা এই অলরাউন্ডার।
সাকিব বলেন, ‘যতদিন ক্রিকেট খেলেছি, ব্যক্তিগত লক্ষ্য বা অর্জন নিয়ে কখনও ভাবিনি। সবসময় চেষ্টা করেছি দলে কীভাবে অবদান রাখা যায়। টেস্ট দলে ফিরতে পেরে স্বাভাবিকভাবেই আমি আনন্দিত। ম্যাচ জেতার আশা তো সবসময়ই করি। শ্রীলংকার সঙ্গে ম্যাচটি জেতা উচিত।’
বাংলাদেশ ক্রিকেটের পোস্টার বয় সাকিব বেশ কিছুদিন ছিলেন জাতীয় দলের বাইরে। শ্রীলংকার বিপক্ষে চট্টগ্রাম টেস্ট দিয়ে ফিরছেন জাতীয় দলে। ক্রিকেটের সবচেয়ে অভিজাত সংস্করণ ধরা হয় সাদা পোশাকের ম্যাচকে। সেই টেস্টে বাংলাদেশ এখনও অনেক পিছিয়ে। শ্রীলংকার বিপক্ষে দুই ম্যাচ সিরিজের প্রথম টেস্টে বাংলাদেশ হেরেছে চার দিনে। করতে পারেনি ন্যূনতম লড়াই।
সিলেট টেস্ট শেষে চট্টগ্রামে ফিরেছে দল। জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে আগামী ৩০ মার্চ থেকে শুরু হবে দ্বিতীয় ও শেষ টেস্ট। সেই ম্যাচের দলে যুক্ত করা হয়েছে সাকিবকে।
শ্রীলংকা বাংলাদেশ সাকিব আল হাসান
মন্তব্য করুন
দুই ম্যাচ টেস্ট সিরিজের প্রথমটিতে বাংলাদেশকে নাস্তানাবুদ করে জয় তুলে নিয়েছে শ্রীলংকা। তবে দ্বিতীয় টেস্ট শুরুর পূর্বে বড় দুঃসংবাদ পেয়েছে সফরকারীরা। সিলেট টেস্টে বাংলাদেশের বিপক্ষে সর্বোচ্চ উইকেটশিকারি লঙ্কান বোলার কাসুন রাজিথা চট্টগ্রাম টেস্ট থেকে ছ্টিকে গেছেন। ইনজুরির কারণে আগামী ৩০ মার্চ থেকে শুরু হতে যাওয়া এই টেস্টে খেলতে পারবেন না এই লঙ্কান পেসার।
রাজিথার পরিবর্তে চট্টগ্রাম টেস্টে খেলবেন আসিথা ফার্নান্ডো। শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট (এসএলসি) বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। বিবৃতিতে এসএলসি বলেছে, 'কাসুন রাজিথা দ্বিতীয় টেস্ট ম্যাচের জন্য বিবেচিত হবেন না। কারণ তিনি পিঠের বাঁপাশের উপরের অংশে চোট পেয়েছেন। পুনর্বাসনের কাজ শুরু করতে কাসুন দেশে ফিরে আসবে।'
সিলেট টেস্টে খেলতে গিয়ে পিঠের ইনজুরিতে পড়েন রাজিথা। তার পরিবর্তে যেই আসিথাকে দলে নিয়েছে শ্রীলঙ্কা, তিনি হ্যামস্ট্রিং ইনজুরিতে সিলেট টেস্ট থেকে ছিটকে গিয়েছিলেন। তবে দ্রুত ফিরে এসে যোগ দিচ্ছেন দ্বিতীয় টেস্টে।
সিলেট টেস্টে দুই ইনিংস মিলিয়ে লঙ্কানদের হয়ে সর্বোচ্চ ৮ উইকেট শিকার করেছেন রাজিথা। এর মধ্যে প্রথম ইনিংসে ৩ আর দ্বিতীয় ইনিংসে নিয়েছেন ৫ উইকেট।
শ্রীলংকা বাংলাদেশ টেস্ট ক্রিকেট
মন্তব্য করুন
ফুটবল জাদুকর লিওনেল মেসি। ক্যারিয়ারে এমন কিছু নেই যা তার অধরা। এমনকি ক্যারিয়ারের গোধূলি লগ্নে এসে নিজের আজন্ম স্বপ্ন পূরণ করেছেন তিনি। প্রথমবার বিশ্বকাপ জয়ের স্বাদ পেয়েছেন ৩৫ বছর বয়সে এসে।
বর্তমানে বয়স ৩৬ হলেও খেলার মাঠে যেন বয়সের কোনো চাপ নেই তার। জাতীয় দল কিংবা ক্লাব দুই জায়গায় ২০ বছরের তরুণের চেয়েও মাঠে এখনও দুর্দান্ত মেসি। এমন তারকা ফুটবলার অবসরে চলে যাক, তা হয়তো কোনো ভক্তই চান না। না চাইলেও অনেক ভক্তের মনে প্রশ্ন, মেসি তো অবসর নেবেন একটা সময়; আর সেটা কখন?
যুক্তরাষ্ট্রের মেজর সকার (এমএলএস) লিগের ক্লাব ইন্টার মিয়ামির সঙ্গে মেসির চুক্তির মেয়াদ শেষ হবে আগামী ২০২৫ সালের ডিসেম্বরে। এরপর মেসি অবসর নেবেন কিনা, সেই প্রশ্নই অনেকের মনে ঘুরপাক খাচ্ছে।
অবসর নিয়ে ভাবনা আছে মেসিরও। বিষয়টি নিয়ে খোলাখুলি কথাও বলেছেন আর্জেন্টাইন ব্শ্বিকাপজয়ী তারকা। তবে সেটা বয়স বিবেচনায় নয়। ৮ বারের ব্যালন ডি'অর জয়ী এই তারকার অবসরের সিদ্ধান্ত আসবে পারফরম্যান্স বিবেচনায়।
মেসি এমবিসির বিগ টাইম পডকাস্টকে বলেন, ‘যে মুহূর্তে বুঝতে পারবো যে, আমি পারফর্ম করছি না, নিজেকে (খেলায়) উপভোগ করছি না এবং আমি আমার সতীর্থদের সাহায্য করতে পারছি না (তখন অবসরের সিদ্ধান্ত আসবে)।’
আর্জেন্টাইন তারকা আরও বলেন, ‘আমি খুব আত্মসমালোচক। আমি জানি কখন ভালো খেলি, কখন খারাপ খেলি। যখন আমি অনুভব করবো, এই (অবসর) পদক্ষেপ নেওয়ার সময় এসেছে, তখন বয়স নিয়ে চিন্তা না করেই এটি গ্রহণ করব। যদি আমি ভাল বোধ করি, আমি সর্বদা প্রতিযোগিতা চালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করবো। কারণ এটি আমি পছন্দ করি এবং সেটি কিভাবে করতে হবে সেটাও জানি।’
কাতার বিশ্বকাপে যদি শিরোপা জিততে না পারতেন, তাহলে ওই আসরের পরই অবসর নিয়ে নিতেন, এমনটিই বলেছেন মেসি।
ফুটবলে বর্ণাঢ্য এক ক্যারিয়ার তৈরি করেছেন মেসি। এখন পর্যন্ত ৪৪টি শিরোপা জিতেছেন তিনি। এখনো যেভাবে খেলছেন, তাতে বেশ কিছু শিরোপা জেতার সম্ভাবনা তো আছেই।
বর্তমানে হ্যামস্ট্রিং চোটে ভুগছেন মেসি। যে কারণে এল-সালভেদর ও কোস্টারিকার বিপক্ষে আর্জেন্টিনা হয়ে দুটি ম্যাচে খেলতে পারেননি তিনি।
লিওনেল মেসি আর্জেন্টিনা ইন্টার মায়ামি
মন্তব্য করুন
ভারত ও পাকিস্তানের বিপক্ষে ভিন্ন সিরিজের পূর্ণাঙ্গ সূচি ঘোষণা করেছে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া (সিএ)। আগামী নভেম্বরে ঘরের মাঠে পাকিস্তানের বিপক্ষে ওয়ানডে ও টি-২০ সিরিজ খেলবে অস্ট্রেলিয়া। এরপরেই ভারতের বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচের টেস্ট সিরিজ খেলবে অজিরা। দীর্ঘ ৩৩ বছর পর পাঁচ ম্যাচের টেস্ট সিরিজ খেলতে যাচ্ছে ভারত-অস্ট্রেলিয়া।
দুই ম্যাচ টেস্ট সিরিজের প্রথমটিতে বাংলাদেশকে নাস্তানাবুদ করে জয় তুলে নিয়েছে শ্রীলংকা। তবে দ্বিতীয় টেস্ট শুরুর পূর্বে বড় দুঃসংবাদ পেয়েছে সফরকারীরা। সিলেট টেস্টে বাংলাদেশের বিপক্ষে সর্বোচ্চ উইকেটশিকারি লঙ্কান বোলার কাসুন রাজিথা চট্টগ্রাম টেস্ট থেকে ছ্টিকে গেছেন। ইনজুরির কারণে আগামী ৩০ মার্চ থেকে শুরু হতে যাওয়া এই টেস্টে খেলতে পারবেন না এই লঙ্কান পেসার।